"ওরে, ও ব্যাটা পাজি তস্কর,
তোদের কর্ম বোঝা বড় দুস্কর।"
ইন্টারনেট জিনিসটা কী! এটা কী একটা পাইপমানুষদের মত ('পাইপমানুষ' হচ্ছে যাদের উপরেও আবর্জনা, নীচেও আবর্জনা) পাইপ? একদিকে তথ্য ঢালা হয় হয় অন্যদিকে তা পত্রিকা আপিসে গিয়ে জমা হয়!
৭ ফেব্রুয়ারির, ২০১৩-এর দৈনিক daily sun তাদের পত্রিকার সঙ্গে চকচকে একটা সাপ্লিমেন্টারি দিয়েছে, ফাউ-বোনাস। পাঠকের জন্য অতি আনন্দের খবর এ নিয়ে দ্বিমত নাই। কিন্তু...।
এই সাপ্লিমেন্টারির পাতায়-পাতায় যে সমস্ত তথ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তার উৎস হিসাবে দয়া করে এরা লিখে দিয়েছেন, Source: Internet
এখানে আমি কেবল পাঁচটা পৃষ্ঠা স্ক্যান করে দিলাম। আসলে প্রতিটা পৃষ্ঠার জন্য হবে দুই পাতা করে, অর্থাৎ ১০ পৃষ্ঠা। এই ১০ পৃষ্ঠার সোর্স হচ্ছে, আমাদের ইন্টারনেট সাহেব।
যেটা লেখার শুরুতেই বলেছিলাম, ইন্টারনেট জিনিসটা আসলে কী! ইন্টারনেট দিয়ে ব্লগ লেখে শুনেছিলাম এখন দেখছি ইন্টারনেট দিয়ে তথ্যও লেখে!
ইন্টারনেট কী তথ্য নিজে নিজে পয়দা করে যা পত্রিকা আপিসের লোকজনেরা অফিসে বসে বসে প্রসব করেন? ইশ, এই প্রসবে বড় কষ্ট হয়, না! এই নির্বোধদের এটা কে বোঝাবে এরা 'সোর্স: ইন্টারনেট' লিখে যে দায়টা সারছেন, ওই সমস্ত লেখার সঙ্গে একেকজন মানুষের কী প্রাণান্তকর পরিশ্রমই না জড়িত। একেকটা লেখার পেছনে আছে উপোস-ক্ষিধার কষ্ট, রাতজাগা ভোর, প্রিয়মানুষের চোখের জল। আর এরা চোখের নিমিষে তা হাপিস করে দেন।
কোন সাইটের লেখা বিনা অনুমতিতে ছাপানো অন্যায়, অন্তত বানিজ্যিক ভাবে তো মহা অন্যায়। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, সর্বদা অনুমতি নেয়াটা দুস্কর হয়ে পড়ে।
তাহলে অন্তত সেই ওয়েবসাইটের ঠিকানাটাও প্রকাশ করলেও তো খানিকটা মন্দের ভাল হয়। সেই সাইটটার লেখক খানিকটা ভাল লাগায় মাখামাখি হয়ে থাকলেন, যে তাঁর সাইটটার নাম তো পত্রিকায় গেছে। আর পাঠক ওই লেখা পড়ে উৎসুক হয়ে ওই সাইটটা ভিজিট করলে সাইটটার মান, ট্রাফিকও বাড়ল। এ এক মন্দের ভালো...।
আরেকটা বিষয়, এটা হলো 'ট্যাকাটুকার' বিষয়টা। প্রিন্ট মিডিয়ার সম্ভবত ধারণা, কেবল তাদেরই নগ্নদেহ ঢাকার জন্য আচ্ছাদনের প্রয়োজন হয়, 'কুতুয়াপেট' ভরাবার জন্য খাবার। আর ইন্টারনেটে যারা লেখালেখি করেন তাদের কেবল হাওয়া খেয়ে দিন পার করলেই চলে...
