এই ভিডিও ক্লিপিংসটা একটা সীমান্তের। বাংলাদেশ ভারত। আখাউড়া-আগরতলা। দু-দেশের পতাকা নামাবার সময় কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। এটা দেখার জন্য দু-দেশের লোকজনরা ভিড় করেন, এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
কাল আমি নিজেও এখানে উপস্থিত ছিলাম। কিছু আনুষ্ঠানিকতার একটা বিরাট অংশ বিউগল বাজানো। এখানে যে বিউগল বাজানো হলো তা বাজিয়েছে ভারতের বিএসএফ। বাংলাদেশের তরফ থেকে কোন বিউগল বাজেনি! কেন?
এর কারণ জানতে চাইলে আমাদের বর্ডার গার্ডের এক সদস্য আমাকে অম্লানবদনে বলেন, একেক সময় একেক পক্ষ বাজায়।
আমি অবাক হয়ে বলি, বুঝলাম না।
উত্তর আসে, ওরা কিছু দিন বাজায়, আমরা কিছু দিন বাজাই।
আমি মনে মনে বলি, দু-জন দুজনার। তবুও আমি নাছোড়বান্দা, আজকে যে বিউগল বাজল এটা কার, আমাদের?
মানুষটা তোতলায়, না-হ, ওদের।
আমি আর কথা বাড়াই না। এই মানুষটা বর্ডার গার্ডের সাধারণ এক সদস্যমাত্র, এর সঙ্গে কথা চালাচালি-কস্তাকস্তি করে লাভ কী!
"আমাদের বিউগল কেন বাজে না" এই নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে [১] খবর ছাপা হলে উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা অন্য আরেক কর্মকর্তার উপর চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন যেন এই দৈনিকের সংবাদদাতাকে ডেকে এনে শাসানো হয়।
অথচ ওই দৈনিকে একরত্তি মিথ্যা লেখা হয়নি। আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি। আমাদের বর্ডার গার্ডের উচিত ছিল যত দ্রুত সম্ভব একটা বিউগলের ব্যবস্থা করা। কেনার টাকা না-থাকলে ভিক্ষা করা। অথচ এই দৈনিকে ওই সংবাদটা ছাপার পর দিনের-পর-দিন চলে গেছে কিন্তু একটা বিউগলের ব্যবস্থা হয়নি। আমি জানি না ক-লাখ টাকা এটার দাম? ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার পর এদের তিলমাত্র লজ্জা তো হয়ই নি বরং কেন এই সংবাদটা ছাপা হলো তা নিয়ে অস্থির হয়ে আছেন। যেচে কেউ নির্লজ্জ হতে চাইলে তাকে আটকায় কে!
নো-ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের পিলারের মধ্যে আমাদের দেশের পিলার দেখলে নগ্নগাত্র পাগলও লজ্জা পাবে। এখানে উভয় দেশের কেবল দুইটা করেই পিলার। আমি এও জানি না কেবল দুইটা পিলারকে চকচকে রাখতে কয় কোটি টাকা খরচ হয়?
কেবল এই না, বিশ-বাইশ হাতের যে রাস্তায় এই আনুষ্ঠানিকতা সারা হয় সেই রাস্তার আমাদের অংশের নমুনা দেখে আমি থ! ভারতের অংশটুকু তকতকে আর বাংলাদেশের অংশটুকু ঝাড়ুর বালাই নেই।
মনটা বিষণ্ন হয় যখন দেখলাম ভারতীয় অংশ ছোট-ছোট বাতি দিয়ে চমৎকার করে সাজিয়েছে। কারণ ভারতের বিএসএফ জানে দু-দেশের প্রচুর লোকজন এখানে আসেন, একটুও এদিক-সেদিক করা যাবে না। পাশাপাশি আমাদের বর্ডার গার্ডের এটা জানার প্রয়োজন নেই এখানে কে এলো, কে গেলো। আমাদের দেশের লোকজনের ভাল লাগা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই কিন্তু আমাদের বর্ডার গার্ডরা কি একবারও এটা ভেবে দেখেছেন পাশের দেশের লোকজনের কাছে আমরা কতটা ছোট হয়ে যাই।
সহায়ক সূত্র:
১. আমাদের বিউগল কেন বাজে না?: http://dailykalerkantho.com/print_news.php?pub_no=628&cat_id=1&menu_id=56&news_type_id=1&news_id=184281
কাল আমি নিজেও এখানে উপস্থিত ছিলাম। কিছু আনুষ্ঠানিকতার একটা বিরাট অংশ বিউগল বাজানো। এখানে যে বিউগল বাজানো হলো তা বাজিয়েছে ভারতের বিএসএফ। বাংলাদেশের তরফ থেকে কোন বিউগল বাজেনি! কেন?
