প্রথমেই নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করি 'চাড্ডি' জিনিসটা কি এটা আমার জানা নাই! 'চাড্ডি' নামের এই হিন্দি শব্দের অর্থ, অনুমান করি বাচ্চারা এটা পরে নাংগাবাবু হয়ে ঘুরে বেড়ায়। অর্থ জানি না অথচ হিন্দি এই শব্দটা নিয়ে কস্তাকস্তি করার অর্থ হয়তো অনেকের বোধগম্য হবে না। আহা, আমাদের জাতীয় দুলাভাই শাহরুখের কথা ভুলে গেলেন বুঝি [১]! আমাদের বহিনজি গৌরিকে আমরা বুঝি ফেলে দেব, কাভি নেহি? তাকে ফেলে দিতে না-পারলে তার 'শহর' শাহরূখকে আমরা ফেলে দেই কেমন করে! আর হিন্দি না-শিখলে জিজাজির সঙ্গে কথাবার্তাই বা বলব কেমন করে!
ভাগ্যিস, শীত ছিল, আছে, থাকবে নইলে এই সব চাড্ডিপরা, মুখোশপরা [২] দেবদূততের কী উপায় হতো! সত্যি বলতে কী সেটা সমস্যা না! কিন্তু দেবদূত নামটার সঙ্গে চাড্ডি জিনিসটা ঠিক মিশ খাচ্ছে না যে। আচ্ছা, ল্যাঙ্গট শব্দটা বসিয়ে দিলে কেমন হয়? ছ্যা-ছ্যা, দেবদূত কী কুস্তিগীর যে ল্যাঙ্গটপরা কুস্তিগীর লেখা হবে! হুম, কৌপীন হলে বেশ হয়, না? কৌপীরপরা দেবদূত, ওকালের।
আফসোস, একালের দেবদূতরা নিশ্চয়ই এখন আর কৌপীন পরেন না, এরা পরেন থারমাল আন্ডারওয়্যার। এরা শীত এলেই সব খুলে ফেলে মাথায় থারমাল আন্ডারওয়্যার বেঁধে শীতার্ত মানুষকে উষ্ণতা দিতে এগিয়ে আসেন।
যাগগে, ওকালের দেবদূতদের একপাশে সরিয়ে একালের দেবদূতদের নিয়ে আলোচনা করাই শ্রেয়। এই ছবিতে আমরা তেমনি দুজন দেবদূতকে দেখতে পাচ্ছি, একালের। একজন হচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ এবং অন্যজন শাকিব খান। এরা লোকজনকে কম্বল দিচ্ছেন, কম্বল দিয়েছে তাদেরকে উষ্ণতা। উদ্যোগ চমৎকার কিন্তু এটা আমাদের জানাই হত না যদি না মতি ভাই আমাদেরকে জানাতেন।
হয়েছে কি, বুঝলেন, দানিশবন্দ মতি ভাই গভীর রাতে গুগল আর্থ নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় সবিস্ময়ে লক্ষ করেন, কুমার বিশ্বজিতের গাড়ি কমলাপুর স্টেশনের দিকে এগুচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, এই এসাইনমেন্টটার দায়িত্ব অফিসের চৌকশ একজনকে দেয়ার জন্যে। আনন্দ প্রতিবেদক নামের ওই চৌকশ মানুষটা পাপারাজ্জির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, চুপিসারে কুমারকে অনুসরণ করতে থাকেন। হুঁ-হুঁ, বাওয়া, কুমারও কম যান না, তিনি শাঁ শাঁ করে গাড়ি চালিয়ে প্রথম আলো প্রতিবেদককে ফাঁকির পর ফাঁকি দিতে থাকেন।
বেচারা, এই প্রতিবেদক নিরুপায় হয়ে বেস্ট এয়ারের একটা হেলিকপ্টার নিয়ে কুমারকে চোখে চোখে রাখেন। সোনারগাঁও মোড়ের সামনে বাংলাভিশন অফিসের পাশে অবশেষে কুমার বিশ্বজিৎ ধরা পড়েন, ক্যামেরায়। ধরা পড়েন কম্বল এবং তার ফ্রেঞ্জকাট দাড়িসহ। আফসোস, শত চেষ্টায়ও বেচারা বাঁচতে পারলেন না! বাঁচতে পারলেন না শাকিব খানও! শাকিব কীভাবে ধরা পড়লেন? সে এক ইতিহাস...।
