জার্মানিতে আরেকটা বিষয় আমাকে খানিকটা জটিলতায় ফেলে দিয়েছিল। ওখানে যার সঙ্গেই আমার পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় তিনি একটা করে কার্ড ধরিয়ে দেন, যার চালু নাম বিজনেস কার্ড বা ভিজিটিং কার্ড। একের পর এক কার্ড জমা হতে থাকে, আমার ওয়ালেট উপচে পড়ে! সময়টা বড়ো দৌড়ের উপর- কে কোন কার্ড দিচ্ছে, কার নাম কি এটা আমার দুর্বল মস্তিষ্ক মনে রাখতে ব্যর্থ হয়। আমার মত অভাজনের জন্য এটা অতি আনন্দের সংবাদ কিন্তু সমস্যা দেখা দিল যখন কেউ আমার কাছে আমার কার্ড চাইলেন, তখন।
আমার তো কোন কার্ড নাই। আমার কার্ড থাকবে কি করে? আমি কোনো মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত না- আমি যে নটা সাতটা অফিস নামের কারাগারের কোন কয়েদিও না। তারচেয়ে বড়ো কথা আমার যে জাঁক করে বলার মত তেমন কিছুই নাই। লেখক নাম দিয়ে কার্ড করা যায় কি না এটা আমি জানি না। এখানেও সমস্যা আছে, লেখক হওয়ার জন্য তো কোথাও কোন সনদ ইস্যু হয় না। তাছাড়া আমার মত যারা দু-কলম গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করে তাদেরকে লেখক বলাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত এ নিয়ে বেদম তর্কাতর্কি চলতেই পারে। তাহলে কি লেখা যেতে পারে? আমি যেটা লিখি, 'তিন টাকা দামের কলমবাজ'?
জার্মানি থেকে ফেরার পর ভাবছিলাম, আচ্ছা কার্ডে 'সদ্য জার্মানি ফেরত' এটা কি লাগানো যেতে পারে?
আরে দাঁড়ান-দাঁড়ান, এখনই কী-বোর্ডের উপর ঝাপিয়ে পড়বেন না আমি বেচারাকে আচ্ছা করে 'শব্দ-ধোলাই' দেয়ার নিমিত্তে।
আনিসুল হক গংরা যদি ঘটা করে এটা জাতীয় দৈনিকে ছাপাতে পারেন, 'সদ্য আমেরিকা ফেরত', তাহলে আমি লাগালে দোষ কোথায়? এটাও যে একটা পদবী এটা পূর্বে আমার জানাই ছিল না! মিডিয়ার লোকজনরা আমাদেরকে শেখান, আমরা শিখি। তাহলে আমি কেন এটা লাগাতে পারব না 'সদ্য জার্মানি ফেরত'?
কিন্তু এখানেও সমস্যা রয়ে যায়। এটা নিয়ে গবেষণার অবকাশ থেকে যায় ফেরার ঠিক কত দিন পর্যন্ত এই টাইটেলটা ব্যবহার করা যায়? নাকি আমৃত্যু?
আনিসুল হক মহোদয়কে জিগেস করা যেতে পারে, স্যার, এই টাইটেল বহাল থাকার সময় কত দিন? মানে কত দিন পর্যন্ত এই 'সদ্য' পদ্য হয়ে যায় না!
ভাল কথা, আনিসুল হক তার নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন নিজেই দেন [১], এই বিজ্ঞাপনও কি নিজেই দিয়েছিলেন? এমনটাই তো হওয়ার কথা। আর কোনো বিশেষণ খুঁজে পাওয়া গেল না, না? এই যেমন, 'শপিং মলের ফিতা কাটাকাটি', বা 'ডিম ভাজাভাজি' (এক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ওঁর ডিম ভাজাভাজি দেখে আমি হাঁ করে তাকিয়ে ছিলাম কারণ আমি নিজে পানি গরম করা ব্যতীত আর কিছু পারি না)?
আনিসুল হক নাকচ করে দিলে, 'সদ্য জার্মানি ফেরত' এটা ধোপে না টিকলে উপায় কী! আচ্ছা, আইন উপদেষ্টা এটা লাগালে কেমন হয়, এল.এল.বি অমুক? না মানে আমি বছরখানেক ল-কলেজে 'কেলাশ' করেছি তো, আইন পড়তে ভাল লাগেনি বলে ছেড়ে দিয়েছিলাম। আরে, দাঁড়ান-দাঁড়ান, আমাকে শুইয়ে ফেলার অভিপ্রায়ে এখনই আবার কী-বোর্ডে নিয়ে কস্তাকস্তি শুরু করে দেবেন না। কি বললেন, বছরখানেক ক্লাশ করে এমনটা লাগাবার নিয়ম নেই। তাই নাকি!
