যে বিষয়টা আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ,
ব্যথিত, ক্রুদ্ধ করেছিল সেটা হচ্ছে এই তিন ব্লগারকে মিডিয়ার সামনে দাঁড়
করিয়ে যে ভঙ্গিতে ফটোসেশন করা হয়েছে [১]। এখন আমরা জানতে পারছি, দোষটা আসলে
পুরোটাই মিডিয়ার। মিডিয়ার চালাকিটা আমরা বুঝতে পারতাম না যদি না পুলিশ
আমাদেরকে জানাত।
মিডিয়া যখন এটা পুলিশের কাছে জানতে চাইল, আদালতের নিষেধ থাকার পরও কেন এভাবে তাঁদেরকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলো?
পুলিশ জানিয়েছে, "...আটক ব্যক্তিদের গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করানো হয় নাই। আদালতে নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা তাঁদের ছবি তুলেছেন।" (সূত্র: প্রথম আলো, ৩ এপ্রিল, ২০১৩)
হুম, এটা জেনে ভাল লাগছে। এবং এটাও জেনে ভাল লাগছে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে! তিন ব্লগারের ছবিসহ এর পূর্বে আমি লেখাটা দিয়েছিলাম, ওটা আবার ভাল করে দেখলাম। দেখতে পাচ্ছি, ভয়ংকরসব অস্ত্র সামনে নিয়ে পেছনে সন্ত্রাসীরা- ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটর, মডেম, হার্ডডিস্ক ব্লা, ব্লা, ব্লা। এমনিতে সাধারণ অস্ত্র যখন পাওয়া যায় তখন তা প্রদর্শনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ছক আছে যেমন ধরুন, গুলি-কার্তুজগুলো এমন করে সাজানো হবে দেখে যেন মনে হয় এটা একটা ফুলের আকৃতিতে সাজানো ফুল।
কিন্তু এখানে এই সমস্ত ভয়ংকরসব অস্ত্র সাজাবার বেলায় ঠিক কোন ছকটা ব্যবহার করা হয়েছে এটা বুঝতে পারিনি!
আরেকটা বিষয় বুঝতে পারিনি সেটা হচ্ছে, এই ভয়ংকরসব অস্ত্র কিন্তু এই ব্লগারদের বা পুলিশের হাতে নেই যে ব্লগাররা অস্ত্রগুলো নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন।
অস্ত্রগুলো টেবিলে সাজিয়ে রাখা। বড়ো চিন্তায় পড়ে গেছি। পুলিশের ভাষ্যমতে, আদালতে নেওয়ার সময় ব্লগারদের ছবি ফটাফট মিডিয়ার কর্মীরা তুলে ফেলেছে। বেশ-বেশ! তা, এই টেবিল কী হেঁটে হেঁটে ডিবি অফিস থেকে আদালত যাচ্ছিল?
জানি-জানি, আপনারা অনেকে বলবেন, মিয়া, তুমি তো 'চাক্কা-লাগানো' টেবিল দেখো নাই। যে টেবিলটায় 'গুল্লু-গুল্লু' জিনিস থাকে, ঠেলা দিলে আপনাফপানি চলে। অবশ্য এগুলোতে ব্রেক আছে কিনা এটা জানা নাই। কিন্তু, 'চাক্কাওয়ালা' টেবিল কেউ ঠেলে নিচ্ছে এমনটাও তো ছবিতে দেখতে পাচ্ছি না।
ঘটনা ওইটাই, টেবিল হেঁটে হেঁটে আদালত গেছে, নইলে ৭ দিনের রিমান্ড যে মঞ্জুর হয় না।
তবে বিশ্বাস করেন, আমি আজ পর্যন্ত কোনো টেবিলকে হাঁটাহাঁটি দূরের নিজে নিজে নড়তেও দেখিনি অথচ এই টেবিলটা ঢাকার যানজট ঠেলে আদালতে পর্যন্ত চলে গেছে । এমন একটা দৃশ্য না-দেখে মরে যাওয়াটা কাজের কাজ হবে না!
