এই গ্রহের সবচেয়ে বড়ো কষ্ট- ক্ষুধার কষ্ট। আমার কাছের লোকজনেরা এটা বিলক্ষণ জানেন, যখন আমার পেটে আগুন ধরে যায় তখন মনে হয়, এই গ্রহ রসাতলে গেলেও আমার কিসসু যায় আসে না।
ঘন্টার-পর-ঘন্টা চলে যাচ্ছে, পেরিয়ে যাচ্ছে দিন। শহীদ 'রুমী স্কোয়াডের' যারা অনশনে অভুক্ত আছেন তাঁদের কথা ভেবে আমার ভাবনা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কী কষ্ট-কী কষ্ট! এর শেষ পরিণতি কী! এও কী সম্ভব? জামাত নিষিদ্ধ হবে, এখুনি? আহা, এর পেছনে যে আছে অনেক হিসাব-কিতাব, সবারই। তাহলে
এঁদের গতি কী!
আসলে এখানেই এঁদের সঙ্গে আমার মত 'ভাবাভাবি' মানুষদের পার্থক্য। আমরা ভাবনায় তলিয়ে যাই এঁরা করে দেখিয়ে দেন।
রাগী যুবকের দ্রোহ যখন দুর্দান্ত ক্রোধে পাক খেয়ে উঠে তখন তাঁদেরকেই আমরা বলি, 'হি ইজ আ ভলকানো'। তাঁর কোনো 'যুক্তির সঙ্গে চুক্তি' করার অবকাশ কোথায়! কোন নেতা ২৪ ঘন্টার পর এসে সংহতি জানাবেন বা কে মোটা-মোটা কেতাব সুর করে পড়বেন অথবা হেভিওয়েট-ওভারওয়েট তারকারা গবেষণা করে কখন অনশন করার সনদ দেবেন এই সব ভাবাভাবির সময় কোথায় এঁদের।যে যেভাবে পারবে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করার চেষ্টা করবে, সমস্যা তো নেই। ১৯৭১ সালে যে মানুষটির পরিবারের ২৬ জনকে, বাবা-মা-ভাই-বোন-চাচাকে পিটিয়ে, চোখের সামনে জবাই করে খুন করা হয়েছিল; সেই মানুষটি আজ যদি রাগে-ক্ষোভে-কষ্টে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন, তিনি তো আর কোনো নেতাকে কদমবুসি করে কাজটা করবেন না!
আসলে এদের অসহ্য বেদনার চেয়ে যেটা ছাপিয়ে উঠছে আমাদের কাছে, এঁরা গায়ে কী দিয়ে আগুন ধরালেন, পেট্রল নাকি কেরেসিন। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হবে, চলতে থাকবে...।
...
একেক দেশের একেক চল। আমাদের দেশের চল হচ্ছে জীবিত থাকতে কারো কদর নেই। মারা যাওয়ার পর 'হায় লাশ-হায় লাশ' বলে আমরা কিছুটা কাল বুক পিটাই। চোখের জলে ভিজে যাওয়া অন্তর্বাস রোদে মেলে দেই, পরবর্তী মৃতদেহের অপেক্ষায়।
এই যে ব্রাক্ষবাড়িয়ায় টর্নেডো হয়ে গেল। মিডিয়া থেকে শুরু করে সবাই কেবল গুনছিল কয়জন মারা গেল? ২০-২২-২৫-৩১। কিন্তু যে শিশুটার মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে? যে মানুষটার ভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে আর সে হাহাকার করে বলছে, 'ডাক্তার সাব, এইটা সিলাই কইরা দেন, আমি বাঁইচা যামু'; এদের খোঁজে আমাদের খুব একটা আগ্রহ নাই। এরা লাশের খেলা থেকে বাদ।
'রুমী স্কোয়াডে' যে এখন ছেলেগুলো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, এদের নিয়ে আমরা অনেকখানি উদাস হয়ে আছি। আমাদের ভাবখানা দেখি না কী হয়! আমরা সরু চোখে তাকিয়ে আছি। আহা, হাওয়া কোন দিকে বয়, এটাও যে জানাটা জরুরি। যেদিকে রোদ সেদিকে ছাতি। এদের নিয়ে পোস্টগুলোতে আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করছি। তাছাড়া এখানে আছে চিনেবাদাম, কাজুবাদামের খেলা। কে কোন বাদাম চিবুচ্ছেন এটা লক্ষ রাখাটাও জরুরি। কখন যে কোন 'হাগুম্যান' পিঠে ছাগুর ছাপ এঁকে দেন এ থেতে বাঁচাটাও এক জটিলতা।
