নোবেল জিনিসটা মাত্রাতিরিক্ত গরম বলেই সম্ভবত এটা ঠিক করে লেখা যাচ্ছে না 'পিলাস্টিকের' কী বোর্ড গলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা! লিখতে গিয়ে যেটা হচ্ছে, লেখা হচ্ছে হয় 'নো বেল' নইলে 'নো ব্রেন'! এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ। বাধ্য হয়ে অনেক পুরনো লেখাটাই এখানে দিয়ে দিচ্ছি:
"সংসদে তুমুল বচসা হচ্ছিল। বিরাট হাউকাউ, কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না! স্পিকার দমাদম হাতুড়ি পেটাচ্ছেন। মাইক বন্ধ করেও কোন তারতম্য হচ্ছিল না। সংসদ সদস্যরা খালি গলায় যে গলাবাজী করছেন মাইক না থাকলেও কী আসে যায়!
আসলে সমস্যাটার উদ্ভব হয়েছে নোবেলটা আসলে কোন দল (কোন্দল না) পেয়েছে এই নিয়ে! সমস্ত দলই দাবী করছে এটা তাদের কৃতিত্ব! কোন ভাবেই এ বিতর্কের মিমাংসা হলো না! যা হবার তাই হলো, বিদেশ থেকে ঘিলু আমদানী করতে হলো। বিদেশের ঘিলু, হে-হে হে, রুটির স্লাইসের চেয়ে দ্বিগুন পুরু মাখন আর লিকার খাওয়া ঘিলু বড়ো উর্বর! ক্ষণে ক্ষণে আইডিয়া প্রসবযোগ্য! আমরা বিছানায় কেমন করে বিশেষ সময় কাটাব এই বিষয়েও এরা পরামর্শ বিতরণ করে থাকেন!
শেষ পর্যন্ত নোবেল কোম্পানীর বড়ো কর্তাকে বাটার মেখে (কোথায়, এই বিষয়ে বিস্তারিত বলি না) এ বিষয়ে ফয়সালা করার জন্য রাজি করানো হলো তাঁকে বাংলাদেশে উড়িয়ে নিয়ে আসা হলো।
সবচেয়ে বেশী হইচই করছিলেন প্রধান দুইটা দল। এরাই বহু বছর ধরে দেশটার চাকা ঘুরাচ্ছেন বনবন করে, নইলে কবে চাকা চারকোনা হয়ে যেত! ভাগ্যিস, এরা ছিলেন নইলে সম্ভবত ঈশ্বরও সম্ভবত এই দেশের হাল ধরতেন না!
প্রথম দলের প্রধানকে বলা হলো পয়েন্ট অভ অর্ডারে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্য বলার জন্য। প্রথম দলের প্রধান বললেন চিলকন্ঠে, 'এই অর্ডার আমি মানতে পারুম না, আমার পায়ে বিষ, ব্যথায় অস্থির। তো, আমার বক্তব্য হইল, ইউনুস সাব যে নুবেলডা পাইছে, এইটা আমাদের আমলে পাইছে। এইটার কেরতিত্ব আমাদের। কালো টাকা সাদা করার সময় কালো টাকা দিয়া দিছি বইল্যা নোবেলও দিয়া দিমু, কাভি নেহি! জান দিমু কিন্তু আমরা এই নুবেলের এক কুনাও দিমু না।'
দ্বিতীয় দলের প্রধান মুহাহা করে হেসে বললেন, 'তাইলে আমিও পয়েন্ট অভ অর্ডারে দাঁড়ামু না, মিডল অভ অর্ডারে বইসা কমু। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমার অনেকগুলা ডিগ্রি। আমি এই নুবেল ডিগ্রিটা নিতে রাজী হই নাই বইলাই এইটা ইউনুস মিয়ারে দেয়া হইছে। কার আমলে? এইটা কি আকথা কুকথা। আমাদের আমলেই এই পরতিষ্ঠানটা কলাগাছের মতন হওয়া শুরু করছিল। অনেক রক্ত দিয়েছি, শেষ রক্ত বিন্দু দিয়া দিমু কিন্তু নুবেল দিমু না।'
