এঁরা হচ্ছেন সেইসব নমস্য মানুষ যারা আমাদের দেশটা কেমন করে চলবে তা ঠিকঠাক করে দেন। কঠিন কথায়, আইনপ্রণেতা। সোজা কথায়, এঁরাই দেশটা চালাচ্ছেন। আমার সঙ্গে এই কুতর্ক করে লাভ নাই, আরে বাওয়া, দেশের কি চাকা আছে যে এটা চলবে? আমি এতো তর্ক পারি না, বাপু! চলছে মানে চলছে, ব্যস।
আর এটাও আরেক হুজ্জত যে দেশ চালাচ্ছেন...দেশ তো আর সামান্য বিষয় না যে চালক ড্রাইভার-পাইলট বলে ক্ষান্ত দেয়া যাবে। সরল উপসংহারে আসা যেতে পারে যে নামেই ডাকা হোক চলমান কোনো জিনিসের পেছনের মানুষটাই মূখ্য। তিনি যেমন চালাবেন তেমনি চলবে। বাংলাদেশ চলুক বাংলাদেশের মত করে। এই পোস্টের এখানেই সমাপ্তি।
...
হায়-হায়। লেখা যে ছোট হয়ে গেল! নিরুপায় হয়ে খানিকটা পুরনো লেখা ধার নিতে হয় যে।
"এক দেশে একটা দেশ ছিল। সেই দেশের একটা নাম ছিল, বাংগুরাদেশ। বাংগুরাদেশ নামের ওই দেশের জনগণ শোক দিবস পালন করছিলেন, কত দিনের জন্য এটা কেউ জানে না! ওই দেশেই একবার এক নেতা মারা গেলে চল্লিশ দিন শোক পালন করা হয়েছিল! জাতীয় পতাকা হয়ে গিয়েছিল, বিবর্ণ-ধুসর!
কিন্তু এইবার প্রচুর নেতা মারা গেছেন। প্রত্যেক নেতার জন্য চল্লিশ দিন করে ধরলে...হে মাবুদ! ঘটনাটা মর্মান্তিক, 'বাংগুরাদেশ বিমান' ক্রাশ করেছে! কী ভয়াবহ! দেশের বিখ্যাত বিখ্যাত সব পলিটিশিয়ানরা মারা গেছেন অথচ বেঁচে গেল কিনা একটা বান্দর! সৃষ্টিকর্তার একি অবিচার! রে জনগণ, দেশ চালাবে কে?
এত পলিটিশিয়ানরা মারা যেতেন না যদি-না জনগণের প্রতি তাঁদের মাত্রাতিরিক্ত দরদ থাকত । ঘটনাটা হচ্ছে এমন, বাংগুরাদেশ বিমানের প্রচুর দুর্নাম হয়ে গিয়েছিল। বাংগুরাদেশের বিমানসব নাকি মাটিতে যখন-তখন শুয়ে পড়ত। ও আমার দেশের মাটি- মাটির প্রতি তীব্র টান আর কী! তো, এটা ওই দেশের জনগণ ভালো চোখে দেখছিল না। বিশেষ করে ওই দেশের প্রবাসী জনগণ বাংগুরাদেশ বিমানে ট্রাভেল-ভ্রমণ করতে চাচ্ছিলেন না।
দুর্নাম কাটাবার জন্য রাজনীতিবিদগণ জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিলেন, আমাদের ভাই ও বুনেরা (রাজনীতিবিদগণ তাঁদের বিশেষ ভাষায় বলার চেষ্টা করেন, এটা 'মন্ত্রীশুদ্ধ' ভাষা), ভয় নাই উরে ভয় নাই। বাংগুরাদেশ বিমান আমাদের, ছরি আপনাদের বিমান। আপনারা বাংগুরাদেশ বিমানে সপর-ভরমন করুইন।
জনগণ বলল, আমাদের সাহস হয় না।
রাজনীতিবিদগণ বললেন, খাড়ান, আমরা 'টেরাবুল-ভরমন' কইরা দেখায়া দিতাছি।
এরপর যা হওয়ার তাই হলো। ইন্না..., রাম নাম সাত্য হয়, যীশু তাদের আত্মাকে শান্তি দিন। পৃথিবীব্যাপী তোলপাড় পড়ে গেল। এখন একমাত্র বেঁচে যাওয়া বান্দর হচ্ছে হিরো, যারা মরে গেল তারা সব জিরো! অবশ্য বান্দরকে কেন ওই যাত্রায় নেয়া হয়েছিল তার রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। ওই দেশটা বড় বিচিত্র ওই দেশে কখনই কোনো রহস্য উদঘাটিত হয় না।