এখানে আবার অনেকেই সনদ বিলি করেন, কেউ আস্তিকতার, কেউ ছাগুর, কেউ পাগুর। এই জটিল দায়িত্বটা এরা নিজেরাই নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন, কাউকে জিগেস করতে বয়েই গেছে।
এ তো আর নতুন কিছু না। আমাদের বিভাজন তো শুরু হয় জন্মের পর থেকেই। এ কি মানুষের বাচ্চা, না পশুর? মানুষ, বেশ, তা কোন ধর্মের? তারপর কোন দলের? এই দেশে কোনো দলের কেউ নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পেলে, দাও ব্যাটাকে ইলেকট্রিক পোলে ঝুলিয়ে, দলছুট অভাগাটাকে তো আর বাঁচাতে কেউ আসছে না।
'রুমী স্কোয়াড' নিয়ে মিডিয়া ঝিম মেরে ছিল। যেসব মিডিয়ার চ্যাংড়া পোলাপানদের দেখা গেছে, কাঁপা কাঁপা গলায় কীসব ভঙ্গি করতে এরাও উধাও! ওদের ওই সব ভঙ্গি নিয়ে আমি খানিক ভয়ে ভয়ে থাকতাম, তারে পা পেঁচিয়ে না-একটা কেলেঙ্কারি করে ফেলে।
কিন্তু এখন খোঁজ নিলে দেখা যাবে এরা ঠিকই একটা স্টোরি ঠিক করে রেখেছে। কিন্তু সেটার জন্য একটা মৃতদেহ খুব জরুরি।
অবশ্য আশার কথা, এখন খানিকটা নড়েচড়ে বসেছে। কিন্তু কারো মৃত্যু না-হলে খেলাটা আসলে ঠিক জমছে না।
মিডিয়ায় যেমন মিডিয়াঈশ্বর আছেন তেমনি 'অনলাইনঈশ্বরও' আছেন। 'অনলাইন এক্টিভিক্টিফিক্টিসিস্টি' নামের একটা জিনিস আছে। আমি ইংরাজিতে খুবই দুর্বল বলে 'এক্টিভিক্টিফিক্টিসিস্টি' শব্দটা লিখতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। তো, এইসব বেয়াদপ ছেলেপুলেগুলো মরতে যাওয়ার আগে অনলাইনঈশ্বরের পা ধরে কদমবুসি করে যায়নি যে। কী সর্বনাশ-কী সর্বনাশ! সাধু ব্যতীত কী সাধন হয়? আহা, অনলাইনঈশ্বর, পেটে চর্বি-পেছনে চর্বি-চোখের নীচে চর্বি। চর্বিতে চর্বিতে চর্বিতচর্বণ।
একজন মাহমুদুর রহমান যখন পত্রিকায় কোনো ধরনের সূত্র ব্যতীত এটা ছাপান, অনশনরত এই ছেলেগুলো নিয়ম করে ভুঁড়িভোজন করছে তখন আমরা শুঁয়োপোকা দেখার মত ভঙ্গি করে বলি, 'চুতিয়া হচ্ছে চুতিয়া, কুতিয়া হচ্ছে কুতিয়া'। কিন্তু আমাদেরই লোকজন যখন এটা বলেন, এরা আন্দেলন করবে নাকি লুকিয়ে খিচুরি খাবে...তখন কেবল একটা কথাই মনে হয়, এদের মগজেও চর্বি।
আচ্ছা, রাস্তায় যখন কেউ রক্তে ভাসতে ভাসতে ছটফট করতে থাকেন তখন কী আমরা তাকে জিগেস করি? সে কোন ধর্মের, কোন দলের?
তাহলে এই রুমী স্কোয়াডের ছেলেগুলোর জন্য কেন? একেক করে এই বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেগুলো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগে এদের বাঁচাই তারপর না-হয় এদের ব্যবচ্ছেদ করব। কিন্তু আমরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছি। কারণ এঁরা আমাদের রক্তের কেউ না, প্রিয়মানুষের তালিকায় এঁরা নেই।
রাজনৈতিক দলগুলোও ঝিম মেরে আছে কারণ এদেরও প্রয়োজন একটা মৃতদেহের পরিবার । যাদের জড়িয়ে কান্না-কান্না ভাব করা যায়। মিডিয়ায় সেই ছবিটা ছাপা হলে আমরাও কুকুরের মত ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেলব। লাশের রাজনীতি এদের চেয়ে আর ভাল কে বোঝেন? আর আমরা তো এই সব নেতাদেরই যোগ্য উত্তরসূরী...
