Search

Thursday, August 5, 2010

ঈশ্বরের বিশেষ সন্তানদের ইশকুল: ২


আজ এদের [১] স্কুল ড্রেস দেয়া হয়েছে। কেবল টিচারেরটা (সবার মাঝখানে) অন্য রকম, হলুদ কালো।  

২৩ জনের মাপ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ৩জন আরও বেড়েছে। এদের জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা করতে হবে।

খানিকটা সমস্যা দেখা দিল নার্গিসকে নিয়ে, এদের মধ্যে কেবল এই মেয়েটাই দেখতে পায় না। আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করছে, আমার জামাডা কেমুন হইছে?
আমি এর ছবি উঠিয়ে সবাইকে বলি, বলো তো, নার্গিসের ছবি কেমন হইছে? (এখানকার বাচ্চাদের আগে থেকেই এটা বলা আছে নার্গিসের যে কোন প্রসঙ্গ জানতে চাইলে সমস্বরে বলতে হবে, সুন্দর হইছে)। সমস্ত বাচ্চা গলা ফাটিয়ে বলে, সু-ন্দ-র হ-ই-ছে। 
নার্গিসের আনন্দ দেখে কে!

ঈশ্বরের বিশেষ সন্তানদের স্কুল [২] নিয়ে আমার মুগ্ধতার কথা বলেছিলাম। আজ দেখি বাংলাদেশের পতাকা আঁকা শিখে ফেলেছে! এরা এতো দ্রুত সব কিছু শিখছে!
গতবার আমি বলে এসেছিলাম, বাচ্চারা রং-পেন্সিল দিয়ে যা এঁকেছে তা যেন স্কুলে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এখানের টিচার বড়ো গোছানো। সব ঠিক ঠিক মনে রাখে, করে রাখে!

আজ ক্লাশে খানিকটা ফাঁকিবাজি চলে। নতুন কাপড়ের আনন্দে একজন অন্যজনের গায়ে গড়িয়ে পড়ছে। আমি না-দেখার ভান করে ফিরে আসছি। নিজের থইথই আনন্দ নিয়ে এমন কাবু আমি, এদের আনন্দ দেখার সময় কোথায় আমার...।

*আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা: পড়শী ফাউন্ডেশন

সহায়ক লিংক: 
১. ঈশ্বরের বিশেষ সন্তানদের ইশকুল, ১: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_24.html
২. ঈশ্বরের বিশেষ সন্তানদের ইশকুল, ২: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_27.html

1 comment:

সুব্রত said...

আপনার আনন্দ আমাদেরও ছুঁয়ে গেল।