(এটা একটা কাল্পনিক সাক্ষাৎকার। জীবিত দূরের কথা, তোতলা লাশ বা গলিত শবের সঙ্গেও যার মিল খোঁজা বৃথা।)
গেলাম আমি, ওই ...নামধারীর সাক্ষাৎকার নিতে।
সেখানে তখন অন্য একজন একটা কেলাশ নিচ্ছিলেন। 'কমরেডস (গালি), ডান পা তোল (গালি), বাঁ পা তোল (গালি), এবার দু-পা তুলে ফেলো (বাপ-মা তুলে গালি)। আমি কেলাশের নমুনা দেখে যারপর নাই মুগ্ধ। মুখ দিয়ে অজান্তেই বেরিয়ে এলো, 'উই মা'।
লাফাংগা টাইপের ওই পোলাকে আমি বললাম, 'তোমার বাবাকে ডেকে দাও। ওঁর একটা সাক্ষাৎকার নেবো।'
চ্যাংড়া পোলা দুর্দান্ত রাগে লাফিয়ে উঠলো, 'ওই, মুখ সামলাইয়া কথা বইলেন, কারে কি কইতাছেন, আমিই সেই মুক্তিযোদ্ধা।'
আমি তো তো করে বললাম, 'সরি, অ আচ্ছা, আপনিই তাহলে সেই ব্যক্তি, নব্য মুক্তিযোদ্ধা। আমি বুঝতে পারিনি! আসলে আপনার বয়স দেখে ধন্ধে ছিলাম।'
চ্যাংড়া মুক্তিযোদ্ধা, 'বয়স দিয়া কি হইবো, যুদ্ধ করার জন্য বয়স কোনো বিষয় না। যে-কোনো বয়সেই যুদ্ধ করা যায়।'
আমি চোখ কপাল থেকে নামিয়ে বললাম, 'না মানে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তো, এটা ২০১৩। আপনার বয়সটা ঠিক মিস খাচ্ছে না।'
চ্যাংড়া মুক্তিযোদ্ধা, 'আরে কী মুসিবত, আপনে আমার বয়সের পেছনে লাগছেন ক্যান? আপনি কি ঘটক পক্ষিভাই? আমার বিবাহের জন্য আসছেন, যে বয়স নিয়া ফালাফালি করতাছেন। শোনেন, আমি ওই সময় 'ছুট্টু' ছিলাম, তাতে কী হইছে! এখন যুদ্ধ মাঠ-ঘাটে হয় না, অনলাইনে হয়।'
এটা বলেই তিনি তার এক চ্যালাকে বললেন, 'অমার পিঠটা চুলকায়া দে।'
চ্যালাকে পিঠ চুলকাতে দেখা গেল না কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ওই চ্যালা বলে উঠল, 'দেখেন না, ভাইয়ের পায়ের আংঙুলগুলো ক্ষয় হয়ে গেছে। কী-বোর্ডের উপর লাফিয়ে লাফিয়ে এই অবস্থা।'
আমার মাথা ঘুরছিল, 'বলেন কি, কীবোর্ডের উপর লাফিয়ে-লাফিয়ে তিনি অনলাইনে যুদ্ধ করেন?'
নব্য মুক্তিযোদ্ধা বিরক্ত, 'ইয়েস, আপনের কুনু অসুবিধা?'
আমি টলে উঠে বললাম, 'না, মানে দয়া করে বলবেন কি, ঠিক কি ভাবে যুদ্ধটা করেন, মানে আপনার পদ্ধতিটা...।'
নব্য মুক্তিযোদ্ধা বললেন, 'দেখেন, আমার সবচেয়ে বড়ো অস্ত্র হচ্ছে, "ছাগু"। এটা আমার আবিষ্কার, যাকে খুশি তাকে ছাগু বলে শুইয়ে দেই। ছাগু মানে জানেন তো? 'ছালায় গু'।'
আমি খানিক থমকে গেলাম, 'না, ছাগুর এই মানে আমি জানি না তবে ছালা আর বস্তা এক জিনিস বলেই মনে পড়ছে, গুন্টার গ্রাস একবার বলেছিলেন, 'নোবেল হচ্ছে এক বস্তা গু'।'
'গুন্টার গ্রাস, এ আবার কোন গুন্ডা, এ কী আমার দল করে?
'জ্বী না।'
'তাইলে বাদ। কুনু লুক আমার দল না-করলে হে খেলা থিক্যা বাদ।'
আমি এবার বললাম, 'আপনি সব সময় কেবল বিশেষ মানুষকেই নিয়ে লেখেন কিন্ত এ দেশ স্বাধীন করার পেছনে এমন অনেক আগুনপুরুষ আছেন যাদের নিয়ে লিখতে আপনাকে দেখা যায় না, কেন?'
তিনি বললেন, 'আরে, আপনি তো বড়ো যন্ত্রণা করেন! হুনেন, দেশের চাইতে, মানুষের চাইতে দল বড়ো। মানুষ থাকল কি থাকল না এইটা কোনো বিষয় না, দল থাকলেই হইল। তাই আমি একজন 'দলবাজ, ছলবাজ'। এইটা আমার লেখাতেও পাইবেন।'
আমি বললাম, 'এবার অন্য একটা বিষয়, আজ যে আপনার খুবই আপনজন তাকেই কাল আপনি নগ্ন করে দেন, এটা কেন?'