সহায়ক সূত্র:
১. ফটোসেশন: http://www.ali-mahmed.com/2013/04/blog-post_2.html
মিডিয়া যখন এটা পুলিশের কাছে জানতে চাইল, আদালতের নিষেধ থাকার পরও কেন এভাবে তাঁদেরকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলো?
পুলিশ জানিয়েছে, "...আটক ব্যক্তিদের গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করানো হয় নাই। আদালতে নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা তাঁদের ছবি তুলেছেন।" (সূত্র: প্রথম আলো, ৩ এপ্রিল, ২০১৩)
হুম, এটা জেনে ভাল লাগছে। এবং এটাও জেনে ভাল লাগছে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে! তিন ব্লগারের ছবিসহ এর পূর্বে আমি লেখাটা দিয়েছিলাম, ওটা আবার ভাল করে দেখলাম। দেখতে পাচ্ছি, ভয়ংকরসব অস্ত্র সামনে নিয়ে পেছনে সন্ত্রাসীরা- ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটর, মডেম, হার্ডডিস্ক ব্লা, ব্লা, ব্লা। এমনিতে সাধারণ অস্ত্র যখন পাওয়া যায় তখন তা প্রদর্শনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ছক আছে যেমন ধরুন, গুলি-কার্তুজগুলো এমন করে সাজানো হবে দেখে যেন মনে হয় এটা একটা ফুলের আকৃতিতে সাজানো ফুল।
কিন্তু এখানে এই সমস্ত ভয়ংকরসব অস্ত্র সাজাবার বেলায় ঠিক কোন ছকটা ব্যবহার করা হয়েছে এটা বুঝতে পারিনি!
আরেকটা বিষয় বুঝতে পারিনি সেটা হচ্ছে, এই ভয়ংকরসব অস্ত্র কিন্তু এই ব্লগারদের বা পুলিশের হাতে নেই যে ব্লগাররা অস্ত্রগুলো নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন।
অস্ত্রগুলো টেবিলে সাজিয়ে রাখা। বড়ো চিন্তায় পড়ে গেছি। পুলিশের ভাষ্যমতে, আদালতে নেওয়ার সময় ব্লগারদের ছবি ফটাফট মিডিয়ার কর্মীরা তুলে ফেলেছে। বেশ-বেশ! তা, এই টেবিল কী হেঁটে হেঁটে ডিবি অফিস থেকে আদালত যাচ্ছিল?
জানি-জানি, আপনারা অনেকে বলবেন, মিয়া, তুমি তো 'চাক্কা-লাগানো' টেবিল দেখো নাই। যে টেবিলটায় 'গুল্লু-গুল্লু' জিনিস থাকে, ঠেলা দিলে আপনাফপানি চলে। অবশ্য এগুলোতে ব্রেক আছে কিনা এটা জানা নাই। কিন্তু, 'চাক্কাওয়ালা' টেবিল কেউ ঠেলে নিচ্ছে এমনটাও তো ছবিতে দেখতে পাচ্ছি না।
ঘটনা ওইটাই, টেবিল হেঁটে হেঁটে আদালত গেছে, নইলে ৭ দিনের রিমান্ড যে মঞ্জুর হয় না।
তবে বিশ্বাস করেন, আমি আজ পর্যন্ত কোনো টেবিলকে হাঁটাহাঁটি দূরের নিজে নিজে নড়তেও দেখিনি অথচ এই টেবিলটা ঢাকার যানজট ঠেলে আদালতে পর্যন্ত চলে গেছে । এমন একটা দৃশ্য না-দেখে মরে যাওয়াটা কাজের কাজ হবে না!
সহায়ক সূত্র:
১. ফটোসেশন: http://www.ali-mahmed.com/2013/04/blog-post_2.html
No comments:
Post a Comment