Search

Saturday, June 18, 2011

জ্ঞানপাপী!

­অধ্যাপক রুমানা এবং হাসান সাইদকে নিয়ে দেশ উত্তাল। দেশের লোকজনের ভাব দেখে মনে হচ্ছে এই দেশে নারীর প্রতি এমন নৃশংস আচরণ এই প্রথম হলো! লোকজন চাচ্ছে তাই মিডিয়াও ঝাপিয়ে পড়েছে। ঘটা করে সিরিজ করছে।
রাহেলা বেচারির [১] জন্য দেখি কেউ এক লাইন কালি খরচ করছেন না- আচ্ছা, আমরা কেউ কি
জানি তাঁর মামলার গতি কি? কেন আমরা এমন নির্লিপ্ত আর আমাদের সো কলড মিডিয়া কোথায়? নির্লিপ্ততা এই কারণে কী, রাহেলা আমাদের অভিজাত সমাজের কেউ না?
রুমানার বিষয়ে আমরা বেশী লেখাপড়া জানা মানুষরা অতিরিক্ত আতঙ্কিত এই কারণে কি পানি আমাদের নাগাল পেয়ে যাচ্ছে, ভাসিয়ে নিয়ে যাবে?

অন্যায়কারীর বিচার হোক এই নিয়ে কারও কোনও দ্বিমত নাই। কিন্তু অহেতুক মাতামাতি প্রায়শ বিরক্তিকর মনে হয়। একজন অন্যায় করবে শাস্তি পাবে, দ্যাটস অল। যার লাফ দেয়ার অভ্যাস আছে তার আলাদা করে লাফালাফি করা আদৌ প্রয়োজন পড়ে না। যাদের অভ্যাস নাই তারাই অহেতুক লাফায়।
আমি এমবিএ করা এমন মানুষকেও চিনি যিনি ভারত থেকে চাবুক নিয়ে এসেছিলেন, স্ত্রীকে চাবুক দিয়ে পেটাতেন কিন্তু মুখে কখনও মারের দাগ দৃশ্যমান হতো না! হাসান সাইদের প্রতি আমার আলাদা কোন মমতা নাই। রুমানার মুখে, হাসানের সৃষ্ট ক্ষতগুলো আমরা দেখেছি লক্ষ মানুষেরটা দেখিনি, এই যা...।

হাসান সাইদের প্রতি লোকজনের রাগটা প্রবল হওয়ার এটাও একটা কারণ সাইদ শিক্ষিত। হায় শিক্ষা! শিক্ষা বিষয়টা আমার কাছে বড়ো গোলমেলে মনে হয়! একাডেমিক শিক্ষা মানুষকে পুরোপুরি শিক্ষিত করতে পারেই এই নিয়ে আমার ঘোর সন্দেহ আছে। বোঝাবার সুবিধার্থে অন্য প্রসঙ্গ আলোচনায় নিয়ে আসি।
 
স্ক্যান: মুক্ত খবর, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১


'মুক্ত খবর'-এর বিষয়টা হচ্ছে এই পাতাটার পুরোটাই দৈনিক ইত্তেফাকের নকল। ইত্তেফাকের ওই কপিটা এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। তদুপরি মুক্ত খবরের এই চুরি-চামারিটা প্রমাণ করা যাবে না এমনটা না। 'মুক্ত খবর', চ্যলেঞ্জ করলেই হয় যে এই বক্তব্য অসত্য।
মুক্ত খবরের এই পাতায় যেসব ডাক্তারদের নাম আছে, ডা: সাদিয়া তাবাসসুম, ডা: রানা মোকারম হোসেন, ডা: গুলজার হোসেন উজ্জ্বল এঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে এঁরা কেউই মুক্ত খবরের জন্য লিখেননি, লিখেছিলেন ইত্তেফাকের জন্য।
আমার প্রশ্ন, মুক্ত খবর নামের পত্রিকা কারা চালায়, অশিক্ষিত লোকজনরা, এঁরা কি শিক্ষিত না? তাহলে? এই যে এরা দিন-দুপুরে আমাদের নাকের ডগায় চুরি করছে এখানে শিক্ষাটা কী কাজে লাগছে?

এমন কত ধরনের উদাহরণই না দেয়া যায়।
স্ক্যান: সুশীল সমাজের ডাক
পত্রিকার নাম 'সুশীল সমাজের ডাক'। সুশীল...এর কাজের কিছু নমুনা দেখা যাক। এই পত্রিকার তথ্যমতে, 'ঢাকা-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়ক ২৮ ঘন্টা পর চালু'। এই পত্রিকা পড়ে জানা যাচ্ছে, সেতুতে এই ট্রাক দুর্ঘটনায় পড়ে রাস্তা বন্ধ থাকায় আখাউড়া স্থলবন্দর ২৮ ঘন্টা পর চালু হয়।

এই সেই সেতু যার কাজ চলছে। যে সেতুটির কারণে আন্তর্জাতিক সড়ক বন্ধ হয়ে স্থলবন্দর অচল হয়ে গিয়েছিল বলে সুশীল সমাজের ডাকের দাবী। মজার বিষয় হচ্ছে, ঢাকা-আগরতলা যান চলাচলের রাস্তা এটা না। মোটেও স্থল বন্দর বন্ধ থাকেনি!
এখন দেখছি 'সকালের খবর'ও একই কাহিনী ফেঁদেছে:
স্ক্যান: সকালের খবর, ১১ জুন ২০১১

ভাগ্যিস, এই সব পত্রিকার এই সব ভুয়া তথ্য পড়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দৌড়াতে দৌড়াতে চলে আসেননি। তাহলে সর্বনাশ হয়ে যেত...!

সহায়ক সূত্র:
১. রাহেলা একটি চাবুকের নাম: http://www.ali-mahmed.com/2008/02/blog-post_27.html

3 comments:

Anonymous said...

এরা সাংবাদিক সাঙ্ঘাতিক

মুরাদুল ইসলাম said...

পত্রিকার নামটা সুন্দর।সুশীল সমাজের ডাক।

Anonymous said...

আলি ভাই,আমরা আখাউরাকে চিনি আপনাকে দিয়ে।সেই আখাউরার পত্রিকার এহেন অবস্থা!!!!!