(সময় টিভির সৌজন্যে)
এই ঘটনা নিয়ে সবাই পুলিশের গুষ্ঠিশুদ্ধ উদ্ধার করছেন। না-না, পুলিশকে কোলে বসিয়ে ফিডার খাওয়ানো হোক এটা আমার বক্তব্য না। যারা যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে একজন মানুষকে খুন করার জন্য যে বিচার পাওনা হয় তার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সে পুলিশ হোক না-হোক তা নিয়েও কোন আলাদা বক্তব্য নাই।
বিষয়টা নিয়ে হইচই করার কিছু নাই।
কেউ এটা মানতেই চাইছেন না আস্ত দেশটা এখন চুবানো আছে ফরমালিনে নইলে কবেই পচে দুর্গন্ধ ছড়াতো। পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে এ নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নাই। পুলিশ যখন বিনা দোষে লিমনকে [১] গুলি করে তখন পুলিশের এই জঘণ্য অপরাধ কোন অন্যায়ই না এটা প্রমাণ কার জন্য আমাদের দেশের রুই-কাতলা টাইপের মানুষরা বকে বকে লালা দিয়ে নিজেদের তহবন ভিজিয়ে ফেলেছিলেন।
এক লেখায় আমি লিখেছিলাম, 'আমার কদমবুসি করার জন্য লিমনের এক পাই যথেষ্ঠ' [২]। এখন বলি, লিমনের আরেকটা পা কেটে ফেললে আর কোন হ্যাপা থাকে না।
মিলনের খুনের ঘটনা আমরা জানতে পারি ১০ দিন পর। কেন? কোম্পানিগঞ্জের দয়িত্বে থাকা জাতীয় দৈনিকগুলোর সাংবাদিকরা এতদিন কোথায় ছিলেন? দৈনিক পত্রিকাগুলো এদের পোষে কেন? এদের কাজ কি? থানার ওসির দেয়া ইফতারিতে সদলবলে হাজির হওয়া?
আমি বিস্মিত হই এটা দেখে অধিকাংশ সাংবাদিক থানায় ঘুরঘুর করেন। কেউ তথ্যের জন্য তো কেউ খামের জন্য! খামের সঙ্গে থাকা টাকার বিষয়টা আমরা বুঝতে পারি কিন্তু তথ্যের জন্য থানার উপর নির্ভরশীল হলে যা হওয়ার তাই হয়। থানার মুখপাত্র হিসাবে কাজ করতে হয়। তাহলে পত্রিকার চাকরি ছেড়ে থানার দালাল হয়ে গেলেই তো হয়। এই খুনের জন্য এই পরোক্ষ খুনিদের কোন বিচার হবে না।
আর আমরা। আহ! বারবার যেটা আমি বলে এসেছি, এ বড়ো বিচিত্র দেশ ততোধিক বিচিত্র আমরা। কেউ কি আমাকে দয়া করে বলবেন, এই দেশে কখন সবচেয়ে বেশী ঘুষ চালাচালি হয়, অতি লোভের কারণে গলা কেটে খাবার জিনিসের দাম নেয়া হয়, সীমাহীন দুর্নীতি করা হয়? এই কর্ম সম্পাদিত হয় রমজান মাসে, গোটা রমজান মাসব্যাপি; ঈদকে উপলক্ষ করে [৩]।
এই তাহলে সংযমের নমুনা!
পত্রিকায় ঘুরেফিরে আসছে পুলিশ বলেছে এই কিশোরটিকে মারার জন্য। বাহ, পুলিশ বলে দিল আর এই আমরাই সংযমের মাসে এক কিশোরের উপর ঝাপিয়ে পড়লাম! মানুষ যেমন করে সাপ পিটিয়ে মারে তেমনি পিটিয়ে ছেলেটাকে মেরে ফেললাম। এই আমরাই সমস্তটা দিন উপোস থেকে সিয়াম সাধনা করি, ঠেলেঠুলে মসজিদের সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে পড়ি, লম্বা-লম্বা বাতচিত করি, দেশটা ঠিক চলছে না-বলে বাপান্ত করি, কী-বোর্ডে ঝড় তুলি...।
পুলিশ বলেছে, এ্যাহ! কই, পুলিশ যখন বলে ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে পার না-হয়ে ওভারব্রীজ দিয়ে পার হওয়ার জন্য তখন দেখি আমরা উৎসাহ দেখাই না!
আসলে দেশটা, আমরা এখন একটা গলিত শব...।
সহায়ক সূত্র:
১. আমি আতঙ্কিত...: http://www.ali-mahmed.com/2011/05/blog-post_07.html
২. লিমনের এক পা: http://www.ali-mahmed.com/2011/05/blog-post_22.html
৩. এলিয়েন...: http://www.ali-mahmed.com/2008/10/blog-post.html
No comments:
Post a Comment