ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে প্রকাশিত 'দৈনিক সংবাদে' (অন্য আরও কিছু
পত্রিকায়ও) প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়, গত শনিবার বিকেলে প্রদেশ বিজেপি ভারতীয়
জনতা পার্টি তাদের কৃষ্ণনগরের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বিজেপির
সভাপতি সুধীন্দ্র দাসগুপ্তের সভাপতিত্বে ওখান থেকে এরা এক কর্মসুচী দেন।
আনুমানিক ৭০০ বিজেপির সদস্য পয়দল-হেঁটে আগরতলা থেকে ঢাকা আসবেন। অবশ্য ঢাকা গিয়ে এরা কোথায় উঠবেন বা কার আতিথ্য গ্রহন করবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি।
সঙ্গে নিয়ে আসা চিড়া-গুড়-মুড়ির পোঁটলা থেকে বেঁচে যাওয়া চিড়া-গুড় কি ফেরত যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন নাকি বাকীটুকু আমাদেরকে দিয়ে যাবেন, তাও স্থির হয়নি।
এটাও বলা হয়নি, এদের লংমার্চ শেষ হলে এরা কি এই দেশেই থেকে যাবেন নাকি খানিক তফলীফ করে পশ্চাদদেশ উত্তোলন করে ফেরত যাবেন।
তা দাদাদের বিষয়টা কী! বিষয় আর কিছু না। ভারতীয় জনতা পার্টি নামের অতি উগ্র এই দলটির মন আজকাল খুবই নরোম। এরা চোখের জলে ভাসতে ভাসতে অন্তর্বাস ভিজেয়ে ফেলেছেন। খানিক পরপর অন্তর্বাস বদলাতে বদলাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু দমকলের মত এমন চোখের জলের উৎস কী! উৎস হচ্ছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, তাঁদের উপর নির্যাতন বন্ধ এবং জানমাল রক্ষার দাবীতে তাদের এই পদযাত্রা, সোজা ঢাকায়। ঢাকায় গিয়ে এরা কু করবেন। পড়ুন কু, ক্যু না। কু ডাক দেবেন। কোকিলের মত কুউ-কু করে দাবী জানাবেন।
কিন্তু বাংলাদেশ সম্ভবত অতিথিপরায়ন না-বলেই 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ' তৎপর হয়ে উঠে। এদেরকে ঠেকাবার জন্য অতিরিক্ত জনবল যোগ দেয়। এবং বাংলাদেশের অনুরোধে পরে যোগ দেয় ভারতের বিএসএফ। ভারতের ১৯৫ ব্যাটিলিয়ানের লে. কর্নেল চিতর পাল এবং বাংলাদেশের ১২ ব্যাটিলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সাজাহান। দুই দেশের দুই অধিনায়ক মিলে স্থির করেন বিজেপি, ভারতীয় জনতা পার্টির কাউকেই সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়া হবে না।
যাই হোক, শেষ খবর হচ্ছে, আজকে আগরতলার গোলচত্বর পর্যন্তই এদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল।
কথা সেটা না, আমি দাদাদের কান্ড দেখে ভাবছি, কেবল ভাবছি। ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলাদেশকে কি তাদের প্রদেশ মনে করছে! এই দেশ কী আপনাদের তালুক? এখন মানবতা ... আসছেন! আমরা কি ভুলে গেছি বাবরী মসজিদ নিয়ে আপনাদের লাগানো দাঙ্গা- গরম গরম রক্তের স্রোতে আপনারা কী নির্বিকার ভঙ্গিতেই না চটি পায়ে হেঁটে গেছেন? আমরা কী ভুলে গেছি, ট্রেনে আপনাদের লাগানো আগুনের কথা। চড়চড় করে যখন মানুষের বাচ্চাদের চামড়া পুড়ছিল তখন আপনারা পান চিবুচ্ছিলেন?
এ সত্য, আমাদের দেশে হিন্দুদের উপর (অনেকে হিন্দুদের সংখ্যলঘু বলে আমোদ পান, খ্রিস্টানরা সম্ভবত সংখ্যালঘু না, এদের গির্জা গির্জা না) যে অন্যায় হয়েছে, মন্দির ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, এই কারণে আমরা লজ্জায় নতজানু হই। (যেমনটা আমরা কুঁকড়ে যাই আমাদের শহীদ মিনার গুড়িয়ে দিলে)। এ অন্যায়-এ অন্যায়! এই অন্যায়ের সঙ্গে তুলনা হয় কীসের, আমি জানি না। কেবল জানি, একটা ধর্ম যখন অন্য ধর্মের প্রতি সমান মর্যাদা রক্ষা করতে পারে না তখন সেই ধর্মের কোনো অধিকার নাই নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ, মহান বলে দাবী করার।
এই দেশ যেমন একজন মুসলমানের তেমনি একজন হিন্দুরও। কারও প্রতি কারো অন্যায়-রাগ-ক্ষোভ-অভিমান থাকলে সেটা আমরা নিজেরাই নিজেরা ঠিক করব।
আপনারা কে? আপনাদের এখানে কী কাজ! ভাগ্যিস, আপনারা আসার সুযোগ পাননি। দাদা, বিষযটা আমাদের ব্যক্তিগত, খুবই ব্যক্তিগত- শোবারঘরের মত। এ সত্য, আমরা অতি অতিথিপরায়ণ জাতি কিন্তু আমাদের শোবারঘরে যারা উঁকি দেয় এদেরকে আমরা ঘাড় ধরে বের করে দেই। দ্বিতীয়বার উঁকি দিলে চোখ গেলে দেই। জঙ্গলে চলে কেবল জঙ্গলের আইন।
