আমি বারবার যেটা বলে আসছি, ওয়েবসাইটে যারা লেখালেখি করেন তাঁদের অনেকের লেখার হাত দেখে আমাদের প্রথিতযশা অনেক লেখক মহোদয়গণ বিব্রত বোধ করবেন, লজ্জিত হবেন। তেমনি একজন লেখক 'দূর্যোধন দূর্যোধন'! ঘুরে বেড়ান ছুঁরি নিয়ে- শব্দের ছুঁরি! যে ছুঁরিতে ফালা ফালা করে ফেলেন অন্ধকারকে।
আজকের অতিথি লেখক 'দূর্যোধন দূর্যোধন'। তিনি লিখছেন:
"নারীদের জন্য মতিভাই ও প্রথম আলোকে অন্তপ্রাণ মনে হইলেও আমি কিন্তু ভুইলা যাই নাই 'পারসোনা' ইস্যুতে মতি ভাইয়ের রোল! সেই নারী কি নারী ছিলো না? তখন তো তারা বলে নাই, সিসিটিভি পুরুষ কেন হ্যান্ডেল করবে?
ভিকারুন্নিসার মেয়েগুলা যখন তাদের সহপাঠী ধর্ষণের প্রতিবাদে নামছিল, তখন মতি ভাই রিপোর্ট করছিলেন, ধর্ষিতা মাইয়া স্কার্ট পইড়া কোচিং করতে গেছিল! যেনো স্কার্ট পরছস, তাই তোরে ধর্ষন করা জায়েজ হইছে! আইন কী তখন স্কার্ট আর লুঙির ডিফারেন্স খুঁজতেছিলেন!
কয়েকদিন আগেই শাহবাগের লাকীকে নিয়া নোংরা লেখা ছাপাইলো মতি ভাইয়া। ভার্চুয়াল ধর্ষণ শেষে ক্ষমায় কি আসে যায়, নারীবাদী মতি ভাইয়া? আইন তখন ব্যস্ত নিজেদের বেতন বৃদ্ধি নিয়া। আর ২ লক্ষ ধর্ষিতা মা-বোনের ছিন্ন বস্ত্র যাদের হাতে, সেই ইসলামী ব্যাংকের বিজ্ঞাপন ছাপান প্রথম আলো আয়েসে। আর মুখে বলেন, আমরা নারীর কল্যাণ চাই !
সারা দুনিয়াতে ডাক্তারেরা রোগীর শরীর পরীক্ষা করতেছে। আর আজ নারী অবমাননার দায়ে পাবলিকের হাতে পাছার ছাল তুইলা ফেলা মতিভাই বাইছা নিছেন ডাক্তার নামের একটা প্রাণীকে, যারে সবাই গাইল দিয়া মজা পায়। দ্যাশে নারী ডাক্তার ফরেনসিকে কম থাকলে সেইটাও ডাক্তারের দোষ? কসমেটিক সার্জারী করতে করতে কত নারী পুরুষ ডাক্তারের টেবিলে চইলা যাইতেছে, সেই ডাক্তারেরা ধর্ষক?
একজন ধর্ষিতা মহিলা ডাক্তার চাইতেই পারেন, এখন মহিলা ডাক্তার না থাকলে সেই দায় কি ডাক্তার সমাজের? আমি আইনের কাছে জানতে চাই, আপনে মেডিকেল সায়েন্স জীবনে দুই পাতা উল্টায়া দেখছেন? একটা ধর্ষিতার ফরেনসিক করতে গেলে নারী ডাক্তার না থাকলে নারী এটেনডেন্ট থাকতে হবে। নারী এটেনডেন্ট না থাকলে সেইটার ব্যবস্থা কি আইন করবে নাকি মতি ভাই করবেন? এইসব সাম্বাদিক কোইত্থিকা আনেন ধইরা? নাকি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে লিখলেই পাবলিকে খাইবো আর আপনাদের হাসনাত হাইয়ের কাহিনী ধামাচাপা পড়বো ভাবছেন ?
বিচারপতি বা মতি ভাইয়ার বেপারে আর কি বলবো, অসুস্থ হইলে দেশের বাইরে চইলা যান আপনেরা। মতি ভাইয়া দেশের ডাক্তারদের নিয়া আউলফাউল দুই কলম লিখতেই পারেন। হু গিভস এ ড্যাম?
