প্রথমেই আমি আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কেউ যেন ভুলেও আমার এই ভাবনা-বক্তব্যকে অহংকার টাইপের কিছু মনে না-করেন! আমার মনে হয়েছে, আমার এই ভাবনার পেছনে যুক্তি আছে আর যেটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হবে সেটা আমি করবই।
আমি ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি ২০০৭ সালে (অবশ্য নিয়মিত হয়েছি মাস তিনেক হবে, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ)। তো ফেসবুকে মানেই বন্ধু-বন্ধু খেলা, বন্ধুতালিকা।
সেই ২০০৭ সাল থেকে অনেক পুরনো বন্ধু আছেন। কিন্তু এই ২০১৩ সালে এসেও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলাম, এদের অনেকের সঙ্গেই কখনই কোনো মন্তব্য চালাচালি, ফোনে কথা, সরাসরি দেখা হয়নি! নিদেনপক্ষে ভার্চুয়াল একটা সংযোগও হয়নি!
তা, এখানে, আমার বন্ধুতালিকায়, এরা কী করছেন! বছরের-পর-বছর ধরে ঝিম মেরে আছেন কেন? আরে বাপু, আমি তো কোনো বিখ্যাত 'ফেসবুকার' নই যে আপনার বন্ধুতালিকায় আমি থাকলে ঝলমলে মুখে অন্যদের বলতে পারবেন: উই মা, জানিস, আমার ইয়েতে না ইয়ে আছে!
বছরের-পর-বছর ধরে এই ঝিম মেরে থাকা মানুষগুলো আমার কাছে স্রেফ একটা মৃত মানুষ! মৃত মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব দূরের কথা, কথা বলেও আরাম পাই না কারণ এরা আমার ভাষা বোঝে না।
আমার বন্ধুতালিকায় এই সমস্ত লাশ থাকার চেয়ে অল্পবয়সি সেই ছেলেটিকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় যে অবলীলায় আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারে, 'ভাই, এই ছফা মানুষটি কে ছিলেন'? একে অতি আনন্দের সঙ্গে উত্তর দিতে আমার কোনো ক্লান্তি নাই, 'তিনি (ছফা) কেবল এই দেশের প্রথিতযশা একজন লেখকই ছিলেন না, ছিলেন অসাধারণ একজন মানুষও'।
এমনিতে প্রায়শ এই প্রজন্মের জানার তীব্র আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করে!
তো, ঝিম মেরে থাকা এই সমস্ত লাশদের উদ্দেশ্য বলছি, আপনি আমার বন্ধু, এই সব রসিকতার আমার প্রয়োজন নাই। (আর যেখানে বন্ধুর সংখ্যা অধিক হলে ব্যাটা জুকারবার্গ যখন 'ট্যকাটুকা' দেয় না তাহলে এই পন্ডশ্রম অর্থহীন!) সেই সব ঝিম মেরে থাকা স্যারেরা, এখনই আপনাদের গাট্টি-বোঁচকা গোল করেন এবং আমার এখান থেকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় হন, আমাকে দয়া করে আপনার বন্ধুতালিকা থেকে ছাঁটাই করে।
লাশের গন্ধ আমার সহ্য হয় না তাই এরপর লাশ নামের এরকম কাউকে দেখলেই সোজা ভাগাড়...।
আমি ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি ২০০৭ সালে (অবশ্য নিয়মিত হয়েছি মাস তিনেক হবে, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ)। তো ফেসবুকে মানেই বন্ধু-বন্ধু খেলা, বন্ধুতালিকা।
সেই ২০০৭ সাল থেকে অনেক পুরনো বন্ধু আছেন। কিন্তু এই ২০১৩ সালে এসেও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলাম, এদের অনেকের সঙ্গেই কখনই কোনো মন্তব্য চালাচালি, ফোনে কথা, সরাসরি দেখা হয়নি! নিদেনপক্ষে ভার্চুয়াল একটা সংযোগও হয়নি!
তা, এখানে, আমার বন্ধুতালিকায়, এরা কী করছেন! বছরের-পর-বছর ধরে ঝিম মেরে আছেন কেন? আরে বাপু, আমি তো কোনো বিখ্যাত 'ফেসবুকার' নই যে আপনার বন্ধুতালিকায় আমি থাকলে ঝলমলে মুখে অন্যদের বলতে পারবেন: উই মা, জানিস, আমার ইয়েতে না ইয়ে আছে!
বছরের-পর-বছর ধরে এই ঝিম মেরে থাকা মানুষগুলো আমার কাছে স্রেফ একটা মৃত মানুষ! মৃত মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব দূরের কথা, কথা বলেও আরাম পাই না কারণ এরা আমার ভাষা বোঝে না।
আমার বন্ধুতালিকায় এই সমস্ত লাশ থাকার চেয়ে অল্পবয়সি সেই ছেলেটিকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় যে অবলীলায় আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারে, 'ভাই, এই ছফা মানুষটি কে ছিলেন'? একে অতি আনন্দের সঙ্গে উত্তর দিতে আমার কোনো ক্লান্তি নাই, 'তিনি (ছফা) কেবল এই দেশের প্রথিতযশা একজন লেখকই ছিলেন না, ছিলেন অসাধারণ একজন মানুষও'।
এমনিতে প্রায়শ এই প্রজন্মের জানার তীব্র আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করে!
তো, ঝিম মেরে থাকা এই সমস্ত লাশদের উদ্দেশ্য বলছি, আপনি আমার বন্ধু, এই সব রসিকতার আমার প্রয়োজন নাই। (আর যেখানে বন্ধুর সংখ্যা অধিক হলে ব্যাটা জুকারবার্গ যখন 'ট্যকাটুকা' দেয় না তাহলে এই পন্ডশ্রম অর্থহীন!) সেই সব ঝিম মেরে থাকা স্যারেরা, এখনই আপনাদের গাট্টি-বোঁচকা গোল করেন এবং আমার এখান থেকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় হন, আমাকে দয়া করে আপনার বন্ধুতালিকা থেকে ছাঁটাই করে।
লাশের গন্ধ আমার সহ্য হয় না তাই এরপর লাশ নামের এরকম কাউকে দেখলেই সোজা ভাগাড়...।
No comments:
Post a Comment