Search

Friday, December 7, 2012

ডিয়ার বেত, মিস ইউ...

লেখার বিষয়বস্তু যে কতটা বিচিত্র হতে পারে এর প্রকৃষ্ট এক উদাহরণ। আজকের অতিথি লেখক। লেখাটি লিখেছেন, Farjanul Islam Nirjhor (http://www.facebook.com/Farjanul)

"আজ প্রথম আলোয় একটা 'সংবাদ' দেখে এই লেখাটা লেখার ভূত মাথায় চাপল। সংবাদটা হল, 'পিটুনির পর দুঃখ প্রকাশ'। মূল কাহিনী হল শিক্ষকের বেতের প্রহারের পর ওই শিক্ষকেরই ছাত্রের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা। এমনকি প্রধান শিক্ষকও ক্ষমা চেয়ে বলেছেন যে 'এই ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে'!

পিটুনি দিয়ে আবার ছাত্রের সাথে সমঝোতা! কেন জানি নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। যে শৈশবটা ছিল বর্ণময়, শিক্ষকময়, প্রহারময় আর বেতের বাড়িময়। স্বীকার করি, শৈশব থেকেই আমার মাথায় নানা জাতের দুষ্টুমির পোকা কিলবিল করে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু বিপদ হল যে সেগুলো খুব বেশি পরিমাণে মুক্ত বাতাসে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারেনি! কেন?

ভয়...হা হা হা...মাইরের, আ মীন পিটাপিটির ভয়, শাসনের ভয়। তবে এই ক্ষেত্রে আমার নিজের বাপকে আমি হাইয়েস্ট মার্কস দিতে চাই। কেমন করে আমাকে হাতেকলমে শেখাতে হয় তা এই লোকের চেয়ে অন্য কেউ ভাল জানতেন বলে অন্তত আমার কাছে কাউকেই কখনই মনে হবে না।

একবার হল কি, মাথার ভেতর থেকে একটা দুষ্টুমির পোকা বেরিয়ে আসল 'ব্যবসার' উদ্দেশ্যে। সেই পোকাটা আমাকে বলল: দে তো দেখি সামনের জামাটায় পাটখড়ির আগুন দিয়ে ফুটো করে। শুনলাম তার কথা। খুব আরাম পেয়েছিলাম, খুবই। বিপদ হল, কেবল জামা নিয়ে সমস্যা ছিল না কিন্তু ওই জামার ভিতরে ছিলেন একজন। আমার বাপেরই এক পেশেন্ট! তো, জায়গামত নালিশ চলে গিয়েছিল।

পরদিন সকালে বের হবার সময় আমার বাপ আমাকে ডাকলেন, বললেন, 'তুমি কি আগুন ধরিয়ে দিয়েছ কারো গায়ে?'
আমি বললাম, 'হুঁ'।
বাপ চুপ করে রইলেন। আমি ভাবলাম, যাক, ঝামেলা মিটেছে। কিন্তু...বাপ কেবল একটা ম্যাচের কাঠি জ্বালালেন এবং সেটা চেপে ধরলেন আমার বাম তর্জনীতে। প্রথমে বুঝি নাই কি হচ্ছে, যখন বুঝলাম তখন অসহ্য ব্যথা ছাড়া আর কোনো অনুভূতি কাজ করছিল না। অনেকেই হয়ত আমার পিতার এই কর্মকান্ডকে অমানবিক বলবেন। আমি তাঁদের বিপক্ষে। আমি মনে করি, আমার পিতা অসাধারণ একটা কাজ করেছিলেন সেই সময়। কারণ আমি আর কখনই এমনকি একটা সামান্য পোকাকেও আগুনের ধারে ঘেঁষতে দেই নাই...আমি জানি কতটা ব্যথা লাগে...এ শিক্ষা আমার সারাজীবনের।

