রেল-স্টেশনের
ওয়েটিং রুম। মাসের-পর-মাস ধরে এর টয়লেটটা বন্ধ থাকে। কেন? এই নিয়ে কেউ ভাল
সদুত্তর দিতে পারলেন না। কারো আহামরি কোনো বিকার নেই- সম্ভবত সবাই ধরে
নিয়েছেন এমনটাই হওয়ার কথা। জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকদেরও এটা চোখে পড়েছে এমনটা জানা নেই!
আমাদের দেশে ভয়ংকর এই বিষয়টা নিয়ে অধিকাংশ লোকজন কেন তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখেন এটা আমি জানি না! আগেও বলেছিলাম, কোটি টাকা খরচ করে একটা মার্কেট করবে কিন্তু একটা ওয়শরুম-টয়লেট করবে না, করলেও তালা মেরে রাখবে। এই তালার চাবি কার কাছে এটা বের করতে গিয়ে কেউ প্যান্ট নষ্ট করে ফেললে তাঁকে দোষ দেয়া চলে না।
পুরুষরা সুযোগ পেলেই রাস্তার কোথাও বসে কাজ সেরে ফেলে কিন্তু মহিলাদের পক্ষে সেটা অসম্ভব। আমার ধারণা, এই দেশে অধিকাংশ মহিলাদের ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। এই বিষয়টা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছি তাই নতুন করে আর চর্বিতচর্বণ করি না [১], [২]।
যাই হোক, আমি এস.এস ওরফে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টকে খুঁজে বের করলাম। এই বিষয়ে জানতে চাইলাম, কেন দীর্ঘ দিন ধরে তালা বন্ধ? প্রথমেই তিনি জানতে চাইলেন, আপনি কি সাংবাদিক? আমি বললাম, না। এরপর তিনি যেটা বললেন তা বিস্মিত করার জন্য যথেষ্ট। বললেন, তাহলে আপনার সমস্যা কী!
আমি বললাম, আপনার কী ধারণা কেবল সাংবাদিকদেরই সমস্যা এটা, পাবলিকের না! আমি পাবলিক আর আমার সমস্যা হচ্ছে, আমার যখন প্রয়োজন হয় তখন আমি মুত্র বিসর্জন করতে পারছি না। তা এটা বন্ধ কেন?
স্টেশন মাস্টার বললেন, এই টয়লেটে সমস্যা আছে। ব্যবহারের উপযুক্ত না।
আমি নিরীহ মুখ করে বললাম, কি সমস্যা, প্যান ভাঙ্গা। যেই সমস্যাই থাকুক আপনি শুধু একবার বলেন আমরা পাবলিকরা এটা ঠিক করে দেই।
তিনি বললেন, এটা তো বললেই হয় না। রেলের নিয়ম-কানুন মেনে এটা যথাসময়ে ঠিক করা হবে।
এটা এই সব আমলা-গামলাদের পুরনো চাল। আইনের কিতাবের দোহাই দেয়া- যেমন তদন্ত কমিটির নাম করে জটিল সমস্যা ঝুলিয়ে দেয়া। ওই তদন্ত কমিটির ফলাফল কেবল পাওয়া যাবে তাদের বাবার বুক-পকেটে।
আমি নাছোড়বান্দার মতো আবারও বললাম, মাসের-পর-মাস তো বন্ধ তা আর কবে আপনারা এই সমস্যার সমাধান করবেন বলে মনে করেন?
স্টেশন মাস্টার এবার উষ্মা প্রকাশ করেন, আরে, পাশেই তো পাবলিক টয়লেট আছে। এতো সমস্যা তো হওয়ার কথা না।
উত্তরটা আমার কাছে স্রেফ ফাজলামী মনে হয়েছে! আমি রাগ চেপে এবার জানতে চাইলাম, আমি তো জানি পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে টাকা লাগে। আপনার নাম বললে কি বিনা পয়সায় ব্যবহার করতে দেবে?
