বাংলাদেশের সমুদ্রজয়ে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে ২৮ এপ্রিল। কী প্রকারে এটা দেওয়া হবে এটার জন্য শেরাটন হালের রূপসি বাংলা হোটেলে বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী এক সভার আয়োজন করেন। অবশ্য চর্বচোষ্য সহযোগে কিনা এটা জানা যায়নি। যেমনটা জানা যায়নি এই পঞ্চতারকা হোটেলের বলরুমের ভাড়া কার গাঁটের পয়সায় পরিশোধ করা হয়েছে।
পত্রিকার কল্যাণে জানা যাচ্ছে, এই সভায় নাগরিক কমিটির ৫০১ জন সদস্যের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হচ্ছেন, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, সৈয়দ শামসুল হক, শিল্পী মুস্তফা মনোয়ার, আইনজীবী আমীর-উল-ইসলাম, আনিসুল হক, কবি বেলাল চৌধুরী, বিচারপতি মেজবাহউদ্দিন, এ কে আজাদ চৌধুরী, আ আ ম, স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক দূগাদাস ভট্টাচার্য্য, আবেদ খান, শ্যামল দত্ত, আতাউর রহমান, লায়লা হাসান, পান্না কায়সার, শমী কায়সার, হাসান ইমাম, ব্লা-ব্লা-ব্লা...।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী সভাপতিত্ব করেন। এটাকে মহান বিজয় উল্লেখ করে তিনি সরকারের অন্য বিজয়গুলোও জনগণের সামনে তুলে ধরার উপর জোর দেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, "...২৮ এপ্রিল সংবর্ধনা এক দিনেই শেষ হবে না, এটা সামনের নির্বাচন পর্যন্ত চলতে থাকবে"। (প্রথম আলো, ২ এপ্রিল ২০১২)
আলবত, অবশ্যই-অবশ্যই, অবশ্যই চলবে- নাথিং গনা স্টপ। আগামী নির্বাচন কেন এটা কাজী খলীকুজ্জমান স্যার যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন চলুক ইহাতে কাহারও কোনো আপত্তি নাই। কেবল আমরা চাইব এই খরচের টাকাটা যেন আপনার পৈত্রিক তালুক বিক্রির টাকা থেকে আসে।
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীরা সম্ভবত বিস্মৃত হন, ভুলে যান মন্ত্রীদের জনগণ নির্বাচিত করেই থাকে দেশের মঙ্গলে কাজ করার জন্যই। বিনিময়ে এই কারণে জণগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের একগাদা টাকাও ব্যয় হয়।
আর মোটা দাগে বললে, একজন ট্রেনে ভ্রমণ করবেন, টিকেট কেটে উঠবেন এ নিয়ে আলাদা করে বলার তো কিছু নাই। যারা যারা টিকেট কেটেছেন তাদের যদি কমলাপুর স্টেশনে বাদ্য বাজিয়ে ঘটা করে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করা হয় তাহলে বলার আর কী থাকতে পারে!
ইরাকে বুশ কি আর সাধে ঝাঁপিয়ে পড়ত যদি-না দেশটা তেলে ভাসত! ভাগ্যিস, আমাদের দেশে তেলের খনি নেই নইলে আমাদের যে কী দশা হতো এটা ভেবে শিউরে উঠি। সেই দিন আর এখন নাই- আমাদের ভয়হীন সময়টা ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে। এখন দেখছি আমাদের দেশে তেলের খনির অভাব নেই।
ওয়াল্লা, ৫০১টা তেলের খনি! যা-তা তেলের খনি না, একেবারেই উপচে পড়া!
*কাউয়ুম চৌধুরীর মত মানুষের কী কষ্ট কে জানে। অন্তত মানুষটার অর্থকষ্ট নাই বলেই জানি। যে কুত্তা পালতেন সেই কুত্তার পেছনেই বিস্তর টাকা খরচ করতেন। তাছাড়া এখনও তিনি কেবল ইলাস্ট্রেশন করেই গাদা-গাদা টাকা আয় করেন।
একজন একটা ব্যাখ্যা দিলেন এটার। মানুষটার হয়তো পদকের লোভ যেটা দিতে পারে ক্ষমতাশীন লোকজনেরা। বা জাতীয় অধ্যাপক। অথবা কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত হওয়া। কে জানে, হবে হয়তো...। কিন্তু এখন ওইসব কী কাজে আসবে!
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীরা সম্ভবত বিস্মৃত হন, ভুলে যান মন্ত্রীদের জনগণ নির্বাচিত করেই থাকে দেশের মঙ্গলে কাজ করার জন্যই। বিনিময়ে এই কারণে জণগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের একগাদা টাকাও ব্যয় হয়।
আর মোটা দাগে বললে, একজন ট্রেনে ভ্রমণ করবেন, টিকেট কেটে উঠবেন এ নিয়ে আলাদা করে বলার তো কিছু নাই। যারা যারা টিকেট কেটেছেন তাদের যদি কমলাপুর স্টেশনে বাদ্য বাজিয়ে ঘটা করে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করা হয় তাহলে বলার আর কী থাকতে পারে!
ইরাকে বুশ কি আর সাধে ঝাঁপিয়ে পড়ত যদি-না দেশটা তেলে ভাসত! ভাগ্যিস, আমাদের দেশে তেলের খনি নেই নইলে আমাদের যে কী দশা হতো এটা ভেবে শিউরে উঠি। সেই দিন আর এখন নাই- আমাদের ভয়হীন সময়টা ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে। এখন দেখছি আমাদের দেশে তেলের খনির অভাব নেই।
ওয়াল্লা, ৫০১টা তেলের খনি! যা-তা তেলের খনি না, একেবারেই উপচে পড়া!
*কাউয়ুম চৌধুরীর মত মানুষের কী কষ্ট কে জানে। অন্তত মানুষটার অর্থকষ্ট নাই বলেই জানি। যে কুত্তা পালতেন সেই কুত্তার পেছনেই বিস্তর টাকা খরচ করতেন। তাছাড়া এখনও তিনি কেবল ইলাস্ট্রেশন করেই গাদা-গাদা টাকা আয় করেন।
একজন একটা ব্যাখ্যা দিলেন এটার। মানুষটার হয়তো পদকের লোভ যেটা দিতে পারে ক্ষমতাশীন লোকজনেরা। বা জাতীয় অধ্যাপক। অথবা কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত হওয়া। কে জানে, হবে হয়তো...। কিন্তু এখন ওইসব কী কাজে আসবে!
আহারে-আহারে, পদ-পদক! যার কারণে বুড়া-হাবড়া শরীরটাকে টেনে-টেনে তেলে ভাসতে হয়, ইয়ে ডুবিয়ে...। কোথাও কোনও সমস্যা নেই কিন্তু বয়স্ক মানুষদের ইয়ে দেখতে ভাল লাগে না।
**আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আনুমানিক ২২ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবক-পিতা। আহারে, এই হাজার-হাজার শিক্ষার্থী গোল হয়ে দেখছে তাদের পিতা তেলের খনিতে ভাসছেন, সাঁতার কাটছেন। বের হয়ে পড়ছে সরু-সরু পা!
***সৈয়দ শামসুল হক। আমাদের সাহিত্যের মা-বাপ। খনিতে ডুবাডুবি খেলার আগে হয়তো খেয়াল করেননি, বেচারা। পকেটের কলমটাও যে হয়ে যায় তেলতেলে। লেখা অবশ্য বের হয়। কালির বদলে কালো-কালো তেল!
বাকী অন্যদের নিয়ে এই লেখা ওগুবার কোন কারণ নাই। কারণ সে হবে শব্দের অপচয়...।
5 comments:
বিম্পির খালেদা হলে আপনার লেখা বদলিয়ে যেত?
না!
হুবহু এই লেখাটাই লিখতাম, দাঁড়ি-কমাসহ...@Anonymous
ভালো লিখছেন.... বরাবরের মত
রায় সম্পর্কে আরো কিছু বলেন .....রায়ের ১৪২ পাতায় ৪৯৯ প্যারায় বলা আছে,----------- বাংলাদেশ ও মায়ানমারের রেশিও ওফ এলোকেটেড এরিয়া ১: ১.৫৪ ইন ফেবার অফ মায়ানমার
সিঙ্গাপুরের ন্যানইয়াং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (NTU) সমুদ্র নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও অস্ত্রালিয়ার সাবেক নৌ-কমডোর স্যাম বেটম্যান বলেন " As is often the case with international settlement of maritime boundary disputes, there was no outright “winner”
or “loser” with the ITLOS judgment. The Foreign Minister of Bangladesh, Dr Dipu Moni, has claimed it as a
victory for her country; but conversely, Myanmar might also claim a “win” as it received a much larger share of the relevant area
some more links as reference:
http://www.rsis.edu.sg/publications/Perspective/RSIS0482012.pdf
http://www.indianexpress.com/news/bangladeshs-claim-to-myanmar-gas-rejected/941574/0
http://www.somewhereinblog.net/blog/troublekid/29560512
অজস্র ধন্যবাদ আপনার লিংকের জন্য @বাঙ্গাল
Post a Comment