তৃতীয় দলের প্রধান বললেন, 'সয়্যার অন মাই বলস (বলস- এটা নিয়ে খানিক বিতর্ক আছে) আর্মিতে ছিলাম বইলা বন্দুক চালানের পাশাপাশি দেশ সেবায় পিছায়া আছিলাম না। আমার মত বড়ো মুক্তিযোদ্ধা দ্যাশে নাই কারণ সবাই যুদ্ধ করছে দেশে থাইক্যা আর আমি করছি শত্রু গো দ্যাশে থাইকা।
ভিতরের খবর কেউ রাখে না। আমিই ইউনুস সাবরে বুদ্ধি দেই, গরিব মহিলা গো টেকা দিলে ফেরত পাইবেন। কিন্তু আপনে হাইফাই মহিলাদের টেকা পয়সা ধার দিলে ফেরত পাইবেন না। হে-হে-হে, হাইফাই মহিলাদের বিষয়ে আমার চেয়ে ভাল আর কে জানে। চামড়ার নল...হাক মাওলা।'
চতুর্থ দলের প্রধান, 'নোবেল জিনিসটা আবিষ্কার করছে নাসারা। নাসারাদের কুনু কিছু আমরা বেবহার করি না, ধর্মে নিষেধ আছে। কুলুপ করার লিগ্যা দরকার হইলে টিলা-পর্বত উঠায়া নিয়া আসুম কিন্তু টিস্যু বেবহার করুম না।
-->
"সংসদে তুমুল বচসা হচ্ছিল। বিরাট হাউকাউ, কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না! স্পিকার দমাদম হাতুড়ি পেটাচ্ছেন। মাইক বন্ধ করেও কোন তারতম্য হচ্ছিল না। সংসদ সদস্যরা খালি গলায় যে গলাবাজী করছেন মাইক না থাকলেও কী আসে যায়!
আসলে সমস্যাটার উদ্ভব হয়েছে নোবেলটা আসলে কোন দল (কোন্দল না) পেয়েছে এই নিয়ে! সমস্ত দলই দাবী করছে এটা তাদের কৃতিত্ব! কোন ভাবেই এ বিতর্কের মিমাংসা হলো না! যা হবার তাই হলো, বিদেশ থেকে ঘিলু আমদানী করতে হলো। বিদেশের ঘিলু, হে-হে হে, রুটির স্লাইসের চেয়ে দ্বিগুন পুরু মাখন আর লিকার খাওয়া ঘিলু বড়ো উর্বর! ক্ষণে ক্ষণে আইডিয়া প্রসবযোগ্য! আমরা বিছানায় কেমন করে বিশেষ সময় কাটাব এই বিষয়েও এরা পরামর্শ বিতরণ করে থাকেন!
শেষ পর্যন্ত নোবেল কোম্পানীর বড়ো কর্তাকে বাটার মেখে (কোথায়, এই বিষয়ে বিস্তারিত বলি না) এ বিষয়ে ফয়সালা করার জন্য রাজি করানো হলো তাঁকে বাংলাদেশে উড়িয়ে নিয়ে আসা হলো।
সবচেয়ে বেশী হইচই করছিলেন প্রধান দুইটা দল। এরাই বহু বছর ধরে দেশটার চাকা ঘুরাচ্ছেন বনবন করে, নইলে কবে চাকা চারকোনা হয়ে যেত! ভাগ্যিস, এরা ছিলেন নইলে সম্ভবত ঈশ্বরও সম্ভবত এই দেশের হাল ধরতেন না!
প্রথম দলের প্রধানকে বলা হলো পয়েন্ট অভ অর্ডারে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্য বলার জন্য।
তৃতীয় দলের প্রধান বললেন, 'সয়্যার অন মাই বলস (বলস- এটা নিয়ে খানিক বিতর্ক আছে) আর্মিতে ছিলাম বইলা বন্দুক চালানের পাশাপাশি দেশ সেবায় পিছায়া আছিলাম না। আমার মত বড়ো মুক্তিযোদ্ধা দ্যাশে নাই কারণ সবাই যুদ্ধ করছে দেশে থাইক্যা আর আমি করছি শত্রু গো দ্যাশে থাইকা।
ভিতরের খবর কেউ রাখে না। আমিই ইউনুস সাবরে বুদ্ধি দেই, গরিব মহিলা গো টেকা দিলে ফেরত পাইবেন। কিন্তু আপনে হাইফাই মহিলাদের টেকা পয়সা ধার দিলে ফেরত পাইবেন না। হে-হে-হে, হাইফাই মহিলাদের বিষয়ে আমার চেয়ে ভাল আর কে জানে। চামড়ার নল...হাক মাওলা।'
তয় আমাদের ম্যাডাম যখন বলছেন, তাইলে ঠিকাছে। এইটা আমাদেরই কেরতিত্ব। জাযাকুল্লাহ খায়রুন!'