আপনারা সব জেনে বসে আছেন বুঝি! এটা একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভিজিটিং কার্ড। কার্ডটার হুবহু স্ক্যান করে দিলাম কেবল নীতিগত কারণে ফোন নাম্বার এবং ইমেইল বাদ দিয়ে দিলাম। ভাঁজ করা যায় এমন দু-পাতার এই কার্ডে দেখা যাচ্ছে তিনি M.Phil এবং Ph.D এই দুইটা ডিগ্রিই ব্যবহার করেছেন। তবে আমরা এটাও জানতে পারছি Self-withdrawn after one year.
আমার তো কোন কার্ড নাই। আমার কার্ড থাকবে কি করে? আমি কোনো মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত না- আমি যে নটা সাতটা অফিস নামের কারাগারের কোন কয়েদিও না। তারচেয়ে বড়ো কথা আমার যে জাঁক করে বলার মত তেমন কিছুই নাই। লেখক নাম দিয়ে কার্ড করা যায় কি না এটা আমি জানি না। এখানেও সমস্যা আছে, লেখক হওয়ার জন্য তো কোথাও কোন সনদ ইস্যু হয় না। তাছাড়া আমার মত যারা দু-কলম গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করে তাদেরকে লেখক বলাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত এ নিয়ে বেদম তর্কাতর্কি চলতেই পারে। তাহলে কি লেখা যেতে পারে? আমি যেটা লিখি, 'তিন টাকা দামের কলমবাজ'?
জার্মানি থেকে ফেরার পর ভাবছিলাম, আচ্ছা কার্ডে 'সদ্য জার্মানি ফেরত' এটা কি লাগানো যেতে পারে?
আরে দাঁড়ান-দাঁড়ান, এখনই কী-বোর্ডের উপর ঝাপিয়ে পড়বেন না আমি বেচারাকে আচ্ছা করে 'শব্দ-ধোলাই' দেয়ার নিমিত্তে।
আনিসুল হক গংরা যদি ঘটা করে এটা জাতীয় দৈনিকে ছাপাতে পারেন, 'সদ্য আমেরিকা ফেরত', তাহলে আমি লাগালে দোষ কোথায়? এটাও যে একটা পদবী এটা পূর্বে আমার জানাই ছিল না! মিডিয়ার লোকজনরা আমাদেরকে শেখান, আমরা শিখি। তাহলে আমি কেন এটা লাগাতে পারব না 'সদ্য জার্মানি ফেরত'?
কিন্তু এখানেও সমস্যা রয়ে যায়। এটা নিয়ে গবেষণার অবকাশ থেকে যায় ফেরার ঠিক কত দিন পর্যন্ত এই টাইটেলটা ব্যবহার করা যায়? নাকি আমৃত্যু?
আনিসুল হক মহোদয়কে জিগেস করা যেতে পারে, স্যার, এই টাইটেল বহাল থাকার সময় কত দিন? মানে কত দিন পর্যন্ত এই 'সদ্য' পদ্য হয়ে যায় না!
ভাল কথা, আনিসুল হক তার নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন নিজেই দেন [১], এই বিজ্ঞাপনও কি নিজেই দিয়েছিলেন? এমনটাই তো হওয়ার কথা। আর কোনো বিশেষণ খুঁজে পাওয়া গেল না, না? এই যেমন, 'শপিং মলের ফিতা কাটাকাটি', বা 'ডিম ভাজাভাজি' (এক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ওঁর ডিম ভাজাভাজি দেখে আমি হাঁ করে তাকিয়ে ছিলাম কারণ আমি নিজে পানি গরম করা ব্যতীত আর কিছু পারি না)?
আনিসুল হক নাকচ করে দিলে, 'সদ্য জার্মানি ফেরত' এটা ধোপে না টিকলে উপায় কী! আচ্ছা, আইন উপদেষ্টা এটা লাগালে কেমন হয়, এল.এল.বি অমুক? না মানে আমি বছরখানেক ল-কলেজে 'কেলাশ' করেছি তো, আইন পড়তে ভাল লাগেনি বলে ছেড়ে দিয়েছিলাম। আরে, দাঁড়ান-দাঁড়ান, আমাকে শুইয়ে ফেলার অভিপ্রায়ে এখনই আবার কী-বোর্ডে নিয়ে কস্তাকস্তি শুরু করে দেবেন না। কি বললেন, বছরখানেক ক্লাশ করে এমনটা লাগাবার নিয়ম নেই। তাই নাকি!
