Friday, December 30, 2011

বার্তাকু ওরফে বেগুন!

­'নষ্ট শিক্ষক নষ্ট লেখক' [১] নামে একটা লেখা আছে আমার। ইমদাদুল হকের একটা লেখা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে লেখাটা লিখেছিলাম। মিলনদের মত এই সব লেখকরা সম্ভবত এটা বিস্মৃত হয়ে যান, যে তিনি চটি লেখক না, একটা জাতীয় দৈনিকে মন্তব্য প্রতিবেদন লিখছেন। আবার ওই দৈনিকের সম্পাদকের দন্ডটাও যে ওঁর হাতেই! এও বিস্মৃত হন, আমরা পাঠকেরা ফ্লাওয়ার-ভাসে মস্তিষ্ক জমা রেখে এঁদের লেখা পড়তে বসি না! এই সব মানুষদের প্রতি আমার করুণা হয় যারা পাঠককে

Wednesday, December 28, 2011

হাসপাতাল পর্ব, এগারো: ' পেপার-বিছানা '

­আমি মানুষটা ছোট কিন্তু আমার স্বপ্নগুলো বড়ো বড়ো। স্বপ্ন আকাশসম হবেই না কেন? এই বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে, স্বপ্নেই যখন খাব তখন ডাল-ভাত খাব কেন, তিমি মাছের ঝোলই খাই!
সাধ্য থাকলে, সম্ভব হলে কমলাপুর স্টেশনের ধারে-কাছে কোথাও একটা ডর্ম টাইপের খুলতাম। যেখানে বিনামূল্যে লোকজনেরা নিশিযাপন করতে পারতেন। সবাই কিন্তু না। কেবল যারা দূরদূরান্তর থেকে ঢাকায় এসেছেন চাকুরির ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য। যারা অসামর্থ্য, যে দুয়েক দিন ঢাকায় থাকবেন তাঁরাই কেবল

Monday, December 26, 2011

হাসপাতাল পর্ব, দশ: হাসপাতাল মহাপরিচালক, যথাযথ সম্মানপূর্বক

আমি বারবার যেটা বলে আসছি, 'ন্যাশনাল' এই হাসপাতালে কি কি সুবিধা আছে এটা না-বলে জিজ্ঞেস করা প্রয়োজন কী নেই? অত্যাধুনিক একটা হাসপাতালের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা এখানে আছে। কিন্তু...।
আফসোস, নেই কেবল দেখভাল করার লোকজন। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই। স্ট্রেচার আছে কিন্তু এই স্ট্রেচারের নমুনা দেখলে মনে হয় এই হাসপাতালের পরিচালকের বাপ-দাদা যখন এই হাসপাতাল চালাতেন তখন থেকে এখন পর্যন্ত এর কোনো যত্ম নেয়া হয়নি! অথচ এই স্ট্রেচারগুলোর মোটা চটের কাপড় পাল্টাতে বা রঙ করতে ক-টাকা লাগে?

Friday, December 23, 2011

তিতাস একটি ...এর নাম

শিরোনামটা আমি দিতে চেয়েছিলাম, 'তিতাস এক ধর্ষিতার নাম'। রগরগে একটা শব্দ বেছে নিয়েছি বলে কেউ কেউ কটাক্ষ করবেন কেবল এই কারণে শিরোনামটা দিলাম না, এমনটা না। কারও ভাবাভাবিতে আমার বয়েই গেছে!
কিছু কিছু শব্দ আমি এড়িয়ে চলি যেমন ধর্ষণ, ধর্ষিতা। বহুলব্যবহৃত এই শব্দটা ব্যবহারে আমার বিশেষ উৎসাহ নাই। কারণ আমি বিলক্ষণ জানি, অন্য রকম করে লিখলেও একজন প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের এটা বুঝতে বাকী থাকে না। তাছাড়া আমি সৈয়দ হক,

Monday, December 12, 2011

হাসপাতাল পর্ব, নয়: দৈন্যতা

পরের দিন সকালে যে নার্স এসেছেন তিনি মা-মা টাইপের! অসম্ভব মায়া মানুষটার মনে। এই হাসপাতালে আমি কিছু-কিছু মানুষ পেয়েছি যাদের দেখে আমার বুকের গভীর থেকে যে অনুভূতিটা বেরিয়ে আসত, এঁরা এতো ভাল কেন! কোন কারণে আজ পোস্ট অপারেটিভের অন্য রোগিরা অন্যত্র চলে গেছেন। আছেন কেবল আমার মা।
নার্স ভদ্রমহিলা লজ্জিত গলায় বললেন, অটিতে কেউ নেই আমাকে একটু যেতে হবে। আপনি কি আপনার মার কাছে একটু থাকতে পারবেন?
আমি মনের আনন্দ গোপন করে বললাম, কোনো সমস্যা নাই। আহা, কী মজা, কেবল আমরা আমরাই।

