Search

Wednesday, May 8, 2013

এ এক ঘোরতর অন্যায়...

শাপলা চত্বরের মত অতি ব্যস্ত এলাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে নাকি ডিএমপি। কিন্তু ডিএমপিকে এখানে সভার করতে দেওয়ার অনুমতি কে দিল?
এমন একটি অতি ব্যস্ত রাস্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেখানে; সবচেয়ে বড়ো কথা হলো এমন অসম্ভব ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার বৈধতা এই দেশে কারো আছে কি না! আইন এটা সমর্থন করে কি না? এমন কোনো আইন দেশে থেকেও থাকলে তা একটা কালো আইন। যথাসম্ভব দ্রুত বদলাতে হবে সে আইন।
এটা কী এই দেশের একটা 'কলচর' হয়ে যাচ্ছে, যত ব্যস্ত রাস্তা আছে সেই রাস্তার চারপাশ বন্ধ করে লোকজনেরা দেশউদ্ধার-ধর্মউদ্ধার করবেন? সেটা আবার সরকার বৈধতাও দেবে! আশ্চর্য...!

তারচেয়ে আমি বলি কি, আমরা জনগণ সরকারকে চাঁদা তুলে দেব নে, আপনারা স্টেডিয়ামের মত একটা জিনিস বানিয়ে দিন। ওখানে কেউ দেশউদ্ধার করবেন, করুন। কেউ ধর্মউদ্ধার করবেন, করুন। কেউ নাচবেন, নাচুন। কেউ বাজনা বাজাবেন, বাজান। ওখানে গলাবাজি, কোলাকুলি, চুলাচুলি, কস্তাকস্তি, ধস্তাধস্তি করেন, কথা দিচ্ছি আমরা আটকাতে যাব না।
প্রয়োজন মনে করলে ওখানে ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থাও থাকবে তবে লাইটের মূল স্তম্ভটা আমরা স্টেডিয়ামের বাইরে রাখব। আপনারা ঝাঁকাঝাঁকি করে ফেলে দেবেন তা হবে না। কারণ এটা রানা প্লাজা না, জনগণ প্লাজা...

ওহ, গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ভুলে গিয়েছি! আমাদের আইনপ্রণেতা সংসদ সদস্যদের কথা। মহান সংসদকে এঁদের অনেকে যে প্রকারে (অ)মহান করেন তার প্রেক্ষিতে এঁদের জন্যও এই জায়গাটি কাজে লাগবে।
৫ মার্চ ২০১০ সালের ঘটনা। আমাদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাহেব তখন স্পিকার পদে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, "...আমি একটা কথা বলে দিতে চাই, অসংসদীয় ও আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করলে মাইক বন্ধ হয়ে যাবে। আর ফাইটিং বা রেসলিং করতে চাইলে পল্টনে চলে যান। সংসদের বাইরেও মাঠ আছে। গায়ে তেল মেখে আন্ডারওয়্যার পরেও সেখানে চলে যেতে পারেন...।"

পল্টন-ফল্টন না, এই স্টেডিয়ামের মত জায়গাটায় সেই সমস্ত সংসদ সদস্য এসে গায়ে তেল মেখে আন্ডারওয়্যার পরে কুস্তি করছেন। এমন একটা দৃশ্য কল্পনা করে মনটা এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। টিকেটের ব্যবস্হাও যদি করা হয়, অন্যদের কথা জানি না তবে আমি টিকেট কেটে হলেও যাব। আহ, সে এক দৃশ্য হবে বটে...!

No comments: