Search

Wednesday, July 24, 2013

সুব্রত শুভ, অতি সাহসী এক মানুষের কথা!

'গোলাম আজম: ১ এবং সেইসব দিন!' [১] নামে যে লেখাটা আমি লিখি তার মূল তথ্যগুলো নিয়ে ঠিক এই দিনই Subrata Shuvo এই লেখাটাই স্ট্যাটাস দেন, নিজের নামে। যে লেখা ওনার ওয়াল থেকে ১৫৯ বার লেখাটা শেয়ার হয়েছিল। এর বাইরে যারা এই লেখাটা কপি-পেস্ট করেছেন তারা courtesy হিসাবে @Subrata Shuvo -এর নাম দিয়েছেন এবং তাকে ট্যাগ করেছেন। এমন বেশ কিছু লেখা আমি তার ওয়ালে দেখেছি। তিনি কিন্তু তাদেরকে একবারও বলেননি যে লেখাটা তার নিজের না!

তার ওই স্ট্যাটাসে [২] মন্তব্য আকারে আমি জানতে চাই তার এই লেখার উৎস কি (আমার যে লেখাটা তিনি নিজ নামে চালিয়ে দিয়েছিলেন, সেটা সম্বন্ধে!) প্রথমে বেশ কিছু হাবিজাবি কথা বললেও পরে তিনি বলেন, তার নাকি জানা ছিল না যে লেখাটা আমার। এবং একজন নাকি লেখাটা তাকে দিয়ে শেয়ার করার জন্য বলেছিলেন আর তিনি আর দেরি না-করে ওটা নিজের নামে দিয়েছেন। অতি হাস্যকর যুক্তি!
পরে, যে মানুষটা তাকে শেয়ার করার জন্য বলেছিলেন বলে সুব্রত দাবী করেছিলেন সেই মানুষটা সম্বন্ধে জানতে চাইলে একপর্যায়ে সুব্রত জানান, ওই মানুষটা নাকি তাকে ব্লক করেছেন।
ভাল...।

ইতিমধ্যে তিনি আমার ইনবক্সে কিছু কাতর কিছু কথা বললেন। নীতিগত কারণে আমি ওই ম্যাসেজটা এখানে দিচ্ছি না।
গোটা বিষয়টায় আমি প্রচন্ড ক্রদ্ধ হয়েছিলাম তার এই আচরণে। কারণ আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছিল, তিনি একটা ক্ষমাহীন অন্যায় করেছেন। কেন বলছি...।

তিনি বলেছিলেন, তিনি নাকি জানতেন না যে এটা আমার লেখা। অথচ ওই লেখায় তার লাইক দেওয়া আছে [*]। এর অর্থ তিনি আমার ওই লেখাটা পড়েছিলেন। ওই লেখায় প্রথমেই আমি উল্লেখ করেছিলাম সেই ২০০৬ সালে এই সমস্ত লেখা লিখতে আমার কী অমানুষিক কষ্ট-যন্ত্রণাই না-হয়েছে। ওখানে এটাও লিখেছিলাম, এই সব লেখার সঙ্গে মিশে আছে রাতজাগা ভোর, প্রিয় মানুষের চোখের জল...।
ওই লেখায় আরেকটা প্রসঙ্গও ছিল, সেটা হচ্ছে সামহোয়্যারে 'তৌহিদ' নামের এক চোর ওই লেখাটাই হুবহু পোস্ট করেছিল তার নিজের নামে এবং ওটাও আমি ওই লেখায় সূত্র সহ উল্লেখ করেছিলাম। তার সেটাও পড়ার কথা।
সব কিছু জেনেও তিনি লেখাটা নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছিলেন। এটা অসম্ভব সাহসী একজন মানুষের কাজ! এমন বুকের পাটা সবার থাকে না!

