এই দেশে এখন দেখছি লোকজনেরা ধাঁ ধাঁ করে উপরে উঠে যাচ্ছে! সরকারী চাকুরী একটা বাগাতে পারলে তো কথাই নেই। ঢাকায় ঝাঁ চকচকে অধিকাংশ বাড়িগুলোর মালিক হচ্ছেন সরকারী চাকুরে! আমলা-গামলা, মায় সার্জেন্ট সাহেব, ট্যাক্স অফিসের পিয়ন-চাপরাসী পর্যন্ত! এখন তো আর সরকারী চাকরি বললেই পয়দা হয় না, ধরাধরি একটা কঠিন বিষয় আছে। লাখ-লাখ টাকা লেনদেনটাই আসল!
ব্লগিং করে এখন আর পোষাচ্ছে না, বুঝলেন। কাঁহাতক নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো যায়- হাওয়া খেয়ে বী*পাত করা চলে কিন্তু দিনপাত করা যায় না। ভাবছি, একটা ব্যবসা-ট্যবসা ধরলে মন্দ হয় না। কিন্তু আমি যে খানিকটা লেখার চেষ্টা ব্যতীত আর কিছুই যে পারি না, গো।
চুপিচুপি একবার মাটি বিক্রির ব্যবসা [১] করতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলুম, ফ্লপ! কারণ যে মাটি বিক্রি করব, আহা, দেশে মাটিই বা কোথায়? এঁদের মুখে প্রায়শ শুনি, কখনও হাসিনা, কখনও খালেদা নাকি গোটা দেশটাই বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। যেখানে দেশই নাই সেখানে দেশের মাটি থাকবে কোত্থেকে? অবশিষ্ট আর আছেটাই কী, ঘন্টা!
ব্যর্থ মনোরথে আরেকবার বাতাস বিক্রির [২] চেষ্টা করেও তো সুবিধে হলো না। সুপার ফ্লপ! এখন 'হাতে গাল দিয়ে' ভাবছি, নতুন কি ব্যবসায় হাত দেয়া যায়?
পত্রিকার খবরে প্রকাশ, "ঢাকার ৫৫ লক্ষ মানুষের জন্য ৪৫টি পাবলিক টয়লেট" [৩]!
ঢাকার মানুষেরা মূত্র বিসর্জন দেন কোথায় এই নিয়ে গভীর চিন্তায় ছিলাম। সৈয়দ আবুল মকসুদের 'নরমূত্র' [৪] পড়ে খানিকটা ধারণা হলো ঢাকার লোকজনরা কেমন বেতমিজ! উহারা নাকি প্রকাশ্যে রাস্তায় মূত্র বিসর্জন করে। ঢাকা শহরের 'লুকজন এতো খ্রাপ'! মকসুদ স্যারের শুভ্র বসনে নরমুত্র লেগে গেলে উপায় আছে? রাম-রাম!
এ অন্যায়-এ অন্যায়! গোটা ঢাকা শহর এই সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভাসিয়ে দিতে হবে 'এখানে প্রস্রাব করিবেন না' নইলে ঢাকা শহর মূত্রে ভেসে যাবে। চুজ হেলথ অর টব্যাকো- এখন থেকে ঢাকায় ভাসবে, হয় সাইনবোর্ড নইলে মূত্র।
ঢাকায় একটা দেয়াললিখন দেখেছিলাম, 'এখানে পিসাব করিবেন না। করিলে ুনা কাটিয়া দিব বদমাশ'। শুরুটা ভালই ছিল কিন্তু পরেরটা ুনা কাটাকাটিটা আমার পছন্দ হয়নি, বাওয়া। যিনি ওটা লিখেছেন তিনি দুম করে ক্ষেপে গেলেন কেন বুঝলাম না!
