Search

Saturday, February 25, 2012

কাবাব মে হাড্ডি

গোটা শিরোনাম দূরের কথা পারতপক্ষে হিন্দি শব্দ নিয়ে একটি শব্দও এখন আর লিখতে চাই না কারণ এখন দাদাদের উপর গোটা দেশ ক্ষেপে আছে। লেখার কারণে আমার উপর কেউ চটে গেলে তো মুশকিল। অবশ্য চটে-মটে কেউ একটা দুম করে ঘুষি বসিয়ে দেবেন এই নিয়ে আমি খুব একটা উদ্বিগ্ন না কারণ পাঠক আমার নাগাল পাবেন কোথায়? আমার নাকের বদলে পাঠক রাগে নিজেই নিজের মনিটর নিজেই গুড়িয়ে দিলে আমি বলার কে?
অবশ্য আমি নিজেও এটা মনে করি,

Tuesday, February 21, 2012

আ মরি বাংলা ভাষা!

­আগে এক লেখায় লিখেছিলাম, "ফেব্রুয়ারি মাসটা আমাদের জন্য বড়ো জরুরি কারণ এই মাস এলেই আমরা ভাষার জন্য ঝাপিয়ে পড়ি, চোখের জল ফেলার সুযোগ পাই। বিস্তর কান্নাকাটি করি। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা তো কাঁদতে কাঁদতে অন্তর্বাস ভিজিয়ে ফেলেন! ফেব্রুয়ারি যাওয়ামাত্র যথারীতি আমরা সমস্ত কিছুই বিস্মৃত হই"! ...[১]

হে যুবক, হে নীরোগ, এভাবে চলে যেতে হয় না

­বাচ্চাদের জন্য 'মশা' নিয়ে কিছু লেখা লিখেছিলাম, কিটি মাস্ট ডাই: এক[১], কিটি মাস্ট ডাই: দুই[২]। বাচ্চাদের বইয়ে নাকি ছবি-টবি আঁকার কিছু বিষয় থাকে। নেশাখোর আর্টিস্ট ভেগে যাওয়ায় প্রকাশক ভাইয়ার সেই পরিকল্পনা ডোবায় তলিয়ে যায়। পরে আমিও বুদ্ধি করে এই লেখাগুলোই বড়দের বইয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম।

Wednesday, February 15, 2012

একজন সাগর এবং নড়বড়ে সাঁকোটা

ছবি ঋণ: আরাফাতুল্ ইসলাম
সাগর সরওয়ারের সঙ্গে তেমন স্মৃতি নাই আমার। আমার সঙ্গে একবারই দেখা হয়েছিল। ডয়চে ভেলের অফিসে। জার্মানিতে আমার সময়টা ছিল স্বল্প আর আমি ছিলাম দৌড়ের উপর। উল্লেখ করার মত স্মৃতি থাকার কথা না কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার স্মৃতি এখনও দগদগে কারণ...।

Sunday, February 12, 2012

কৈশোর!

­আহ কৈশোর! হারিয়ে যাওয়া কৈশোর? কি জানি! আমি তো বলি, কৈশোর ফিরে আসে বারবার। সম্ভবত কৈশোরের স্মৃতিই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে...।

আজকের অতিথি বিশ্বজিত পাল বাবু। তিনি লিখেছেন অন্য রকম এক কলম দিয়ে- 'ক্যামেরাকলম'। এ কলমে কালি বের হয় না এ সত্য, অবশ্য আজকাল আর কলমে কালি কোথায়! কীবোর্ড চেপে আর যাই হোক কালি বেরুবার যো নেই।
যাই হোক, কখনও-কখনও একটি ছবি যে হাজার-হাজার শব্দের চেয়ে শক্তিশালি তা আবারও জানলাম। ছবিগুলোয় বিশ্বজিত পাল বাবু খানিকটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন:

Friday, February 10, 2012

বাংলা ভাষার লড়াইয়ে উর্দুভাষী একজন তাজুল!

আজকের অতিথি লেখক, সমীর চক্রবর্তী। তিনি লিখেছেন অসাধারণ একজন মানুষকে নিয়ে। যে মানুষটা বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তিনি উর্দুভাষী একজন মানুষ তাজুল ইসলাম!

সমীর চক্রবর্তী জানাচ্ছেন:
"ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি আসার পর থেকেই খুব করে চাচ্ছিলাম এ নিয়ে বিশেষ কোনো প্রতিবেদন করতে। কিন্তু গতানুগতিকের বাইরে কোনো বিষয় পাচ্ছিলাম না।

Friday, February 3, 2012

হাসপাতাল পর্ব, তেরো: মানবিকতা

আমি আগের এক লেখায় লিখেছিলাম, পেপার বিছানার কথা [১]। রাতে পেপার বিছিয়ে আরামে ঘুমিয়ে পড়তাম। প্রথম দিনই একটা ভজকট হয়ে গেল। সেলফোনে সকাল সাতটায় এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। সম্ভবত সাড়ে ছটা পৌনে সাতটা হবে, ঘুমের মধ্যে শুনছিলাম কে যেন বাঁজখাই গলায় চেঁচাচ্ছে, এই-এই, এইডা কেডারে, কেডা? ওই, ওই-ই ওইত...।
আমি চোখের সিকিভাগ খুলে ঘটনাটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। এরইমধ্যে একজন আমার কপালে ধাক্কা মেরে বলছে, উঠেন-উঠেন।

আমি উঠে বসে

Wednesday, February 1, 2012

নাচপুতুল-পুতুলনাচ

­

বন্ধুর জন্য এলিজি

­আমার এই বন্ধুর সঙ্গে পরিচয়পর্ব খানিকটা নাটকীয়! সালটা সম্ভবত ১৯৯৮। আমি কোনো এক কাজে বাসার বাইরে। একজন হাঁফাতে হাঁফাতে এসে বললেন, 'আপনার বাসার দিকে আর্মির গাড়ি গেছে'।
তখন আমি সম্ভবত কারও সঙ্গে কথা বলছিলাম, বিশেষ গা করলাম না। একটু পর আবারও একজন, 'তাড়াতাড়ি বাসায় যান, আর্মি আপনাকে খুঁজতাছে'। আমি বাসার দিকে যেতে যেতে ভাবছিলাম: খোদা, এ আবার কোন মুসিবত!