খাইয়া না-খাইয়া যে পোলাপানগুলা সেবা দেয়, গালি তারা খায়! ধর্ষিতা নারীর নায্য বিচারের জন্য তারা পরীক্ষা করতে গেলে 'ধর্ষক' উপাধি জোটে। গরীব রোগীর জন্য নিজেরা ব্লাড যোগাড় করবে তারাই এবং যাওয়ার সময় কেউ-কেউ বইলা উঠবে, 'শালা রক্তচোষা ডাকাইত'! আর ইসলামি ব্যাংকের 'টেকাটুকা' খাওয়া তুষারের মতন বুদ্ধিজীবী আপনেরা পালেন। আপনেরাই আধ-হাত লম্বা বিজ্ঞাপন ছাপেন।
চইলা আসেন ডি এম সি বা সরকারী হাসপাতালে, দেখেন আইস্যা! দেখেন এইখানে নারীর ডেলিভারী করতেছে পুরুষ। পুরুষের হাইড্রোসিল দেখতাছে নারী ডাক্তার।
আপনারা এক কাজ করেন, নরনারীর গোপনাঙ্গ দেখাদেখি বন্ধ কইরা দেন, দেন বন্ধ কইরা হেলথ সার্ভিস! দেন বন্ধ কইরা পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী নারীদের দ্বারা বিতরন! হৈয়া যাক সব অন্ধকার! গর্ভবতী যন্ত্রণা নিয়া অপেক্ষা করুক নারী ডাক্তারের!
আহা রে, দেশে নারী ডাক্তার বানাইতে পারেন, সিকিউরিটি দিতে পারেন না! কিন্তু কিল মারার গোসাই সব! ডাক্তার মানেই লোলুপ কামুক, নারী দেখলেই খামচায়, বন্ধ কইরা দেন সব মেডিকেল!
লাস্ট একটা কথা। মতি ভাইয়ের পেপারে 'সাজিয়া' নামের এক নারীর কথা চাইপাচুইপা যাইতে দেখছিলাম। ধর্ষিতা হইতে যাওয়া সেই সাজিয়া কি নারী ছিলো, নাকি ডাক্তার? তার বিষয়ে আইন, মতি ভাই কিছু বলছিলেন?" (দূর্যোধন দূর্যোধন)
আজকের অতিথি লেখক 'দূর্যোধন দূর্যোধন'। তিনি লিখছেন:
"নারীদের জন্য মতিভাই ও প্রথম আলোকে অন্তপ্রাণ মনে হইলেও আমি কিন্তু ভুইলা যাই নাই 'পারসোনা' ইস্যুতে মতি ভাইয়ের রোল! সেই নারী কি নারী ছিলো না? তখন তো তারা বলে নাই, সিসিটিভি পুরুষ কেন হ্যান্ডেল করবে?
ভিকারুন্নিসার মেয়েগুলা যখন তাদের সহপাঠী ধর্ষণের প্রতিবাদে নামছিল, তখন মতি ভাই রিপোর্ট করছিলেন, ধর্ষিতা মাইয়া স্কার্ট পইড়া কোচিং করতে গেছিল! যেনো স্কার্ট পরছস, তাই তোরে ধর্ষন করা জায়েজ হইছে! আইন কী তখন স্কার্ট আর লুঙির ডিফারেন্স খুঁজতেছিলেন!
কয়েকদিন আগেই শাহবাগের লাকীকে নিয়া নোংরা লেখা ছাপাইলো মতি ভাইয়া। ভার্চুয়াল ধর্ষণ শেষে ক্ষমায় কি আসে যায়, নারীবাদী মতি ভাইয়া? আইন তখন ব্যস্ত নিজেদের বেতন বৃদ্ধি নিয়া। আর ২ লক্ষ ধর্ষিতা মা-বোনের ছিন্ন বস্ত্র যাদের হাতে, সেই ইসলামী ব্যাংকের বিজ্ঞাপন ছাপান প্রথম আলো আয়েসে। আর মুখে বলেন, আমরা নারীর কল্যাণ চাই !
সারা দুনিয়াতে ডাক্তারেরা রোগীর শরীর পরীক্ষা করতেছে। আর আজ নারী অবমাননার দায়ে পাবলিকের হাতে পাছার ছাল তুইলা ফেলা মতিভাই বাইছা নিছেন ডাক্তার নামের একটা প্রাণীকে, যারে সবাই গাইল দিয়া মজা পায়। দ্যাশে নারী ডাক্তার ফরেনসিকে কম থাকলে সেইটাও ডাক্তারের দোষ? কসমেটিক সার্জারী করতে করতে কত নারী পুরুষ ডাক্তারের টেবিলে চইলা যাইতেছে, সেই ডাক্তারেরা ধর্ষক?