যাই হোক, অচিরেই ঢাকার লোকজন যদি বহুতল ভবনের ছাদে উঠে এই কর্ম করা শুরু করে দেন অন্তত আমি অবাক হব না। ঢালিউডের বৃষ্টির একটা গতি হবে বটে কিন্তু মূত্রবৃষ্টিতে ভিজে এই সব দৃশ্য অবলোকন করে সূক্ষরূচির লোকজনের ব্লাডপ্রেসার বেড়ে গেলে এর দায় কার উপর বর্তাবে? নাহ, এ চলতে দেয়া যায় না। এর একটা উপায় বের না-করলে চলছে না আর।
ভাবছি... দেখো দিকি কান্ড, আজকাল আমি ভাবাও শুরু করে দিয়েছি! গোজ টু নরমুত্র। আচ্ছা, এই নিয়ে একটা ব্যবসা ফাঁদলে কেমন হয়? আরে না, পাবলিক টয়লেটের ব্যবসা না। ওটা তো সরকারের কাজ! এখন থেকে বঙ্গালদের অভ্যাস খানিকটা বদলাবার চেষ্টা করতে হবে। এই যে এক হাতে পানির বোতল বা বগলে পানির বোতল এই 'কলচর' আর কদ্দিনের? আমরা তো চাপাকলের মুখে মুখ লাগিয়েই পানি খেয়ে খেয়ে বড়ো হলুম। কিন্তু এখন হাতে একটা পানির বোতল না-থাকলে কেমন ফাঁকা-ফাঁকা, নিজেকে কেমন অরক্ষিত-অরক্ষিত মনে হয়! কালে কালে একটা ভাবও হয়ে গেছে বটে।
যাগগে, এক হাতে পানির বোতল কিন্তু অন্য হাত তো মুক্ত। ওই হাতে আরেকটা খালি বোতল ধরিয়ে দিলে আটকাচ্ছে কে, বাপু! কারও সূক্ষ রূচি আহত হলে বোতলে রঙ কালো করে নিলে মনে হয় না বাংলাদেশের আইনে আটকাবে; যেখানে নিষেধ থাকার পরও আমাদের হোমড়াচোমড়া সাহেবেরা গাড়িতে কালো কাঁচ ব্যবহার করেন। সেখানে 'নরমূত্রবোতল' কালো হলে পুলিশ লাঠি মেরে মাথা বা বোতল ফাটাবে এ আমি বিশ্বাস করি না। আর কাজ শেষ করার পর বোতল বাজেয়াপ্ত করলে চাইলে হুজ্জতে যাওয়ার প্রয়োজন কী, বাপু; দিয়ে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। যাই হোক, মুত্র বিসর্জনের চিন্তায় বাড়তি কোন চাপ নেই। ঢাকাবাসী গাড়িতে থাকুক বা খেলার মাঠে, মুত্র বিসর্জনে আটকাচ্ছে কে!
সহায়ক সূত্র:
১. মাটির ব্যবসা: http://www.ali-mahmed.com/2009/02/blog-post_15.html
২. বাতাসের ব্যবসা: http://www.ali-mahmed.com/2009/06/blog-post.html
৩. পাবলিক টয়লেট ৪৭টি: http://tinyurl.com/4t667r9
৪. নরমূত্র এবং মুত্র বিসর্জন: http://www.ali-mahmed.com/2011/02/blog-post_09.html
ব্লগিং করে এখন আর পোষাচ্ছে না, বুঝলেন। কাঁহাতক নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো যায়- হাওয়া খেয়ে বী*পাত করা চলে কিন্তু দিনপাত করা যায় না। ভাবছি, একটা ব্যবসা-ট্যবসা ধরলে মন্দ হয় না। কিন্তু আমি যে খানিকটা লেখার চেষ্টা ব্যতীত আর কিছুই যে পারি না, গো।
চুপিচুপি একবার মাটি বিক্রির ব্যবসা [১] করতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলুম, ফ্লপ! কারণ যে মাটি বিক্রি করব, আহা, দেশে মাটিই বা কোথায়? এঁদের মুখে প্রায়শ শুনি, কখনও হাসিনা, কখনও খালেদা নাকি গোটা দেশটাই বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। যেখানে দেশই নাই সেখানে দেশের মাটি থাকবে কোত্থেকে? অবশিষ্ট আর আছেটাই কী, ঘন্টা!
ব্যর্থ মনোরথে আরেকবার বাতাস বিক্রির [২] চেষ্টা করেও তো সুবিধে হলো না। সুপার ফ্লপ! এখন 'হাতে গাল দিয়ে' ভাবছি, নতুন কি ব্যবসায় হাত দেয়া যায়?
পত্রিকার খবরে প্রকাশ, "ঢাকার ৫৫ লক্ষ মানুষের জন্য ৪৫টি পাবলিক টয়লেট" [৩]!
ঢাকার মানুষেরা মূত্র বিসর্জন দেন কোথায় এই নিয়ে গভীর চিন্তায় ছিলাম। সৈয়দ আবুল মকসুদের 'নরমূত্র' [৪] পড়ে খানিকটা ধারণা হলো ঢাকার লোকজনরা কেমন বেতমিজ! উহারা নাকি প্রকাশ্যে রাস্তায় মূত্র বিসর্জন করে। ঢাকা শহরের 'লুকজন এতো খ্রাপ'! মকসুদ স্যারের শুভ্র বসনে নরমুত্র লেগে গেলে উপায় আছে? রাম-রাম!