যাই হোক, সাংবাদিকেরা সবাই ফটাফট বান্দরের ছবি উঠাতে লাগলেন। এমনিতে এরা কেবল বিভিন্ন ভঙ্গিতে প্রিয়মানুষের শব সামনে নিয়ে ক্রন্দনরত স্বজনের ছবি উঠাতেই আরাম বোধ করেন। এই দেশের সাংবাদিকেরা এই প্রথম নিয়ম ভঙ্গ করে বিপুল আগ্রহে বান্দরকে ঘিরে ধরেছেন। আসলে সমস্যাটা হচ্ছে, বিমানের ব্লাকবক্স উদ্ধার করা যাচ্ছে না, এটা বাংগুরাদেশ সাগরে তলিয়ে গেছে। অতএব বন্দর ভরসা।
একজন জাপানী সাংবাদিক বান্দরকে বললেন, মুশি মুশি-হ্যালো।
বান্দর বলে, খিচ-খিচ!
মহা মুসিবত, বান্দরের ভাষা তো কেউ বুঝতে পারছে না। ডেকে আনা হলো এক প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীকে। খুবই দুর্ধর্ষ একজন মানুষ, তিনি নাকি কালিদাসের লগে মিগ চালিয়েছেন। যিনি মিগ চালাতে পারেন তিনি বিমান সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান রাখবেন এতে বিস্মিত হওয়ার কী আছে! তাছাড়া এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ইনি বাংগুরাদেশের জীবিত লেখকদের মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন এবং অচিরেই মৃতদেরকেও ছাড়িয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
অবশ্য বান্দরের সামনে তাঁকে হাজির করা গেল না কারণ তখন তিনি এক জটিল গবেষণায় লিপ্ত ছিলেন, গবেষণার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, উকুনের চাষ বন্ধ হোক এবং বেশি দামে উকুন ক্রয় করা হোক। বাধ্য হয়ে তিনি কবুতরের পায়ে বেঁধে আর্জেন্ট ‘কবুতরগ্রাম’ পাঠালেন। কবুতরগ্রামে লিখলেন, 'হালু-হালু-হালু, আ ডোন্ট মাইন্ড হি অর শী, গে অর লেসবিয়ান; বাট সেন্ড বান্দর, লাইভ'।
অবশেষে বান্দরকে ওই বুদ্ধিজীবীর সামনে হাজির করা হলো। সবাই বলল, স্যার, বান্দইরার সাথে আলাপ করে লাভ নাই। এর ভাষা কেউ বোঝে না।
বুদ্ধিজীবী বললেন (তিনি বলেন তাঁর নিজস্ব ভাষায়): হামোশ, আমি হগ্গলতা বুঝি। আমি জ্ঞানী, আমি জানি না এমন কিসু নাই।
তো বুদ্ধিজীবী এবং বান্দরের মধ্যে কথাবার্তা মানুষের ভাষায় রুপান্তর করে হুবহু তুলে দেয়া হলো:
বুদ্ধিজীবী: বান্দর, যাহা বলিবা সত্য বলিবা। সত্য বৈ মিথ্যা বলিবা না।
বান্দর: আমরা বান্দররা সত্য কথাই বলি, মিথ্যা বলা আমাদের ধর্মে নিষেধ আছে।
বুদ্ধিজীবী: বিমান মাটিতে পড়ল কেমনে?
বান্দর উপরে আঙ্গুল তুলে: সবই তার ইচ্ছা!
বুদ্ধিজীবী: বান্দর, আমার লগে বান্দরগিরি করবা না, আমি কালিদাসের লগে বহুত মিগ চালাইছি বুঝলা। হিলিঝিলি করবা না। এখন কও, ড্রাইভার, না-না, এরারে তো পাইলট কয়। হে কই আছিল?
বান্দর: সবটা তো জানি না, দরজা বন্ধ ছিল। এয়ার হোস্টেসরে নিয়া মেটিং করতাছিল।
বুদ্ধিজীবী: বুসছি-বুসছি, এরা মিটিংয়ে ব্যস্ত আছিল। হালার বিমানের পাইলটরা যদি মিটিং-ফিটিং করে তাইলে আমি মিগ চালাইবার সময় কি করি, বা...(সেন্সর)।
বান্দর: মিটিং না মেটিং!
বুদ্ধিজীবী: ইংলিশ আমারে শিখাইও না, একবারে মেট্রিক পাশ দিছি। তা, কো-পাইলট কই আছিল?
বান্দর: তাইনে আর্মি পলিটিশিয়ান হোমো স্যারের ব্যাগ থিক্যা এক বোতল স্কচ হুইস্কি সরাইয়া ফেলছিল, পুরাটা খাইয়া লম্বা হইয়া গেছিল। হিক!
বুদ্ধিজীবী: ধুর, হালা দেহি ভুদাই, গাঞ্জার উপর কিছু নাই। তা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার, হে কই আছিল?
বান্দর: এক ধর্মের মা-বাপ গোআ স্যারের কাছে ধর্ম শিখতাছিল।
বুদ্ধিজীবী: বাকী সব এয়ারহোস্টেস, হেরা?
বান্দর: দুই ম্যাডাম ডাইকা নিয়া কিতা জানি বকবক-বকবক করতাছিল।
বুদ্ধিজীবী: আরে, হালা বান্দর, এই হালায় বান্দর এইডা কয় কি! আরে বান্দরের ছাও, তাইলে বিমান চালাইতাছিল কেডা?
বান্দর হাঁই তুলে বলল: আমিই চালাইতাছিলাম। ভালই চালাইতাছিলাম, একটু কেরী কাটতে গিয়া...!
*বিস্তারিত আর জানা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওই দেশের জনগণ দেশ চালাবার জন্য কাকে বেছে নিয়েছিল। হয়তো ফেসবুকে গ্রুপ খুলে এই নিয়ে এক কঠিন ভোটাভুটির আয়োজন হয়েছিল কিনা কে জানে!
**বাংগুরাদেশ, এটা ঠিক কোথায় এই মুহূর্তে হাতের নাগালে ম্যাপ না থাকায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। ম্যাপের বাইরে থাকলেও অবাক হওয়াটা সমীচীন হবে না।
এঁরা হচ্ছেন সেইসব নমস্য মানুষ যারা আমাদের দেশটা কেমন করে চলবে তা ঠিকঠাক করে দেন। কঠিন কথায়, আইনপ্রণেতা। সোজা কথায়, এঁরাই দেশটা চালাচ্ছেন। আমার সঙ্গে এই কুতর্ক করে লাভ নাই, আরে বাওয়া, দেশের কি চাকা আছে যে এটা চলবে? আমি এতো তর্ক পারি না, বাপু! চলছে মানে চলছে, ব্যস।
আর এটাও আরেক হুজ্জত যে দেশ চালাচ্ছেন...দেশ তো আর সামান্য বিষয় না যে চালক ড্রাইভার-পাইলট বলে ক্ষান্ত দেয়া যাবে। সরল উপসংহারে আসা যেতে পারে যে নামেই ডাকা হোক চলমান কোনো জিনিসের পেছনের মানুষটাই মূখ্য। তিনি যেমন চালাবেন তেমনি চলবে। বাংলাদেশ চলুক বাংলাদেশের মত করে। এই পোস্টের এখানেই সমাপ্তি।
...
হায়-হায়। লেখা যে ছোট হয়ে গেল! নিরুপায় হয়ে খানিকটা পুরনো লেখা ধার নিতে হয় যে।
"এক দেশে একটা দেশ ছিল। সেই দেশের একটা নাম ছিল, বাংগুরাদেশ। বাংগুরাদেশ নামের ওই দেশের জনগণ শোক দিবস পালন করছিলেন, কত দিনের জন্য এটা কেউ জানে না! ওই দেশেই একবার এক নেতা মারা গেলে চল্লিশ দিন শোক পালন করা হয়েছিল! জাতীয় পতাকা হয়ে গিয়েছিল, বিবর্ণ-ধুসর!
কিন্তু এইবার প্রচুর নেতা মারা গেছেন। প্রত্যেক নেতার জন্য চল্লিশ দিন করে ধরলে...হে মাবুদ! ঘটনাটা মর্মান্তিক, 'বাংগুরাদেশ বিমান' ক্রাশ করেছে! কী ভয়াবহ! দেশের বিখ্যাত বিখ্যাত সব পলিটিশিয়ানরা মারা গেছেন অথচ বেঁচে গেল কিনা একটা বান্দর! সৃষ্টিকর্তার একি অবিচার! রে জনগণ, দেশ চালাবে কে?
এত পলিটিশিয়ানরা মারা যেতেন না যদি-না জনগণের প্রতি তাঁদের মাত্রাতিরিক্ত দরদ থাকত । ঘটনাটা হচ্ছে এমন, বাংগুরাদেশ বিমানের প্রচুর দুর্নাম হয়ে গিয়েছিল। বাংগুরাদেশের বিমানসব নাকি মাটিতে যখন-তখন শুয়ে পড়ত। ও আমার দেশের মাটি- মাটির প্রতি তীব্র টান আর কী! তো, এটা ওই দেশের জনগণ ভালো চোখে দেখছিল না। বিশেষ করে ওই দেশের প্রবাসী জনগণ বাংগুরাদেশ বিমানে ট্রাভেল-ভ্রমণ করতে চাচ্ছিলেন না।
দুর্নাম কাটাবার জন্য রাজনীতিবিদগণ জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিলেন, আমাদের ভাই ও বুনেরা (রাজনীতিবিদগণ তাঁদের বিশেষ ভাষায় বলার চেষ্টা করেন, এটা 'মন্ত্রীশুদ্ধ' ভাষা), ভয় নাই উরে ভয় নাই। বাংগুরাদেশ বিমান আমাদের, ছরি আপনাদের বিমান। আপনারা বাংগুরাদেশ বিমানে সপর-ভরমন করুইন।
জনগণ বলল, আমাদের সাহস হয় না।
রাজনীতিবিদগণ বললেন, খাড়ান, আমরা 'টেরাবুল-ভরমন' কইরা দেখায়া দিতাছি।
এরপর যা হওয়ার তাই হলো। ইন্না..., রাম নাম সাত্য হয়, যীশু তাদের আত্মাকে শান্তি দিন। পৃথিবীব্যাপী তোলপাড় পড়ে গেল। এখন একমাত্র বেঁচে যাওয়া বান্দর হচ্ছে হিরো, যারা মরে গেল তারা সব জিরো! অবশ্য বান্দরকে কেন ওই যাত্রায় নেয়া হয়েছিল তার রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। ওই দেশটা বড় বিচিত্র ওই দেশে কখনই কোনো রহস্য উদঘাটিত হয় না।
যাই হোক, সাংবাদিকেরা সবাই ফটাফট বান্দরের ছবি উঠাতে লাগলেন। এমনিতে এরা কেবল বিভিন্ন ভঙ্গিতে প্রিয়মানুষের শব সামনে নিয়ে ক্রন্দনরত স্বজনের ছবি উঠাতেই আরাম বোধ করেন। এই দেশের সাংবাদিকেরা এই প্রথম নিয়ম ভঙ্গ করে বিপুল আগ্রহে বান্দরকে ঘিরে ধরেছেন। আসলে সমস্যাটা হচ্ছে, বিমানের ব্লাকবক্স উদ্ধার করা যাচ্ছে না, এটা বাংগুরাদেশ সাগরে তলিয়ে গেছে। অতএব বন্দর ভরসা।
একজন জাপানী সাংবাদিক বান্দরকে বললেন, মুশি মুশি-হ্যালো।
বান্দর বলে, খিচ-খিচ!
মহা মুসিবত, বান্দরের ভাষা তো কেউ বুঝতে পারছে না। ডেকে আনা হলো এক প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীকে। খুবই দুর্ধর্ষ একজন মানুষ, তিনি নাকি কালিদাসের লগে মিগ চালিয়েছেন। যিনি মিগ চালাতে পারেন তিনি বিমান সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান রাখবেন এতে বিস্মিত হওয়ার কী আছে! তাছাড়া এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ইনি বাংগুরাদেশের জীবিত লেখকদের মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন এবং অচিরেই মৃতদেরকেও ছাড়িয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
অবশ্য বান্দরের সামনে তাঁকে হাজির করা গেল না কারণ তখন তিনি এক জটিল গবেষণায় লিপ্ত ছিলেন, গবেষণার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, উকুনের চাষ বন্ধ হোক এবং বেশি দামে উকুন ক্রয় করা হোক। বাধ্য হয়ে তিনি কবুতরের পায়ে বেঁধে আর্জেন্ট ‘কবুতরগ্রাম’ পাঠালেন। কবুতরগ্রামে লিখলেন, 'হালু-হালু-হালু, আ ডোন্ট মাইন্ড হি অর শী, গে অর লেসবিয়ান; বাট সেন্ড বান্দর, লাইভ'।
অবশেষে বান্দরকে ওই বুদ্ধিজীবীর সামনে হাজির করা হলো। সবাই বলল, স্যার, বান্দইরার সাথে আলাপ করে লাভ নাই। এর ভাষা কেউ বোঝে না।
বুদ্ধিজীবী বললেন (তিনি বলেন তাঁর নিজস্ব ভাষায়): হামোশ, আমি হগ্গলতা বুঝি। আমি জ্ঞানী, আমি জানি না এমন কিসু নাই।
তো বুদ্ধিজীবী এবং বান্দরের মধ্যে কথাবার্তা মানুষের ভাষায় রুপান্তর করে হুবহু তুলে দেয়া হলো:
বুদ্ধিজীবী: বান্দর, যাহা বলিবা সত্য বলিবা। সত্য বৈ মিথ্যা বলিবা না।
বান্দর: আমরা বান্দররা সত্য কথাই বলি, মিথ্যা বলা আমাদের ধর্মে নিষেধ আছে।
বুদ্ধিজীবী: বিমান মাটিতে পড়ল কেমনে?
বান্দর উপরে আঙ্গুল তুলে: সবই তার ইচ্ছা!
বুদ্ধিজীবী: বান্দর, আমার লগে বান্দরগিরি করবা না, আমি কালিদাসের লগে বহুত মিগ চালাইছি বুঝলা। হিলিঝিলি করবা না। এখন কও, ড্রাইভার, না-না, এরারে তো পাইলট কয়। হে কই আছিল?
বান্দর: সবটা তো জানি না, দরজা বন্ধ ছিল। এয়ার হোস্টেসরে নিয়া মেটিং করতাছিল।
বুদ্ধিজীবী: বুসছি-বুসছি, এরা মিটিংয়ে ব্যস্ত আছিল। হালার বিমানের পাইলটরা যদি মিটিং-ফিটিং করে তাইলে আমি মিগ চালাইবার সময় কি করি, বা...(সেন্সর)।
বান্দর: মিটিং না মেটিং!
বুদ্ধিজীবী: ইংলিশ আমারে শিখাইও না, একবারে মেট্রিক পাশ দিছি। তা, কো-পাইলট কই আছিল?
বান্দর: তাইনে আর্মি পলিটিশিয়ান হোমো স্যারের ব্যাগ থিক্যা এক বোতল স্কচ হুইস্কি সরাইয়া ফেলছিল, পুরাটা খাইয়া লম্বা হইয়া গেছিল। হিক!
বুদ্ধিজীবী: ধুর, হালা দেহি ভুদাই, গাঞ্জার উপর কিছু নাই। তা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার, হে কই আছিল?
বান্দর: এক ধর্মের মা-বাপ গোআ স্যারের কাছে ধর্ম শিখতাছিল।
বুদ্ধিজীবী: বাকী সব এয়ারহোস্টেস, হেরা?
বান্দর: দুই ম্যাডাম ডাইকা নিয়া কিতা জানি বকবক-বকবক করতাছিল।
বুদ্ধিজীবী: আরে, হালা বান্দর, এই হালায় বান্দর এইডা কয় কি! আরে বান্দরের ছাও, তাইলে বিমান চালাইতাছিল কেডা?
বান্দর হাঁই তুলে বলল: আমিই চালাইতাছিলাম। ভালই চালাইতাছিলাম, একটু কেরী কাটতে গিয়া...!
*বিস্তারিত আর জানা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওই দেশের জনগণ দেশ চালাবার জন্য কাকে বেছে নিয়েছিল। হয়তো ফেসবুকে গ্রুপ খুলে এই নিয়ে এক কঠিন ভোটাভুটির আয়োজন হয়েছিল কিনা কে জানে!
**বাংগুরাদেশ, এটা ঠিক কোথায় এই মুহূর্তে হাতের নাগালে ম্যাপ না থাকায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। ম্যাপের বাইরে থাকলেও অবাক হওয়াটা সমীচীন হবে না।
7 comments:
ডিসক্লেমার:যেখানে দেখিবে ছাই মুখে মাখিয়া নিবে তাই। আরিফ ভাইয়ের FB শেয়ার,,,,ব্রাত্য রাইসু একটি জরিপের আয়োজন করেছেন যেখানে তিনি জানতে চেয়েছেন 'জীবিত লেখকদের মধ্যে কে কে আপনার পছন্দের?' এই জরিপের সিরিজ ২ তে আমাকে লাইক করেছেন ৭ জন, কবি জয় গোস্বামীকে পছন্দ করেন ১৯ জন এবং ব্রাত্য রাইসুকে পছন্দ করেছেন ৪০ জন। কবি জয় গোস্বামীর চেয়ে দ্বিগুনের চাইতেও বেশি জনপ্রিয় ব্রাত্য রাইসুকে আমার অভিনন্দন। :D
https://www.facebook.com/groups/punormudronjontro/
গুরু ব্রা রাইচুর একখান কবিতা
কলা ও কাউয়া
কলা যেমন ফল
তার কাউয়া তেমন পাখি রে…
কলা যেমন ফল তার
কাউয়া তেমন পাখি রে
কলার ছোলকা কলায় থাকে না।
কাউয়া ডাকে কা কা।
কলা বলে কলা খা।
কোথায় রইলা দোরা কাউয়া রে–
আমার কোথায় রইল দোরা কাউরা রে!
আমার কলা ফল রে।
{{গ ুরুর প্যাডস্টাল ফ্যান অভিক}}
সর্বনাশ, এই জিনিস পেলেন কোথায়! এদ্দিন এমন আগুনের আঁচ থেকে বেঁচে রইলাম কেমন করে!
কবি-কবিতা-কলা-কাউয়া। ইয়াল্লা, এখানে চার 'ক'-এর সমাহার দেখছি!
বোনাস হিসাবে দোরা কাউয়া- কলার ছোলকা। আফসোস, এখানে কলার বিচি সম্বন্ধে কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না @অভিক
আমি ভাবিতেছি বেচারা রবি ঠাকুরের কথা। সময থাকিতে মরিযা গিয়া বাঁচিয়াই গিয়াছেন বটে। নয়তো আজ অবধি বাঁচিয়া থাকিলে তাহাকে ব্রাঃ রাইসুর সহিত কমপিটিশানে নামিতে হইতো। কে জানে, হারিয়া গিয়ে শেষে ’কবিগুরু’র সম্মানটাই খোয়াইতেন হয়তো বা।
ইহাতে সন্দেহ নাই রবিদাদা মরিয়া বাঁচিয়া গিয়াছেন নইলে একটা অনর্থ হইত, একটা বিষম কান্ড হইত।
রবিদাদা 'কবিগুরু'র সম্মানটা খোয়াইতেন ইহা চিন্তার বিষয় বটে কিন্তু গুরুতর কান্ড হইত, রবিদাদা না-হক অপমানে ফাঁস লইবার অভিপ্রায়ে গলায় রজ্জু লইতেন।
শুভ ভাই, এসব ভিড্যু ব্লগে সংযোজন করলে আগে একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে দিয়েন। চ্রম ভয় পাইছি। অমানুষিক ভিড্যু ;)
আর নিখিল বঙ্গ জিন্দা কবি সমাজের পিঠচুল্কাচুল্কির সাথে আপ্নে এই ভিড্যুগুলা মিলাইতে পারেন না। কারন ভিড্যুগুলা হচ্ছে হররটাইপ, কিন্তু এদের এই পিঠচুল্কাচুল্কি খোমাখাতায় বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। এদের কবিতার চেয়ে এদের পিঠচুল্কাচুল্কি গুলাই ভবিষ্যতে ইতিহাসে স্থান নিবে।
:D @সায়ন
Post a Comment