"...ডালিম চিফ অভ স্টাফের কামরায় (বিনা অনুমতিতে ডালিম সেনাপ্রধানের
কামরায় ঢুকে পড়েছে) । হাতে তার স্টেনগান।...তখন সেনাপ্রধানের কামরায় ছিলেন
জেনারেল শফিউল্লাহ, জেনারেল জিয়া, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ, কর্নেল নাসিম।
...আমি (এম এ হামিদ) ততক্ষণে উঁকিঝুকি মেরে ঘটনাস্থলে ফিরে এসেছি। ...এমন সময় অফিসের দরোজা খুলে গেল। বেরিয়ে এলেন জেনারেল শফিউল্লাহ। তার পেছনে পেছনে স্টেনগান হাতে ডালিম। শফিউল্লার মুখ কালো, গম্ভীর। স্পষ্ট বোঝা গেল একান্ত অনিচ্ছায় তিনি ডালিমের সাখে বেরিয়ে আসছেন।
ডালিমের পেছনে জেনারেল জিয়া, ডেপুটি চিফ অভ স্টাফ।
...আমি (এম এ হামিদ) ততক্ষণে উঁকিঝুকি মেরে ঘটনাস্থলে ফিরে এসেছি। ...এমন সময় অফিসের দরোজা খুলে গেল। বেরিয়ে এলেন জেনারেল শফিউল্লাহ। তার পেছনে পেছনে স্টেনগান হাতে ডালিম। শফিউল্লার মুখ কালো, গম্ভীর। স্পষ্ট বোঝা গেল একান্ত অনিচ্ছায় তিনি ডালিমের সাখে বেরিয়ে আসছেন।
ডালিমের পেছনে জেনারেল জিয়া, ডেপুটি চিফ অভ স্টাফ।
শফিউল্লা নিজের স্টাফ কারেই উঠলেন। ডালিম পেছনে। জিয়া তাকে (ডালিমকে) সহাস্যে বললেন, 'Come on Dalim, in my car.'
'No sir, I don't go in General's car.' ডালিমের সুস্পষ্ট জবাব, বলেই স্টেনগান উঁচিয়ে তার সশস্ত্র জিপে উঠে বসল। ডালিমের পেছনে চললেন জেনারেল জিয়া। তার পেছনে ডালিমের দ্বিতীয় সশস্ত্র জিপ। শাঁ শাঁ করে বেরিয়ে গেল চারটি গাড়ি। রীতিমতো তোলপাড়। পুরো অপারেশন শেষ হতে সময় লাগল ৫ থেকে ৭ মিনিট!
খোদ আর্মি হেডকোয়ার্টার থেকে আর্মি চীফ অভ স্টাফ হাইজ্যাক! অবিশ্বাস্য নাটকীয় ঘটনা!
'No sir, I don't go in General's car.' ডালিমের সুস্পষ্ট জবাব, বলেই স্টেনগান উঁচিয়ে তার সশস্ত্র জিপে উঠে বসল। ডালিমের পেছনে চললেন জেনারেল জিয়া। তার পেছনে ডালিমের দ্বিতীয় সশস্ত্র জিপ। শাঁ শাঁ করে বেরিয়ে গেল চারটি গাড়ি। রীতিমতো তোলপাড়। পুরো অপারেশন শেষ হতে সময় লাগল ৫ থেকে ৭ মিনিট!
খোদ আর্মি হেডকোয়ার্টার থেকে আর্মি চীফ অভ স্টাফ হাইজ্যাক! অবিশ্বাস্য নাটকীয় ঘটনা!
...সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আর্মি হেডকোয়ার্টার ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত।
যেখানে এতো বড়ো একটা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছে তখন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ'র
আর্মি হেডকোয়ার্টারের সৈন্যদের সতর্ক অবস্থা (Stand to) রাখা উচিত ছিল।
...সতর্ক অবস্থায় থাকলে ট্রুপস আত্মরক্ষামূলক পজিশনে থাকত। অন্তত মেইন গেটটা বন্ধ রেখে সরাসরি ভিজিটারস অনুপ্রবেশ বন্ধ করা উচিত ছিল। ...ওই দিন সকালে আর্মি হেডকোয়ার্টারে সামান্যতমও নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সশস্ত্র জিপ নিয়ে ডালিম সরাসরি হেডকোয়ার্টারে ঢুকে সেনাপ্রধান শফিউল্লাকে ধরে নিয়ে যেতে পারত না।"
...সতর্ক অবস্থায় থাকলে ট্রুপস আত্মরক্ষামূলক পজিশনে থাকত। অন্তত মেইন গেটটা বন্ধ রেখে সরাসরি ভিজিটারস অনুপ্রবেশ বন্ধ করা উচিত ছিল। ...ওই দিন সকালে আর্মি হেডকোয়ার্টারে সামান্যতমও নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সশস্ত্র জিপ নিয়ে ডালিম সরাসরি হেডকোয়ার্টারে ঢুকে সেনাপ্রধান শফিউল্লাকে ধরে নিয়ে যেতে পারত না।"
(সূত্র: তৎকালীন ঢাকার স্টেশন কমান্ডার লে. কর্নেল এম এ হামিদ-এর লেখা থেকে)
* উচ্চ আদালতের মন্তব্য ছিল, '...তৎকালীন সেনাপ্রধান ছিলেন কাপুরুষ...'।
আমি মনে করি, তিনি কেবল কাপুরুষই ছিলেন না তিনি একজন অযোগ্য, অথর্ব
সেনাপ্রধানও ছিলেন। দিনের-পর-দিন, বছরের-পর-বছর ধরে একজন সৈনিককে এই
ট্রেনিংই দেওয়া হয় সে যেন যে-কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে। অথচ এর
কোনো ছাপ আমরা এই মানুষটার মধ্যে দেখতে পাই না!
একজন সেনাপ্রধানকে খোদ আর্মি হেডকোয়ার্টার থেকে ডালিম নামের বেসামরিক একজন লোক ধরে নিয়ে যায় এই লজ্জা এই মানুষটাকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করেছে, এটা অন্তত আমি বিশ্বাস করি না! এরপরও এই মানুষটা রসিয়ে রসিয়ে খাবার খেয়েছেন, জনসমক্ষে বড়-বড় কথা বলেছেন। আমরা হাঁ করে তার কথাও শুনেছি...!
একজন সেনাপ্রধানকে খোদ আর্মি হেডকোয়ার্টার থেকে ডালিম নামের বেসামরিক একজন লোক ধরে নিয়ে যায় এই লজ্জা এই মানুষটাকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করেছে, এটা অন্তত আমি বিশ্বাস করি না! এরপরও এই মানুষটা রসিয়ে রসিয়ে খাবার খেয়েছেন, জনসমক্ষে বড়-বড় কথা বলেছেন। আমরা হাঁ করে তার কথাও শুনেছি...!
আমার মতে, অথর্ব একজন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ এর স্থলে একজন যোগ্য সেনাপ্রধান থাকলে, হয়তো, হয়তো-বা বাংলাদেশের ইতিহাস অন্য রকম হতো।
**আরেকটা কথা, তখন একটা গুজব উঠেছিল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে।
"...পরবর্তীকালে শ্রীমতি গান্ধী স্বীকার করেন যে, যুক্তরাস্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিক্সন তাঁকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেন..."।
"...পরবর্তীকালে শ্রীমতি গান্ধী স্বীকার করেন যে, যুক্তরাস্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিক্সন তাঁকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেন..."।
সূত্র: Ashok Raina-এর লেখা Inside RAW, the story of India's Secret Service
No comments:
Post a Comment