আজকের অতিথি আরাফাতুল ইসলাম। তিনি লিখেছেন ভ্যালেরি টেইলর নামের একজন মানুষকে নিয়ে। কোন ধরনের সম্মাননায় এই মানুষটার কিছুই যায় আসে না কিন্তু আমাদের দেশের জন্য এই সম্মাননা অতি জরুরি বলেই আমি মনে করি। আমরা খানিকটা চেষ্টা করলেই হয়ে যায়, এতে কোন সন্দেহ অন্তত আমার নাই। আরাফাতুল ইসলাম লিখেছেন:
"ভ্যালেরি টেইলরের কথা মনে করতে পারছেন? বাংলাদেশে বসবাসরত এই ইংরেজ ফিজিওথেরাপিস্ট ঢাকার সাভারে প্রতিষ্ঠা করেছেন সিআরপি। শারীরিকভাবে অক্ষমদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসনের জন্য কাজ করে এই সংগঠন। গরীব, দুঃখীরা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা এখানে পাচ্ছেন বিনা খরচায়, ভ্যালেরির জন্য। ভ্যালেরি এই কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন বিভিন্নভাবে। আসুন এবার তাঁকে আরেকটি স্বীকৃতি এনে দেই, সেটি শুধু তাঁর জন্য নয় বরং আমাদের নিজেদের জন্যও।
সিআরপি (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড) সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত বলা যাক। এটি বাংলাদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী ফিজিওথেরাপি সংগঠন। এর মূল কাজ শারীরিকভাবে অক্ষমদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটির মূলে আছেন বাংলাদেশে বসবাসরত একজন ইংরেজ ফিজিওথেরাপিস্ট, যিনি জীবনের অধিকাংশ সময়ই বাংলাদেশে মানব সেবায় ব্যায় করেছেন এবং এখনও করছেন। তিনি হলেন ভেলরি টেইলর। (সূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া)
ভ্যালেরি টেইলরের জন্ম, শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ইংল্যান্ডের বাকিংহামশায়ারে। তিনি তরুণ বয়সে ১৯৬৯ সালে ভিএসও নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজে বাংলাদেশে আসেন। উদ্দেশ্য ছিল ফিজিওথেরাপি প্রদান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ভ্যালেরি ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু ১৯৭১ সালেরই সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তখনও যুদ্ধ শেষ হতে দুই মাস বাকি ছিল। এ সময় তার কাজ আরও বেড়ে গিয়েছিল। কারণ যুদ্ধের কারণে পঙ্গুত্বের হার বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ। তিনি সফলভাবেই একাজ করতে সমর্থ হন।
১৯৭৩ সালে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে যান ভ্যালেরি। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে একটি সার্থক ফিজিওথেরাপি সংগঠন তৈরির জন্য উপযুক্ত অর্থ ও অন্যান্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা। ১৯৭৫ সালে তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এবার বাংলাদেশে ফেরার পর আরও প্রায় ৪ বছর স্বাভাবিকভাবে কেটে যায়। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে অনেক কষ্ট এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই হাসপাতালের একটি পরিত্যাক্ত গুদাম ঘর পান। এখানেই প্রথম একেবারে ছোট আকারে প্রতিষ্ঠা করেন ফিজিওথেরাপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরপি। প্রতিষ্ঠার পর অক্লান্ত পরিশ্রম করতে থাকেন এর উন্নতির জন্য। সাইকেলে চেপে বিভিন্নজনের ঘরে ঘরে যেতেন সাহায্যের জন্য। এজন্য তাকে অনেক গঞ্জনাও সহ্য করতে হয়েছিল। এভাবে এই প্রতিষ্ঠানটি একসময় নিজের পায়ে দাঁড়াতে সমর্থ হয়। পরিণত হয় ৪০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি দাতব্য ক্লিনিকে। (সূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া)