নোবেল কোম্পানীর কর্তা মনে মনে ভাবছেন, আচ্ছা, নোবেল একবার দিয়ে আবার ফিরিয়ে নেয়ার কি কোন অপশন তাদের কোম্পানীতে চালু আছে! থাকা প্রয়োজন ছিল।"
*লেখাটা একটা ফিকশন। এই গ্রহ, গ্রহের বাইরে, এমন কী তোতলা কোন লাশের সঙ্গে মিলে গেলেও সেটা হবে নিছক কাকতালীয়।
নোবেল কোম্পানীর কর্তা মনে মনে ভাবছেন, আচ্ছা, নোবেল একবার দিয়ে আবার ফিরিয়ে নেয়ার কি কোন অপশন তাদের কোম্পানীতে চালু আছে! থাকা প্রয়োজন ছিল।"
*লেখাটা একটা ফিকশন। এই গ্রহ, গ্রহের বাইরে, এমন কী তোতলা কোন লাশের সঙ্গে মিলে গেলেও সেটা হবে নিছক কাকতালীয়।
**স্কেচে শিশিরের ছাপ আছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, 'আপনারা নোবেল প্রাইজটাকে এত বড় করে দেখছেন কেন? বাংলাদেশে যদি শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ পেতে হয়, তাহলে আমি বলব, দুজনের পাওয়া উচিত ছিল-শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমার..."। (প্রথম আলো, ৯ মার্চ, ২০১১)
এটা পড়ে একজন মন্তব্য করলেন, 'চোরকে দাড়ি মে তিনকা'। আমি জানতে চাইলাম, এর মানে কি? মানুষটা উত্তর দিলেন না, রহস্যের এক হাসি হাসলেন। আমি হিন্দিতে কাঁচা। মনে মনে বললাম, বেঁচে গেছি বড়ো বাঁচা। এমন অর্থ জেনে কাজ নেই যা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
মাহবুবে আলমের করা শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমাকে নিয়ে মন্তব্যের বিষয়ে তর্কে আমি যাব না কিন্তু...। হায়-হায়, এতোটা কাল জেনে এসেছি নোবেল একটা কঠিন জিনিস কিন্তু এখন দেখছি ডাল-ভাত! নোবেল কমিটির প্রতি আমার রাগ হচ্ছে এরা এমন গাধা কেন! নোবেল যেখানে সের দরে পাওয়া যায় সেখানে এরা নোবেল দিতে এমন কার্পণ্য করে কেন? নোবেল গছিয়ে দেয়ার জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে সমস্যা কোথায়! তেলের ভান্ডের জন্য তেলতেলে একটা নোবেল দেয়ার নতুন ক্ষেত্র চালু করার জন্য জোর দাবী জানাই। এক দফা এক দাবী।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, 'আপনারা নোবেল প্রাইজটাকে এত বড় করে দেখছেন কেন? বাংলাদেশে যদি শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ পেতে হয়, তাহলে আমি বলব, দুজনের পাওয়া উচিত ছিল-শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমার..."। (প্রথম আলো, ৯ মার্চ, ২০১১)
এটা পড়ে একজন মন্তব্য করলেন, 'চোরকে দাড়ি মে তিনকা'। আমি জানতে চাইলাম, এর মানে কি? মানুষটা উত্তর দিলেন না, রহস্যের এক হাসি হাসলেন। আমি হিন্দিতে কাঁচা। মনে মনে বললাম, বেঁচে গেছি বড়ো বাঁচা। এমন অর্থ জেনে কাজ নেই যা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
মাহবুবে আলমের করা শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমাকে নিয়ে মন্তব্যের বিষয়ে তর্কে আমি যাব না কিন্তু...। হায়-হায়, এতোটা কাল জেনে এসেছি নোবেল একটা কঠিন জিনিস কিন্তু এখন দেখছি ডাল-ভাত! নোবেল কমিটির প্রতি আমার রাগ হচ্ছে এরা এমন গাধা কেন! নোবেল যেখানে সের দরে পাওয়া যায় সেখানে এরা নোবেল দিতে এমন কার্পণ্য করে কেন? নোবেল গছিয়ে দেয়ার জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে সমস্যা কোথায়! তেলের ভান্ডের জন্য তেলতেলে একটা নোবেল দেয়ার নতুন ক্ষেত্র চালু করার জন্য জোর দাবী জানাই। এক দফা এক দাবী।
No comments:
Post a Comment