বাইরে ঝকঝকে রোদ।

Saturday, December 10, 2011

হাসপাতাল পর্ব, আট: মাখন

আমার মাকে অপারেশনের পর পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এনেসথেসিয়ার প্রভাবে তাঁর দীর্ঘ সময় ঘোরে থাকার কথা। কিন্তু আধ-ঘন্টার মধ্যেই তিনি তীব্র ছটফট শুরু করলেন। এতোটাই তীব্র যে অক্সিজেন মাস্ক, অসংখ্য নল সব খুলে ফেলে দেন, এমন।
আমার ধারণা ভুলও হতে পারে। এনেসথেটিস্ট ভদ্রলোক সম্ভবত বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাননি, তাছাড়া ঝাড়া চার ঘন্টা অপারেশন চলেছে, অনেকটা সময় এখানেই চলে গেছে।

আমার বোন প্রাণপণ শক্তিতেও ধরে রাখতে পারছে না।

Tuesday, December 6, 2011

হাসপাতাল পর্ব, সাত: সম্ভাব্য খুনি!

অপারেশন সফল হয়েছে। যে রোগীর ওটিতেই মৃত্যুবরণ করার কথা সেই রোগী ফিরে এসেছে বেঁচেবর্তে এর চেয়ে মিরাকল, আনন্দের আর কী হতে পারে। আমাদের সবার চোখেই বিস্ময় থইথই করছিল।

কিন্তু, একটা কিন্তু আমাকে ভাবাচ্ছিল। একটা টিউমার...!

Monday, December 5, 2011

হাসপাতাল পর্ব, ছয়: রক্তের দাগ

জরুরি একটা বিষয় ভুলে গেছি। অপারেশনের জন্য রক্ত প্রয়োজন। আমার মার রক্তের গ্রুপ হচ্ছে 'বি পজেটিভ'।
আমি দিতে পারব না কারণ আমার 'এবি পজেটিভ।' বাঁচোয়া, আমার বোনের 'বি পজেটিভ'। কিন্তু আরও রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। আবার কোথায় কোথায় গিয়ে রক্ত খুঁজব। এখানেও মিরাকল। সিনেমার মত অনেকটা। সাদিক বাংলায় যা বলল বলিউডের ভাষায় অনুবাদ করলে দাঁড়াবে,

Saturday, December 3, 2011

হাসপাতাল পর্ব, পাঁচ: অপেক্ষা!

আমার বড় ঘুম পাচ্ছিল। তীব্র দুশ্চিন্তা এখন আর তেমন কাবু করতে পারছে না। এদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে আমি হাত-পা ঝাড়া!
ঈদের ছুটি তখনও শেষ হয়নি। ঢাকার রাস্তা-ঘাট ফাঁকা-ফাঁকা। কুৎসিত ঢাকার মধ্যে এখন একটা আদর্শ শহর-শহর ভাব চলে এসেছে। একটা শহরেরও হয়তো আনন্দিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে- অনুমান করতে দোষ কোথায় ঢাকা এখন সুতীব্র আনন্দে ভাসছে। এ সত্য, ঢাকা শহর বুঝে গেছে এ ক্ষণিকের আনন্দ, তার সন্তানেরা তাকে আনন্দে থাকতে দেবে না। আবারও যেই কে সেই- স্বভাব যায় না মলে ইল্লত যায় না ধুলে।

ন্যাশনাল হাসপাতালে যখন পৌঁছলাম

Thursday, December 1, 2011

হাসপাতাল পর্ব, চার: ভারহীন

আমি সাদিকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, সাদিক মোঃ আলম। আমি ঢাকা এসেছি এটা কাউকে জানাইনি, জানিয়েছিলাম কেবল সাদিককে। কারণ সাদিকের সঙ্গে আমার জরুরি প্রয়োজন ছিল। আমি সাদিকের কাছে কিছু টাকা পাই। এটা ঈদের পর আমাকে পাঠিয়ে দেয়ার কথা কিন্তু এটা এখন আমার জরুরি ভিক্তিতে প্রয়োজন, এখানেই, চিকিৎসার জন্য।

সাদিকের কাছে টাকা পাওয়ার গল্পটা বলি।