ছবি ঋণ: দৈনিক সমকাল, ২ জুলাই ২০১৩ |
ঘটনার সময় লিমনের বয়স ছিল, ১৪ বছর! আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী লিমনকে শিশু বলা হবে। Sailent features of the children act of 1974, Section 2 (F)-এ বলা হচ্ছে, "A child means a person under 16 years of age..."।
একটা শিশু এই দেশটাকে কাঁপিয়ে দিল!
আমার লেখালেখির শপথ, লিমনের সঙ্গে কোনো দিন দেখা হলে তার অবশিষ্ট ওই একটা পা ধরে সালাম করব। এমন একজন অসম্ভব শক্তিশালী মানুষকে এই সম্মান না-দেখিয়ে উপায় কীঁ! যার বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা রাষ্ট্র, রাষ্ট্রযন্ত্রের সমস্ত শক্তি।
আমরা এই যে উষ্মা প্রকাশ করতাম, আমাদের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিরক্ষাখাতে ১৪ হাজার কোটি টাকা কেন খরচ করা হবে? ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হলে তো আমরা হাতাহাতি যুদ্ধ করব, তাহলে অস্ত্র কেন রে, বাপু! আজ বুঝি এর মর্তবা! আরে, অন্তত যে অস্ত্রগুলো কেনা হবে এগুলো তো কাজে লাগবে, নাকি? এই যেমন, এখন সব অস্ত্র তাক করে আটকাতে হবে লিমন নামের এক দানবকে। অথচ ছবিতে [*] আমরা দেখতে পাচ্ছি, দানবটা কাঁদছে, কেন?
পত্রিকার খবর হচ্ছে, অস্ত্র মামলায় লিমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (আদালতের ভাষায় 'চার্জ') গঠন করা হয়েছে।
কাঁদতে কাঁদতে লিমন বলেন, "...র্যাব আমাকে নির্মম নির্যাতন করে (পা-ও হারাতে হয়েছে) উল্টো দুটি মামলায় আসামি করে হয়রানি করছে।
পুলিশের কাছ থেকেও ন্যায়বিচার পাইনি। আজ নিম্ন আদালতেও ন্যায়বিচার পেলাম না...।"
আইনের চোখে কেবল অপরাধিই না, পলাতক একজনকে প্রেসিডেন্ট সাহেব ক্ষমা করে দেন কারণ সেই অপরাধি হচ্ছে আমাদের সাজেদা চৌধুরির ছেলে। ফাঁসির আদেশ হওয়া এমন একজন মানুষকেও রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করেন কারণ সেই বিপ্লবের বাপ ক্ষমতামীন দলের লক্ষীপুরের তাহের।
অথচ এই দেশের সমস্ত মানুষ জানেন, লিমন নিরপরাধ তবুও একজন রাষ্ট্রপতিও লিমনকে ক্ষমা করেন না!
এটা আমার নিজস্ব মত। আমি মনে করি, কিছু মৃত্যু খুব জরুরি হয়ে পড়ে যেমন লিমনের মৃত্যুটা! র্যাবের হাতে গুলি খাওয়ার পরই লিমনের মরে যাওয়াটাই সমীচীন ছিল বলে আমি মনে করি। কারণ লিমন বেঁচে থেকে যে কাজটা করছেন এটা কেবল অন্যায়ই না, ভয়ংকর অন্যায়। ১৬ কোটি মানুষকে নগ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা- কাজটা মোটেও ঠিক না...।
কোথায় যাই কার কাছে যাই, একেক করে নিবে যাচ্ছে সব আলো...।
"...জনশূণ্য রঙ্গালয়ে নিবে গেছে সমস্ত দেওটি,
নিস্তব্ধ সকল যন্ত্র, মঞ্চপরে যবনিকা ঢাকা" (সুধীন্দ্রনাথ)
No comments:
Post a Comment