কথাবার্তার নমুনায় তিনি হয়তো আঁচ করতে পারছিলেন ট্রেন লাইন থেকে নেমে যাচ্ছে তাই তিনি বললেন, আচ্ছা, এখন আমি ব্যস্ত আছি। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব, এখন ট্রেন ঢুকছে...।
১. http://www.ali-mahmed.com/2011/02/blog-post_09.html
২. http://www.ali-mahmed.com/2011/02/blog-post_15.html
আমাদের দেশে ভয়ংকর এই বিষয়টা নিয়ে অধিকাংশ লোকজন কেন তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখেন এটা আমি জানি না! আগেও বলেছিলাম, কোটি টাকা খরচ করে একটা মার্কেট করবে কিন্তু একটা ওয়শরুম-টয়লেট করবে না, করলেও তালা মেরে রাখবে। এই তালার চাবি কার কাছে এটা বের করতে গিয়ে কেউ প্যান্ট নষ্ট করে ফেললে তাঁকে দোষ দেয়া চলে না।
পুরুষরা সুযোগ পেলেই রাস্তার কোথাও বসে কাজ সেরে ফেলে কিন্তু মহিলাদের পক্ষে সেটা অসম্ভব। আমার ধারণা, এই দেশে অধিকাংশ মহিলাদের ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। এই বিষয়টা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছি তাই নতুন করে আর চর্বিতচর্বণ করি না [১], [২]।
যাই হোক, আমি এস.এস ওরফে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টকে খুঁজে বের করলাম। এই বিষয়ে জানতে চাইলাম, কেন দীর্ঘ দিন ধরে তালা বন্ধ? প্রথমেই তিনি জানতে চাইলেন, আপনি কি সাংবাদিক? আমি বললাম, না। এরপর তিনি যেটা বললেন তা বিস্মিত করার জন্য যথেষ্ট। বললেন, তাহলে আপনার সমস্যা কী!
আমি বললাম, আপনার কী ধারণা কেবল সাংবাদিকদেরই সমস্যা এটা, পাবলিকের না! আমি পাবলিক আর আমার সমস্যা হচ্ছে, আমার যখন প্রয়োজন হয় তখন আমি মুত্র বিসর্জন করতে পারছি না। তা এটা বন্ধ কেন?
স্টেশন মাস্টার বললেন, এই টয়লেটে সমস্যা আছে। ব্যবহারের উপযুক্ত না।
আমি নিরীহ মুখ করে বললাম, কি সমস্যা, প্যান ভাঙ্গা। যেই সমস্যাই থাকুক আপনি শুধু একবার বলেন আমরা পাবলিকরা এটা ঠিক করে দেই।
তিনি বললেন, এটা তো বললেই হয় না। রেলের নিয়ম-কানুন মেনে এটা যথাসময়ে ঠিক করা হবে।
এটা এই সব আমলা-গামলাদের পুরনো চাল। আইনের কিতাবের দোহাই দেয়া- যেমন তদন্ত কমিটির নাম করে জটিল সমস্যা ঝুলিয়ে দেয়া। ওই তদন্ত কমিটির ফলাফল কেবল পাওয়া যাবে তাদের বাবার বুক-পকেটে।
আমি নাছোড়বান্দার মতো আবারও বললাম, মাসের-পর-মাস তো বন্ধ তা আর কবে আপনারা এই সমস্যার সমাধান করবেন বলে মনে করেন?
স্টেশন মাস্টার এবার উষ্মা প্রকাশ করেন, আরে, পাশেই তো পাবলিক টয়লেট আছে। এতো সমস্যা তো হওয়ার কথা না।
উত্তরটা আমার কাছে স্রেফ ফাজলামী মনে হয়েছে! আমি রাগ চেপে এবার জানতে চাইলাম, আমি তো জানি পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে টাকা লাগে। আপনার নাম বললে কি বিনা পয়সায় ব্যবহার করতে দেবে?
কথাবার্তার নমুনায় তিনি হয়তো আঁচ করতে পারছিলেন ট্রেন লাইন থেকে নেমে যাচ্ছে তাই তিনি বললেন, আচ্ছা, এখন আমি ব্যস্ত আছি। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব, এখন ট্রেন ঢুকছে...।
১. http://www.ali-mahmed.com/2011/02/blog-post_09.html
২. http://www.ali-mahmed.com/2011/02/blog-post_15.html
No comments:
Post a Comment