ক্রসফায়ার নিয়ে আমার এক লেখায় [১] লিখেছিলাম, "...ক্রসফায়ার জটিল এক আবিষ্কার! অনেক আঁক কষতে হয়, জটিলসব সূত্র, অংকের ফল মেলাতে হয়। বাংলার ফল খেতে খেতে, অংকের ফল মিলিয়ে, ইংরাজিতে ফল হয়ে জনমের তরে মাটিতে শুয়ে যেতে হয়।"
সত্যিই এ এক যুগান্তকারী আবিষ্কার, এটা আজও বলি! অসংখ্যবার এমন নিখুঁত কান্ড এই গ্রহে আর কারও পক্ষে করা সম্ভব এটা আমি বিশ্বাস করি না। দুইটা গুলিকে একই বিন্দুতে ক্রস করানো কী আর চাট্টিখানি কথা!
বা অন্য আরেক লেখায় আমি যেটা লিখেছিলাম [২] র্যাবের দেখাদেখি পুলিশও ক্রসফায়ার নামের জটিল বিষয়টা আয়ত্ব করে ফেলেছে, "...২১ মে, ২০০৬। অসুস্থ টুন্ডাকে সুস্থ দাবী করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে আনা হয় ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায়। গভীর রাতে ক্রসফায়ারে তাঁর মৃত্যু হয়। ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থাতেই তার মরদেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে। ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থাতেই তার ময়নাতদন্ত করা হয়...।"
যে তথ্যটা জানা সম্ভব হয়নি টুন্ডাকে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় সমাহিত করা হয়েছিল কি না। কে জানে, ওখান থেকেও যদি ভেগে যায়!
আজকের পত্রিকায়ও [৩] আবারও বিচিত্র ক্রসফায়ারের খবর! লিমন হোসেন নামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সঙ্গে র্যাবের গুলি বিনিময়ের সময় র্যাব লিমনের পায়ে গুলি করে নিজেদের প্রাণ বাঁচায়! র্যাবের এই 'প্রাণ বাঁচানিয়া' গুলি বিনিময়ের নাম ক্রসফায়ার!
লিমন যে সন্ত্রসী এটা থানাওয়ালারা জানে না, জানে না এলাকাবাসীও! এমনকি এলাকার লোকজন এই লিমনকে চাঁদা করে চিকিৎসা করাচ্ছেন। রিকশা চালান এমন একজন মানুষও এই লিমনকে বাঁচাবার জন্য কষ্টার্জিত টাকা দিচ্ছেন। রবিন হুডকে বাদ দিলে এমন জনপ্রিয় সন্ত্রাসী এই গ্রহে আর আছে বলে আমাদের জানা নাই।
মঙ্গলবার এই লিমনের এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ত্রসী বলে র্যাব কেবল তাকে গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি দুই দুইটা মামলাও ঠুকে দিয়েছে। একটি অস্ত্র আইনে অন্যটি সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে। এই কথিত অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী ডিএডি বলেন, "...সে (লিমন) র্যাবের উপর গুলি করেছে। ক্রসফায়ারে সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত লিমনের কাছ থেকে পিস্তল পাওয়া গেছে"।
লিমনের নামে কখনও কোন অপরাধের কথা শোনা যায়নি, থানায় একটা জিডি নাই, এলাকার একটা মানুষও জানে না অথচ র্যাব জানে। আমাদের র্যাব সব জানে কারণ র্যাব হচ্ছে এই জমিনের ঈশ্বর! আমার হেল কমান্ডোর সেই বিখ্যাত সংলাপ মনে পড়ছে, "...রিমেম্বার, গড ইজ অলমাইটি ইন স্কাই লাইন, অ্যান্ড মাইটি সিনিয়রস ইন পি.এম.এ...।" এখানে সিনিয়রসের জায়গায় র্যাব এবং স্কাই লাইনের জায়গায় 'জমিন লাইন' বসিয়ে নিলেই হয়।
আহ, জমিনের ঈশ্বর! র্যাব যদি বলে সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে আমরাও বলব সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। র্যাব যদি বলে সূর্য বাংলাদেশের সমান আমরাও বলব সূর্য বাংলাদেশের সমান। জমিনের ঈশ্বর বলে কথা...।
*র্যাব জমিনের ঈশ্বর না-হলে বলতাম, এটা একটি খুনের অপচেষ্টা। এবং কেন এই খুনের চেষ্টার বিচার হবে না?
