এই মানুষটার নাম আনোয়ারা বেগম। এই মহিলাকে দেখতাম একটা এনামেল ফ্যাক্টরিতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে। দূর থেকে দেখে কেবল মনে হতো, যাক, মহিলা মানুষ একটা কাজ-টাজ করে খাচ্ছে, ভালই তো। এমনিতে হাসিখুশি একজন মানুষ! কখনও কারও প্রতি অভিযোগ জানাতে দেখিনি। এই মানুষটার এই হাসি-হাসি মুখের পেছনের বেদনাটুকু টের পেতে অনেক সময় লাগল।
একটা ফার্মেসির মালিকের কাছ থেকে যেটা জানা গেল, যে কারখানায় তিনি কাজ করেন এখানে বেতন হলো এক হাজার টাকা। একজনের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা সুদে নিয়েছেন। প্রতি মাসে সুদ দিতে হয় পাঁচ শ টাকা। সাড়ে তিন হাজার টাকায় পাঁচ শ! ইউনূস সাহেবরা কেন এতো সফল এটা এখন বুঝতে পারি।
আমি অবাক হই, এই এক হাজার টাকা থেকে পাঁচ শ টাকা দিয়ে দিলে ইনার চলে কেমন করে? ইনি নাকি সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করে কায়ক্লেশে জীবন-যাপন করেন।
আমি আনোয়ারা বেগমের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আপনি এতো চড়া সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন কেন? নিমিষেই মানুষটার মুখের হাসি উধাও হয়। মাথার যন্ত্রণার জন্য পুরো টাকাটাই গেছে চিকিৎসার পেছনে। এর জন্য আমরাই দায়ী। একটা উপজেলা হাসপাতালে কী চিকিৎসা হয়! ছাতাফাতা ঘোড়ার ডিম! বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তার দূরের কথা প্রয়োজনীয় ডাক্তারেরই বালাই নাই। না আছে এক্স রে মেশিন, না আছে প্যাথলজি- আছে কেবল কিছু মানুষদের সীমাহীন লোভ এবং তাঁদের চেলা চামুন্ডাদের লকলকে জীব।
যাগ গে, এর বেশি জেনে আমার কাজ নেই। আমার এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে, ন্যানো ক্রেডিটের [১] আওতায় সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে এই মানুষটাকে সুদখোরের হাত থেকে রক্ষা করা। একজন মানুষকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলাম যিনি এই টাকাটা আনোয়ারা বেগমকে ধার দেবেন। আনোয়ারা বেগম তাঁর সাধ্যমত মাসে মাসে টাকাটা পরিশোধ করবেন।
সহায়ক সূত্র:
১. ন্যানো ক্রেডিট: http://tinyurl.com/39dkbhh
3 comments:
Salute
Can you give a put a bank account here. better if its an account from a bank which have online facility.
thanks.
also, if possible kindly send the bank account to rafiq380[at]gmail[dot]com
thanks.
Post a Comment