ঘন্টার-পর-ঘন্টা চলে যাচ্ছে, পেরিয়ে যাচ্ছে দিন। শহীদ 'রুমী স্কোয়াডের' যারা অনশনে অভুক্ত আছেন তাঁদের কথা ভেবে আমার ভাবনা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কী কষ্ট-কী কষ্ট! এর শেষ পরিণতি কী! এও কী সম্ভব? জামাত নিষিদ্ধ হবে, এখুনি? আহা, এর পেছনে যে আছে অনেক হিসাব-কিতাব, সবারই। তাহলে
এঁদের গতি কী!
আসলে এখানেই এঁদের সঙ্গে আমার মত 'ভাবাভাবি' মানুষদের পার্থক্য। আমরা ভাবনায় তলিয়ে যাই এঁরা করে দেখিয়ে দেন।
রাগী যুবকের দ্রোহ যখন দুর্দান্ত ক্রোধে পাক খেয়ে উঠে তখন তাঁদেরকেই আমরা বলি, 'হি ইজ আ ভলকানো'। তাঁর কোনো 'যুক্তির সঙ্গে চুক্তি' করার অবকাশ কোথায়! কোন নেতা ২৪ ঘন্টার পর এসে সংহতি জানাবেন বা কে মোটা-মোটা কেতাব সুর করে পড়বেন অথবা হেভিওয়েট-ওভারওয়েট তারকারা গবেষণা করে কখন অনশন করার সনদ দেবেন এই সব ভাবাভাবির সময় কোথায় এঁদের।যে যেভাবে পারবে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করার চেষ্টা করবে, সমস্যা তো নেই। ১৯৭১ সালে যে মানুষটির পরিবারের ২৬ জনকে, বাবা-মা-ভাই-বোন-চাচাকে পিটিয়ে, চোখের সামনে জবাই করে খুন করা হয়েছিল; সেই মানুষটি আজ যদি রাগে-ক্ষোভে-কষ্টে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন, তিনি তো আর কোনো নেতাকে কদমবুসি করে কাজটা করবেন না!
আসলে এদের অসহ্য বেদনার চেয়ে যেটা ছাপিয়ে উঠছে আমাদের কাছে, এঁরা গায়ে কী দিয়ে আগুন ধরালেন, পেট্রল নাকি কেরেসিন। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হবে, চলতে থাকবে...।
...
একেক দেশের একেক চল। আমাদের দেশের চল হচ্ছে জীবিত থাকতে কারো কদর নেই। মারা যাওয়ার পর 'হায় লাশ-হায় লাশ' বলে আমরা কিছুটা কাল বুক পিটাই। চোখের জলে ভিজে যাওয়া অন্তর্বাস রোদে মেলে দেই, পরবর্তী মৃতদেহের অপেক্ষায়।
এই যে ব্রাক্ষবাড়িয়ায় টর্নেডো হয়ে গেল। মিডিয়া থেকে শুরু করে সবাই কেবল গুনছিল কয়জন মারা গেল? ২০-২২-২৫-৩১। কিন্তু যে শিশুটার মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে? যে মানুষটার ভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে আর সে হাহাকার করে বলছে, 'ডাক্তার সাব, এইটা সিলাই কইরা দেন, আমি বাঁইচা যামু'; এদের খোঁজে আমাদের খুব একটা আগ্রহ নাই। এরা লাশের খেলা থেকে বাদ।
'রুমী স্কোয়াডে' যে এখন ছেলেগুলো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, এদের নিয়ে আমরা অনেকখানি উদাস হয়ে আছি। আমাদের ভাবখানা দেখি না কী হয়! আমরা সরু চোখে তাকিয়ে আছি। আহা, হাওয়া কোন দিকে বয়, এটাও যে জানাটা জরুরি। যেদিকে রোদ সেদিকে ছাতি। এদের নিয়ে পোস্টগুলোতে আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করছি। তাছাড়া এখানে আছে চিনেবাদাম, কাজুবাদামের খেলা। কে কোন বাদাম চিবুচ্ছেন এটা লক্ষ রাখাটাও জরুরি। কখন যে কোন 'হাগুম্যান' পিঠে ছাগুর ছাপ এঁকে দেন এ থেতে বাঁচাটাও এক জটিলতা।
