তিতাস নিয়ে শেষ লেখাটায় বলেছিলাম, অচিরেই এই রাস্তা-বাঁধটা অপসারণ করা হবে [১]। এখন বলা যেতে পারে অতি দ্রুতই এই কাজটা এরা শুরু করেছিলেন। ধন্যবাদার্হ!
আমাদের প্রিন্ট মিডিয়ার অনেক 'নখরামি'। এমনিতে নখরায়ুধদের নখ দেখা যায় বটে কিন্তু মিডিয়ার নখ থাকে অপ্রকাশ্যে! এদের কর্মকান্ড বোঝা ভার।
আর এরা কখন কোন প্রতিবেদন ছাপাবেন তা নির্দিষ্ট করা আছে। যেমন ধরা যাক, মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন। ডিসেম্বর, মার্চ না-এলে এরা কলমই স্পর্শ করবেন না। দশ মাস কলম চিবুতে চিবুতে ইকড়ি-মিকড়ি খেলা খেলবেন। এরপর...এরপর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে অন্তর্বাস ভিজিয়ে ফেলবেন। সেই অন্তর্বাস রোদে মেলে দিয়ে রোদ পোহাবেন।
তাছাড়া কোন প্রতিবেদন ছাপা হবে কোনটা হবে না এরও অনেক আঁক-হিসাব আছে। আবার কারা কারা কাছা খুলে বিজ্ঞাপন দেন তাদের সঙ্গে গভীর অন্তরঙ্গতার বিষয়টাও জড়াজড়ি করে থাকে। এই ধর্মবাপরা অন্যায় করে থাকলেও সূক্ষ চালে তা কেমন করে পাল্টে যায় তা আমার মত নির্বোধ পাঠকের পক্ষে ধরা বড়ো মুশকিল।
এরা শ্যেনদৃষ্টিতে এ-ও লক্ষ রাখেন পাবলিককে কি খাওয়ানো যায়। আমাদের দেশের সমস্ত প্রিন্ট মিডিয়া যদি এক জোট হয়ে সিদ্ধান্ত নেন আগামীকাল গোটা দেশকে ইয়ে খাওয়াবেন, গোটা দেশ তাই খাবে। ছাপার অক্ষর বলে কথা!
কখনও কখনও এরা এ-ও লক্ষ রাখেন পাবলিক কি খেতে চাচ্ছে কিন্তু খাওয়ার পর বদহজম হলে সেই বিষয়ে খুব একটা গা করেন না! বদহজম বলতে আমি বলতে চাচ্ছি, ফলোআপের বিষয়টা। আমাদের দেশে ফলোআপের খুব একটা চল নাই, অধুনা কেউ কেউ চেষ্টা করেন তাও দায়সারাগোছের। ভাবখানা এমন, আমার কী দায় পড়েছে...।
যথারীতি তিতাস নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি! এদিক দিয়ে ব্যতিক্রম প্রথম আলো। বিলম্বে হলেও এরা একের পর এক প্রতিবেদন ছাপিয়ে গেছেন। প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানাতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। এই মুগ্ধতা কেন খুলে বলি। বিষয়টা নিয়ে আজ এরা ফলোআপ প্রতিবেদন ছাপিয়েছেন। যেমন আজকের পত্রিকায় প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে, 'এক দিনের ব্যবধান' [২]। এখান থেকে আমরা জানতে পারছি, মঙ্গলবারে (১০ জানুয়ারি, ২০১২) খননযন্ত্রের সাহায্যে ঘটা করে খননকাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু মাত্র এক দিনের ব্যবধানে, বুধবারেই এই খননকাজ স্থবির হয়ে পড়ে। খননযন্ত্র ঘটনাস্থল থেকে উধাও, এটা পাওয়া গেল মাইলখানেক দূরে! মাত্র তিনজন শ্রমিক হাতযন্ত্র দিয়ে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করছিলেন।
এই খবরটাই ছাপা হয়েছে অসম্ভব গুরুত্ব দিয়ে, প্রথম পৃষ্ঠায়!
