বিএনপি
এবং আওয়ামিলীগ এই দুইটা দল কোটি বার এই কথাটা বলে এসেছ, 'জনগণ আমাদের সঙ্গে
আছে'। আছে তো, এই দেশের জনগণ বছরের-পর-বছর ধরে এই দুইটা দলকেই ক্ষমতায়
এনেছে।
এটাও এই জাতির এক দূর্ভাগ্য যে, এই দুই দলই বিলক্ষণ জানে, এদের কোনো বিকল্প নাই। গোটা দেশ এই চক্রে আটকা পড়েছে এবং এই নিয়ে কারো কোনো বিকার আছে বলে আমার মনে হয় না।
১. সমস্ত দেশে আজও বিএনপির হরতাল চলছিল। সকাল নয়টায়, সাভারের এই মৃত্যুর মিছিলের ঘটনা ঘটার পর (এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩৪-এর উপরে মারা গেছেন, আহত হাজার ছাড়িয়েছে!) বিএনপির উচিত ছিল অন্তত আজকে সমস্ত দেশে সঙ্গে সঙ্গে হরতাল প্রত্যাহার করা।
(একজন আমাকে জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি অনুরোধও করেছিলেন হরতাল প্রত্যাহার করার জন্য।) কে অনুরোধ করলেন, কে করলেন না সেটা এখানে জরুরি কিছু না। সকালেই বিএনপির অবশ্যই হরতাল প্রত্যাহার করাটাই আবশ্যক, সমীচীন ছিল।
জানি-জানি, অনেকে বলবেন, হয়েছে তো! সাভার এবং আশেপাশে এলাকায়, হেন-তেন।
তা আপনারা আমাকে একটু বুঝিয়ে বলুন তো, যে মানুষটার মৃতদেহ পড়ে আছে, তাঁর স্বজন সন্দীপ-চট্টগ্রাম-বগুড়া থেকে আসবে কী হেলিকপ্টারে করে? নাকি বিএনপি নেতাদের কাঁধে চড়ে?
২. আজ রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান ছিল। আমি জানি, এই বিপুল আয়োজনটা, এটা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে ঠিক করে রাখা। কিন্তু দেশের এমন একটা বিপর্যয়ে এই অনুষ্ঠানটা পিছিয়ে দিলে কী সংবিধান পাল্টে যেত? কোনো উপায়ই কী ছিল না? ঠিক কতটা লাশ পড়লে এই অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেয়ার ভাবনাটা কাজ করত? ধরা যাক, গোটা দেশের সমস্ত লোকজন ভেসে গেছে তবুও কী এই অনুষ্ঠান হতই? দেশে সাধারণ লোকজন নেই কিন্তু শপথ অনুষ্ঠান চলছে, এমন...! ভাল...।
আর এমন একটা অনুষ্ঠানের হওয়ার মানে কী এটা বোঝার জন্য খুব একটা বুদ্ধিমান হওয়া লাগে না। এই দেশ যারা চালান তারা সবাই আজ ব্যস্ত ছিলেন গোটা আয়োজনটাকে ঘিরে। আমরা দেখেছি, সাধারণ একজন এমপি এলাকায় গেলে থানা বলুন বা অফিসে কোনো কাজ হয় না। সবাই কাজ ফেলে এমপিকে ঘিরে ঘুরপাক খান। আর এই দেশের মাথায় যারা বনবন করে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন তারা সবাই আজ ঘুরপাক খেয়েছেন এই শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে। লাশের মিছিল, এই বিষয়ে সমস্ত মনোযোগ দেয়ার অবকাশ কোথায় এদের!