নিজে একটা আর্মি প্রশাসনের স্কুলে পড়াশোনা করেছি। স্কুলে ভর্তি হবার পর দেখলাম, এই স্কুলে বেতের বাড়ি একটা ডাল-ভাতের মত ব্যাপার। শিক্ষকেরা মহা আনন্দে বেতিয়ে যাচ্ছেন, ছাত্ররা একদম স্বাভাবিক ভাবে সেই বেত খেয়ে যাচ্ছে। ধুমছে মাইর-ধর চলছে। চারিদিকে একটা মারমার-কাটকাট বিষয়ক আনন্দময় পরিবেশ। যে যত বড় ক্লাসে পড়ে তার শাস্তি তত কঠিন হয়।
একজন শিক্ষক ছিলেন যিনি কথায় কথায় বলতেন 'পঁচিশ বেত দিব তোকে', ...দিতেনও...একদম গুণে গুণে।

আমার শৈশবের সব শিক্ষকরা (এবং দু একজন শিক্ষিকারা) ক্লাসে বেত নিয়ে ঢুকতেন। সেই বেতের বাড়ি 'টু' তে পড়া অবস্থায় খেলেও বাপ মায়েরা কিছুই বলতেন না। আর নিজের বাড়িতে বলবই বা কেন? বললেই তো নতুন 'এনকয়ারি' শুরু:...কেন বেতানো হল, এত ছেলে থাকতে তুমিই কেন বেত খেলে, দেখ এখন টিসি দেয় কিনা...ইত্যাদি কথাবার্তা। সব কথার শেষে ডেজার্ট হিসেবে থাকত, 'জানো, তোমার বাবা কখনও বেত খায় নাই?'
তাই বেত খেয়ে বেত হজম করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না আমার...আমাদের।

মজার কথা হল, আমাদের স্কুলে বেতের নাম্বার দেয়া ছিল। ১ থেকে শুরু করে ৮ পর্যন্ত। নম্বর যত বেশি, বেত তত চিকন, লাগেও তত বেশি। উপর ক্লাসে গিয়ে জানলাম, বেতের বাড়ির একটা সুমধুর নাম আছে...'তবারক'। ৩ পিস ৮নম্বর তবারক...এটার মানে বুঝতে হলে রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়া লাগে না! বেতানোর কারণও নির্দিষ্ট এবং মাঝে মাঝে অনির্দিষ্ট ছিল। নির্দিষ্টগুলো তো সবাই বোঝেন।
অনির্দিষ্ট এর হিসেবে যেমন এক শিক্ষকের কথা না বললেই নয়। উনি ক্লাস থ্রি তে সমাজ পড়াতেন, এরই ফাঁকে নিতেন ডিকটেসন অ্যান্ড ট্রান্সলেসন ক্লাস। দেখা গেল ক্লাসে ঢুকেই বললেন- 'লেখ'। লেখার প্রস্তুতি নিতেই ধুম একপশলা বেতের ম্যাজিক হয়ে গেল...কেন? আমরা কেন তাঁর কথাকে ইংলিশে 'write down' লিখে ফেললাম না। আবার ধরা যাক, কেউ সঙ্গে সঙ্গে লিখে ফেলল write down। আবার মার শুরু...কেন? উনি শুধুই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন, লিখতে বলেন নাই...হা হা হা।

এছাড়া নানা জাতের শারীরিক শাস্তি তো ছিলই। এর মধ্যে ভাঙ্গা চক দিয়ে কানের লতির পেছনে চাপ দেয়া, দুই আঙ্গুলের ফাঁকে পেন্সিলের চাপ, জোড়া স্কেলের বাড়ি, কান ধরে উঠবস, ক্লাসের বাইরে বা পেছনে গিয়ে কান ধরে বা এমনিতেই দাঁড়িয়ে থাকা, কাঠের কম্পাসের বাড়ি...এবং হুজুরের বিখ্যাত চিপটান। সব সহ্য করতে হয়েছে আমাকে, আমাদেরকে। আমার ব্যাচে এমন কোন নিষ্কলঙ্ক নেই যে সারা স্কুল জীবন কোন রকম মার ছাড়া পার করতে পেরেছে।

