Search

Sunday, April 24, 2011

শিক্ষক যখন প্রকৃতি এবং জাপান


জাপানে হয়ে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং সুনামির খবর পুরনো। লিখব লিখব করেও এই প্রসঙ্গ নিয়ে কেন যেন লেখা হয়ে উঠেনি! সবিরাম, মাথায় ঘুরপাক, প্রকৃতির কাছে আমরা কী অসহায়! ছবির মত সাজানো গোছানো একটা দেশ, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া দেশটা কি কখনও ভেবেছে আজকের এই দিন দেখতে হবে! বুকে হাত দিয়ে বলুক।

কোন একটা লেখায় আমি বলেছিলাম, "জ্ঞান। কবেকার জ্ঞান? সময়টা বড়ো জরুরি।"
যেদিন আমরা আগুন জ্বালানো শিখলাম সেদিনও আমরা ভেবেছিলাম অভূতপূর্ব জ্ঞান এখন আমাদের মুঠোয়। এখন একটা বাচ্চারও আগুন জ্বালাবার জ্ঞান করায়ত্ত। আজ যে জ্ঞান নিয়ে আমরা অহংকারে ডুবে থাকি কিছু বছর পর ওই জ্ঞান বড়ো খেলো মনে হবে।
মানুষ যখন ভেবে বসে প্রকৃতির সমস্ত রহস্য তার জানা হয়ে গেছে, প্রকৃতির সঙ্গে তার লেনদেন শেষ হয়ে আসছে; প্রকৃতি নামের শিক্ষকের বেত ঝাঁ করে নেমে আসে। এই বেত কার পিঠে পড়ল এই নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় প্রকৃতির কই!

অসাধারণ এই ছবিটা দেখে আমরা কী কিছু শিখলাম? প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারও হাত নেই তবুও ওই দেশের বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষস্থানীয় লোকজনেরা আশ্রয়কেন্দ্রের আশ্রয়ে থাকা লোকজনের সামনে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে যেটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না! আমাদের দেশের বড়ো বড়ো আমলা-গামলা মহোদয়গণ এমনটা দূরের কথা অন্তত তাঁদের পশ্চাদদেশ উত্তোলনপূর্বক খানিকটা ক্লেশ স্বীকার করবেন, ভাবাই যায় না

এমন অসাধারণ একটা ছবি! ছবিটা ছাপা হয়েছে প্রথম আলোয়, 'জাপানি সহনশীলতার নমুনা' লেখায় [১] কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারছি না আসলে এই ছবিটা উঠিয়েছে কে? ওখানে কিছুই লেখা নেই, কারও নাম নেই! এটা কি প্রথম আলোর কোন 'ক্যামেরাবাজ' জাপানে গিয়ে ফটোটা পাকড়াও করেছেন নাকি মতিউর রহমান স্বয়ং স্যাটেলাইটের 'নরোমতারের' মাধ্যমে এই ছবিটা তুলেছেন?
এই ছবিটার সঙ্গে প্রতিবেদনটার নীচে লেখা 'বার্তা সংস্থা অবলম্বনে'। নাকি এই ছবিটা বার্তা সংস্থার? আচ্ছা, এই বার্তা সংস্থার ঘটনাটা কী! বার্তা সংস্থা নামে কি কোন বার্তা সংস্থা আছে? কি জানি, আমার জানার পরিধি খুব ছোট। 'খবরের কাগজ' নামে যদি সাপ্তাহিক পত্রিকা থাকতে পারে তাহলে বার্তা সংস্থা নামে বার্তা সংস্থা থাকলে দোষ কোথায়! নাকি এই বার্তা সংস্থার মা-বাপ নাই, এতিম!

এখন কাজের কথা হচ্ছে ছবিটা কার? জানাটা জরুরি কারণ ছবি নিয়ে ফাজিলিয়া খেলাধূলা করার জন্য প্রথম আলোর [১] কোন ক্লান্তি নেই। পূর্বের মত এমনটা হওয়াও বিচিত্র কিছু না! সবাই শেখে, শেখে না কেবল প্রথম আলো- এদের শেখা যে শেষ...

*ভিডিও ঋণ: ABCNews
*ছবি ঋণ: এটা মতিউর রহমান ভাল বলতে পারবেন। 

সহায়ক সুত্র:
১. জাপানি সহনশীলতা...: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=35&date=2011-04-22
২. প্রথম আলো: http://www.ali-mahmed.com/2010/11/blog-post_07.html

2 comments:

Anonymous said...

আলু পত্রিকা আলু ভর্তা হইলে বুঝব এর আগে না।

Unknown said...

ভাই প্রথম আলুর চরিত্র অনেকটা আলু জাতীয় সব্জির মত। সব জায়গাতে নিজেকে খাপ খাওয়াতে চেষ্টাকরে শুধু মাত্র লাভের জন্য...