এই গ্রহে দু-ধরনের লোক আছে। কেউ মারা যায় বিছানায়, কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে। আমি প্রথমদের দলে। নিরাপদ দূরুত্বে থেকে লম্বা-লম্বা বাতচিত করি। কলমবাজি, হালের কী-বোর্ডে ঝাপিয়ে পড়ে দেশউদ্ধার করি, হাতি-ঘোড়া নিধন করি। কিন্তু কারো-কারো পা ভূতের ন্যায়, এঁরা হাঁটেন উল্টো পথে। দ্বিতীয় দলের কেউ-কেউ বিস্তর পাগলামি করেন আমরা এঁদেরকে আদর করে বলি 'পাগলা'। আফসোস, আমাদের দেশে এমন পাগলদের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমার মত রোবটের সংখ্যা। যারা টিভিতে, পেট ভাসিয়ে আগুন দেখি, সঙ্গে শো ফ্রি। [১]
পূর্বেই উল্লেখ করেছি, কেউ-কেউ খানিক অন্য রকম। ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে এসে লিখেছেন: Farjanul Islam Nirjhor (http://www.facebook.com/Farjanul):
" হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করাটা একটা বাজে অভ্যেস হয়ে গেছে আমার। গতকাল রাত ৩টার সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, চট্টগ্রাম যাব। সকাল ৭টায় বগুড়া থেকে বাসেও উঠেছিলাম ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম যাবার উদ্দেশ্যে। নিজের চোখে দেখতে ফ্লাইওভারের নিচে চাপা পড়া মানুষগুলোকে, নিজে একজন চিকিৎসক হিসেবে একটু সাহায্যও যদি কোন ভাবে করতে পারি সেই আশায়।
তো, ঢাকা পৌঁছার পর বাল্যবন্ধু হাসিব (সহযাত্রী, চিকিৎসক, শখের সাংবাদিক, ব্লগার) বলল, 'দোস্ত,আশুলিয়ার মোড়ে নামি, চল। গার্মেন্টস এর ব্যাপারটাও দেখি। বেশিক্ষণ থাকব না। দেখেই রওয়ানা দেব।'
আমি বললাম, 'তথাস্তু।'
বিশাল খারাপ অবস্থা। কোথাও কোনো যানবাহন পাচ্ছিলাম না। তাড়াতাড়ি করার জন্য এক সিএনজি ভাড়া করলাম, সে ব্যাটা মেলা দূরে আমাদের নামিয়ে দিয়ে কেটে পড়ল। কেটে পড়ার আগে বলল, 'সামনে বিরাট গ্যাঞ্জাম, হাইটা যান গা।'
দেখলাম জায়গার নাম নিশ্চিন্তপুর। আমি আর হাসিব সিগারেট ধরিয়ে কি জাতের 'গ্যাঞ্জাম' সেইটা নিয়ে গবেষণা করতে করতে নিশ্চিন্তপুরের মধ্যে দিয়ে নিশ্চিন্ত ভাবে হাঁটতে লাগলাম। এর মধ্যেই এই জাতের 'নিজের পয়সায় মানুষের জন্য আজাইরা কাজকাম করে' এই রকম দুই ছোট ভাই লিখন আর তমালকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম। দেখি মেলা লোকেরই ঢল...একটা নির্দিষ্ট দিকে...একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, 'ভাই কই যান?'
সে বলল, 'সামনের প্রাইমারি স্কুলের মাঠে লাশ রাখা হইতেছে।'
পূর্বেই উল্লেখ করেছি, কেউ-কেউ খানিক অন্য রকম। ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে এসে লিখেছেন: Farjanul Islam Nirjhor (http://www.facebook.com/Farjanul):
" হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করাটা একটা বাজে অভ্যেস হয়ে গেছে আমার। গতকাল রাত ৩টার সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, চট্টগ্রাম যাব। সকাল ৭টায় বগুড়া থেকে বাসেও উঠেছিলাম ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম যাবার উদ্দেশ্যে। নিজের চোখে দেখতে ফ্লাইওভারের নিচে চাপা পড়া মানুষগুলোকে, নিজে একজন চিকিৎসক হিসেবে একটু সাহায্যও যদি কোন ভাবে করতে পারি সেই আশায়।
তো, ঢাকা পৌঁছার পর বাল্যবন্ধু হাসিব (সহযাত্রী, চিকিৎসক, শখের সাংবাদিক, ব্লগার) বলল, 'দোস্ত,আশুলিয়ার মোড়ে নামি, চল। গার্মেন্টস এর ব্যাপারটাও দেখি। বেশিক্ষণ থাকব না। দেখেই রওয়ানা দেব।'
আমি বললাম, 'তথাস্তু।'
বিশাল খারাপ অবস্থা। কোথাও কোনো যানবাহন পাচ্ছিলাম না। তাড়াতাড়ি করার জন্য এক সিএনজি ভাড়া করলাম, সে ব্যাটা মেলা দূরে আমাদের নামিয়ে দিয়ে কেটে পড়ল। কেটে পড়ার আগে বলল, 'সামনে বিরাট গ্যাঞ্জাম, হাইটা যান গা।'
দেখলাম জায়গার নাম নিশ্চিন্তপুর। আমি আর হাসিব সিগারেট ধরিয়ে কি জাতের 'গ্যাঞ্জাম' সেইটা নিয়ে গবেষণা করতে করতে নিশ্চিন্তপুরের মধ্যে দিয়ে নিশ্চিন্ত ভাবে হাঁটতে লাগলাম। এর মধ্যেই এই জাতের 'নিজের পয়সায় মানুষের জন্য আজাইরা কাজকাম করে' এই রকম দুই ছোট ভাই লিখন আর তমালকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম। দেখি মেলা লোকেরই ঢল...একটা নির্দিষ্ট দিকে...একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, 'ভাই কই যান?'