এ অন্যায়-এ অন্যায়! গোটা ঢাকা শহর এই সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভাসিয়ে দিতে হবে 'এখানে প্রস্রাব করিবেন না' নইলে ঢাকা শহর মূত্রে ভেসে যাবে। চুজ হেলথ অর টব্যাকো- এখন থেকে ঢাকায় ভাসবে, হয় সাইনবোর্ড নইলে মূত্র।
ঢাকায় একটা দেয়াললিখন দেখেছিলাম, 'এখানে পিসাব করিবেন না। করিলে ুনা কাটিয়া দিব বদমাশ'। শুরুটা ভালই ছিল কিন্তু পরেরটা ুনা কাটাকাটিটা আমার পছন্দ হয়নি, বাওয়া। যিনি ওটা লিখেছেন তিনি দুম করে ক্ষেপে গেলেন কেন বুঝলাম না!
যাই হোক, অচিরেই ঢাকার লোকজন যদি বহুতল ভবনের ছাদে উঠে এই কর্ম করা শুরু করে দেন অন্তত আমি অবাক হব না। ঢালিউডের বৃষ্টির একটা গতি হবে বটে কিন্তু মূত্রবৃষ্টিতে ভিজে এই সব দৃশ্য অবলোকন করে সূক্ষরূচির লোকজনের ব্লাডপ্রেসার বেড়ে গেলে এর দায় কার উপর বর্তাবে? নাহ, এ চলতে দেয়া যায় না। এর একটা উপায় বের না-করলে চলছে না আর।
ভাবছি... দেখো দিকি কান্ড, আজকাল আমি ভাবাও শুরু করে দিয়েছি! গোজ টু নরমুত্র। আচ্ছা, এই নিয়ে একটা ব্যবসা ফাঁদলে কেমন হয়? আরে না, পাবলিক টয়লেটের ব্যবসা না। ওটা তো সরকারের কাজ! এখন থেকে বঙ্গালদের অভ্যাস খানিকটা বদলাবার চেষ্টা করতে হবে। এই যে এক হাতে পানির বোতল বা বগলে পানির বোতল এই 'কলচর' আর কদ্দিনের? আমরা তো চাপাকলের মুখে মুখ লাগিয়েই পানি খেয়ে খেয়ে বড়ো হলুম। কিন্তু এখন হাতে একটা পানির বোতল না-থাকলে কেমন ফাঁকা-ফাঁকা, নিজেকে কেমন অরক্ষিত-অরক্ষিত মনে হয়! কালে কালে একটা ভাবও হয়ে গেছে বটে।
যাগগে, এক হাতে পানির বোতল কিন্তু অন্য হাত তো মুক্ত। ওই হাতে আরেকটা খালি বোতল ধরিয়ে দিলে আটকাচ্ছে কে, বাপু! কারও সূক্ষ রূচি আহত হলে বোতলে রঙ কালো করে নিলে মনে হয় না বাংলাদেশের আইনে আটকাবে; যেখানে নিষেধ থাকার পরও আমাদের হোমড়াচোমড়া সাহেবেরা গাড়িতে কালো কাঁচ ব্যবহার করেন। সেখানে 'নরমূত্রবোতল' কালো হলে পুলিশ লাঠি মেরে মাথা বা বোতল ফাটাবে এ আমি বিশ্বাস করি না। আর কাজ শেষ করার পর বোতল বাজেয়াপ্ত করলে চাইলে হুজ্জতে যাওয়ার প্রয়োজন কী, বাপু; দিয়ে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। যাই হোক, মুত্র বিসর্জনের চিন্তায় বাড়তি কোন চাপ নেই। ঢাকাবাসী গাড়িতে থাকুক বা খেলার মাঠে, মুত্র বিসর্জনে আটকাচ্ছে কে!
সহায়ক সূত্র:
১. মাটির ব্যবসা: http://www.ali-mahmed.com/2009/02/blog-post_15.html
২. বাতাসের ব্যবসা: http://www.ali-mahmed.com/2009/06/blog-post.html
৩. পাবলিক টয়লেট ৪৭টি: http://tinyurl.com/4t667r9
৪. নরমূত্র এবং মুত্র বিসর্জন: http://www.ali-mahmed.com/2011/02/blog-post_09.html
2 comments:
hihihi
আমার একের পর এক ব্যবসা ফ্লপ করছে আর আপনার বেদম হাসি পাচ্ছে :)@N
Post a Comment