কখনও-কখনও আমরা যেমন মরে গিয়ে অভিজাত পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় জায়গা করে নেই তেমনি এই দেশের সমস্ত পত্রিকার আঞ্চলিক প্রতিনিধিরাও টর্নেডোর কল্যাণে প্রথম পাতায়, সংবাদের সঙ্গে তাঁদের নামও চলে আসে। এ যে কী এক পাওয়া! কারণ সমস্ত মিডিয়া-হাউজগুলোর আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের প্রতি থাকে সীমাহীন তাচ্ছিল্য। আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের পাঠানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছাপা হয় না, হলেও হবে মফস্বল পাতায়। ব্রাক্ষণ, শূদ্রের খেলা আর কী!
এবং অধিকাংশ পত্রিকাই আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের প্রাপ্য টাকা দেয় না। ফল যা হওয়ার তাই হয়। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।
অন্য একটা উদাহরণ দেয়া যাক, যেমন আজকের প্রথম আলো। প্রতিবেদক হিসাবে ৪ জনের নাম দেখছি। প্রথম আলো সব কিছুতেই প্রথম, কেরামতিতেও! এই পত্রিকার কোনো-কোনো লেখায় ৮/১০ জনের নামও দেখেছি। ৮/১০ জন মিলে কেমন করে লেখাটা প্রসব করেন এটা বিস্তারিত আমি জানি না- প্রসববেদনার সময় আমি সামনে থাকি না, আমার আবার এই সব সহ্য হয় না। অনুমান করি, কেউ হয়তো লিখল, আমি; অন্যজন লিখল, তুমি এইভাবে হয়তো লেখাটা এগুতে থাকে।
যাই হোক, গতকাল ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, এই প্রতিবেদনে নাম গেছে চারজনের। ওই সংবাদে প্রথমে নাম গেছে রাজীব নূরের, তিনি এই পত্রিকার ঢাকা আপিস থেকে আসা লোক, এরপর ভৈরবের সুমন মোল্লা, তারপর ব্রাক্ষণবাড়িয়ার শাহাদৎ হোসেন, সবশেষে আখাউড়ার দুলাল ঘোষ। উপর ধেকে সিঁড়ির ধাপে ধাপে নামগুলো এসেছে। ওই যে বললাম, ব্রাক্ষণ-শূদ্রের খেলা! বাকী আছেন কসবার প্রতিবেদক সোহরাব হোসেন, সরাইলের ...। এই টিমে অচিরেই এরা যোগ দেবেন বলে আমরা আশা করতে পারি।
প্রতিবেদনের সঙ্গে পত্রিকাটি ছবিও একটা ছাপিয়েছে। ফটোগ্রাফের নাম হচ্ছে, 'প্রথম আলো'। বিচিত্র নাম! ছবিটাও এমন, প্রধানমন্ত্রী এক নারীকে জড়িয়ে ধরে আছেন, সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পত্র-পত্রিকায় এই সব ছবি আমরা এতো দেখেছি যে এখন চোখে গ্লিসারিন ঘষেও পানি আসে না।
সব কিছুই ঘুরপাক খাচ্ছে, ব্রাক্ষণবাড়িয়াকে কেন্দ্র করে। অথচ অনেকের কাছে লোকজনের দিয়ে যাওয়া চাল আছে কিন্তু রান্না করে খাওয়ার জন্য হাঁড়ি-পাতিল নাই!
যাই হোক, ওখান থেকে ঘুরে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলো। জানতে চাইলাম, সহায়তার কী অবস্থা? এখনকার প্রজন্ম অতি চৌকশ! এরা সবাই একটা বাক্য দিয়েই কাজ সারল, 'ঈশ্বরের বাস ভদ্র পল্লীতে'। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার মধ্যে 'চিনাইর' নামে একটা জায়গা আছে। ওই এলাকাটা আবার একজন দাপুটে সাংসদের এলাকা। অধিকাংশ ত্রাণই নাকি ওখানে যাচ্ছে। ওদের মোদ্দা কথা, আপাতত ওটা 'ভদ্র পল্লী'!