আমাদের অভিভাবকরা মনে করতেন যে শিক্ষককে তাদের ছেলেদের ওঁরা ইজারা দিয়েছেন, কষ্ট করে বছর দশেক পর যদি চামড়াটা ফেরত পান তাহলেই যথেষ্ট। এমন হাদিসও শুনেছি যে যেই জায়গায় শিক্ষকের বেতের বাড়ি পড়ে সেই জায়গা নাকি সরাসরি জান্নাতে যায়...হা হা হা। এটা সত্য হলে তো আমি নিজে যেতে পারি বা না পারি, আমার নিজের চিপ, কান, পিঠের চামড়া, নিতম্ব আর পা এর জান্নাত কনফার্ম হয়ে গেছে :)

প্রতি ক্লাসেই কিছু তালেবর লোক থাকে যারা কিনা নিজেদের শরীর এই শর্টকাট উপায়ে জান্নাতে ট্রান্সফার করার ব্যবস্থা করে খুব আরাম পায়। আমার এক সতীর্থ এতই মার খেত যে তার 'মহা সহ্য ক্ষমতা' ডেভেলপ করল। একটু উঁচু ক্লাসে উঠে সে ভাড়া খাটা শুরু করল...'বেবিখা', বেতের বিনিময়ে খাবার (টিফিন) । যে-কারো হয়ে সে শাস্তি গ্রহন করবে, বিনিময় হচ্ছে খাইদাই, ফ্রি। তো, সে আমাদের তার অবসর সময়ে নানাজাতের টিপসও দিত। যেমন বেতের বাড়ি চলাকালীন ঘন ঘন শ্বাস নেয়া, শরীর ঢিলা করে দেয়া, কঠিন কোন অঙ্কের কথা গভীর মনোযোগে চিন্তা করা ইত্যাদি। এতে করে নাকি বেতের বাড়ি কম লাগে!

আমি নিজে কিন্তু এই সব শৈশব মারধরের ভয়েই চূড়ান্ত আঁতেল টাইপের হয়ে গিয়েছিলাম। সে কি এক অবস্থা, মন চায় বদমায়েশি করতে কিন্তু ভয় পিছু ডেকে রাখে। গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে গেলেন আমার মা...প্রায় প্রতিদিনই ঘ্যান ঘ্যান করতেন, খবরদার, কখনও খারাপ কিছু যেন না শুনি। তো, তথাস্ত, ভোদাই জীবন মেনে নিতেই হল। স্কুল জীবনে গুডি-গুডি ইমেজের পেছনে একটা ভাল রেজাল্টটাও কম দায়ী নয়।

সবচেয়ে কষ্টের হল কি, একটা সময় দেখালাম, আমি আমার কাছের বন্ধুদের কাছে এইসব কারণে অনেক দূরে সরে গেছি। তা রেজাল্ট তো পড়াশুনা করলেই ধরে রাখা যায়,নাকি? বদমায়েশির তো এর সাথে কোন সম্পর্কই নাই...এই থিয়োরি আবিষ্কারের পর দেখলাম, ওম শান্তি। ধুমায়া পড়া, ধুমায়া বদকাজ। শিক্ষকেরা আর কিছু বলবার পথ পান না। শৈশবের জেলখানায় হিরোইজম ছিল আইন ভেঙ্গে ধরা না খাওয়া...আমার থিওরিতে এই কাজ করা খুব সোজা...খুব...।

অথচ এখন একটা বেতের বাড়ি দিলে দেশের তথাকথিত প্রথম সারির দৈনিকের খবর হয়ে যেতে হয় শিক্ষকদের! আমি ঠিক বুঝি না যে আমরা কি বেশি সভ্য হয়ে গেলাম শুধু এই বেতের বাড়ির ক্ষেত্রেই, নাকি আমাদের ছেলেপেলেরা বেশি নরম হয়ে গেল! অবশ্যই আমি কোনো মেয়েকে কখনও বেতের বাড়ি খেতে দেখি নাই...ওটা একমাত্র ছেলেদেরই এরিয়া ছিল।