সহায়ক সূত্র:
১. ক্রসফায়ার, ...আবিষ্কার: http://www.ali-mahmed.com/2008/07/blog-post_29.html
২. ক্রসফায়ার: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_03.html
৩. লিমন হোসেন: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2011-04-06
সত্যিই এ এক যুগান্তকারী আবিষ্কার, এটা আজও বলি! অসংখ্যবার এমন নিখুঁত কান্ড এই গ্রহে আর কারও পক্ষে করা সম্ভব এটা আমি বিশ্বাস করি না। দুইটা গুলিকে একই বিন্দুতে ক্রস করানো কী আর চাট্টিখানি কথা!
বা অন্য আরেক লেখায় আমি যেটা লিখেছিলাম [২] র্যাবের দেখাদেখি পুলিশও ক্রসফায়ার নামের জটিল বিষয়টা আয়ত্ব করে ফেলেছে, "...২১ মে, ২০০৬। অসুস্থ টুন্ডাকে সুস্থ দাবী করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে আনা হয় ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায়। গভীর রাতে ক্রসফায়ারে তাঁর মৃত্যু হয়। ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থাতেই তার মরদেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে। ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থাতেই তার ময়নাতদন্ত করা হয়...।"
যে তথ্যটা জানা সম্ভব হয়নি টুন্ডাকে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় সমাহিত করা হয়েছিল কি না। কে জানে, ওখান থেকেও যদি ভেগে যায়!
ছবি ঋণ: প্রথম আলো |
লিমন যে সন্ত্রসী এটা থানাওয়ালারা জানে না, জানে না এলাকাবাসীও! এমনকি এলাকার লোকজন এই লিমনকে চাঁদা করে চিকিৎসা করাচ্ছেন। রিকশা চালান এমন একজন মানুষও এই লিমনকে বাঁচাবার জন্য কষ্টার্জিত টাকা দিচ্ছেন। রবিন হুডকে বাদ দিলে এমন জনপ্রিয় সন্ত্রাসী এই গ্রহে আর আছে বলে আমাদের জানা নাই।
মঙ্গলবার এই লিমনের এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ত্রসী বলে র্যাব কেবল তাকে গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি দুই দুইটা মামলাও ঠুকে দিয়েছে। একটি অস্ত্র আইনে অন্যটি সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে। এই কথিত অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী ডিএডি বলেন, "...সে (লিমন) র্যাবের উপর গুলি করেছে। ক্রসফায়ারে সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত লিমনের কাছ থেকে পিস্তল পাওয়া গেছে"।
লিমনের নামে কখনও কোন অপরাধের কথা শোনা যায়নি, থানায় একটা জিডি নাই, এলাকার একটা মানুষও জানে না অথচ র্যাব জানে। আমাদের র্যাব সব জানে কারণ র্যাব হচ্ছে এই জমিনের ঈশ্বর! আমার হেল কমান্ডোর সেই বিখ্যাত সংলাপ মনে পড়ছে, "...রিমেম্বার, গড ইজ অলমাইটি ইন স্কাই লাইন, অ্যান্ড মাইটি সিনিয়রস ইন পি.এম.এ...।" এখানে সিনিয়রসের জায়গায় র্যাব এবং স্কাই লাইনের জায়গায় 'জমিন লাইন' বসিয়ে নিলেই হয়।
আহ, জমিনের ঈশ্বর! র্যাব যদি বলে সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে আমরাও বলব সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। র্যাব যদি বলে সূর্য বাংলাদেশের সমান আমরাও বলব সূর্য বাংলাদেশের সমান। জমিনের ঈশ্বর বলে কথা...।
*র্যাব জমিনের ঈশ্বর না-হলে বলতাম, এটা একটি খুনের অপচেষ্টা। এবং কেন এই খুনের চেষ্টার বিচার হবে না?
সহায়ক সূত্র:
১. ক্রসফায়ার, ...আবিষ্কার: http://www.ali-mahmed.com/2008/07/blog-post_29.html
২. ক্রসফায়ার: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_03.html
৩. লিমন হোসেন: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2011-04-06
3 comments:
অশালীন বক্তব্যের কারণে আপনার মন্তব্য মুছে দিলাম। দুঃখিত!
আপনি খুন করার অপচেষ্টার কারণে কারও বিচার চাইতে পারেন কিন্তু অশালীন শব্দ ব্যবহার করতে পারেন না...@Anonymous
@ Anonymous: আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।
Post a Comment