এখানে আবার অনেকেই সনদ বিলি করেন, কেউ আস্তিকতার, কেউ ছাগুর, কেউ পাগুর। এই জটিল দায়িত্বটা এরা নিজেরাই নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন, কাউকে জিগেস করতে বয়েই গেছে।
এ তো আর নতুন কিছু না। আমাদের বিভাজন তো শুরু হয় জন্মের পর থেকেই। এ কি মানুষের বাচ্চা, না পশুর? মানুষ, বেশ, তা কোন ধর্মের? তারপর কোন দলের? এই দেশে কোনো দলের কেউ নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পেলে, দাও ব্যাটাকে ইলেকট্রিক পোলে ঝুলিয়ে, দলছুট অভাগাটাকে তো আর বাঁচাতে কেউ আসছে না।
'রুমী স্কোয়াড' নিয়ে মিডিয়া ঝিম মেরে ছিল। যেসব মিডিয়ার চ্যাংড়া পোলাপানদের দেখা গেছে, কাঁপা কাঁপা গলায় কীসব ভঙ্গি করতে এরাও উধাও! ওদের ওই সব ভঙ্গি নিয়ে আমি খানিক ভয়ে ভয়ে থাকতাম, তারে পা পেঁচিয়ে না-একটা কেলেঙ্কারি করে ফেলে।
কিন্তু এখন খোঁজ নিলে দেখা যাবে এরা ঠিকই একটা স্টোরি ঠিক করে রেখেছে। কিন্তু সেটার জন্য একটা মৃতদেহ খুব জরুরি।
অবশ্য আশার কথা, এখন খানিকটা নড়েচড়ে বসেছে। কিন্তু কারো মৃত্যু না-হলে খেলাটা আসলে ঠিক জমছে না।
মিডিয়ায় যেমন মিডিয়াঈশ্বর আছেন তেমনি 'অনলাইনঈশ্বরও' আছেন। 'অনলাইন এক্টিভিক্টিফিক্টিসিস্টি' নামের একটা জিনিস আছে। আমি ইংরাজিতে খুবই দুর্বল বলে 'এক্টিভিক্টিফিক্টিসিস্টি' শব্দটা লিখতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। তো, এইসব বেয়াদপ ছেলেপুলেগুলো মরতে যাওয়ার আগে অনলাইনঈশ্বরের পা ধরে কদমবুসি করে যায়নি যে। কী সর্বনাশ-কী সর্বনাশ! সাধু ব্যতীত কী সাধন হয়? আহা, অনলাইনঈশ্বর, পেটে চর্বি-পেছনে চর্বি-চোখের নীচে চর্বি। চর্বিতে চর্বিতে চর্বিতচর্বণ।
একজন মাহমুদুর রহমান যখন পত্রিকায় কোনো ধরনের সূত্র ব্যতীত এটা ছাপান, অনশনরত এই ছেলেগুলো নিয়ম করে ভুঁড়িভোজন করছে তখন আমরা শুঁয়োপোকা দেখার মত ভঙ্গি করে বলি, 'চুতিয়া হচ্ছে চুতিয়া, কুতিয়া হচ্ছে কুতিয়া'। কিন্তু আমাদেরই লোকজন যখন এটা বলেন, এরা আন্দেলন করবে নাকি লুকিয়ে খিচুরি খাবে...তখন কেবল একটা কথাই মনে হয়, এদের মগজেও চর্বি।
আচ্ছা, রাস্তায় যখন কেউ রক্তে ভাসতে ভাসতে ছটফট করতে থাকেন তখন কী আমরা তাকে জিগেস করি? সে কোন ধর্মের, কোন দলের?
তাহলে এই রুমী স্কোয়াডের ছেলেগুলোর জন্য কেন? একেক করে এই বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেগুলো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগে এদের বাঁচাই তারপর না-হয় এদের ব্যবচ্ছেদ করব। কিন্তু আমরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছি। কারণ এঁরা আমাদের রক্তের কেউ না, প্রিয়মানুষের তালিকায় এঁরা নেই।
রাজনৈতিক দলগুলোও ঝিম মেরে আছে কারণ এদেরও প্রয়োজন একটা মৃতদেহের পরিবার । যাদের জড়িয়ে কান্না-কান্না ভাব করা যায়। মিডিয়ায় সেই ছবিটা ছাপা হলে আমরাও কুকুরের মত ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেলব। লাশের রাজনীতি এদের চেয়ে আর ভাল কে বোঝেন? আর আমরা তো এই সব নেতাদেরই যোগ্য উত্তরসূরী...
No comments:
Post a Comment