শারীরিক শাস্তির বিপক্ষে যারা তারা নিজেরাও কি স্বীকার করবেন না যে ওই শাস্তিটাই মনে থাকে বেশি? এই শাস্তির জন্যই আমার শৈশবে আমি কখনও বায়না ধরি নাই যে আমার একটা বাইক লাগবে, বা একটা সেল ফোন না হলে চলছেই না। এতে কি খুব বেশি নষ্ট গেছি আমি আর আমরা? হ্যাঁ, এখনও যে শিক্ষকের বেতের বাড়ি খেয়েছি, তাঁর সঙ্গে দেখা হলে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করি, তাঁর বেতের বাড়িই আমাকে এতদূর এনেছে। আমাকে লাইন আপ করেছে।

অবশ্যই শাসন প্রয়োজন শৈশবে। সে শাসন হওয়া উচিৎ যৌক্তিক আর বোঝাবার জিনিস। শাসন ছাড়া, ধমক ছাড়া বেড়ে ওঠা ব্যর্থ মানুষ আমি নিজেই একশ একটা দেখাতে পারব। আদরে বাঁদর করবার পেছনে এই সামগ্রিক চক্রান্তের জাল বেড়ে গেছে অনেক। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে আমাকে শাসন করবার কেউ ছিল না। তখনও মাথায় এই ধারণাই বসে ছিল (এবং এখনও আছে) যদি উল্টাপাল্টা কিছু করি মা কষ্ট পাবে, বাপের দুর্নাম হবে। এটা আসলে একটা বোধের ব্যাপার। গোঁফের ন্যায় সবারই গজায়...আগে আর পরে। মনে করি, এই বোধ গজানোর মূল নিয়ামক হল ওই শাস্তিগুলো, ওই বেত আর শাসন। যখন একটা মানুষ শত আদরেও বোঝে না সত্যটা, বুঝতে চায় না, তখন তাকে কি করা দরকার?

ওই বেতটা হল চেতনাটা জাগানোর জন্য শৃঙ্খলা রক্ষার একটা প্রতীক। যে চেতনাগুলো ঘুমিয়ে থাকে, ইবলিশ যেগুলোকে জাগতে দেয় না...তাতে ওই মার দরকার। এই মারের ঝাঁকুনিতে ইবলিশ ভাগে, চেতনা জাগে...জেগেই থাকে...অন্তত আর ঘুমিয়ে পড়ে না। আমরা কি ভেবে দেখেছি, যে ম্যানিয়াক না হলে কতটা নিরুপায় হয়ে একজন শিক্ষক বেতান? আমার নিজের ম্যানিয়াক শিক্ষক ছিলেন যিনি শাস্তি দিতে পারলে আনন্দে চকচকে মুখ নিয়ে হাঁটাচলা করতেন।

এই জাতের লোক হিসাবের বাইরে। সবাই এমন নন। একবার হল কি, হাউজ প্রিফেক্ট অবস্থায় একজনকে নিয়ে গেছি উপাধ্যক্ষের রুমে, তবারকের জন্যে। তো, ওর তবারক খাওয়ার সময় 'আউ' 'আউ' শব্দে আমার হাসি চলে এল...হাসলামও।
তবারক প্রদান শেষে স্যার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,'তুমি হাসলা ক্যান,?
আমি বললাম, 'এমনি স্যার'।
উনি বললেন,'তুমি একটা হাউজের প্রধান, তুমিই আরেকটা ছেলের কষ্ট পাওয়া দেখে হাসো? এ রকম নেতা আমরা বানাচ্ছি? আসো, জানালার শিক ধর দুই হাত দিয়ে'।
আমি বেকুবের মত জিজ্ঞেস করলাম, 'কেন স্যার'?
উনি বললেন, 'তুমি বেত খাওয়ার মত কাম করছ, মিয়া...'।
সে দিন ব্যথা পেয়েছিলাম সত্য কিন্তু আজ মনে হয়, কত জানতেন আমার শিক্ষক! আফসোস, দেশের রাজনৈতিক নেতাদের বেশির ভাগই মনে হয় এই তবারক পান নাই...তাহলে অন্যের ব্যথা পাওয়ার সময় তাঁরা নির্বিকার থাকতেন না, হাসতেন না।