আজ বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টায় আমি দেখেছি, প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করার জন্য বিপুল তোড়জোড়, পূর্ণদমে কাজ চলছে। আমি যখন ছবি ওঠাচ্ছি তখনও কুয়াশা পুরোপুরি কাটেনি:
কোনো কারণে গতকালকে কাজ প্রায় বন্ধ ছিল যেটা নিয়ে প্রথম আলো দুর্দান্ত প্রতিবেদন করেছে। আর আমি এটাও মনে করি না, আজকে পত্রিকা দেখে এরা প্রতিবন্ধকতা অপসারণে ঝাপিয়ে পড়েছেন। কারণ কার এমন দায় পড়েছে সকালে পত্রিকা দেখে মাইলখানেক দূরে ভারী খননযন্ত্র এখানে ঝড়ের গতিতে উড়িয়ে নিয়ে আসবে। মাটি সরাবার জন্য ট্রাক্টর, বিপুল লোকলস্কর জড়ো করবে। সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে, ইতিমধ্যে কাজ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। আর খানিকটা মাটি কাটলেই দুপাশেই পানি মিশে যাবে।
যাই হোক, সব মিলিয়ে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদন এবং পূর্বের সমস্ত প্রতিবেদনের জন্য হাত লম্বা করে প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানাই।
অবশ্য এখন যে অবস্থা কাজ না-এগুলেও তিতাস নামের অসম্ভব ছটফটে মেয়েটি ঠিকই ছুটে বেড়াবে। কেউ তাকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
সহায়ক সূত্র:
১. তিতাস: ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছে: http://www.ali-mahmed.com/2012/01/blog-post_07.html
২. এক দিনের ব্যবধান: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2012-01-12
আমাদের প্রিন্ট মিডিয়ার অনেক 'নখরামি'। এমনিতে নখরায়ুধদের নখ দেখা যায় বটে কিন্তু মিডিয়ার নখ থাকে অপ্রকাশ্যে! এদের কর্মকান্ড বোঝা ভার।
আর এরা কখন কোন প্রতিবেদন ছাপাবেন তা নির্দিষ্ট করা আছে। যেমন ধরা যাক, মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন। ডিসেম্বর, মার্চ না-এলে এরা কলমই স্পর্শ করবেন না। দশ মাস কলম চিবুতে চিবুতে ইকড়ি-মিকড়ি খেলা খেলবেন। এরপর...এরপর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে অন্তর্বাস ভিজিয়ে ফেলবেন। সেই অন্তর্বাস রোদে মেলে দিয়ে রোদ পোহাবেন।
তাছাড়া কোন প্রতিবেদন ছাপা হবে কোনটা হবে না এরও অনেক আঁক-হিসাব আছে। আবার কারা কারা কাছা খুলে বিজ্ঞাপন দেন তাদের সঙ্গে গভীর অন্তরঙ্গতার বিষয়টাও জড়াজড়ি করে থাকে। এই ধর্মবাপরা অন্যায় করে থাকলেও সূক্ষ চালে তা কেমন করে পাল্টে যায় তা আমার মত নির্বোধ পাঠকের পক্ষে ধরা বড়ো মুশকিল।
এরা শ্যেনদৃষ্টিতে এ-ও লক্ষ রাখেন পাবলিককে কি খাওয়ানো যায়। আমাদের দেশের সমস্ত প্রিন্ট মিডিয়া যদি এক জোট হয়ে সিদ্ধান্ত নেন আগামীকাল গোটা দেশকে ইয়ে খাওয়াবেন, গোটা দেশ তাই খাবে। ছাপার অক্ষর বলে কথা!
