এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় যেভাবে লেখা গেছে, ক্যারিকেচার, কার্টুন আঁকা গেছে আওয়ামী শাসনামলে সেটা ছিল স্রেফ একটা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন! একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (!) শহিদুল আলমকে নগ্ন পায়ে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল। কোথায় নিয়ে গেল সেটা আবার অনেক পরে জানা গেল। কোর্টে আবার 'মাই লর্ড' বিচারক পুলিশকে জিজ্ঞেস করছেন, পুলিশ আসামীর (শহিদুল আলমের) ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়েছে কিনা, সেদিনই লেখালেখির কফিনে পেরেক ঠোকা হয়ে গেল...!
Thursday, August 5, 2010
ঈশ্বরের বিশেষ সন্তানদের ইশকুল: ২
আজ এদের [১] স্কুল ড্রেস দেয়া হয়েছে। কেবল টিচারেরটা (সবার মাঝখানে) অন্য রকম, হলুদ কালো।
২৩ জনের মাপ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ৩জন আরও বেড়েছে। এদের জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা করতে হবে।
খানিকটা সমস্যা দেখা দিল নার্গিসকে নিয়ে, এদের মধ্যে কেবল এই মেয়েটাই দেখতে পায় না। আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করছে, আমার জামাডা কেমুন হইছে?
আমি এর ছবি উঠিয়ে সবাইকে বলি, বলো তো, নার্গিসের ছবি কেমন হইছে? (এখানকার বাচ্চাদের আগে থেকেই এটা বলা আছে নার্গিসের যে কোন প্রসঙ্গ জানতে চাইলে সমস্বরে বলতে হবে, সুন্দর হইছে)। সমস্ত বাচ্চা গলা ফাটিয়ে বলে, সু-ন্দ-র হ-ই-ছে।
নার্গিসের আনন্দ দেখে কে!
ঈশ্বরের বিশেষ সন্তানদের স্কুল [২] নিয়ে আমার মুগ্ধতার কথা বলেছিলাম। আজ দেখি বাংলাদেশের পতাকা আঁকা শিখে ফেলেছে! এরা এতো দ্রুত সব কিছু শিখছে!
গতবার আমি বলে এসেছিলাম, বাচ্চারা রং-পেন্সিল দিয়ে যা এঁকেছে তা যেন স্কুলে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এখানের টিচার বড়ো গোছানো। সব ঠিক ঠিক মনে রাখে, করে রাখে!
আজ ক্লাশে খানিকটা ফাঁকিবাজি চলে। নতুন কাপড়ের আনন্দে একজন অন্যজনের গায়ে গড়িয়ে পড়ছে। আমি না-দেখার ভান করে ফিরে আসছি। নিজের থইথই আনন্দ নিয়ে এমন কাবু আমি, এদের আনন্দ দেখার সময় কোথায় আমার...।
*আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা: পড়শী ফাউন্ডেশন
সহায়ক লিংক:
১. ঈশ্বরের বিশেষ সন্তানদের ইশকুল, ১: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_24.html
২. ঈশ্বরের বিশেষ সন্তানদের ইশকুল, ২: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_27.html
বিভাগ
আমাদের ইশকুল: দুই
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
1 comment:
আপনার আনন্দ আমাদেরও ছুঁয়ে গেল।
Post a Comment