পত্রিকায় [৩] মতি ভাইয়া ছাপালেন, "আসুন আমরাও এগিয়ে যাই..."।
সহায়ক সূত্র:
১. শাহরুখ...: http://www.ali-mahmed.com/2010/12/blog-post_11.html
২. মুখোশধারী: http://www.ali-mahmed.com/2011/01/blog-post_04.html
৩. আমরাও এগিয়ে যাই: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=27&date=2011-01-20
ভাগ্যিস, শীত ছিল, আছে, থাকবে নইলে এই সব চাড্ডিপরা, মুখোশপরা [২] দেবদূততের কী উপায় হতো! সত্যি বলতে কী সেটা সমস্যা না! কিন্তু দেবদূত নামটার সঙ্গে চাড্ডি জিনিসটা ঠিক মিশ খাচ্ছে না যে। আচ্ছা, ল্যাঙ্গট শব্দটা বসিয়ে দিলে কেমন হয়? ছ্যা-ছ্যা, দেবদূত কী কুস্তিগীর যে ল্যাঙ্গটপরা কুস্তিগীর লেখা হবে! হুম, কৌপীন হলে বেশ হয়, না? কৌপীরপরা দেবদূত, ওকালের।
আফসোস, একালের দেবদূতরা নিশ্চয়ই এখন আর কৌপীন পরেন না, এরা পরেন থারমাল আন্ডারওয়্যার। এরা শীত এলেই সব খুলে ফেলে মাথায় থারমাল আন্ডারওয়্যার বেঁধে শীতার্ত মানুষকে উষ্ণতা দিতে এগিয়ে আসেন।
ছবি ঋণ: প্রথম আলো |
হয়েছে কি, বুঝলেন, দানিশবন্দ মতি ভাই গভীর রাতে গুগল আর্থ নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় সবিস্ময়ে লক্ষ করেন, কুমার বিশ্বজিতের গাড়ি কমলাপুর স্টেশনের দিকে এগুচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, এই এসাইনমেন্টটার দায়িত্ব অফিসের চৌকশ একজনকে দেয়ার জন্যে। আনন্দ প্রতিবেদক নামের ওই চৌকশ মানুষটা পাপারাজ্জির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, চুপিসারে কুমারকে অনুসরণ করতে থাকেন। হুঁ-হুঁ, বাওয়া, কুমারও কম যান না, তিনি শাঁ শাঁ করে গাড়ি চালিয়ে প্রথম আলো প্রতিবেদককে ফাঁকির পর ফাঁকি দিতে থাকেন।
বেচারা, এই প্রতিবেদক নিরুপায় হয়ে বেস্ট এয়ারের একটা হেলিকপ্টার নিয়ে কুমারকে চোখে চোখে রাখেন। সোনারগাঁও মোড়ের সামনে বাংলাভিশন অফিসের পাশে অবশেষে কুমার বিশ্বজিৎ ধরা পড়েন, ক্যামেরায়। ধরা পড়েন কম্বল এবং তার ফ্রেঞ্জকাট দাড়িসহ। আফসোস, শত চেষ্টায়ও বেচারা বাঁচতে পারলেন না! বাঁচতে পারলেন না শাকিব খানও! শাকিব কীভাবে ধরা পড়লেন? সে এক ইতিহাস...।
পত্রিকায় [৩] মতি ভাইয়া ছাপালেন, "আসুন আমরাও এগিয়ে যাই..."।
সহায়ক সূত্র:
১. শাহরুখ...: http://www.ali-mahmed.com/2010/12/blog-post_11.html
২. মুখোশধারী: http://www.ali-mahmed.com/2011/01/blog-post_04.html
৩. আমরাও এগিয়ে যাই: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=27&date=2011-01-20
No comments:
Post a Comment