অনেকে আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে জানতে চেয়েছেন পরে আমি আর কম্যুনিটি
ব্লগগুলোতে লিখিনি কেন? আসলে কয়েকটাই কারণ ছিল, আমি কারও নিয়ন্ত্রণে থাকতে
পছন্দ করতাম না। কেউ আমার মাথার উপর বনবন করে ছড়ি চালাবে এটাও আমার পছন্দ
ছিল না।
দ্বিতীয়টা দলবাজি। এই জিনিসটা আমার দু-চোখের বিষ! কেন রে বাপ, রাজনীতি করলে করো না, মানা করছে কে! কিন্ত রাজনীতি করতে গিয়ে কেবল রাজনীতিই বোঝো, মানুষ বোঝো না? কালে কালে এরা অবলীলায় বন্ধুর পিঠে ছুঁরি মারতে পারে, দলের জন্য। হাসতে হাসতে চাপাতি দিয়ে ফালা ফালা করে ফেলতে পারে!
তো, দলছুট আমার জন্য বড়ো মুশকিল হয়ে যেত...।
আরেকটা বিষয়ে অনেকের সঙ্গে আমার মতের মিল ছিল না সেটা হচ্ছে, গালি দেওয়ার অধিকার! কেউ-কেউ তো গালির অভিধানও চালু করে দিয়েছিলেন!
অনেকে কেবল যে একে অন্যকে গালি দিতেন এমনই না, বাপ-মা তুলেও অবলীলায় গালাগালি করতেন। এই বিষয়ে আমার সাফ কথা, কেউ সামনাসামনি আমার মাকে নিয়ে কুৎসিত কথা বললে সে স্রেফ খুন হয়ে যাবে। আর শক্তিতে না-কুলালে আমি নিজে খুন হয়ে যাব। যদিও আমার মা এখন আর বেঁচে নেই কিন্তু তারপরও মৃত এই মহিলার জন্য আমি হিংস্র পশুর ন্যায় লড়ব। এখানে যুক্তির আমি গুষ্টি কিলাই। জঙ্গলে চলে কেবল জঙ্গলের আইন, এখানে নাই আইন, নাই ফাইন!
আফসোস, আমি যেটা এখনও বোঝাতে পারলাম না, প্রত্যেকটা জায়গার নিজস্ব একটা ভাষা আছে। স্যুট না-খুলে যেমন বাথরুমের কাজ সারা যায় না তেমনি জন্মদিনের পোশাকেও বাইরে ঘুরে বেড়ানো চলে না।
এ গ্রহের অনেক দেশে অবশ্য দিগম্বর থাকার অধিকার নিয়েও দিব্যি বাতচিত-কর্মকান্ড চলে। সেটা তাদের অভিরুচি কিন্তু আমার যেটা মনে হয়, গায়ে সুতাটাও না-থাকলে এ গ্রহের সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটির সঙ্গে জরিনার আদৌ পার্থক্য কী!
বিশেষ মুহূর্তের ব্যাপারটা একপাশে সরিয়ে রাখলে, মানুষ বিশেষ বাড়তি যে অংশটা বহন করে ওটা উম্মুক্ত থাকলে এটায় কাকও ঠোকর দেবে কিনা এ নিয়ে আমার ঘোর সন্দেহ আছে!
প্রকৃতি আলো-ছায়ার কাজ রেখেছে বলেই দিন-রাতের ব্যাপারটা আছে নইলে সবই ফকফকা হতো- রহস্য বলে আর কিছুই থাকত না।
যাই হোক, যেটা বলছিলাম, 'ধুম মাচাদে' গানটা গাওয়া দোষের না কিন্তু কেউ পাবলিক প্লেসে টেবিলে উঠে ধুম মাচাদে শুরু করলে তো বড়ো মুশকিল! এখন কেউ যদি মনে করেন পাবলিক প্লেসে তিনি সেটাই করবেন, যেটা নিজের বাড়িতে করেন না। সেই অসুস্থ মানুষটার জন্য করুণা করতেও আমার করুণা হয় এটা বলা ব্যতীত আর কীই-বা বলার থাকে!
এখন আবার নতুন একটা চল শুরু হয়েছে সাংসদ হলে সংসদ ভবনে গালাগালির বন্যা বইয়ে দেওয়া যাবে। তখন আবার অন্য সাংসদরা টেবিল চাপড়ে উৎসাহও দেবেন। সেটা আবার মিডিয়ায় ঘটা করে আমাদেরকে গেলানোও হবে। এখন বুঝতে পারি, কেন সংসদ ভবনের পূর্বে পবিত্র শব্দটা যুক্ত করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
গালি মানুষ কখন দেয়? অধিকাংশেরই বেলায়, যখন রাগ হয়, চরম রাগ, তখন। এখন কথা হচ্ছে আমার কি রাগ হয় না, গালি দিতে ইচ্ছা করে না? হয়, করে তো!
আমিও গেরাম-টাওনের পোলা, সাংসদ বইলা...।
দ্বিতীয়টা দলবাজি। এই জিনিসটা আমার দু-চোখের বিষ! কেন রে বাপ, রাজনীতি করলে করো না, মানা করছে কে! কিন্ত রাজনীতি করতে গিয়ে কেবল রাজনীতিই বোঝো, মানুষ বোঝো না? কালে কালে এরা অবলীলায় বন্ধুর পিঠে ছুঁরি মারতে পারে, দলের জন্য। হাসতে হাসতে চাপাতি দিয়ে ফালা ফালা করে ফেলতে পারে!
তো, দলছুট আমার জন্য বড়ো মুশকিল হয়ে যেত...।
আরেকটা বিষয়ে অনেকের সঙ্গে আমার মতের মিল ছিল না সেটা হচ্ছে, গালি দেওয়ার অধিকার! কেউ-কেউ তো গালির অভিধানও চালু করে দিয়েছিলেন!
অনেকে কেবল যে একে অন্যকে গালি দিতেন এমনই না, বাপ-মা তুলেও অবলীলায় গালাগালি করতেন। এই বিষয়ে আমার সাফ কথা, কেউ সামনাসামনি আমার মাকে নিয়ে কুৎসিত কথা বললে সে স্রেফ খুন হয়ে যাবে। আর শক্তিতে না-কুলালে আমি নিজে খুন হয়ে যাব। যদিও আমার মা এখন আর বেঁচে নেই কিন্তু তারপরও মৃত এই মহিলার জন্য আমি হিংস্র পশুর ন্যায় লড়ব। এখানে যুক্তির আমি গুষ্টি কিলাই। জঙ্গলে চলে কেবল জঙ্গলের আইন, এখানে নাই আইন, নাই ফাইন!
আফসোস, আমি যেটা এখনও বোঝাতে পারলাম না, প্রত্যেকটা জায়গার নিজস্ব একটা ভাষা আছে। স্যুট না-খুলে যেমন বাথরুমের কাজ সারা যায় না তেমনি জন্মদিনের পোশাকেও বাইরে ঘুরে বেড়ানো চলে না।
এ গ্রহের অনেক দেশে অবশ্য দিগম্বর থাকার অধিকার নিয়েও দিব্যি বাতচিত-কর্মকান্ড চলে। সেটা তাদের অভিরুচি কিন্তু আমার যেটা মনে হয়, গায়ে সুতাটাও না-থাকলে এ গ্রহের সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটির সঙ্গে জরিনার আদৌ পার্থক্য কী!
বিশেষ মুহূর্তের ব্যাপারটা একপাশে সরিয়ে রাখলে, মানুষ বিশেষ বাড়তি যে অংশটা বহন করে ওটা উম্মুক্ত থাকলে এটায় কাকও ঠোকর দেবে কিনা এ নিয়ে আমার ঘোর সন্দেহ আছে!
প্রকৃতি আলো-ছায়ার কাজ রেখেছে বলেই দিন-রাতের ব্যাপারটা আছে নইলে সবই ফকফকা হতো- রহস্য বলে আর কিছুই থাকত না।
যাই হোক, যেটা বলছিলাম, 'ধুম মাচাদে' গানটা গাওয়া দোষের না কিন্তু কেউ পাবলিক প্লেসে টেবিলে উঠে ধুম মাচাদে শুরু করলে তো বড়ো মুশকিল! এখন কেউ যদি মনে করেন পাবলিক প্লেসে তিনি সেটাই করবেন, যেটা নিজের বাড়িতে করেন না। সেই অসুস্থ মানুষটার জন্য করুণা করতেও আমার করুণা হয় এটা বলা ব্যতীত আর কীই-বা বলার থাকে!
এখন আবার নতুন একটা চল শুরু হয়েছে সাংসদ হলে সংসদ ভবনে গালাগালির বন্যা বইয়ে দেওয়া যাবে। তখন আবার অন্য সাংসদরা টেবিল চাপড়ে উৎসাহও দেবেন। সেটা আবার মিডিয়ায় ঘটা করে আমাদেরকে গেলানোও হবে। এখন বুঝতে পারি, কেন সংসদ ভবনের পূর্বে পবিত্র শব্দটা যুক্ত করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
গালি মানুষ কখন দেয়? অধিকাংশেরই বেলায়, যখন রাগ হয়, চরম রাগ, তখন। এখন কথা হচ্ছে আমার কি রাগ হয় না, গালি দিতে ইচ্ছা করে না? হয়, করে তো!
আমিও গেরাম-টাওনের পোলা, সাংসদ বইলা...।