ভ্যালেরি টেইলরকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল ২০০৭ সালে৷ সেসময় নিজের গড়া প্রতিষ্ঠানেই ভ্যালেরি হয়ে পড়েছিলেন প্রচণ্ড অসহায়। সিআরপিকে গোছানোর নামে এক সাবেক আমলা এই সংগঠনে ঢুকে পড়েন। সংগঠনটি চালানোর আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা কার্যত কেড়ে নেওয়া হয় ভ্যালেরির কাছ থেকে৷ সেসময় ব্লগার আরিফ জেবতিক লিখেছিলেন,
সিএনএন হিরো:
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর একটি অনুষ্ঠানের নাম 'সিএনএন হিরোস'। মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে খেটে চলা ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানে। ইতিমধ্যে সিএনএন এর এই আয়োজনে আমরা দেখেছি ভারত, নেপালের একাধিক ব্যক্তিত্বকে। এদের কেউ নারী পাচার রোধে কাজ করছেন, কেউ বা সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংস্থান করছেন। কেউবা অনাহারী মানুষের খাদ্যের সংস্থান করছেন। সবমিলিয়ে 'সিএনএন হিরোস; বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
ভ্যালেরিকে মনোনয়ন
আমি এবছরের 'সিএনএন হিরো' হিসেবে ভ্যালেরি টেইলরকে নোমিনেট করেছি। এই সম্মাননার জন্য সাধারণত একবার একজনকে নোমিনেট করলেই চলে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, বাংলা ব্লগারদের মধ্য থেকে আরো কয়েকজনের উচিত ভ্যালেরিকে মনোনয়ন দেওয়া।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বিশ্বের অনেক মানুষ এখনো বাংলাদেশ সম্পর্কে জানেন না। ভ্যালেরিকে মনোনয়নের সময় সিএনএন এর তালিকায় বাংলাদেশ নামই খুঁজে পাইনি। ফলে দেশের ঘরে 'আদার' অপশন বেছে নিতে হয়েছিল (বলে রাখা ভাল, কোন বাংলাদেশির এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কোন বারণ নেই, সেটি হলে 'আদার' অপশনটি থাকতো না)।
আপাতত আমাদের যা করণীয়
আলাদাভাবে আমরা কয়েকজন ভ্যালেরি টেইলরকে মনোনয়ন প্রদান করতে পারি। সেক্ষেত্রে ভ্যালেরির কর্মকাণ্ড ভালোভাবেই সিএনএন-এর নজরে আসবে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য যা করেছেন, তা বিশ্বের বুকে অনন্য কাজগুলোর একটি। তাই, আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকতে পারলে চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকবেন ভ্যালেরি।
মনোনয়ন পদ্ধতি বেশ সহজ। শুধু ভ্যালেরির কাজ সম্পর্কে আপনার খানিকটা ধারণা থাকতে হবে। এরপর সেগুলো একটু গুছিয়ে লিখে দিলেই হলো। নিচের ঠিকানায় গিয়ে ভ্যালেরি টেইলরকে মনোনয়ন করতে পারেন: http://www.cnn.com/SPECIALS/cnn.heroes/nom/
আমি, আপনি, আমরা ভ্যালেরির মহৎ কাজ সম্পর্কে জানি এবং বিশ্বাস করি। কিন্তু আসুন এবার বিশ্বকে জানাই, আমাদের একজন ভ্যালেরি আছে। তিনি আমাদের কাছে হিরো, বিশ্বের কাছেও হিরো হওয়ার দাবিদার।
পুনশ্চ: প্রাথমিক বাছাইয়ে ভ্যালেরি টেকার পর আমাদেরকে আরো কিছু কাজ করতে হবে৷ সেগুলো যথাসময়ে জানানো হবে।"
তথ্য সহায়তা:১. সিএনএন হিরো মনোনয়ন: http://www.cnn.com/SPECIALS/cnn.heroes/nom/২. সিএনএন হিরো সম্পর্কে বিস্তারিত: http://www.cnn.com/SPECIALS/cnn.heroes/index.html৩. সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড: http://bit.ly/jViUdq৪. ভ্যালেরি টেইলর: http://bit.ly/iKSrDZ৫. CRP-Bangladesh: http://www.crp-bangladesh.org/৬. সাড়ে সাত হাজারের ভেলরি, আড়াই লাখের শফি সামি, আর দুই পয়সার আমরা...: http://www.somewhereinblog.net/blog/Arif-Jebtikblog/28712437