সে বলল, 'সামনের প্রাইমারি স্কুলের মাঠে লাশ রাখা হইতেছে।'
ছবি ঋণ: জীবন আমীর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম |
আমি নিজে ৮০ পর্যন্ত গুনেছি...আর পারি নাই। ওই লাশের জন্য চারদিকে স্বজনেরা ভিড় করে আছে...এক মহিলাকে দেখলাম, 'সালমা-সালমা' বলে চিৎকার করে কাকে যেন খুঁজছে...পাগলপ্রায় অবস্থা। এক বৃদ্ধকে দেখলাম, চোখের পানি দিয়ে শুভ্র-সাদা দাড়ি ভিজিয়ে ফেলেছেন...'আল্লাহ-আল্লাহ' ছাড়া আর কিছু বলছেন না। ইয়া খোদা, কেন এত গজব নাজিল করেছ এই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর উপরে? কেন মাবুদ? কেন-কেন!
দেখলাম, সেনাবাহিনী, বিডিআর, র্যাব, পুলিশ, দমকল বাহিনী মিলে বিরাট এক মচ্ছব। এর মধ্যে মেডিকেল-এর লোকেরা কই? শুধু মাত্র চারটা অ্যাম্বুলেন্স! কেন? আশ্চর্য!
আমি এক র্যাবের লোকের কাছে এগিয়ে গেলাম (সঙ্গত কারণেই নাম বলছি না)। বললাম, 'ভাই আমরা পেশায় চিকিৎসক, সরকারী মেডিকেল থেকে পাস করা এমবিবিএস ডাক্তার, উচ্চতর শিক্ষায় আছি। কোনো ভাবে কি সাহায্য করতে পারি?'
উনি বললেন 'হ্যাঁ পারেন।'
আমি আবারও বললাম, 'কিভাবে?'
তিনি বললেন, 'এই জায়গা ছেড়ে চলে যান...এক্ষুনি।'
আমি হতভম্ব, 'কেন?'
তিনি এবার বললেন, 'সরকার এই রকম ডাক্তার বা স্বেচ্ছাকর্মীদের এখন ঢুকতে মানা করছে। সরকারই যা করার করবে।'
আমি কাতর হয়ে বললাম, 'ভাই, বিবেচনা করেন আরেকবার। আপনাদের মেডিকেল টিমের সাথে কথা বলতে চাই। কোথায় পাব তাদের?'