আমি এটা বলতে চাই না, এই অভাগা মানুষগুলো, এদের স্বজনদের হাহাকার তাড়া করুক এঁদেরকে ... অবধি। কেবল যেটা বলতে চাই, হরতাল প্রত্যাহার করে বিএনপি যেমন একটা সু-উদাহরণ স্থাপন করতে পারত, তেমনি আওয়ামিলীগও।
এবং জনগণও বলতে পারত, নেতারা আছেন আমাদের সঙ্গে...।
এটাও এই জাতির এক দূর্ভাগ্য যে, এই দুই দলই বিলক্ষণ জানে, এদের কোনো বিকল্প নাই। গোটা দেশ এই চক্রে আটকা পড়েছে এবং এই নিয়ে কারো কোনো বিকার আছে বলে আমার মনে হয় না।
১. সমস্ত দেশে আজও বিএনপির হরতাল চলছিল। সকাল নয়টায়, সাভারের এই মৃত্যুর মিছিলের ঘটনা ঘটার পর (এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩৪-এর উপরে মারা গেছেন, আহত হাজার ছাড়িয়েছে!) বিএনপির উচিত ছিল অন্তত আজকে সমস্ত দেশে সঙ্গে সঙ্গে হরতাল প্রত্যাহার করা।
(একজন আমাকে জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি অনুরোধও করেছিলেন হরতাল প্রত্যাহার করার জন্য।) কে অনুরোধ করলেন, কে করলেন না সেটা এখানে জরুরি কিছু না। সকালেই বিএনপির অবশ্যই হরতাল প্রত্যাহার করাটাই আবশ্যক, সমীচীন ছিল।
জানি-জানি, অনেকে বলবেন, হয়েছে তো! সাভার এবং আশেপাশে এলাকায়, হেন-তেন।
তা আপনারা আমাকে একটু বুঝিয়ে বলুন তো, যে মানুষটার মৃতদেহ পড়ে আছে, তাঁর স্বজন সন্দীপ-চট্টগ্রাম-বগুড়া থেকে আসবে কী হেলিকপ্টারে করে? নাকি বিএনপি নেতাদের কাঁধে চড়ে?
২. আজ রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান ছিল। আমি জানি, এই বিপুল আয়োজনটা, এটা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে ঠিক করে রাখা। কিন্তু দেশের এমন একটা বিপর্যয়ে এই অনুষ্ঠানটা পিছিয়ে দিলে কী সংবিধান পাল্টে যেত? কোনো উপায়ই কী ছিল না? ঠিক কতটা লাশ পড়লে এই অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেয়ার ভাবনাটা কাজ করত? ধরা যাক, গোটা দেশের সমস্ত লোকজন ভেসে গেছে তবুও কী এই অনুষ্ঠান হতই? দেশে সাধারণ লোকজন নেই কিন্তু শপথ অনুষ্ঠান চলছে, এমন...! ভাল...।
আর এমন একটা অনুষ্ঠানের হওয়ার মানে কী এটা বোঝার জন্য খুব একটা বুদ্ধিমান হওয়া লাগে না। এই দেশ যারা চালান তারা সবাই আজ ব্যস্ত ছিলেন গোটা আয়োজনটাকে ঘিরে। আমরা দেখেছি, সাধারণ একজন এমপি এলাকায় গেলে থানা বলুন বা অফিসে কোনো কাজ হয় না। সবাই কাজ ফেলে এমপিকে ঘিরে ঘুরপাক খান। আর এই দেশের মাথায় যারা বনবন করে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন তারা সবাই আজ ঘুরপাক খেয়েছেন এই শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে। লাশের মিছিল, এই বিষয়ে সমস্ত মনোযোগ দেয়ার অবকাশ কোথায় এদের!
আমি এটা বলতে চাই না, এই অভাগা মানুষগুলো, এদের স্বজনদের হাহাকার তাড়া করুক এঁদেরকে ... অবধি। কেবল যেটা বলতে চাই, হরতাল প্রত্যাহার করে বিএনপি যেমন একটা সু-উদাহরণ স্থাপন করতে পারত, তেমনি আওয়ামিলীগও।
এবং জনগণও বলতে পারত, নেতারা আছেন আমাদের সঙ্গে...।
No comments:
Post a Comment