"ভ্যালেরি টেইলরের কথা মনে করতে পারছেন? বাংলাদেশে বসবাসরত এই ইংরেজ ফিজিওথেরাপিস্ট ঢাকার সাভারে প্রতিষ্ঠা করেছেন সিআরপি। শারীরিকভাবে অক্ষমদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসনের জন্য কাজ করে এই সংগঠন। গরীব, দুঃখীরা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা এখানে পাচ্ছেন বিনা খরচায়, ভ্যালেরির জন্য। ভ্যালেরি এই কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন বিভিন্নভাবে। আসুন এবার তাঁকে আরেকটি স্বীকৃতি এনে দেই, সেটি শুধু তাঁর জন্য নয় বরং আমাদের নিজেদের জন্যও।
সিআরপি (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড) সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত বলা যাক। এটি বাংলাদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী ফিজিওথেরাপি সংগঠন। এর মূল কাজ শারীরিকভাবে অক্ষমদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটির মূলে আছেন বাংলাদেশে বসবাসরত একজন ইংরেজ ফিজিওথেরাপিস্ট, যিনি জীবনের অধিকাংশ সময়ই বাংলাদেশে মানব সেবায় ব্যায় করেছেন এবং এখনও করছেন। তিনি হলেন ভেলরি টেইলর। (সূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া)
ভ্যালেরি টেইলরের জন্ম, শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ইংল্যান্ডের বাকিংহামশায়ারে। তিনি তরুণ বয়সে ১৯৬৯ সালে ভিএসও নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজে বাংলাদেশে আসেন। উদ্দেশ্য ছিল ফিজিওথেরাপি প্রদান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ভ্যালেরি ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু ১৯৭১ সালেরই সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তখনও যুদ্ধ শেষ হতে দুই মাস বাকি ছিল। এ সময় তার কাজ আরও বেড়ে গিয়েছিল। কারণ যুদ্ধের কারণে পঙ্গুত্বের হার বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ। তিনি সফলভাবেই একাজ করতে সমর্থ হন।
১৯৭৩ সালে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে যান ভ্যালেরি। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে একটি সার্থক ফিজিওথেরাপি সংগঠন তৈরির জন্য উপযুক্ত অর্থ ও অন্যান্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা। ১৯৭৫ সালে তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এবার বাংলাদেশে ফেরার পর আরও প্রায় ৪ বছর স্বাভাবিকভাবে কেটে যায়। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে অনেক কষ্ট এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই হাসপাতালের একটি পরিত্যাক্ত গুদাম ঘর পান। এখানেই প্রথম একেবারে ছোট আকারে প্রতিষ্ঠা করেন ফিজিওথেরাপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরপি। প্রতিষ্ঠার পর অক্লান্ত পরিশ্রম করতে থাকেন এর উন্নতির জন্য। সাইকেলে চেপে বিভিন্নজনের ঘরে ঘরে যেতেন সাহায্যের জন্য। এজন্য তাকে অনেক গঞ্জনাও সহ্য করতে হয়েছিল। এভাবে এই প্রতিষ্ঠানটি একসময় নিজের পায়ে দাঁড়াতে সমর্থ হয়। পরিণত হয় ৪০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি দাতব্য ক্লিনিকে। (সূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া)
ভ্যালেরি টেইলরকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল ২০০৭ সালে৷ সেসময় নিজের গড়া প্রতিষ্ঠানেই ভ্যালেরি হয়ে পড়েছিলেন প্রচণ্ড অসহায়। সিআরপিকে গোছানোর নামে এক সাবেক আমলা এই সংগঠনে ঢুকে পড়েন। সংগঠনটি চালানোর আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা কার্যত কেড়ে নেওয়া হয় ভ্যালেরির কাছ থেকে৷ সেসময় ব্লগার আরিফ জেবতিক লিখেছিলেন,
