আমি পূর্বের লেখায় [১] উল্লেখ করেছিলাম, ঈশ্বরের বিশেষ সন্তান, যারা চোখে দেখতে পান না (অবশ্য এঁদের সন্তানদের অধিকাংশই চোখে দেখতে পায়)। এঁরা দীর্ঘ দিন ধরে যে স্বপ্নটা লালন করছিলেন, একটা ছোট্ট ঘরের জন্য, যেটা দশ ফিট বাই বিশ ফিটের। সেই ঘরটার মাধ্যমে এটার সমাপ্তি হলো। ঘরের কাজ প্রায় শেষ, মাটি দিয়ে মেঝে করা এবং টুকটাক কাজ এঁরা নিজেরাই শেষ করতে পারবেন।
এটা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম কারণ কথা দেয়া হয়ে গিয়েছিল, কাজও শুরু করে দেয়া হয়েছিল কিন্ত এটার জন্য যথেষ্ঠ ফান্ড ছিল না। এ এক বিচিত্র, অন্যদের জন্য আমার প্লাসিবো বিষয়টা ভালই কাজ করে- শেষঅবধি কেমন কেমন করে যেন হয়েই যায়! বা হতে পারে শহীদ কাদরীর কথাই ঠিক:
"আমার মতো ভীরু সাঁতারু- না জানা লোক
পার হ'লো নদী-
এটাই নিয়তি।
অন্যরকম পরিণামও যে দেখিনি এমন নয়
সাঁতারু জাঁদরেল ক্যাপ্টেন এক
জাহাজ শুদ্ধ ডুবে গেলো
ঊর্ধ্বকাশ থেকে বোয়িং- ৭০৭ অজগ্রাম পুকুরে তলালো।"
(একবার দূর বাল্যকালে/ শহীদ কাদরী)
কাজটা শেষ করতে পারার পেছনের গল্পটা না বললে অন্যায় হয়। সিংহভাগ টাকার যোগান দিয়েছেন জাপান প্রবাসী একজন মানুষ, নাম প্রকাশে যার রয়েছে তীব্র অনীহা। তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
এবং কৃতজ্ঞতা পড়শী ফাউন্ডেশনের প্রতিও। বাকী অর্থের যোগান দিতে গিয়ে এদের নিয়মিত কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটেছে। এই জন্য দুঃখ প্রকাশ করা ব্যতীত বলার কিছুই নাই।
এবং কৃতজ্ঞতা পড়শী ফাউন্ডেশনের প্রতিও। বাকী অর্থের যোগান দিতে গিয়ে এদের নিয়মিত কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটেছে। এই জন্য দুঃখ প্রকাশ করা ব্যতীত বলার কিছুই নাই।
সহায়ক লিংক:
১. অদেখা এক স্বপ্ন: http://www.ali-mahmed.com/2010/08/blog-post_15.html
*আমার দেশ: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/08/22/40362
No comments:
Post a Comment