গতকাল প্রধানমন্ত্রী আসার পূর্বে সেনাবাহিনীর লোকজন তাবু বসানো শুরু করল। রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুতের খুঁটি হেন-তেন কাজও শুরু হলো। তাও প্রধানমন্ত্রী যেসব জায়গা পরিদর্শন করবেন সেইসব এলাকায়।
শেখ হাসিনা যেমনটা দেখতে চেয়েছেন তাঁর লোকজনেরা তাঁকে তেমনটাই দেখিয়েছেন।
ঢাকা থেকে কিছু লোকজনেরাও আসছেন, পিকনিক মুড নিয়ে। ফটাফট ছবি উঠাচ্ছেন। চমৎকারসব ফটোসেশন। ত্রাণসহ হাত বাঁয়ে তো মুখ ডানে, ক্যামেরার পানে।
মানবতার খেলা চলছে। মানবতার খেলা চলবে।
এরশাদ গেলেন, এরপর শেখ হাসিনা এলেন। খালেদা জিয়া এখনও তশরীফ আনেননি। তিনিও আসবেন কারণ মানবতার খেলায় তিনি তো আর পিছিয়ে থাকতে পারেন না। আশা করছি, তিনিও কোনো মহিলা, কাউকে-না-কাউকে পাবেন জড়িয়ে ধরার জন্য। যেটা দেখে আমরা ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেলব। অচিরেই তিনিও এই মানবতার খেলায় যোগ দেবেন। আমরা অপেক্ষোয় আছি।
এবং অধিকাংশ পত্রিকাই আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের প্রাপ্য টাকা দেয় না। ফল যা হওয়ার তাই হয়। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।
অন্য একটা উদাহরণ দেয়া যাক, যেমন আজকের প্রথম আলো। প্রতিবেদক হিসাবে ৪ জনের নাম দেখছি। প্রথম আলো সব কিছুতেই প্রথম, কেরামতিতেও! এই পত্রিকার কোনো-কোনো লেখায় ৮/১০ জনের নামও দেখেছি। ৮/১০ জন মিলে কেমন করে লেখাটা প্রসব করেন এটা বিস্তারিত আমি জানি না- প্রসববেদনার সময় আমি সামনে থাকি না, আমার আবার এই সব সহ্য হয় না। অনুমান করি, কেউ হয়তো লিখল, আমি; অন্যজন লিখল, তুমি এইভাবে হয়তো লেখাটা এগুতে থাকে।
যাই হোক, গতকাল ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, এই প্রতিবেদনে নাম গেছে চারজনের। ওই সংবাদে প্রথমে নাম গেছে রাজীব নূরের, তিনি এই পত্রিকার ঢাকা আপিস থেকে আসা লোক, এরপর ভৈরবের সুমন মোল্লা, তারপর ব্রাক্ষণবাড়িয়ার শাহাদৎ হোসেন, সবশেষে আখাউড়ার দুলাল ঘোষ। উপর ধেকে সিঁড়ির ধাপে ধাপে নামগুলো এসেছে। ওই যে বললাম, ব্রাক্ষণ-শূদ্রের খেলা! বাকী আছেন কসবার প্রতিবেদক সোহরাব হোসেন, সরাইলের ...। এই টিমে অচিরেই এরা যোগ দেবেন বলে আমরা আশা করতে পারি।
প্রতিবেদনের সঙ্গে পত্রিকাটি ছবিও একটা ছাপিয়েছে। ফটোগ্রাফের নাম হচ্ছে, 'প্রথম আলো'। বিচিত্র নাম! ছবিটাও এমন, প্রধানমন্ত্রী এক নারীকে জড়িয়ে ধরে আছেন, সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পত্র-পত্রিকায় এই সব ছবি আমরা এতো দেখেছি যে এখন চোখে গ্লিসারিন ঘষেও পানি আসে না।
সব কিছুই ঘুরপাক খাচ্ছে, ব্রাক্ষণবাড়িয়াকে কেন্দ্র করে। অথচ অনেকের কাছে লোকজনের দিয়ে যাওয়া চাল আছে কিন্তু রান্না করে খাওয়ার জন্য হাঁড়ি-পাতিল নাই!
যাই হোক, ওখান থেকে ঘুরে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলো। জানতে চাইলাম, সহায়তার কী অবস্থা? এখনকার প্রজন্ম অতি চৌকশ! এরা সবাই একটা বাক্য দিয়েই কাজ সারল, 'ঈশ্বরের বাস ভদ্র পল্লীতে'। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার মধ্যে 'চিনাইর' নামে একটা জায়গা আছে। ওই এলাকাটা আবার একজন দাপুটে সাংসদের এলাকা। অধিকাংশ ত্রাণই নাকি ওখানে যাচ্ছে। ওদের মোদ্দা কথা, আপাতত ওটা 'ভদ্র পল্লী'!
গতকাল প্রধানমন্ত্রী আসার পূর্বে সেনাবাহিনীর লোকজন তাবু বসানো শুরু করল। রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুতের খুঁটি হেন-তেন কাজও শুরু হলো। তাও প্রধানমন্ত্রী যেসব জায়গা পরিদর্শন করবেন সেইসব এলাকায়।
শেখ হাসিনা যেমনটা দেখতে চেয়েছেন তাঁর লোকজনেরা তাঁকে তেমনটাই দেখিয়েছেন।
ঢাকা থেকে কিছু লোকজনেরাও আসছেন, পিকনিক মুড নিয়ে। ফটাফট ছবি উঠাচ্ছেন। চমৎকারসব ফটোসেশন। ত্রাণসহ হাত বাঁয়ে তো মুখ ডানে, ক্যামেরার পানে।
মানবতার খেলা চলছে। মানবতার খেলা চলবে।
এরশাদ গেলেন, এরপর শেখ হাসিনা এলেন। খালেদা জিয়া এখনও তশরীফ আনেননি। তিনিও আসবেন কারণ মানবতার খেলায় তিনি তো আর পিছিয়ে থাকতে পারেন না। আশা করছি, তিনিও কোনো মহিলা, কাউকে-না-কাউকে পাবেন জড়িয়ে ধরার জন্য। যেটা দেখে আমরা ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেলব। অচিরেই তিনিও এই মানবতার খেলায় যোগ দেবেন। আমরা অপেক্ষোয় আছি।
No comments:
Post a Comment