কখনও কখনও এরা এ-ও লক্ষ রাখেন পাবলিক কি খেতে চাচ্ছে কিন্তু খাওয়ার পর বদহজম হলে সেই বিষয়ে খুব একটা গা করেন না! বদহজম বলতে আমি বলতে চাচ্ছি, ফলোআপের বিষয়টা। আমাদের দেশে ফলোআপের খুব একটা চল নাই, অধুনা কেউ কেউ চেষ্টা করেন তাও দায়সারাগোছের। ভাবখানা এমন, আমার কী দায় পড়েছে...।
যথারীতি তিতাস নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি! এদিক দিয়ে ব্যতিক্রম প্রথম আলো। বিলম্বে হলেও এরা একের পর এক প্রতিবেদন ছাপিয়ে গেছেন। প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানাতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। এই মুগ্ধতা কেন খুলে বলি। বিষয়টা নিয়ে আজ এরা ফলোআপ প্রতিবেদন ছাপিয়েছেন। যেমন আজকের পত্রিকায় প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে, 'এক দিনের ব্যবধান' [২]। এখান থেকে আমরা জানতে পারছি, মঙ্গলবারে (১০ জানুয়ারি, ২০১২) খননযন্ত্রের সাহায্যে ঘটা করে খননকাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু মাত্র এক দিনের ব্যবধানে, বুধবারেই এই খননকাজ স্থবির হয়ে পড়ে। খননযন্ত্র ঘটনাস্থল থেকে উধাও, এটা পাওয়া গেল মাইলখানেক দূরে! মাত্র তিনজন শ্রমিক হাতযন্ত্র দিয়ে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করছিলেন।
এই খবরটাই ছাপা হয়েছে অসম্ভব গুরুত্ব দিয়ে, প্রথম পৃষ্ঠায়!
আজ বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টায় আমি দেখেছি, প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করার জন্য বিপুল তোড়জোড়, পূর্ণদমে কাজ চলছে। আমি যখন ছবি ওঠাচ্ছি তখনও কুয়াশা পুরোপুরি কাটেনি:
কোনো কারণে গতকালকে কাজ প্রায় বন্ধ ছিল যেটা নিয়ে প্রথম আলো দুর্দান্ত প্রতিবেদন করেছে। আর আমি এটাও মনে করি না, আজকে পত্রিকা দেখে এরা প্রতিবন্ধকতা অপসারণে ঝাপিয়ে পড়েছেন। কারণ কার এমন দায় পড়েছে সকালে পত্রিকা দেখে মাইলখানেক দূরে ভারী খননযন্ত্র এখানে ঝড়ের গতিতে উড়িয়ে নিয়ে আসবে। মাটি সরাবার জন্য ট্রাক্টর, বিপুল লোকলস্কর জড়ো করবে। সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে, ইতিমধ্যে কাজ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। আর খানিকটা মাটি কাটলেই দুপাশেই পানি মিশে যাবে।
যাই হোক, সব মিলিয়ে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদন এবং পূর্বের সমস্ত প্রতিবেদনের জন্য হাত লম্বা করে প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানাই।
অবশ্য এখন যে অবস্থা কাজ না-এগুলেও তিতাস নামের অসম্ভব ছটফটে মেয়েটি ঠিকই ছুটে বেড়াবে। কেউ তাকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
সহায়ক সূত্র:
১. তিতাস: ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছে: http://www.ali-mahmed.com/2012/01/blog-post_07.html
২. এক দিনের ব্যবধান: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2012-01-12
4 comments:
I heard that Shafik Rehman covered the issue first and made couple of episode in his magazine Lal Golap (Not sure about the authenticity, though).
Thank you too for writing against this heinous act.
We can be divided in many opinions but must be united for the national issue.
"I heard that Shafik Rehman covered the issue first and made couple of episode in his magazine Lal Golap"
হতে পারে।
আমার জানামতে, শফিক রেহমান এখানে এসেছিলেন এবং মাহমুদুর রহমানও। কিন্তু তা@দের উদ্দেশ্য ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক তাই বিষয়টা আমাকে তেমন ভাবায়নি। তদুপরি আমি মনে করি, এঁদের প্রাপ্যটা এঁদেরকে দেয়াটাই সমীচীন।
দেখি সময় করে এই পোস্টে আরও কিছু তথ্য যোগ করব।
আপনাকেও ধন্যবাদ। @Anonymous
আলী ভাই, আপনি এই নিউজটা দেখেছেন কিনা জানিনা৷ মনে হল, আপনার দেখা উচিত৷
হাইকোর্টের রুল: তিতাস নদীতে বাঁধ নির্মাণ কেন অবৈধ নয় http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-23/news/218728
হুঁ, অসাধারণ একটা কাজ হয়েছে...। মাহমুদুর রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। @Anonymous
Post a Comment