‘‘…ভেলরিকে করা হয়েছে কর্মহীন, ক্ষমতাহীন। নিজের প্রতিষ্ঠানে আজ তিনি নিজেই শোপিস। তিনি নাকি ম্যনেজমেন্ট বুঝেন না। পরিত্যক্ত গুদাম থেকে ৪০০ বেডের হাসপাতাল একাই গড়ে তুললেন যে নারী, তাঁকে এখন শিখতে হবে ম্যানেজমেন্ট?”সেই আমলার চেষ্টা কিন্তু শেষ অবধি সফল হয়নি। বাংলাদেশের ব্লগসম্প্রদায়ের ডিজিটাল কলমের খোঁচায় ভাগতে হয়েছিল আমলাকে। নিজের অবস্থানে টিকে যান ভ্যালেরি।
সিএনএন হিরো:
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর একটি অনুষ্ঠানের নাম 'সিএনএন হিরোস'। মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে খেটে চলা ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানে। ইতিমধ্যে সিএনএন এর এই আয়োজনে আমরা দেখেছি ভারত, নেপালের একাধিক ব্যক্তিত্বকে। এদের কেউ নারী পাচার রোধে কাজ করছেন, কেউ বা সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংস্থান করছেন। কেউবা অনাহারী মানুষের খাদ্যের সংস্থান করছেন। সবমিলিয়ে 'সিএনএন হিরোস; বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
ভ্যালেরিকে মনোনয়ন
আমি এবছরের 'সিএনএন হিরো' হিসেবে ভ্যালেরি টেইলরকে নোমিনেট করেছি। এই সম্মাননার জন্য সাধারণত একবার একজনকে নোমিনেট করলেই চলে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, বাংলা ব্লগারদের মধ্য থেকে আরো কয়েকজনের উচিত ভ্যালেরিকে মনোনয়ন দেওয়া।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বিশ্বের অনেক মানুষ এখনো বাংলাদেশ সম্পর্কে জানেন না। ভ্যালেরিকে মনোনয়নের সময় সিএনএন এর তালিকায় বাংলাদেশ নামই খুঁজে পাইনি। ফলে দেশের ঘরে 'আদার' অপশন বেছে নিতে হয়েছিল (বলে রাখা ভাল, কোন বাংলাদেশির এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কোন বারণ নেই, সেটি হলে 'আদার' অপশনটি থাকতো না)।
আপাতত আমাদের যা করণীয়
আলাদাভাবে আমরা কয়েকজন ভ্যালেরি টেইলরকে মনোনয়ন প্রদান করতে পারি। সেক্ষেত্রে ভ্যালেরির কর্মকাণ্ড ভালোভাবেই সিএনএন-এর নজরে আসবে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য যা করেছেন, তা বিশ্বের বুকে অনন্য কাজগুলোর একটি। তাই, আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকতে পারলে চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকবেন ভ্যালেরি।
মনোনয়ন পদ্ধতি বেশ সহজ। শুধু ভ্যালেরির কাজ সম্পর্কে আপনার খানিকটা ধারণা থাকতে হবে। এরপর সেগুলো একটু গুছিয়ে লিখে দিলেই হলো। নিচের ঠিকানায় গিয়ে ভ্যালেরি টেইলরকে মনোনয়ন করতে পারেন: http://www.cnn.com/SPECIALS/cnn.heroes/nom/
আমি, আপনি, আমরা ভ্যালেরির মহৎ কাজ সম্পর্কে জানি এবং বিশ্বাস করি। কিন্তু আসুন এবার বিশ্বকে জানাই, আমাদের একজন ভ্যালেরি আছে। তিনি আমাদের কাছে হিরো, বিশ্বের কাছেও হিরো হওয়ার দাবিদার।
পুনশ্চ: প্রাথমিক বাছাইয়ে ভ্যালেরি টেকার পর আমাদেরকে আরো কিছু কাজ করতে হবে৷ সেগুলো যথাসময়ে জানানো হবে।"
তথ্য সহায়তা:১. সিএনএন হিরো মনোনয়ন: http://www.cnn.com/SPECIALS/cnn.heroes/nom/২. সিএনএন হিরো সম্পর্কে বিস্তারিত: http://www.cnn.com/SPECIALS/cnn.heroes/index.html৩. সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড: http://bit.ly/jViUdq৪. ভ্যালেরি টেইলর: http://bit.ly/iKSrDZ৫. CRP-Bangladesh: http://www.crp-bangladesh.org/৬. সাড়ে সাত হাজারের ভেলরি, আড়াই লাখের শফি সামি, আর দুই পয়সার আমরা...: http://www.somewhereinblog.net/blog/Arif-Jebtikblog/28712437
3 comments:
cnn এ ভ্যালেরিকে নিয়ে ফর্ম পূরন করে আসলাম।আমাদের দেশ থেকে কেউ গেলে দারুন একটা ব্যাপার হবে।
সিএনএন হিরোইন চাই। হাসিনা হইলে আছি,ন্নাইলে খুদাপেজ।
ধন্যবাদ @রাশেদ
ফাজলামী করেন নাকি? @Anonymous
Post a Comment