একজন ধর্ষিতা মহিলা ডাক্তার চাইতেই পারেন, এখন মহিলা ডাক্তার না থাকলে সেই দায় কি ডাক্তার সমাজের? আমি আইনের কাছে জানতে চাই, আপনে মেডিকেল সায়েন্স জীবনে দুই পাতা উল্টায়া দেখছেন? একটা ধর্ষিতার ফরেনসিক করতে গেলে নারী ডাক্তার না থাকলে নারী এটেনডেন্ট থাকতে হবে। নারী এটেনডেন্ট না থাকলে সেইটার ব্যবস্থা কি আইন করবে নাকি মতি ভাই করবেন? এইসব সাম্বাদিক কোইত্থিকা আনেন ধইরা? নাকি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে লিখলেই পাবলিকে খাইবো আর আপনাদের হাসনাত হাইয়ের কাহিনী ধামাচাপা পড়বো ভাবছেন ?
বিচারপতি বা মতি ভাইয়ার বেপারে আর কি বলবো, অসুস্থ হইলে দেশের বাইরে চইলা যান আপনেরা। মতি ভাইয়া দেশের ডাক্তারদের নিয়া আউলফাউল দুই কলম লিখতেই পারেন। হু গিভস এ ড্যাম?
খাইয়া না-খাইয়া যে পোলাপানগুলা সেবা দেয়, গালি তারা খায়! ধর্ষিতা নারীর নায্য বিচারের জন্য তারা পরীক্ষা করতে গেলে 'ধর্ষক' উপাধি জোটে। গরীব রোগীর জন্য নিজেরা ব্লাড যোগাড় করবে তারাই এবং যাওয়ার সময় কেউ-কেউ বইলা উঠবে, 'শালা রক্তচোষা ডাকাইত'! আর ইসলামি ব্যাংকের 'টেকাটুকা' খাওয়া তুষারের মতন বুদ্ধিজীবী আপনেরা পালেন। আপনেরাই আধ-হাত লম্বা বিজ্ঞাপন ছাপেন।
চইলা আসেন ডি এম সি বা সরকারী হাসপাতালে, দেখেন আইস্যা! দেখেন এইখানে নারীর ডেলিভারী করতেছে পুরুষ। পুরুষের হাইড্রোসিল দেখতাছে নারী ডাক্তার।
আপনারা এক কাজ করেন, নরনারীর গোপনাঙ্গ দেখাদেখি বন্ধ কইরা দেন, দেন বন্ধ কইরা হেলথ সার্ভিস! দেন বন্ধ কইরা পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী নারীদের দ্বারা বিতরন! হৈয়া যাক সব অন্ধকার! গর্ভবতী যন্ত্রণা নিয়া অপেক্ষা করুক নারী ডাক্তারের!
আহা রে, দেশে নারী ডাক্তার বানাইতে পারেন, সিকিউরিটি দিতে পারেন না! কিন্তু কিল মারার গোসাই সব! ডাক্তার মানেই লোলুপ কামুক, নারী দেখলেই খামচায়, বন্ধ কইরা দেন সব মেডিকেল!
লাস্ট একটা কথা। মতি ভাইয়ের পেপারে 'সাজিয়া' নামের এক নারীর কথা চাইপাচুইপা যাইতে দেখছিলাম। ধর্ষিতা হইতে যাওয়া সেই সাজিয়া কি নারী ছিলো, নাকি ডাক্তার? তার বিষয়ে আইন, মতি ভাই কিছু বলছিলেন?" (দূর্যোধন দূর্যোধন)
3 comments:
সুপারভ শুভ ভাই, আমি ফেসবুকে দূর্যধনদার লেখাটি পড়েছি কিন্তু এখানে আরও মজা করে পড়লাম।আপনার হাতে পড়ে লেখাটার মজাই যেন বদলে গেল।
এখানে আমার কোনো কৃতিত্ব নাই। অনুমতি নিয়ে আমি কপি-পেস্ট করেছি কেবল। সবটুকু কৃতিত্বই লেখক দূর্যোধনের। @নুহান
সেরাম একটা লেখা হইছে,,,,,
Post a Comment