আদালত অবমাননার কারণে রুহূল আমিন নামের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত এ তো আমরা সবাই জানি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুকামনা করে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তার এই কর্মকান্ড কতটা যুক্তিসঙ্গত আজকের লেখার বিষয়বস্তু এটা না। কলম এবং ছুঁরি মধ্যে মূলত খুব একটা পার্থক্য নাই। ছুঁরি দিয়ে কে আপেল কেটে খাবে কে চোখ উপড়ে ফেলবে, নির্ভর করবে কার হাতে ছুঁরিটা। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ...।
পত্র-পত্রিকা থেকে আমরা জানতে পাই, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক
২০০৯ সাল থেকে বিনা বেতনে ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। তাকে যে সমন জারী করা হয়েছিল তা নাকি নিয়ম মেনেই জারী করা হয়েছে। অষ্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়েছে এবং তিনি গ্রহনও করেছেন।
আমি খুব বড়ো ধরনের একটা ভুল করছিলাম। ভাগ্যিস, লেখাটা যখন লিখছি তখন একজন প্রবাসীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি আমার এই ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন। মানুষটার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভুল করার কারণটা বলি, আমার কল্পনাতেও এটা ছিল না যে এমন দ্রুততার সঙ্গে প্রবাসে সমন পাঠিয়ে সমন জারী করা যায়! এ হয়তো আমার অজ্ঞতা। কিন্তু আমি দেখেছি, দু বছরেও একটা সমন জারী করা যায় না। দেশের ভেতরেই দু-বছরেও একটি বহুজাতিক কোম্পানিকে সমন জারী না-করার কারণে শত-শত মানুষের ভাগ্য জড়িত এমন একটি মামলা মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে [১]।
জানি-জানি, অনেকে বলবেন, মিয়া, কোথায় প্রধানমন্ত্রী আর কোথায় তেলিবেলি। এ যুক্তি ধোপে টেকে না কারণ আইন সবার জন্য সমান তাছাড়া মামলাটা তো আর প্রধানমন্ত্রী করেননি!
মামলাই চলবেই না যদি সমন জারী না হয়। সমন জারী হওয়া মামলার অন্যতম শর্ত। ঈশ্বর বেচারা বেঁচে গেলেন কেবল সমন জারী না করতে পারার কারণে। ঈশ্বরের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। রুমানিয়ার এক আদালতে। মামলাটা করেছিলেন পাভেল মির্চা নামের এক ভদ্রলোক। কিন্তু ঈশ্বরের কোনো আবাসিক ঠিকানা নাই বিধায় সমন জারী করা যায়নি। তো, মামলা ডিসমিস [২]।
যাই হোক, ওই শিক্ষক আদালতে এসে হাজির হননি এবং আদালত তাকে ছয় মাস কারাদন্ড দিয়েছেন। লঘু দন্ড দেয়ার উদাহরণও আছে। আমরা এমনটাও দেখেছি, বিচারকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর একজন আইনজীবীকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল দন্ডবিধির ২২৮ ধারায়।
এ সত্য, আদালদের সমন পেয়ে হাজির না-হওয়াটা আদালতের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ। এটা চলতে দেয়া যায় না। একমত কিন্তু রুহূল আমিনই কি একমাত্র ব্যক্তি যিনি আদালতের নির্দেশ মেনে হাজির হননি?
সাব্বির হত্যা মামলার প্রধান আসামী আকবর সোবহানের পুত্র সানবীর মামলার শুরু থেকে কেবল পলাতকই ছিলেন না তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্টও জারী করা হয়েছিল। লুৎফুজ্জামান বাবরকে ২১ কোটি টাকাও দেয়া হয়েছিল, বাবর ওখান থেকে ২০ কোটি টাকা ফেরতও দিয়েছিলেন। তার পিতা আকবর সোবহানের বিরুদ্ধে এই নিয়ে দুদকের করা মামলা এখনও চলমান।
সানবীরসহ এই মামলায় সবাই খালাস। হতে পারে, সাব্বির হয়তো নিজেই নিজেকে খুন করেছেন কিন্তু এই মামলায় সানবীর কখনই আদালতে হাজির হননি। এটা কি আদালতের প্রতি অবজ্ঞা না?
যাই হোক, এই সব আদালতের বিষয়। এই বিষয়ে আমার বক্তব্য নাই। আমি কেবল এতেই আনন্দিত এখন থেকে আদালতের কাজে গতি সঞ্চার হচ্ছে। দ্রুতগতিতে সমন জারি হবে সেটা দেশে হোক বা পৃথিবীর অন্য প্রান্তে। অপরাধি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক তাকে এনে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে, শাস্তি দেয়া হবে...।
সহায়ক সূত্র:
১. সমন...: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_12.html
২. ঈশ্বরের বিরুদ্ধে মামলা: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_17.html
পত্র-পত্রিকা থেকে আমরা জানতে পাই, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক
২০০৯ সাল থেকে বিনা বেতনে ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। তাকে যে সমন জারী করা হয়েছিল তা নাকি নিয়ম মেনেই জারী করা হয়েছে। অষ্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়েছে এবং তিনি গ্রহনও করেছেন।
আমি খুব বড়ো ধরনের একটা ভুল করছিলাম। ভাগ্যিস, লেখাটা যখন লিখছি তখন একজন প্রবাসীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি আমার এই ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন। মানুষটার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভুল করার কারণটা বলি, আমার কল্পনাতেও এটা ছিল না যে এমন দ্রুততার সঙ্গে প্রবাসে সমন পাঠিয়ে সমন জারী করা যায়! এ হয়তো আমার অজ্ঞতা। কিন্তু আমি দেখেছি, দু বছরেও একটা সমন জারী করা যায় না। দেশের ভেতরেই দু-বছরেও একটি বহুজাতিক কোম্পানিকে সমন জারী না-করার কারণে শত-শত মানুষের ভাগ্য জড়িত এমন একটি মামলা মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে [১]।
জানি-জানি, অনেকে বলবেন, মিয়া, কোথায় প্রধানমন্ত্রী আর কোথায় তেলিবেলি। এ যুক্তি ধোপে টেকে না কারণ আইন সবার জন্য সমান তাছাড়া মামলাটা তো আর প্রধানমন্ত্রী করেননি!
মামলাই চলবেই না যদি সমন জারী না হয়। সমন জারী হওয়া মামলার অন্যতম শর্ত। ঈশ্বর বেচারা বেঁচে গেলেন কেবল সমন জারী না করতে পারার কারণে। ঈশ্বরের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। রুমানিয়ার এক আদালতে। মামলাটা করেছিলেন পাভেল মির্চা নামের এক ভদ্রলোক। কিন্তু ঈশ্বরের কোনো আবাসিক ঠিকানা নাই বিধায় সমন জারী করা যায়নি। তো, মামলা ডিসমিস [২]।
যাই হোক, ওই শিক্ষক আদালতে এসে হাজির হননি এবং আদালত তাকে ছয় মাস কারাদন্ড দিয়েছেন। লঘু দন্ড দেয়ার উদাহরণও আছে। আমরা এমনটাও দেখেছি, বিচারকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর একজন আইনজীবীকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল দন্ডবিধির ২২৮ ধারায়।
এ সত্য, আদালদের সমন পেয়ে হাজির না-হওয়াটা আদালতের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ। এটা চলতে দেয়া যায় না। একমত কিন্তু রুহূল আমিনই কি একমাত্র ব্যক্তি যিনি আদালতের নির্দেশ মেনে হাজির হননি?
সাব্বির হত্যা মামলার প্রধান আসামী আকবর সোবহানের পুত্র সানবীর মামলার শুরু থেকে কেবল পলাতকই ছিলেন না তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্টও জারী করা হয়েছিল। লুৎফুজ্জামান বাবরকে ২১ কোটি টাকাও দেয়া হয়েছিল, বাবর ওখান থেকে ২০ কোটি টাকা ফেরতও দিয়েছিলেন। তার পিতা আকবর সোবহানের বিরুদ্ধে এই নিয়ে দুদকের করা মামলা এখনও চলমান।
সানবীরসহ এই মামলায় সবাই খালাস। হতে পারে, সাব্বির হয়তো নিজেই নিজেকে খুন করেছেন কিন্তু এই মামলায় সানবীর কখনই আদালতে হাজির হননি। এটা কি আদালতের প্রতি অবজ্ঞা না?
যাই হোক, এই সব আদালতের বিষয়। এই বিষয়ে আমার বক্তব্য নাই। আমি কেবল এতেই আনন্দিত এখন থেকে আদালতের কাজে গতি সঞ্চার হচ্ছে। দ্রুতগতিতে সমন জারি হবে সেটা দেশে হোক বা পৃথিবীর অন্য প্রান্তে। অপরাধি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক তাকে এনে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে, শাস্তি দেয়া হবে...।
সহায়ক সূত্র:
১. সমন...: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_12.html
২. ঈশ্বরের বিরুদ্ধে মামলা: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_17.html
No comments:
Post a Comment