তিনি এবার খেপে গিয়ে বললেন, 'আরে মিয়া দেখেন নাই, আমেরিকা লাদেন সৃষ্টি করে। কিন্তু পুত্র যখন বাপের জুতা পায়ে গলায় তখন তারেই আমেরিকা মাইরা ফালায়। আমিও তাই করি, করছি, হে হে হে...।'
তিনি আর সময় দিতে পারলেন না কারণ তখন জোরেশোরে কেলাশ চলছে, কমরেডস, ডান পা...।
গেলাম আমি, ওই ...নামধারীর সাক্ষাৎকার নিতে।
সেখানে তখন অন্য একজন একটা কেলাশ নিচ্ছিলেন। 'কমরেডস (গালি), ডান পা তোল (গালি), বাঁ পা তোল (গালি), এবার দু-পা তুলে ফেলো (বাপ-মা তুলে গালি)। আমি কেলাশের নমুনা দেখে যারপর নাই মুগ্ধ। মুখ দিয়ে অজান্তেই বেরিয়ে এলো, 'উই মা'।
লাফাংগা টাইপের ওই পোলাকে আমি বললাম, 'তোমার বাবাকে ডেকে দাও। ওঁর একটা সাক্ষাৎকার নেবো।'
চ্যাংড়া পোলা দুর্দান্ত রাগে লাফিয়ে উঠলো, 'ওই, মুখ সামলাইয়া কথা বইলেন, কারে কি কইতাছেন, আমিই সেই মুক্তিযোদ্ধা।'
আমি তো তো করে বললাম, 'সরি, অ আচ্ছা, আপনিই তাহলে সেই ব্যক্তি, নব্য মুক্তিযোদ্ধা। আমি বুঝতে পারিনি! আসলে আপনার বয়স দেখে ধন্ধে ছিলাম।'
চ্যাংড়া মুক্তিযোদ্ধা, 'বয়স দিয়া কি হইবো, যুদ্ধ করার জন্য বয়স কোনো বিষয় না। যে-কোনো বয়সেই যুদ্ধ করা যায়।'
আমি চোখ কপাল থেকে নামিয়ে বললাম, 'না মানে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তো, এটা ২০১৩। আপনার বয়সটা ঠিক মিস খাচ্ছে না।'
চ্যাংড়া মুক্তিযোদ্ধা, 'আরে কী মুসিবত, আপনে আমার বয়সের পেছনে লাগছেন ক্যান? আপনি কি ঘটক পক্ষিভাই? আমার বিবাহের জন্য আসছেন, যে বয়স নিয়া ফালাফালি করতাছেন। শোনেন, আমি ওই সময় 'ছুট্টু' ছিলাম, তাতে কী হইছে! এখন যুদ্ধ মাঠ-ঘাটে হয় না, অনলাইনে হয়।'
এটা বলেই তিনি তার এক চ্যালাকে বললেন, 'অমার পিঠটা চুলকায়া দে।'
চ্যালাকে পিঠ চুলকাতে দেখা গেল না কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ওই চ্যালা বলে উঠল, 'দেখেন না, ভাইয়ের পায়ের আংঙুলগুলো ক্ষয় হয়ে গেছে। কী-বোর্ডের উপর লাফিয়ে লাফিয়ে এই অবস্থা।'
আমার মাথা ঘুরছিল, 'বলেন কি, কীবোর্ডের উপর লাফিয়ে-লাফিয়ে তিনি অনলাইনে যুদ্ধ করেন?'
নব্য মুক্তিযোদ্ধা বিরক্ত, 'ইয়েস, আপনের কুনু অসুবিধা?'
আমি টলে উঠে বললাম, 'না, মানে দয়া করে বলবেন কি, ঠিক কি ভাবে যুদ্ধটা করেন, মানে আপনার পদ্ধতিটা...।'
নব্য মুক্তিযোদ্ধা বললেন, 'দেখেন, আমার সবচেয়ে বড়ো অস্ত্র হচ্ছে, "ছাগু"। এটা আমার আবিষ্কার, যাকে খুশি তাকে ছাগু বলে শুইয়ে দেই। ছাগু মানে জানেন তো? 'ছালায় গু'।'
আমি খানিক থমকে গেলাম, 'না, ছাগুর এই মানে আমি জানি না তবে ছালা আর বস্তা এক জিনিস বলেই মনে পড়ছে, গুন্টার গ্রাস একবার বলেছিলেন, 'নোবেল হচ্ছে এক বস্তা গু'।'
'গুন্টার গ্রাস, এ আবার কোন গুন্ডা, এ কী আমার দল করে?
'জ্বী না।'
'তাইলে বাদ। কুনু লুক আমার দল না-করলে হে খেলা থিক্যা বাদ।'
আমি এবার বললাম, 'আপনি সব সময় কেবল বিশেষ মানুষকেই নিয়ে লেখেন কিন্ত এ দেশ স্বাধীন করার পেছনে এমন অনেক আগুনপুরুষ আছেন যাদের নিয়ে লিখতে আপনাকে দেখা যায় না, কেন?'
তিনি বললেন, 'আরে, আপনি তো বড়ো যন্ত্রণা করেন! হুনেন, দেশের চাইতে, মানুষের চাইতে দল বড়ো। মানুষ থাকল কি থাকল না এইটা কোনো বিষয় না, দল থাকলেই হইল। তাই আমি একজন 'দলবাজ, ছলবাজ'। এইটা আমার লেখাতেও পাইবেন।'
আমি বললাম, 'এবার অন্য একটা বিষয়, আজ যে আপনার খুবই আপনজন তাকেই কাল আপনি নগ্ন করে দেন, এটা কেন?'
তিনি এবার খেপে গিয়ে বললেন, 'আরে মিয়া দেখেন নাই, আমেরিকা লাদেন সৃষ্টি করে। কিন্তু পুত্র যখন বাপের জুতা পায়ে গলায় তখন তারেই আমেরিকা মাইরা ফালায়। আমিও তাই করি, করছি, হে হে হে...।'
তিনি আর সময় দিতে পারলেন না কারণ তখন জোরেশোরে কেলাশ চলছে, কমরেডস, ডান পা...।