আমি
দেখলাম, একজন সিপাহি সাহেব একটা কুত্তাকে (এদেরকে সম্ভবত কুত্তা বলার নিয়ম নাই,
কুকুর বলারই নিয়ম। বলেই ফেলেছি যখন তখন কুত্তাই থাকুক। এই কারণে কুত্তার কাছে আগাম
ক্ষমাও চেয়ে রাখছি) হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
র্যাবের
ডগ-স্কোয়াড আছে জানি কিন্তু রেলপুলিশের ডগ-স্কোয়াডের কথা শুনিনি বলে একজনকে
জিজ্ঞেস করলাম, ‘ঘটনা কী’! তিনি জানালেন, এটা স্যারের কুত্তা। এই দেশে তো ‘কুটি-কুটি’স্যার!
ইনি আবার কোন স্যার এটা জানার আগ্রহ হতেই পারে। এই স্যার মানে জিআরপি ওসি স্যার।
একবার
আমার ওয়ালেট খোয়া গেল। আমি যখন এটা জিআরপির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে জানালাম, তিনি
তখন পেপার পড়ায় ব্যস্ত ছিলেন। এই অসম্ভব ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে জানিয়ে ছিলেন, ‘বোঝেনই
তো, আমাদের লোকবলের অভাব। আচ্ছা, দেখি, আপনার বিষয়টা কি করা যায়’।
আমি
কথা না-বাড়িয়ে চলে এসেছিলাম কারণ আমার আর বোঝার বাকী ছিল না ওনার এই দেখাদেখির
পর্ব আর কখনই শেষ হবে না।
বটে!
লোকবলের অভাব না-হয়ে উপায় আছে? সিপাহি সাহেবরা যদি প্রতিদিন স্যারের কুত্তা নিয়ে
লেফট-রাইট করেন তাহলে লোকবলের অভাব না হয়ে উপায় কী!
No comments:
Post a Comment