কত অকাজ করি এখন...একে ধমক দেই, তাকে শাসাই, এর সাথে উঁচু গলায় কথা বলি, তার সঙ্গে গালি গালাজ করি, রাত করে বাড়ি ফিরি, পরিবারের সবাইকে চিন্তার মধ্যে রাখি...কেউ আর বেত দিয়ে বাড়ি দেয় না। ডিয়ার বেত, যেদিন থেকে তোমার ভয় আমার কেটে গেছে, সেদিন থেকে আমি স্পয়েল্ড হয়ে গেছি। আমাকে শাসন করবার, বুক ভরা আদর নিয়ে হাতে চিকন বেত নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো কমে গেছে, যাচ্ছে। তাঁদের বেতের বাড়ি যে বেদনা দিয়েছে তা চেতনারই সমার্থক। ওই যে বুড়ো রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন না:

'আরও বেদনা আরও বেদনা
প্রভু দাও মোরে আরও চেতনা
দ্বার টুটায়ে বাঁধা ছুটায়ে
তুমি কর ত্রাণ তুমি কর ত্রাণ...'

সেই রকম অনেকটা...। তীব্র বিষাদে থাকি অহর্নিশি...ত্রাণ আর পাইনা, বেত বা বেত হাতের মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা হয় না...অন্য রকম বেদনার ভারে চেতনা ছোট হয়ে আসে...সেই ভার বাড়তেই থাকে...বাড়তেই থাকে...। ডিয়ার বেত, আই মিস ইউ...।"

Farjanul Islam Nirjhor (http://www.facebook.com/Farjanul)

7 comments:

মুহিব said...

>দারুন লাগল লেখাটা।<

Anonymous said...

thumbs up!

Anonymous said...

আজব, এইটা কেমন কথা হইল? এই আধুনিক যুগে বেত দিয়ে পিটিয়ে ছাল তুলে ফেলা হবে!?

সায়ন said...

শৈশবের স্মৃতিচারণ হিসেবে লেখাটা ঠিকাছে। কিন্তু শিশুদের শারিরিক শাস্তির পক্ষে জাস্টিফিকেশন খারাপ লাগল। শিশুদের জন্য শারিরিক শাস্তি যে তাদের মনোঃজগতের জন্য কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটার ফার্ষ্ঠহ্যান্ড অভিজ্ঞতা আমার আছে। সময় পেলে অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করা যাবে :(

আলী মাহমেদ - ali mahmed said...

এর সবটুকু কৃতিত্ব এই পোস্টের লেখক নির্ঝরের প্রাপ্য। @মুহিব,Anonymous

বেতকে আপনি কেবল একটা বেত হিসাবেই কেন দেখছেন? শাসন বলুন বা বিবেক- এটা প্রতীকী অর্থে দেখলে বিষয়টা বুঝতে আপনার খানিক সুবিধে হবে @Anonymous

আলী মাহমেদ - ali mahmed said...

"শিশুদের জন্য শারিরিক শাস্তি যে তাদের মনোঃজগতের জন্য কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটার ফার্ষ্ঠহ্যান্ড অভিজ্ঞতা আমার আছে। সময় পেলে অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করা যাবে :( "

ঝেড়ে ফেলুন মানে লিখে ফেলুন :)

Shahadat Udraji said...

কোনবা পথে নিতাই গঞ্জ যাই!

* শিশুদের মারের বিপক্ষে আমি। কিন্তু মাঝে মাঝে না মারলে বা মারের ভয় না দেখালে...।। আসলে মাথায় কিছু ধরে না...