অনেকের কষ্টের ধন যেমন ছিনতাইকারি নিমিষেই ছিনতাই করে নিয়ে যায় তেমনি এই সমস্ত পত্রিকাওয়ালারাও ছিনতাই করেন। 'শব্দ ছিনতাই'...।
তোদের কর্ম বোঝা বড় দুস্কর।"
ইন্টারনেট জিনিসটা কী! এটা কী একটা পাইপমানুষদের মত ('পাইপমানুষ' হচ্ছে যাদের উপরেও আবর্জনা, নীচেও আবর্জনা) পাইপ? একদিকে তথ্য ঢালা হয় হয় অন্যদিকে তা পত্রিকা আপিসে গিয়ে জমা হয়!
৭ ফেব্রুয়ারির, ২০১৩-এর দৈনিক daily sun তাদের পত্রিকার সঙ্গে চকচকে একটা সাপ্লিমেন্টারি দিয়েছে, ফাউ-বোনাস। পাঠকের জন্য অতি আনন্দের খবর এ নিয়ে দ্বিমত নাই। কিন্তু...।
এই সাপ্লিমেন্টারির পাতায়-পাতায় যে সমস্ত তথ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তার উৎস হিসাবে দয়া করে এরা লিখে দিয়েছেন, Source: Internet
এখানে আমি কেবল পাঁচটা পৃষ্ঠা স্ক্যান করে দিলাম। আসলে প্রতিটা পৃষ্ঠার জন্য হবে দুই পাতা করে, অর্থাৎ ১০ পৃষ্ঠা। এই ১০ পৃষ্ঠার সোর্স হচ্ছে, আমাদের ইন্টারনেট সাহেব।
যেটা লেখার শুরুতেই বলেছিলাম, ইন্টারনেট জিনিসটা আসলে কী! ইন্টারনেট দিয়ে ব্লগ লেখে শুনেছিলাম এখন দেখছি ইন্টারনেট দিয়ে তথ্যও লেখে!
ইন্টারনেট কী তথ্য নিজে নিজে পয়দা করে যা পত্রিকা আপিসের লোকজনেরা অফিসে বসে বসে প্রসব করেন? ইশ, এই প্রসবে বড় কষ্ট হয়, না! এই নির্বোধদের এটা কে বোঝাবে এরা 'সোর্স: ইন্টারনেট' লিখে যে দায়টা সারছেন, ওই সমস্ত লেখার সঙ্গে একেকজন মানুষের কী প্রাণান্তকর পরিশ্রমই না জড়িত। একেকটা লেখার পেছনে আছে উপোস-ক্ষিধার কষ্ট, রাতজাগা ভোর, প্রিয়মানুষের চোখের জল। আর এরা চোখের নিমিষে তা হাপিস করে দেন।
কোন সাইটের লেখা বিনা অনুমতিতে ছাপানো অন্যায়, অন্তত বানিজ্যিক ভাবে তো মহা অন্যায়। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, সর্বদা অনুমতি নেয়াটা দুস্কর হয়ে পড়ে।
তাহলে অন্তত সেই ওয়েবসাইটের ঠিকানাটাও প্রকাশ করলেও তো খানিকটা মন্দের ভাল হয়। সেই সাইটটার লেখক খানিকটা ভাল লাগায় মাখামাখি হয়ে থাকলেন, যে তাঁর সাইটটার নাম তো পত্রিকায় গেছে। আর পাঠক ওই লেখা পড়ে উৎসুক হয়ে ওই সাইটটা ভিজিট করলে সাইটটার মান, ট্রাফিকও বাড়ল। এ এক মন্দের ভালো...।
আরেকটা বিষয়, এটা হলো 'ট্যাকাটুকার' বিষয়টা। প্রিন্ট মিডিয়ার সম্ভবত ধারণা, কেবল তাদেরই নগ্নদেহ ঢাকার জন্য আচ্ছাদনের প্রয়োজন হয়, 'কুতুয়াপেট' ভরাবার জন্য খাবার। আর ইন্টারনেটে যারা লেখালেখি করেন তাদের কেবল হাওয়া খেয়ে দিন পার করলেই চলে...
অনেকের কষ্টের ধন যেমন ছিনতাইকারি নিমিষেই ছিনতাই করে নিয়ে যায় তেমনি এই সমস্ত পত্রিকাওয়ালারাও ছিনতাই করেন। 'শব্দ ছিনতাই'...।
সূত্র: daily sun |
No comments:
Post a Comment