* ছবিটা বাংলাদেশ সীমান্তের, আজকের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সতর্ক অবস্থান
**কিছু তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন, Sameer Chakraborty, কৃতজ্ঞতা।
আনুমানিক ৭০০ বিজেপির সদস্য পয়দল-হেঁটে আগরতলা থেকে ঢাকা আসবেন। অবশ্য ঢাকা গিয়ে এরা কোথায় উঠবেন বা কার আতিথ্য গ্রহন করবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি।
সঙ্গে নিয়ে আসা চিড়া-গুড়-মুড়ির পোঁটলা থেকে বেঁচে যাওয়া চিড়া-গুড় কি ফেরত যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন নাকি বাকীটুকু আমাদেরকে দিয়ে যাবেন, তাও স্থির হয়নি।
এটাও বলা হয়নি, এদের লংমার্চ শেষ হলে এরা কি এই দেশেই থেকে যাবেন নাকি খানিক তফলীফ করে পশ্চাদদেশ উত্তোলন করে ফেরত যাবেন।
তা দাদাদের বিষয়টা কী! বিষয় আর কিছু না। ভারতীয় জনতা পার্টি নামের অতি উগ্র এই দলটির মন আজকাল খুবই নরোম। এরা চোখের জলে ভাসতে ভাসতে অন্তর্বাস ভিজেয়ে ফেলেছেন। খানিক পরপর অন্তর্বাস বদলাতে বদলাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু দমকলের মত এমন চোখের জলের উৎস কী! উৎস হচ্ছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, তাঁদের উপর নির্যাতন বন্ধ এবং জানমাল রক্ষার দাবীতে তাদের এই পদযাত্রা, সোজা ঢাকায়। ঢাকায় গিয়ে এরা কু করবেন। পড়ুন কু, ক্যু না। কু ডাক দেবেন। কোকিলের মত কুউ-কু করে দাবী জানাবেন।
কিন্তু বাংলাদেশ সম্ভবত অতিথিপরায়ন না-বলেই 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ' তৎপর হয়ে উঠে। এদেরকে ঠেকাবার জন্য অতিরিক্ত জনবল যোগ দেয়। এবং বাংলাদেশের অনুরোধে পরে যোগ দেয় ভারতের বিএসএফ। ভারতের ১৯৫ ব্যাটিলিয়ানের লে. কর্নেল চিতর পাল এবং বাংলাদেশের ১২ ব্যাটিলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সাজাহান। দুই দেশের দুই অধিনায়ক মিলে স্থির করেন বিজেপি, ভারতীয় জনতা পার্টির কাউকেই সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়া হবে না।
যাই হোক, শেষ খবর হচ্ছে, আজকে আগরতলার গোলচত্বর পর্যন্তই এদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল।
কথা সেটা না, আমি দাদাদের কান্ড দেখে ভাবছি, কেবল ভাবছি। ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলাদেশকে কি তাদের প্রদেশ মনে করছে! এই দেশ কী আপনাদের তালুক? এখন মানবতা ... আসছেন! আমরা কি ভুলে গেছি বাবরী মসজিদ নিয়ে আপনাদের লাগানো দাঙ্গা- গরম গরম রক্তের স্রোতে আপনারা কী নির্বিকার ভঙ্গিতেই না চটি পায়ে হেঁটে গেছেন? আমরা কী ভুলে গেছি, ট্রেনে আপনাদের লাগানো আগুনের কথা। চড়চড় করে যখন মানুষের বাচ্চাদের চামড়া পুড়ছিল তখন আপনারা পান চিবুচ্ছিলেন?
এ সত্য, আমাদের দেশে হিন্দুদের উপর (অনেকে হিন্দুদের সংখ্যলঘু বলে আমোদ পান, খ্রিস্টানরা সম্ভবত সংখ্যালঘু না, এদের গির্জা গির্জা না) যে অন্যায় হয়েছে, মন্দির ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, এই কারণে আমরা লজ্জায় নতজানু হই। (যেমনটা আমরা কুঁকড়ে যাই আমাদের শহীদ মিনার গুড়িয়ে দিলে)। এ অন্যায়-এ অন্যায়! এই অন্যায়ের সঙ্গে তুলনা হয় কীসের, আমি জানি না। কেবল জানি, একটা ধর্ম যখন অন্য ধর্মের প্রতি সমান মর্যাদা রক্ষা করতে পারে না তখন সেই ধর্মের কোনো অধিকার নাই নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ, মহান বলে দাবী করার।
এই দেশ যেমন একজন মুসলমানের তেমনি একজন হিন্দুরও। কারও প্রতি কারো অন্যায়-রাগ-ক্ষোভ-অভিমান থাকলে সেটা আমরা নিজেরাই নিজেরা ঠিক করব।
আপনারা কে? আপনাদের এখানে কী কাজ! ভাগ্যিস, আপনারা আসার সুযোগ পাননি। দাদা, বিষযটা আমাদের ব্যক্তিগত, খুবই ব্যক্তিগত- শোবারঘরের মত। এ সত্য, আমরা অতি অতিথিপরায়ণ জাতি কিন্তু আমাদের শোবারঘরে যারা উঁকি দেয় এদেরকে আমরা ঘাড় ধরে বের করে দেই। দ্বিতীয়বার উঁকি দিলে চোখ গেলে দেই। জঙ্গলে চলে কেবল জঙ্গলের আইন।
* ছবিটা বাংলাদেশ সীমান্তের, আজকের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সতর্ক অবস্থান
**কিছু তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন, Sameer Chakraborty, কৃতজ্ঞতা।
No comments:
Post a Comment