উনি স্ট্রেইট বললেন, 'দেখেন ডক্টর, খামাখা ঝামেলা বাড়ায়েন না তো ভাই, যান নিজের রুগী দেখেন। কিসের মেডিকেল টীম? ওইটার লিস্টে ঢোকা এত সহজ? যান-যান, বিরক্ত করবেন না।'
যথারীতি দুই-একটা লোক জড়ো হয়ে গেছে আমাদের পাশে। বাংলাদেশের মানুষ পারেও! একজন আমাকে জিজ্ঞেস করল, তার পুরাতন আমাশা, কি ওষুধ খাবে। আরেক জনের সর্দি লেগেছে, কি করা যায়!স্রেফ ভাষাহীন হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর অবাক লক্ষ্য করলাম, নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য থেকে কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। আমি আর হাসিব নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আটকে গেছি।
হাহ, আমাদের অনেক নিরাপত্তা দরকার...অথবা রাষ্ট্রেরই আমাদের মত ষণ্ডাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা দরকার...!কিচ্ছু করার থাকল না। মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে সেটাও সরকারী নিষেধাজ্ঞার জন্য পারলাম না। চোখের সামনে সারি সারি পোড়া লাশ, মানুষের মাংস পোড়ার গন্ধ, পাগলের মত নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে স্বজনের চিৎকার দেখতে দেখতে কেমন একটা ঘোরের মত লেগে গেল। একজন চিকিৎসকের জন্য এই রকম একটা অবস্থা যে কতখানি কষ্টের তা বলে বোঝাতে পারব না। বিকাল ৪ টায় সেখান থেকে ছাড়া পেয়েছি। সে সময়টায় আর আমার দ্বারা জনগণকে চিকিৎসার প্ল্যানটায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় নাই।
এর মধ্যেই আরও লাশ এসে গেছে...আর গুনিনি...। ইচ্ছে করছে না আর চট্টগ্রাম যেতে। ওখানেও এর চেয়ে ইতরবিশেষ তারতম্য হবে না...লাশের মিছিল কমবে না...আমার হাত বেঁধে দেয়া হবে! শরীর মন কিছুই কাজ করছে না। এই ঢাকাতেই এরকম অবস্থা? কেন একজন চিকিৎসক স্বেচ্ছায় চিকিৎসা সেবা দিতে আসলে রাষ্ট্র তা গ্রহণ করবে না? দুর্বলতাটা কোথায়? কেনই বা! চারজন উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসক নেতাকে আমি ফোন দিয়েছি...কেউ সাহায্য করতে পারেন নাই।
অথচ, আজ সারাদিন এরই মধ্যে আমার সেল ফোনে টেক্সট করেছেন আটত্রিশ জন ডাক্তার (আল্লাহ জানেন আরও কতজন করবেন!)। তাঁদের ভোট দরকার। তাঁরা বিএমএর নেতা হতে চান। যারা নেতা হতে চান, তাঁরা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় উন্নতির জোয়ার বইয়ে দিতে চান অথচ তাঁদের একজনকেও আমি আজ সারাদিন ওখানে দেখিনি! ওনারা পোস্টার ঝোলাবেন, টেক্সট করবেন, সরকারী চাকরির ডিউটি ছেড়ে ভোটের ক্যাম্পেইন করবেন, ভোট আর পদ চেয়ে অসীম লোভের সঙ্গে আমাকে মেইল করবেন আর যখন আমি ফোনে বলব 'স্যার,আমি তো মরা মানুষের লাশ গুনি, আপনি কি করেন'?
তখন তিনি উত্তর দেবেন, 'এই ব্যাপারে পরে কথা বলব তোমার সাথে'...।
হা হা হা...কী মজার, না! মনে হয় কোনোদিনও 'ভাল কসাই' হতে পারব না...মানুষ আর রোগীদের কষ্ট দেখলে এখনও আমার ভেতরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সব...অথচ নিত্যদিন বাস করতে হয় অদ্ভুত সব রাষ্ট্রীয় অবহেলার সঙ্গে, বিকলাঙ্গ সব রাষ্ট্রীয় নিয়মের সঙ্গে, পেশাগত ছ্যাঁচড়ামির সঙ্গে, চরম স্বার্থপর ভীতু ধান্ধাবাজ আর চাপাবাজ সমাজের উচ্চ শ্রেণীর সুশীলদের সঙ্গে, আর ফেসবুকে কিবোর্ড চাপড়ানো কিছু মহানের সঙ্গে।হায়, মানুষ নামের সভ্য জীবটার শ্রেণীভুক্ত হয়ে বড়ই অসহায় লাগে ইদানিং...বড়ই অসহায় লাগে...। কতটা স্বদেশী মরলে পরে বলবে তুমি শেষে...বড্ড বেশি মানুষ গেছে অবহেলায় ভেসে... !? "
Farjanul Islam Nirjhor (http://www.facebook.com/Farjanul)
...
খবরে দেখছিলাম, ৬০ জনকে (ভুল যদি না-শুনে থাকি) বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করা হচ্ছে। এই কষ্ট কোথায় রাখি! এই রাষ্ট্রের কাছে কি আমি এই প্রশ্ন রাখতে পারি, আমরা এই দেশের প্রটোকল অনুযায়ী এক নাম্বার ব্যক্তি থেকে শুরু করে দুই-তিন-চার-পাঁচ...নম্বরের মানুষদেরকে কী এই কারণে বেতন দেই যে আমি মারা গেলে বিলম্ব না-করে এরা আমাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন করবেন? আমার পরিবারের লোকজনেরা আমাকে ধরে আকাশ ফাটিয়ে কেঁদে বুকটা খানিক হালকাও করতে পারবে না? আমার সন্তান আমার কবরের পাশে বসে খানিকটা কাঁদতেও পারবে না? গুচ্ছের টাকা বেতন দেই কী এই কারণে!