এর কারণ জানতে চাইলে আমাদের বর্ডার গার্ডের এক সদস্য আমাকে অম্লানবদনে বলেন, একেক সময় একেক পক্ষ বাজায়।
আমি অবাক হয়ে বলি, বুঝলাম না।
উত্তর আসে, ওরা কিছু দিন বাজায়, আমরা কিছু দিন বাজাই।
আমি মনে মনে বলি, দু-জন দুজনার। তবুও আমি নাছোড়বান্দা, আজকে যে বিউগল বাজল এটা কার, আমাদের?
মানুষটা তোতলায়, না-হ, ওদের।
আমি আর কথা বাড়াই না। এই মানুষটা বর্ডার গার্ডের সাধারণ এক সদস্যমাত্র, এর সঙ্গে কথা চালাচালি-কস্তাকস্তি করে লাভ কী!
"আমাদের বিউগল কেন বাজে না" এই নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে [১] খবর ছাপা হলে উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা অন্য আরেক কর্মকর্তার উপর চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন যেন এই দৈনিকের সংবাদদাতাকে ডেকে এনে শাসানো হয়।
অথচ ওই দৈনিকে একরত্তি মিথ্যা লেখা হয়নি। আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি। আমাদের বর্ডার গার্ডের উচিত ছিল যত দ্রুত সম্ভব একটা বিউগলের ব্যবস্থা করা। কেনার টাকা না-থাকলে ভিক্ষা করা। অথচ এই দৈনিকে ওই সংবাদটা ছাপার পর দিনের-পর-দিন চলে গেছে কিন্তু একটা বিউগলের ব্যবস্থা হয়নি। আমি জানি না ক-লাখ টাকা এটার দাম? ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার পর এদের তিলমাত্র লজ্জা তো হয়ই নি বরং কেন এই সংবাদটা ছাপা হলো তা নিয়ে অস্থির হয়ে আছেন। যেচে কেউ নির্লজ্জ হতে চাইলে তাকে আটকায় কে!
নো-ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের পিলারের মধ্যে আমাদের দেশের পিলার দেখলে নগ্নগাত্র পাগলও লজ্জা পাবে। এখানে উভয় দেশের কেবল দুইটা করেই পিলার। আমি এও জানি না কেবল দুইটা পিলারকে চকচকে রাখতে কয় কোটি টাকা খরচ হয়?
কেবল এই না, বিশ-বাইশ হাতের যে রাস্তায় এই আনুষ্ঠানিকতা সারা হয় সেই রাস্তার আমাদের অংশের নমুনা দেখে আমি থ! ভারতের অংশটুকু তকতকে আর বাংলাদেশের অংশটুকু ঝাড়ুর বালাই নেই।
মনটা বিষণ্ন হয় যখন দেখলাম ভারতীয় অংশ ছোট-ছোট বাতি দিয়ে চমৎকার করে সাজিয়েছে। কারণ ভারতের বিএসএফ জানে দু-দেশের প্রচুর লোকজন এখানে আসেন, একটুও এদিক-সেদিক করা যাবে না। পাশাপাশি আমাদের বর্ডার গার্ডের এটা জানার প্রয়োজন নেই এখানে কে এলো, কে গেলো। আমাদের দেশের লোকজনের ভাল লাগা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই কিন্তু আমাদের বর্ডার গার্ডরা কি একবারও এটা ভেবে দেখেছেন পাশের দেশের লোকজনের কাছে আমরা কতটা ছোট হয়ে যাই।
নাকি মোটা কাপড়ে লজ্জাস্থান ঢেকে আমরা মাথা ঝাঁকিয়ে এটাই ভাবব, আমাদের দেশ আয়তনে ছোট, ভাবনায়-আচরণে মানুষগুলোও আমরা ছোট-ছোট!
সহায়ক সূত্র:
১. আমাদের বিউগল কেন বাজে না?: http://dailykalerkantho.com/print_news.php?pub_no=628&cat_id=1&menu_id=56&news_type_id=1&news_id=184281
1 comment:
godam
Post a Comment