তার পক্ষে এমন একজন মানুষ তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন যিনি আমার উপর প্রচন্ড প্রভাব খাটাতে পারেন। কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কাজ আমি করতে পারি না। বারবার আমাকে বলা হচ্ছিল, একটা অন্যায় করে ফেলেছে হেনতেন, ইত্যাদি-ইত্যাদি...। তীব্র ক্রোধ চেপে আমি তাকে বলেছিলাম, আমার ওই পোস্টে তিনি যেন তার অন্যায়টা স্বীকার করেন।
তিনি ওখানে লিখেছিলেন, 'আপনার কাছে সত্যিই দুঃখিত, দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আপনার লেখাটা যে আরেকজন চুরি করেছে তা আমি জানতাম না।.......তারপরও সরি.....ভবিষ্যতে চোরদের ব্যাপারে আরো সর্তক হবো। ক্ষমা করবেন।'
এখানে তিনি লিখেছিলেন, "...ভবিষ্যতে চোরদের ব্যাপারে আরো সর্তক হবো।..."
তিনি নিজের দায়টা অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও আমি স্পষ্ট জানতাম, তিনি নিজেই লেখাটা ছিনতাই করেছেন! তারপরও আমি দাঁতে দাঁত চেপে চুপ থেকেছি।

তারপরও, কিন্তু...। তাহলে এই লেখাটা কেন লিখছি?
এক সপ্তাহের মাথায় তিনি প্রায় একই ভঙ্গির আরেকটা কাজ করলেন। Nuruzzaman Manikএর কর্ণেল তাহেরকে নিয়ে একটা লেখা তিনি নিজের নামে স্ট্যাটাস দেন [৩] অথচ এই লেখাটাই @Nuruzzaman Manik সামহোয়্যারে লিখেছিলেন, ২১ জুলাই ২০০৯-এ [৪]!
@Nuruzzaman Manik এর প্রতিবাদে [৫] একটা পোস্ট দিলে তা আমার চোখে পড়ে।

সুব্রত শুভ নিজের নামে দেওয়া ওই লেখাটায় আমি মন্তব্য আকারে জানতে চেয়েছিলাম, এই অভিযোগের পেছনে ভিত্তি কী!
ওখানে আমি লিখেছিলাম, '...আপনার প্রতি কঠিন একটা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি আপনার কাছ থেকে এর একটা সদুত্তর আশা করছি। আমি আপনার উত্তরের অপেক্ষায় আছি...'।
যদিও তখন আমার মনে কোনো প্রকারের সন্দেহই ছিল না যে তিনি আবারও একই কান্ড করেছেন, মাত্র ৭ দিনের মাথায়!
তবুও আমি খুব আশায় ছিলাম, কোনো-না-কোনো প্রকারে অলৌকিক একটা ব্যাপার ঘটবে এবং তিনি এই দায় থেকে বেরিয়ে আসবেন। এমনটা হলে আমার চেয়ে খুশি আর কেউ হতো না। অন্তত তাকে নিয়ে এই লেখাটা আমাকে লিখতে হতো না।

তার কাছে কিছু সুযোগ ছিল- তিনি এই দায় খন্ডাবার চেষ্টা করলেই পারতেন। তিনি তার কোনোটাই ব্যবহার না-করেই স্ট্যাটাসটাই গায়েব হয়ে গেল [**]! তাতে করে কি দায় খন্ডন হলো? আর এটা হওয়ায় আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে তার মনে কু আছে।
এবং...এটাও মনে হলো তার এমন সাহসের কথা না-জানালে অন্যায় হয়! কারণ নইলে তিনি আবারও ৩ দিনের মাথায় আরেকটা এমন কর্মকান্ড করবেন এবং আবারও হাস্যকর যুক্তি দেখাবেন। কালে-কালে তিনি এই দেশের সবচেয়ে সাহসী মানুষে রূপান্তরিত হবেন।
কারো লেখা তিনি পড়েননি, কারো লেখা তার কাছে কবিতা মনে হয়! ভবিষ্যতে কারো লেখা ছবি মনে হবে!
এবং আমি জানি না এ পর্যন্ত তিনি লেখা ছিনতাই করে, এমন কতজনের কাছে এই সমস্ত অতি হাস্যকর যুক্তি দিয়েছেন...?

