পত্রিকা বের হওয়ার পূর্বেই সদাশয় লোকজনেরা মমতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে খাটো করি না।
এরা যে কী এক অসাধারণ কাজ করেছিলেন এটা লিখে বর্ণনা করার মত ক্ষমতা আমার কই! ওই সদাশয় মানুষদের জন্যই প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে সৌজন্য কপি দেয়া সম্ভব হয়েছে।
প্রত্যেকটা ক্লাশে আমরা দু'মিনিট করে সময় চেয়ে নিয়েছিলাম। ওখানে যেটা বলা হয়েছিল, লিটন মিয়ার ঘটনাটা (https://www.facebook.com/ali.mahmed1971/posts/10151679681627335?notif_t=like)।
বলা হয়েছিল, আমরা প্রত্যেক সংখ্যায় একজন নায়কের কথা ছাপব। এ নায়ক সিনেমার নায়ক না, আ রিয়েল হিরো! প্রথমবার তো লিটন মিয়ার কথা ছাপলাম। পরের সংখ্যার নায়ককে আমরা খুঁজছি। ওই মানুষটা হতে পারেন আপনাদের মধ্যে থেকেই কেউ।
এখন আপনারা তো আর ৫০ হাজার টাকা পথে কুড়িয়ে পাবেন না, তাহলে কি আপনারা নায়ক হতে পারবেন না? না, পারবেন। কীভাবে? আমরা যদি দেখি আপনাদের মধ্যে থেকে কেউ রাস্তা থেকে কলার খোসা বা পাথর সরিয়ে দিচ্ছেন যেটায় হোঁচট খেয়ে কেউ কষ্ট পেতে পারে বা কেউ কোনো অন্ধ মানুষকে রাস্তা পার করে দিচ্ছেন...তাহলে আপনারাই পরের সংখ্যার নায়ক।
আরেকটা উদাহরণ দেয়া হয়েছিল। এখন তো সব ঢাকায়। আমাদের মধ্যে একটা ধারণা জন্মে গেছে- বাংলাদেশ মানেই ঢাকা। যা কিছু ভালো সব ঢাকায়। ভালো স্কুল, ভালো কলেজ সবই ঢাকায়- তো, চলো ঢাকায় গিয়ে পড়াশোনা করি। সেদিন আর দূরে নেই যেদিন আমরা শুনব, এই দেশের সমস্ত ভালো মানুষেরাও থাকেন ঢাকায়।
আর এই সব কারণে যারা আমরা পড়ার জন্য ঢাকায় যেতে পারি না তারা মন ছোটো করে রাখি।
আমরা প্রদীপ সাহা (এই মানুষটার সম্বন্ধে বিস্তারিত পরে কখনও লিখব) নামের একজনের কথা ছেপেছি যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া যখন শেষ করেন তখন যে কেবল ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট হয়েছিলেন এমনই না, তিনি যে নাম্বার পেয়েছিলেন কয়েক বছরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নাম্বার কেউ পায়নি!
এই মানুষটা কী ঢাকায় পড়াশোনা করেছিলেন? না, তিনি এই এলাকার স্কুলেই পড়েছেন। তো, তিনি যদি এমন রেজাল্ট করতে পারেন আপনারা পারবেন না কেন?...
আমাদের স্বপ্নগুলো বিচিত্র! আমরা যে স্বপ্নটা দেখি, এই তিন হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মাত্র ত্রিশ জনকেও যদি আমাদের ভাবনাটা বোঝাতে পেরে থাকি- এই ত্রিশ জন তিন শ জনকে বোঝাবে, সেই তিন শ জন থেকে তিন হাজার। তিন হাজার থেকে তিন লাখ...।
স্বপ্ন দেখতে সমস্যা কোথায়!
*ছবি ঋণ: সাদ্দাম হোসেন
এরা যে কী এক অসাধারণ কাজ করেছিলেন এটা লিখে বর্ণনা করার মত ক্ষমতা আমার কই! ওই সদাশয় মানুষদের জন্যই প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে সৌজন্য কপি দেয়া সম্ভব হয়েছে।
প্রত্যেকটা ক্লাশে আমরা দু'মিনিট করে সময় চেয়ে নিয়েছিলাম। ওখানে যেটা বলা হয়েছিল, লিটন মিয়ার ঘটনাটা (https://www.facebook.com/ali.mahmed1971/posts/10151679681627335?notif_t=like)।
বলা হয়েছিল, আমরা প্রত্যেক সংখ্যায় একজন নায়কের কথা ছাপব। এ নায়ক সিনেমার নায়ক না, আ রিয়েল হিরো! প্রথমবার তো লিটন মিয়ার কথা ছাপলাম। পরের সংখ্যার নায়ককে আমরা খুঁজছি। ওই মানুষটা হতে পারেন আপনাদের মধ্যে থেকেই কেউ।
এখন আপনারা তো আর ৫০ হাজার টাকা পথে কুড়িয়ে পাবেন না, তাহলে কি আপনারা নায়ক হতে পারবেন না? না, পারবেন। কীভাবে? আমরা যদি দেখি আপনাদের মধ্যে থেকে কেউ রাস্তা থেকে কলার খোসা বা পাথর সরিয়ে দিচ্ছেন যেটায় হোঁচট খেয়ে কেউ কষ্ট পেতে পারে বা কেউ কোনো অন্ধ মানুষকে রাস্তা পার করে দিচ্ছেন...তাহলে আপনারাই পরের সংখ্যার নায়ক।
আরেকটা উদাহরণ দেয়া হয়েছিল। এখন তো সব ঢাকায়। আমাদের মধ্যে একটা ধারণা জন্মে গেছে- বাংলাদেশ মানেই ঢাকা। যা কিছু ভালো সব ঢাকায়। ভালো স্কুল, ভালো কলেজ সবই ঢাকায়- তো, চলো ঢাকায় গিয়ে পড়াশোনা করি। সেদিন আর দূরে নেই যেদিন আমরা শুনব, এই দেশের সমস্ত ভালো মানুষেরাও থাকেন ঢাকায়।
আর এই সব কারণে যারা আমরা পড়ার জন্য ঢাকায় যেতে পারি না তারা মন ছোটো করে রাখি।
আমরা প্রদীপ সাহা (এই মানুষটার সম্বন্ধে বিস্তারিত পরে কখনও লিখব) নামের একজনের কথা ছেপেছি যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া যখন শেষ করেন তখন যে কেবল ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট হয়েছিলেন এমনই না, তিনি যে নাম্বার পেয়েছিলেন কয়েক বছরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নাম্বার কেউ পায়নি!
এই মানুষটা কী ঢাকায় পড়াশোনা করেছিলেন? না, তিনি এই এলাকার স্কুলেই পড়েছেন। তো, তিনি যদি এমন রেজাল্ট করতে পারেন আপনারা পারবেন না কেন?...
আমাদের স্বপ্নগুলো বিচিত্র! আমরা যে স্বপ্নটা দেখি, এই তিন হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মাত্র ত্রিশ জনকেও যদি আমাদের ভাবনাটা বোঝাতে পেরে থাকি- এই ত্রিশ জন তিন শ জনকে বোঝাবে, সেই তিন শ জন থেকে তিন হাজার। তিন হাজার থেকে তিন লাখ...।
স্বপ্ন দেখতে সমস্যা কোথায়!
*ছবি ঋণ: সাদ্দাম হোসেন
No comments:
Post a Comment