আপনারা সব জেনে বসে আছেন বুঝি! এটা একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভিজিটিং কার্ড। কার্ডটার হুবহু স্ক্যান করে দিলাম কেবল নীতিগত কারণে ফোন নাম্বার এবং ইমেইল বাদ দিয়ে দিলাম। ভাঁজ করা যায় এমন দু-পাতার এই কার্ডে দেখা যাচ্ছে তিনি M.Phil এবং Ph.D এই দুইটা ডিগ্রিই ব্যবহার করেছেন। তবে আমরা এটাও জানতে পারছি Self-withdrawn after one year.
তাহলে কার্ডে আমার নামের সঙ্গে আইন উপদেষ্টা এলএলবি অমুক এটা লিখতে সমস্যা কোথায়! অবশ্য ব্রাকেটে Self-withdrawn after one year. বা নিয়ার এবাউট... এটা অবশ্যই উল্লেখ থাকবে। :)
*এই লেখাটা যখন লিখছি তখন চ্যানেল আইয়ে ইমদাদুল হক মিলনকে দেখছি কেকা ফেরদৌসির এক রান্নার অনুষ্ঠানে। আমাদের দেশের লেখকদের কেবল বাকী আছে বাথরুম উদ্বোধন করা [২]। ইনশাল্লাহ, এটাও দেখার ভাগ্য একদিন আমাদের হবে। মিলন এবং আমার দুজনেরই দীর্ঘ জীবন পাওয়াটা জরুরি।
কেকা ফেরদৌসির রান্নার অনুষ্ঠান দেখে মনে হয় এই মহিলার চেয়ে রান্না বিশারদ সম্ভবত এই গ্রহে আর নাই। কালো চশমা লাগিয়ে দেশ-বিদেশে এই মহিলা যেমন দাবড়ে বেড়ান এবং নিজে নিজেই অনর্গল বকে যান; অন্যের কথা বলার সুযোগ কোথায় এই সব আমাদের না-দেখে ছাড়াছাড়ি নাই। এর রহস্য খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এখন একজন ডাক্তার সাহেব বললেন, ইনি নাকি চ্যানেল আইনের হর্তকর্তা সাগর সাহেবের বোন! তাই তো বলি, বলিহারি!
বকবক-বকবক, তারপর বকবক, আবারও বকবক এমন ক্ষেত্রে আমি 'হর্স-মাউথ' শব্দটা ব্যবহার করি। মহিলা ঘোড়ার ইংরাজি কি এটা এখন মনে পড়ছে না। :(
*বৈদেশ পর্ব...: http://tinyurl.com/29zswc5
সহায়ক লিংক:
১. আনিসুল হকের বিজ্ঞাপন...: http://www.ali-mahmed.com/2010/02/blog-post_07.html
২. বাথরুম উদ্বোধন: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_20.html
*এই লেখাটা যখন লিখছি তখন চ্যানেল আইয়ে ইমদাদুল হক মিলনকে দেখছি কেকা ফেরদৌসির এক রান্নার অনুষ্ঠানে। আমাদের দেশের লেখকদের কেবল বাকী আছে বাথরুম উদ্বোধন করা [২]। ইনশাল্লাহ, এটাও দেখার ভাগ্য একদিন আমাদের হবে। মিলন এবং আমার দুজনেরই দীর্ঘ জীবন পাওয়াটা জরুরি।
কেকা ফেরদৌসির রান্নার অনুষ্ঠান দেখে মনে হয় এই মহিলার চেয়ে রান্না বিশারদ সম্ভবত এই গ্রহে আর নাই। কালো চশমা লাগিয়ে দেশ-বিদেশে এই মহিলা যেমন দাবড়ে বেড়ান এবং নিজে নিজেই অনর্গল বকে যান; অন্যের কথা বলার সুযোগ কোথায় এই সব আমাদের না-দেখে ছাড়াছাড়ি নাই। এর রহস্য খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এখন একজন ডাক্তার সাহেব বললেন, ইনি নাকি চ্যানেল আইনের হর্তকর্তা সাগর সাহেবের বোন! তাই তো বলি, বলিহারি!
বকবক-বকবক, তারপর বকবক, আবারও বকবক এমন ক্ষেত্রে আমি 'হর্স-মাউথ' শব্দটা ব্যবহার করি। মহিলা ঘোড়ার ইংরাজি কি এটা এখন মনে পড়ছে না। :(
*বৈদেশ পর্ব...: http://tinyurl.com/29zswc5
সহায়ক লিংক:
১. আনিসুল হকের বিজ্ঞাপন...: http://www.ali-mahmed.com/2010/02/blog-post_07.html
২. বাথরুম উদ্বোধন: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_20.html
1 comment:
হাহাপগে
Post a Comment