কি হে, জনগণের কর্মচারীগণ, মনে করিয়ে দিতে হবে বুঝি? ৩৬ লক্ষ এই পোশাকশ্রমিকেরাই দেশের জন্য নিয়ে আসে ২ হাজার কোটি ডলার। বুঝলেন হে, ২ হাজার কোটি ডলার! ৫০ হাজার টাকা বেতনধারী আপনাদের কাছে সামান্য মনে হয়, না? নাকি এঁরা কী ট্যাক্স দিত না? যে মেয়েটি ফোনে কথা বলত সে কি আগাম ট্যাক্স পরিশোধ করেনি, যেখান থেকে আপনাদের বেতনের টাকাটা আসে?
কেন এখুনি আজই মৃতদেহগুলোকে দাফন করে ফেলতে হবে? আমাদের ট্যাক্সের পয়সায় মৃতদেহ সংরক্ষণ করার হিমাগারগুলো কই গেল? কী বললেন, এতগুলো মৃতদেহ রাখার জায়গা নাই?
নাই মানে? আপনাদেরকে বেতন তো এতো কাহিনী শোনার জন্য আমরা দেই না। আমাদের তো এত জেনে কাজ নেই কোথায় কেমন করে এই ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে হিমাগার ভাড়া করবেন। আলুভর্তি হিমাগারের আলু ফেলে মৃতদেহ রাখবেন। আমরা চাই আমাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার।
এখন ডিএনএ টেস্টের যে পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে এর পরিণাম আমরা অনুমান করতে পারি। এই হতভাগাদের হতদরিদ্র পরিবারের লোকজনেরা আপনাদের টিকিটিরও নাগাল পাবে না এ চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়। ওহে, কর্মচারিগণ, এঁদেরকে খুঁজে বের করার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করবেন নাকি ফ্রিগেট এটা আমাদের মাথাব্যথা না। আমরা চাই, মৃতদেহগুলো পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা। ব্যস...।
...
ফেসবুকে চমৎকার একটা নোট লিখেছেন, Kowshik Ahmed (http://www.facebook.com/kowshika.ahmed):
"একশর মত আগুনে পুড়ে যাওয়া মৃত মানুষের চেহারা শনাক্ত করা যায়নি বলে আঞ্জুমানে দেয়া হচ্ছে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে কবর দেবার জন্য। একটা গার্মেন্টসে কতজন শ্রমিক কাজ করে, আগুন লাগার সময় সেখানে কতজন শ্রমিক কাজ করছিলো তাদের নাম, ছবি, ঠিকানা ওই গার্মেন্টসের কাছে নেই বলেই আজকে ওই শ্রমিকরা বেওয়ারিশ লাশ হয়ে গেলো।
ভাইবোন, আত্মীয়স্বজনের সামনে দিয়ে হয়তো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার লাশ, কিন্তু চিনতে পারছে না। একটা গার্মেন্টসের শ্রমিকের কি কি তথ্য নথিভূক্ত রাখা হয়? তার বায়োডাটায় কি কি তথ্য থাকে? তার গলায় ঝুলানো আইডি কার্ড, ফ্যাক্টেরিতে প্রবেশ করার সময় রেজিস্ট্রেশন খাতায় নাম উল্লেখ করাসহ যাবতীয় ব্যবস্থা আগুনের মত ঝুঁকিপূর্ণ দূর্ঘটনাকে মাথায় রেখে যদি করা হতো তাহলে মানুষগুলোকে হয়তো বেওয়ারিশ লাশ হতো না। প্রতিটি গার্মেন্টসে প্রতিদিন যে সমস্ত শ্রমিক কাজ করে তাদের তথ্য কোনো ওয়েব সার্ভারের ডেটাবেজে রাখার ব্যবস্থা করা হোক।
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, মানুষের পরিচয় এভাবে নিশ্চিহ্ন যেন না করা হয়, তার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরী হোক। আঞ্জুমানে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন না করে তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হোক। দেশের জন্য সর্বোচ্চ রেভিনিউ অর্জন কারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সমস্ত শ্রমিক কাজ করে তাদের আইডেন্টি নির্মূল করে দেবার এই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বন্ধ হোক চিরতরে।"
সহায়ক সূত্র:
১. আগুনের সঙ্গে শো ফ্রি...: http://www.ali-mahmed.com/2009/03/blog-post_15.html
2 comments:
অদ্ভুত এক লেখা
ভাল লাগল খুব।
Post a Comment