লিংক:
১. গোলাম আজম: ১ এবং সেইসব দিন!: https://www.facebook.com/ali.mahmed1971/posts/10151522707652335
২. গোলাম আজমকে নিয়ে @Subrata Shuvo-এর পোস্ট: https://www.facebook.com/Subrata.Shuvo/posts/10201435011467687
৩. @Subrata Shuvo-এর পোস্ট যেটা এখন গায়েব হয়ে গেছে: https://www.facebook.com/Subrata.Shuvo/posts/10201475764086477
৪. @Nuruzzaman Manik-এর সামহোয়্যারের লেখা: http://www.somewhereinblog.net/blog/nuruzzamanmanik/28981320 
৫. @Nuruzzaman Manik-এর প্রতিবাদ লেখা: https://www.facebook.com/nuruzzaman.manik/posts/10151824720099954

ছবি:
* আমার পোস্ট, গোলাম আজমের লেখায় @Subrata Shuvo-এর লাইক দেয়ার স্ক্রিণশট
** @Nuruzzaman Manik-এর লেখা নিয়ে @Subrata Shuvo -এর যে স্ট্যাটাসটা উধাও, তার স্ক্রিণশট (গায়েব হয়ে গেছে বলে মন খারাপ করার কিছু নাই। এর পুরোটাই আমার কাছে পিডিএফ করা আছে।)
*** @Subrata Shuvo-এর স্ট্যাটাসটা দেখাচ্ছে না, এর স্ক্রিণশট।
...
আমার যা বলার লেখাতেই বলে দিয়েছি। কিন্তু আপনি জানতে চেয়েছেন সেই দায় থেকে লিখছি...।
আপনি লিখেছেন:
"...নিজের নামে দিয়েছি। ওটা আমার নাম ছিল নাকি রনির নাম ছিল? রনি অনুরোধ করেছে তাই তার স্ট্যাটাস তার নামে শেয়ার দিলাম। আমার নাম আসল কোই থেকে।..."
আমার যে লেখাটা আপনি স্ট্যাটাস হিসাবে দিয়েছিলেন সে লেখার নীচে আপনি লিখেছেন, 'ধন্যবাদ Johorul Islam Rony আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য'।
এই লেখাটা যে রনির, কোথায় রনির নাম! এখানে কিন্তু আপনি কোথাও এটা বলেননি যে এটা রনির লেখা। কেবল লিখেছেন, 'রনি আপনাকে মনে করিয়ে দিয়েছে'। কী মনে করিয়ে দিয়েছে? আজ মেঘলা দিন নাকি সবাই গেছে জঙ্গলে?

ঠিক এই লেখাটাই কোথাকার কোন রনি আপনাকে অনুরোধ করে শেয়ার করার জন্য (এটা আপনার দাবী)। উত্তম! আপনি বিন্দুমাত্র দেরি না করে এই লেখাটা স্ট্যাটাস হিসাবে দিয়ে দেন। অতি উত্তম!
অথচ আপনি আমার লেখাটা পড়েছেন। লাইকও দিয়েছেন। আবার অবিকল আমার এই লেখাটাই যখন কোথাকার কোন রনি (সে আবার ঠিক ওই সময়ই আপনাকে ব্লকও করে দেয়!) আপনাকে শেয়ার করার জন্য বলে তখন আপনি তা শেয়ার করে ফেলেন! অথচ আপনি আমাকে এটাও বলেছিলেন, আপনি জানতেন না লেখাটা আমার...।
আমার তো মনে হয় আমি একটা শিশু-শিক্ষার আসরে আছি!

"...আমি তো তাকে বলেই স্ট্যাটাস অনলিমি করেছি।..."
স্ট্যাটাস আপনার, এর দায়-দায়িত্ব আপনার। আপনি কাকে বলে 'অনলি মি' করেছেন এটা তো আমার জেনে কাজ নেই। আপনার যে কোনো লেখা আপনি যা-খুশি তা করতে পারেন। কিন্তু...একটা কিন্তু থেকে যায়।
আপনার ওই স্ট্যাটাসে আপনার প্রতি যে কঠিন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল (৭ দিনের মাথায়!) তার ব্যাখ্যা পাঠক আপনার কাছ থেকে চাইতেই পারে। আপনি আপনার অবস্থান পরিষ্কার করবেন, এটাই যুক্তিযুক্ত ছিল কিন্তু তা না-করে আপনি সেটাকে 'অনলি মি' করে ফেলবেন, এক অর্থে লেখাটা সরিয়ে ফেলবেন! এর তো কোনো প্রয়োজনই পড়ে না। ওখানে আপনার যথার্থ ব্যাখ্যা থাকলেই চুকে যেত। স্বাভাবিক আচরণ এটাই হতো...।
...
ইনবক্সে একজন জানালেন যে @Subrata Shuvo , আপনি হালে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন: https://www.facebook.com/Subrata.Shuvo/posts/10201491500839886। সেই সূত্রে আপনার লেখাটা দেখার সুযোগ হলো। ওখানে আপনি ইনিয়ে-বিনিয়ে-ফেনিয়ে অনেক কথাই লিখেছেন। আপনি সেই লেখাটা শেষ করেছেন এভাবে:
"...আমাদের দেশটা তো ছোট তাই এই দেশের অনলাইন লেখকদেরও মনটা ছোট।..."

জ্বী, অনলাইনের লেখকদের মন ছোট। ছোট না-হলে আপনি যে কাজ করেছেন এই কাজ করার জন্য 'ব্লগেস্ট তৌহিদ' নামের একজনকে, আমার গোলাম আযম নিয়ে লেখাটার কারণে সামহোয়্যারের তার লেখায় গিয়ে আমি বলেছিলাম, 'আপনি একটা চোর'। তার কোনো ব্যাখ্যা শোনার প্রয়োজন দেখিনি কারণ সমস্ত প্রমাণ তার বিরুদ্ধে ছিল। এবং গোলাম আযমের ওই পোস্টেও 'ব্লগেস্ট তৌহিদ' নামের মানুষটার প্রতি অতি কঠিন কথাও বলেছি।

কিন্তু আপনি ওই 'ব্লগেস্ট তৌহিদ'-এর চেয়েও মন্দ কাজ করেছেন। সব জেনেও আপনি ওই কাজটা করেছেন যেটা আমি আমার এই স্ট্যাটাসে বিস্তারিত বলেছি। সেটার আর চর্বিতচর্বণ করি না।
অথচ আপনার বেলায় অনেক সহনীয় আচরণ করা হয়েছিল এই কারণে আপনার বয়স কম এবং আপনি একটা ট্রমার ভেতর দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আপনি সেটার পুরোপুরি অপব্যবহার করেছেন! কেবল অপব্যবহারই করেননি, উদ্ধত আচরণও করেছেন।
এবং আপনার নির্লজ্জতা আমাকে লজ্জা দেয়! আমার স্মৃতিশক্তি দুর্বল তারপরও আপ্রাণ চেষ্টা করেও মনে করতে পারছি না শেষ কবে আপনার মতো নির্লজ্জ মানুষ দেখেছি! আপনি আমার এখানে এসে এমন অনেক কথাই বলেছেন যা দুর্বিনীত আচরণ।
আপনার এই আচরণ দেখে আমার ভাষায় বলি, 'এক কাপ চায়ে দু-কাপ চিনি'!

আমি আপনার অপরাধ ভুলেই গিয়েছিলাম কিন্তু আপনি ৭ দিনের মাথায় আবারও বিতর্কিত কর্মকান্ড করলেন। এটাকে হালকা করে দেখলে আপনি সাড়ে ৩ দিনের মাথায় আবারও একটা কর্মকান্ড করতেন এতে অন্তত আমার কোনো সন্দেহ নেই! যেটা আমি পূর্বেও বলেছি...।
@Nuruzzaman Manik বুঝতে পেরেছিলেন আপনি কাজটা ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন। কারণ তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন:
"...যদিও সামু ব্লগে ইটালিক, আমুতে ইনভাইটেড কমা ও মুক্তমনায় বোল্ড করা ঐ চার লাইন এবং বাকি আমার লেখাটি সহজেই আলাদা করা যায় ।..."
অথচ আপনি নাকি পুরো লেখাটাই একটা কবিতা ভেবেছেন- এটা তো একটা শিশুরও বোঝার কথা! যথারীতি @Nuruzzaman Manik -ও আমার মতই আপনাকে ক্ষমা করার চেষ্টা করেছেন।
আমাদের এই সব তো অবশ্যই 'মন ছোট' লক্ষণ এতে আর সন্দেহ কী!

রাষ্ট্র আপনার প্রতি অন্যায় করেছিল এই কারণে অনেকেরই আপনার প্রতি আলাদা মমতা আছে। আমারও ছিল। আর 'মন ছোট'র কথাই যখন বললেন তখন খানিকটা না-বলে পারছি না। এবেলা এটা বলে রাখি, আপনি যখন কারাগারে তখন আপনার পক্ষে বলার জন্য কারো কোনো প্রকারের কন্ট্যাক নাম্বার- মিডিয়া, বিশেষ করে আন্তুর্জাতিক মিডিয়া তখন পাচ্ছিল না। ক্যামেলিয়ার ফোন নাম্বার আমিই যোগাড় করে দেই, এটা সেই সময়ের কথা যখন অনেক 'সেলিব্রেটি ফেসবুকার' গর্তে লুকিয়েছিলেন। তখন তেমন কেউ টুঁ-শব্দও করতে চাচ্ছিলেন না। আপনি জেলে অথচ আপনার আইডি একটিভ- এটাকে ট্র্যাক করা। এই সমস্ত কাজগুলো আমার মত অল্প কিছু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে করেছিল। ওটার স্ক্রিণশট দীর্ঘ দিন আমার ওয়ালে ঝুলেছে অথচ আমি আমি আমার ওয়ালে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ না-হলে কারো কোনো বিষয় রাখি না।
এও সত্য আপনি সুব্রতের জায়গায় সলিমুল্লা-কলিমুল্লা হলেও একই কাজ করা হতো, এটা কোনো আলাদা বিষয় না...। কিন্তু তাই বলে আপনি যা-খুশি করবেন আর এটা উপেক্ষা করা হবে এমনটা ভাবার কোনো অবকাশ নাই।  

গতকালও আমার ইনবক্সে আপনার জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছেন। কিন্তু  আপনি মানুষের মমতার পুরোপুরি অপব্যবহার করছেন। লোকজনের এই মমতার কারণে আপনি 'ক্ষুদে গানরাজের' মত নিজেকে স্টার ভাবা শুরু করেছেন। আকাশলোকের বাসিন্দা।
আর আমি আপনার কারণে যেসব মানুষ আমাকে আপনার জন্য একের-পর-এক অনুরোধ করেছেন তাদের কাছে হৃদয়হীন হিসাবে পরিচিত হয়েছি। এ আমার জন্য বড়ো কষ্টের!

ডিয়ার সুব্রত, অনেক শুনেছি আপনার প্রলাপ! আপনার সম্বন্ধে এখন আমার ধারণা অনেকটাই পাল্টেছে। আপনার আচরণ একজন চোরের মত না, একজন ডাকাতের মত! আমি ডাকাতদের ভয় পাই, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখি।

আপনার সঙ্গে আলাপচারিতার এখানেই সমাপ্তি। কারণ আপনার সঙ্গে বাক্য ব্যয়ের অর্থ হচ্ছে মর্মান্তিক বেওকুফি! আর আমার ভাষায় 'শব্দের অপচয়'- অপচয় বিষয়টা আমার পছন্দ না।

আমি আমার এখানে আপনার আর কোনো মন্তব্য দেখতে চাচ্ছি না। এখানে আর কোনো মন্তব্য না-করার জন্য আগাম ধন্যবাদও আপনাকে জানিয়ে রাখছি...।




No comments: