Wednesday, October 24, 2012

­পশু উৎসর্গ-কোরবানি, কালে কালে

"...এ তো ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। আমি [তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে] জবাই করার জন্য দিলাম এক মহান জন্তু...।"
-সুরা সাফফাত: ১০৬-১০৮ 

"আমি তোমাকে কাউসার [ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ] দান করেছি। সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের জন্য নামাজ পড় ও কোরবানি দাও।"
-১০৮ সুরা কাউসার: ১-২

Sunday, October 21, 2012

পরিসংখ্যান-জিনসংখ্যান-প্রেতসংখ্যান

পরি-জিন-প্রেত। এরা বসে বসে হাওয়া খেয়েই কেবল দিন পার করে। কাজকামের তো আর বালাই নাই। এদেরকে তো আর আপিস নামের কারাগারে আটকে থাকতে হয় না। বাজারের ব্যাগ নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরঘুরও করতে হয় না। সামান্য কিছু টাকা নামের ময়লা কাগজের জন্য আত্মা বন্ধকও রাখতে হয় না।

পরিদের নিয়ে যতটুকু শোনা যায় তা এমন, এমনিতে এরা খুবই ভাল। মাইডিয়ার টাইপের। কেবল দোষের মধ্যে যেটা সেটা হচ্ছে কাউকে পছন্দ হলে তাকে নাকি উঠিয়ে নিয়ে যায়। সবাইকে না। কারণ আমি আমার বাসার ছাদে অনেক রাতে হাঁটাহাটিঁ করে দেখেছি পরি আমাকে উঠিয়ে নেয়া দূরে থাকুক ভুলে কখনও বলেনি, এই যাইবা?

Tuesday, October 16, 2012

চালবাজ!

­নির্মলেন্দু গুণকে নিয়ে পূর্বের এক লেখায় লিখেছিলাম, (গীনসবার্গে সঙ্গে, নির্মলেন্দু গুণ):
"'...গ্রেগরী করসো যখন আমাদের বাংলাদেশের লক্ষ-লক্ষ মানুষের ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু নিয়ে নির্মলেন্দু গুণের কাছে জনসমক্ষে, প্রকাশ্যে আদি রসাত্মক অতি কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে, অতি হৃদয়হীন মন্তব্য করেন, 'তোমাদের দেশ তো খুব ফারটাইল, প্রতিদিন হাজার হাজার মানবসন্তানের জন্ম দিচ্ছ তোমরা। ...ছাউ ফুটানোর কাজটা তোমরা ভালই পার'
তখন গুণ দাদার গলা দিয়ে স্বর বের হয় না। চিঁ চিঁ করেন।" [১]

Monday, October 15, 2012

দাস: সেকাল-একাল

সেকালের দাস। অনুভব করলেই চোখে-মুখে অন্ধকার দেখি। কিন্তু তখন দাস-ব্যবসাটাও ছিল অসম্ভব লাভজনক। সেকালে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন অনেক নামকরা ব্যক্তিত্বও। তখন দাস-দাসব্যবসাটাকে খুব একটা খারাপ চোখে দেখা হত না। দাস মানেই কেনা সম্পত্তি! যা খুশি তা করা যায় তার সঙ্গে।
ধর্মগ্রন্থেও এর ছাপ সুষ্পষ্ট! তৌরাত বলছে,
"...প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা, দাহের বদলে দাহ, ক্ষতের বদলে ক্ষত, কালশিরার বদলে কালশিরা।" (তৌরাত শরীফ: ২য় খন্ড: হিজরত, ২১, ২৪-২৫)

Saturday, October 13, 2012

দাঁড়াবার কোনো জায়গা নাই!

­"ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রানীখার 'আল-আমীন গাউছিয়া এতিমখানায়' এতিম না থাকলেও নিয়মিত সরকারি টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে। এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা পরিষদ প্রশাসক সৈয়দ একেএম এমদাদুল বারী এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে নিয়মিত এই টাকা তোলা হচ্ছে ব্যাংক থেকে।...।" [১]

Friday, October 12, 2012

বিশ্বদলিল

­বইখাদক। অনেকের বই পড়ার নমুনা দেখে মনে মনে বেদনার সঙ্গে গভীর শ্বাস ফেলি। অং-বঙ-চং কত ঢঙের বইই না এঁরা পড়েন! কে একজন, একবার ছাপার অক্ষরে এই হাহাকারটা করেছিলেন। বিষয়টা এমন, কোনো-এক গ্রন্থাগারের হাজার-লাখ বইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তার মনে হচ্ছিল, আহা, কত-কত বই, এখনও তো পড়াই হল না।

আমার নিজের পড়াশোনা কম। হাজার-লাখ কেন, কোটি-কোটি বইই পড়া হয়নি। আসলে ছাতার তেমন কোনো বইই পড়া হয়নি! আরে, আমি তো আর কচ্ছপ না যে শত-শত বছর আয়ু নিয়ে পানিতে গা ভাসিয়ে বই পড়তে থাকব, পড়তেই থাকব। 'কচ্ছপামি' আমার পিঠে দাঁড়িয়ে থাকে দাঁড়কাক!

Wednesday, October 10, 2012

ছুক্কুর-ছুক্কুর মৈমনসিং, ঢাকা যাইতে কত দিন

­'ছুক্কুর-ছুক্কুর মৈমনসিং, ঢাকা যাইতে কত দিন'। বালকবেলায় কারও কারও মুখে এটা শুনতাম। কবে, কেন, কেমন করে এটা চালু হল বা কারা-কারা চালু করে এটাকে গড়িয়ে দেওয়ার পেছনে ছিল; জানি না। হয়তো তখন ময়মনসিং থেকে ঢাকা যাওয়াটা সময়সাপেক্ষ একটা ব্যাপার ছিল। আগে ট্রেনেরও কিছু নিয়মকানুন ছিল দেখতাম কোথায়-কোথায় কি কি ট্রেন যেন অদলবদল করার প্রয়োজন দেখা দিত। এটা আবার সব জায়গায় সম্ভব ছিল না, কেবল জংশন নামধারী স্টেশনেই। তাই জংশনের আলাদা একটা মর্যাদা ছিল। এই মর্যাদা ছিল আখাউড়া জংশন নামের স্টেশনটারও- কালে কালে আখাউড়া জং হয়ে গেল।
যাগ গে, ছুক্কুর-ছুক্কুর মৈমনসিং, ঢাকা যাইতে কত দিন? হয়তো কেউ তিতিবিরক্ত হয়েই এটা চালু করেছিল।

Wednesday, October 3, 2012

আপনার জন্য খুব মায়া হয়!

মহাবিশ্বের [০] তুলনায় কী ক্ষুদ্রই না আমাদের এই ছোট্ট গ্রহ। এখানেই গাদাগাদি করে থাকে ৭০০ কোটি মানুষ। শোনো কথা, মানুষের চেয়ে নাকি পিপড়া বেশি!
আমাদের এই একটাই জীবন অথচ এই জীবনটাকে আমরা কত প্রকারেই না অহেতুক জটিল করি। যে শরীরটা নিয়ে আমাদের ভাবনার শেষে নেই সেই শরীরটা আসলে কী? শরীরের ৯৬ ভাগ জুড়েই আছে চারটা মৌলিক উপাদান অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন। বাকি চার ভাগের রসায়নটাতেই কী অদেখা ম্যাজিক লুকিয়ে থাকা?