ছবি ঋণ: গুগল |
এই গ্রহে যত অমানবিকতা, কদর্যতা, নিষ্ঠুরতা ঘটেছে তার পেছনে কোন-না-কোন প্রকারে আমেরিকা নামের শুয়োরটার গায়ের বোটকা গন্ধ আছে। থাকবে, থাকবেই। জারজদের পিতার হদিস নেই কিন্তু পিতৃভূমি রক্ষার নামে কয় লক্ষ মানুষ নামের সংখ্যা হারিয়ে যাবে এর হিসাব রাখতে এদের বয়েই গেছে। এরা তেলের সঙ্গে রক্ত মিশিয়ে নতুন একটা জ্বালানী [১] আবিষ্কার করবে আর আমরা সভ্য-সভ্য একটা ভাব ধরে এদের কাছ থেকে সভ্যতা শেখব [২]। এরা আমাদের দেশে সেমিনার করে সভ্যতা শেখাবে। আমরা সেমিনারে এদের লম্বা-লম্বা লেকচার শুনব আর এরা সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে। ছয় হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি!
এক আফগানিস্তানেই এক বছরে বিনস্ট হয়েছে ৩ লাখ ঘরবাড়ি। ইরাক যুদ্ধে মারা গেছে প্রায় এক লক্ষ মানুষ! এরা মুখে নাৎসিদের নিয়ে ঘৃণা ছড়াবে কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র অন্য রকম। ১৯৫৪ সালে আইখম্যানের অন্যতম সহকারী অটো ভন বোলশেভিককে কেবল আমেরিকায় ঢুকতেই দেয়া হয়নি জামাই আদরে রাখা হয়োছিল।
৪০ দশকে আমেরিকা গুয়েতেমালায় মানসিক রোগী এবং কয়েদীদের উপর ভয়াবহ এক গবেষণা চালিয়ে গেছে। শত-শত মানুষের শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সিফিলিস, গনোরিয়ার জীবাণু ছড়িয়ে দেয়া হয়। এমন কত ঘটনা ঘটে গেছে এর কটার খবর আমরা জানি?
যেমন কলম্বাস ১৪৯২ সালের ১২ই অক্টোবর আমেরিকা আবিষ্কার করেন। তাকে বীর পুজা করা হয়। এই শুয়োর ওখানকার আদিবাসিদের নিয়ে তার লগ-বুকে লেখেন, 'আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, এরা দাস হিসাবে চমৎকার হবে...'।
কলম্বাসকে নিয়ে আমেরিকার এক শিক্ষক বিল বিগলো গুছিয়ে বলেন, 'কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কারক নন, বরং স্রেফ একজন লুটেরা ছিলেন'।
কলম্বাস নামের এই শুয়োর অসংখ্য উত্তরসূরি রেখে যান। বিচিত্র এই দেশটা, ততোধিক বিচিত্র এর জনগণ! একটা মিথ্যার কারণে ক্লিনটনের গদি যায়-যায় অথচ বুশ নামের এক উম্মাদের কিছুই হয় না।
তো, কালে কালে এই শুয়োরটার গায়ের বোটকা গন্ধ আরও তীব্র হয়। এটা আমরা বিস্মৃত হই। শুয়োরদের উল্লাসে যোগ দেন টনির [৩] মত কিছু পোষা সারমেয়। আমরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে এদের দেখানো তামাশা দেখি। আমেরিকা অ্যাপাচি হেলিকপ্টার [৪] থেকে গুলি করে রক্তমাংসের মানুষ মারবে, শিশুদের আহত করবে এই খেলায় অ্যাসাঞ্জ বাধা দেবেন এটা কোন দেশের সভ্যতা!
আসলে অ্যাসাঞ্জের [৫] মত মানুষরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, ওখানে নৈতিকতার কথা বলা বৃথা। জঙ্গলে চলে জঙ্গলের আইন সেখানে নৈতিকতার কথা বলা এও এক অশ্লীলতা...। অ্যাসাঞ্জ নিজ থেকেই ধরা দিয়ে অসম্ভব বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। নইলে হয়তো কোন গুপ্ত ঘাতক তাঁকে মেরেই ফেলত। কোন সভ্য দেশে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হচ্ছে সরকারের কাস্টডিতে থাকা। অবশ্য আমাদের দেশের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য না কারণ এখানে জেলখানায় ঢুকে ফট করে কাউকে মেরে ফেলা যায় [৬], বছরের পর বছর ধরেও এই খুনের কোন বিচার হয় না! এই দেশে সবই সম্ভব, সব সম্ভবের দেশ! এখানে সমস্ত খুনের বিচার চাওয়া [৭], না-চাওয়া সমান।
সহায়ক সূত্র
১. রক্ত+তেল=...: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_25.html
২. সভ্যতা: http://www.ali-mahmed.com/2009/05/blog-post_493.html
৩. কুকুরের জন্য হাড়: http://www.ali-mahmed.com/2010/09/blog-post_9265.html
৪. ভিডিও গেম: http://www.collateralmurder.com/
৫. অ্যাসাঞ্জ, উইকিলিকস: http://wikileaks.ch/
৬. খুন: http://www.ali-mahmed.com/2009/11/blog-post_03.html
৭. সমস্ত খুনের বিচার...: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_19.html
No comments:
Post a Comment