দৈনিক সমকালের কালের খেয়ায় বই সম্বন্ধে আমাদেরকে নিয়মিত ওয়াকিবহাল করা হয়।
একটি বইয়ের বিবরণ কেবল আমাকে টেনেছে বলব না- টেনে-টেনে লম্বা করে দিয়েছে!
বইটির নাম হচ্ছে, 'শাহবাগ থেকে বলছি'। বইটির বিষয়ে লেখা হয়েছে এমন,
"...দেশের বরেণ্য চিন্তক-সাহিত্যিক এবং শাহবাগ গণজারণের সৈনিক ইমরান এইচ
সরকারও লাকি আক্তারের রচনাসংবলিত এই আয়োজনের সম্পাদনা করেছেন আনোয়ারা সৈয়দ
হক...।" (১৪ জুন ২০১৩)
ইমরান এইচ সরকার সাহেব যে দেশের একজন বিরাট
বরেণ্য চিন্তক এবং সৈনিক এটা জানার জন্য রকেটবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে
না। কারণ আমরা দেখেছি তিনি দেশ নিয়ে চিন্তায় এমন মশগুল থাকতেন যে তার কানের
কাছে তোতাপাখি মত নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর বিজবিজ করে কীসব-যেন বলার
প্রয়োজন দেখা দিত!
আমরা আরোও দেখেছি, চিন্তক সাহেবের চিন্তার সূত্র ধরিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়মিত একটি দলের পান্ডাদের বিকট উপস্থিতি!
অবশ্য পরে আমি ইমরান এইচ সরকার সাহেবের মধুবাণী শুনে মুগ্ধ হতাম। কী
প্রলম্বিত ভয়েস, বেইবী! তিনি স্বাভাবিক করে বলতেন না। যেমন 'আমরা' বললে,
প্রলম্বিত সুরে চিৎকার করে বলতেন এমন, 'আ-আ-আ ম-রা-রা-রা-আ-আ-আ...'।
কখনও এই চিন্তক সাহেবের কথা শুনে মনে হতো চিফ মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটরের
কথা শুনছি, 'আ-আ-আ-প-না-রা-রারা-হ এই করবেন, আ-আ-আ-প-না-রা-রারা-হ সেই
করবেন...'।
অনুরোধ না, আদেশ। ওনার আদেশ শুনে তো ভয়ে আমার ইয়ে বন্ধ হয়ে যেত।
একবার তো বলে বসলেন, লোকজন বলে কে শক্তিশালী, শাহবাহ নাকি সরকার? আমি বলি, শাহবাগ। ভাগ্যিস, বলে বসেননি, আমি সরকার শক্তিশালী।
তো চিন্তক সাহেব, সৈনিক সাহেবের কথা তো আমরা জানিই। অবশ্য এখানে একটা
অন্যায় হয়েছে তিনি যে একজন কঠিন 'অনলাইন এক্টিভিক্টিফিস্টিস' ('আংরেজি' আমি
একটু কম বুঝি ঠিক শব্দটা বলতে পারছি না। ওই যে যারা অনলাইনে লেখালেখি
করেন, কী বলে এঁদের কে!) এখানে এটার উল্লেখ করা হয়নি!
ওয়াল্লা,
এখন তো দেখছি তিনি সাহিত্যিকও- কত অজানা রে! সলাজে বলি, বাংলাদেশের সাহিত্য
ভুবনের সব জেনে তো আর বসে নাই আমি- ভদ্রলোকের সাহিত্য নিয়ে কারো কাছে কোনো
তথ্য থাকলে, জানান না একটু, প্লিজ...।
No comments:
Post a Comment