সিকি-আধুলি বা পুরা মন্ত্রী, আমলা-গামলা, পরফেসার(!), ম্যানেজার, যে স্যারই বলুন না কেন, অনেক স্যারই আছেন যিনি এই জিনিস অফিসের চেয়ারে রাখেন, রাখেনই! যত বড় স্যার ততই চকচকে তার ওই নিত্য উপকরণটা। এটা ব্যতীত অফিসটা যেন কেমন বেমানান-বেমানান মনে হয়। জিনিসটা কি? আহা...।
ভলবিং(!) হোক বা রিভলবিং চেয়ারই হোক, এটায় নতুন-চকচকে বা তেল চিটচিটে একখানা তোয়ালে থাকবে, থাকবেই। চেয়ারখানা লেদারে মোড়া, না মখমলে, তাতে কী আসে যায়!
এর শানে নজুল কী? কেউ আমাকে অদ্যাবধি বোঝাতে পারেননি! চিঁ চিঁ করে কেউ-কেউ বোঝাবার চেষ্টা করেছেন যে চেয়ারটা ময়লা হয়ে যায়।
বেশ!
কিন্তু রেক্সিন-লেদারের চেয়ার ময়লা হয় কেমন করে! আগের যুগ তো এখন আর নাই যে স্যাররা মাথা চবচবে তেলে চুবিয়ে, তেল এবং মাথা দুই-ই নিয়ে অফিসে আসেন। এখন তো স্যাররা মাথায় একগাদা জেল মাখেন আর বাংরেজির খই ফোটান। এও আফসোস, তোয়ালে-স্যাররা বাংলাটাই শুদ্ধ করে বলতে পারেন না! বড়ই আফসোস- মায়ের ভাষা, আ মরি বাংলা ভাষা!
এই ছবিটার কথাই বলি। এটা একটা ঝাঁ-চকচকে অফিসের, এনসিসি ব্যাংক। সেন্ট্রাল এসি- স্ট্যান্ডবাই জেনারেটরও আছে। তর্কের খাতিরে ধরে নিলেও, স্যাররা যে দরদর করে ঘেমে মুখ-ঘাড় মুছবেন সে উপায়ও নাই। অবশ্য এদের ওয়শরুমেও দেখেছি চমৎকার একটা তোয়ালে ঝুলছে। তাহলে এই জিনিস অফিসের চেয়ারে কেন?
এটা আমার মোটেও বোধগম্য হয় না এই তোয়ালে অফিসের চেয়ারে জাঁক করে সাজিয়ে রাখা কেন, বাপু? এই জিনিস তো থাকবে পায়খানা, টাট্টিখানা, লেট্রিন, হালের বাথরুম, ওয়াশ-রুম বা রেস্টরুমে। নাকি অফিসের নিয়ম-কানুন সব বদলে যাচ্ছে? এখন-কী বদনাও অফিসের টেবিলে রেখে তাতে রজনিগন্ধা এনে সাজিয়ে রাখা হবে, ফ্লাওয়ার-ভাসের বিকল্প হিসাবে!
ভয়ে-ভয়ে আছি, কোনোদিন না দেখব স্যাররা টাট্টিখানার কমোড থেকে খাবলা-খাবলা হলুদ ফুল এনে গামলায় করে অফিসের টেবিলে সাজিয়ে রাখছেন। এবং ভারী অমায়িক, হাসিভরা মুখে ঝড়ের গতিতে অফিসের কাজ করে যাচ্ছেন। কে জানে, তখন কাজের গতি হয়তো বেড়েও যেতে পারে!
ভলবিং(!) হোক বা রিভলবিং চেয়ারই হোক, এটায় নতুন-চকচকে বা তেল চিটচিটে একখানা তোয়ালে থাকবে, থাকবেই। চেয়ারখানা লেদারে মোড়া, না মখমলে, তাতে কী আসে যায়!
এর শানে নজুল কী? কেউ আমাকে অদ্যাবধি বোঝাতে পারেননি! চিঁ চিঁ করে কেউ-কেউ বোঝাবার চেষ্টা করেছেন যে চেয়ারটা ময়লা হয়ে যায়।
বেশ!
কিন্তু রেক্সিন-লেদারের চেয়ার ময়লা হয় কেমন করে! আগের যুগ তো এখন আর নাই যে স্যাররা মাথা চবচবে তেলে চুবিয়ে, তেল এবং মাথা দুই-ই নিয়ে অফিসে আসেন। এখন তো স্যাররা মাথায় একগাদা জেল মাখেন আর বাংরেজির খই ফোটান। এও আফসোস, তোয়ালে-স্যাররা বাংলাটাই শুদ্ধ করে বলতে পারেন না! বড়ই আফসোস- মায়ের ভাষা, আ মরি বাংলা ভাষা!
এই ছবিটার কথাই বলি। এটা একটা ঝাঁ-চকচকে অফিসের, এনসিসি ব্যাংক। সেন্ট্রাল এসি- স্ট্যান্ডবাই জেনারেটরও আছে। তর্কের খাতিরে ধরে নিলেও, স্যাররা যে দরদর করে ঘেমে মুখ-ঘাড় মুছবেন সে উপায়ও নাই। অবশ্য এদের ওয়শরুমেও দেখেছি চমৎকার একটা তোয়ালে ঝুলছে। তাহলে এই জিনিস অফিসের চেয়ারে কেন?
এটা আমার মোটেও বোধগম্য হয় না এই তোয়ালে অফিসের চেয়ারে জাঁক করে সাজিয়ে রাখা কেন, বাপু? এই জিনিস তো থাকবে পায়খানা, টাট্টিখানা, লেট্রিন, হালের বাথরুম, ওয়াশ-রুম বা রেস্টরুমে। নাকি অফিসের নিয়ম-কানুন সব বদলে যাচ্ছে? এখন-কী বদনাও অফিসের টেবিলে রেখে তাতে রজনিগন্ধা এনে সাজিয়ে রাখা হবে, ফ্লাওয়ার-ভাসের বিকল্প হিসাবে!
ভয়ে-ভয়ে আছি, কোনোদিন না দেখব স্যাররা টাট্টিখানার কমোড থেকে খাবলা-খাবলা হলুদ ফুল এনে গামলায় করে অফিসের টেবিলে সাজিয়ে রাখছেন। এবং ভারী অমায়িক, হাসিভরা মুখে ঝড়ের গতিতে অফিসের কাজ করে যাচ্ছেন। কে জানে, তখন কাজের গতি হয়তো বেড়েও যেতে পারে!
No comments:
Post a Comment