Search

Monday, December 23, 2013

সতর্কবার্তা!

আমি আমার সাইটে (http://www.ali-mahmed.com/) স্পষ্ট করে লিখে রেখেছি, ‘আমার লিখিত অনুমতি ব্যতীত কোনো লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না’। তারপরও কেউ-কেউ এখান থেকে অনুমতি না-নিয়েই লেখা ছাপিয়ে দেন। বিরক্তির একশেষ! এদের ভাবখানা এমন, এই সমস্ত লেখা গণিমতের মাল। কোথাও যুদ্ধ হয়েছিল- এরা লুটের মাল ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। এই সমস্ত অপদার্থের জন্য এদেশে সাইবার আইন ডিমের খোসা। আমাদের দেশে সাইবার আইন কেবল লেখালেখি করার অপরাধে বিনা ওয়ারেন্ট হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া।

একজন আমার ইনবক্সে জানালেন, ‘আপনার এই সাইটটি খুব ভাল লাগে, তাই আমাদের পেজে আপনার কিছু পোস্ট শেয়ার করেছি এবং পরবর্তীতে আরো শেয়ার করার কথা ভাবছি’।
আমি চরম বিরক্তি গোপন করে উত্তরে লিখলাম, ‘এরপর থেকে আমার অনুমতি ব্যতীত শেয়ার করবেন না। ধন্যবাদ’।
আমার ধারণা ছিল মানুষটা তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হবেন। কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত করে তিনি লিখলেন, ‘হুম!!!’
আমি লিখতে চেয়েছিলাম, আপনার উত্তর আমার পছন্দ হলো না। ওয়াল্লা, এরপর দেখি এই মানুষটা আমাকে ব্লক করেছেন [১]
এই চুতিয়া যে কালে কালে বড়ো একটা চোর হবে এতে অন্তত আমার কোনো সন্দেহ নাই।
স্ক্রিণশট ১:

ফেসবুকে প্রায়ই এটা লক্ষ করি, অনুমতি না-নিয়েই লেখা ছাপিয়ে দেয়া হয়। অজস্র উদাহরণ থেকে একটা উদাহরণ দেই [২]। এই সাইটটা যারা চালান তাদের কাছে আমি একটা সদুত্তরের জন্য দিনের-পর-দিন অপেক্ষা করেছি। এরা আজও আমাকে একটা সরি বলা দূরের কথা কোনো উত্তর দেননি। অতএব এও আরেক চুতিয়া। 

স্ক্রিণশট ২:
ফেসবুকে সমস্যা হচ্ছে, অনুমতি ব্যতীত লেখা ছাপানো যাবে না এমন সতর্কবার্তা কোথাও দেয়ার সুবিধা নেই। এমনিতে ফেসবুকের শেয়ার বাটন চেপে যেভাবে শেয়ার করার নিয়ম সেটার জন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই এ তো আমরা বিলক্ষণ জানি, এটা বরং কোনো লেখকের জন্য আনন্দের। কিন্তু কারো একটা লেখা তাকে না-জানিয়ে ছাপিয়ে দেয়ার মানে কী! এরপর থেকে আমার ওয়েব-সাইট, ফেসবুকের কোনো লেখা আমার অনুমতি ব্যতীত কেউ যে-কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে সানন্দে তার নামের সঙ্গে চোর বা চুতিয়া শব্দটা জুড়ে দেব।
বাধ্য হয়ে আমার এই সতর্কবার্তা ফেসবুকের ‘কাভার ফটোতে’ ঝুলিয়ে দিচ্ছি।

No comments: