আমার একটি স্বপ্ন নিয়ে লিখেছিলাম, একটি স্বপ্ন
এবং... [১]। অনেকে হয়তো খানিক অবাক হয়েছিলেন, খবরের খোঁজে নামের লোকাল
একটা পত্রিকা নিয়ে ব্যাটা আবার স্বপ্নও দেখে! আমি তো লোকাল ইন্টারসিটি নিয়ে
মাথা ঘামাই না। পত্রিকাটি আসল আমি পত্রিকা হিসাবে দেখছিলাম না, দেখছিলাম...।
এটার মাধ্যমে ছোট-ছোট স্বপ্নকে ছোঁয়ার চেষ্টা। যেমন ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, স্কুলের হাজার-হাজার শিক্ষার্থিকে বিনামূল্যে সৌজন্য কপি দেওয়া এই কারণে যাতে করে এদের মধ্যে পাঠের অভ্যাস গড়ে উঠে।
সম্প্রতি এই পত্রিকার কিছু কর্মকান্ড আমার পছন্দ হচ্ছিল না বিশেষ করে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠা। এই পত্রিকার প্রধান হিসাবে এর দায় আমার উপরই বর্তায়।
কিন্তু এই দায় আমি কেন দিনের-পর-দিন, মাসের-পর-মাস, বছরের-পর-বছর ধরে বহন করব? আমার কী দায় পড়েছে?
এই পত্রিকার স্বপ্নদ্রষ্টা আমরা দুজনের মধ্যে একজন, যিনি পত্রিকার পুরো দায়িত্ব আমাকে দিয়েছিলেন বলেই আমার রাজি হওয়া। কাগজ-পত্রে যার বিপুল ক্ষমতা, আসল ক্ষমতা। এই ক্ষমতার গন্ধ পত্রিকার অন্য লোকজনের তো অজানা থাকার কথা না তাই তাদের উদ্ধত আচরণ এমন সীমা ছাড়ায় যে এরা আমাকে না-জানিয়ে পত্রিকার ওয়েব-সাইট, ইমেইল আইডি পরিবর্তন করে ফেলার দুঃসাহস দেখায়!
কী আশ্চর্য, এরপরও তিনি আশা করেন আমি এদের সঙ্গে বসে সমঝোতার কথা বলব? বাদাম খাব? আহা, এটা বিস্মৃত হলে চলবে না তো যে আমি নদীর পানি- নদীর পানিতে লোকজন আবর্জনা ফেলে, মলত্যাগ করে, তাতে কী! নদীর পানি তো নদীর পানিই- একে আটকায় এই সাধ্য কার! আমার তো পুকুরের ঝকঝকে পানি হওয়ার কোনো প্রকারের গোপন ইচ্ছা নাই।
স্বপ্নগুলো ভিড় করে, খিলখিল করে হাসে, পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসে- স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। গতকালই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া শেষ। আজ ফলাও করে জানিয়ে দিচ্ছি, এই পত্রিকার সঙ্গে আমি আর থাকছি না। এখন থেকে এই পত্রিকার কোনো দায়-দায়িত্ব আর আমার উপর বর্তাবে না।
আমি মহাপুরুষ নই বলেই প্রিয় জিনিস ছেড়ে দিতে কষ্ট হয়। আমারও হচ্ছে, স্বপ্ন ভেঙ্গে খানখান হচ্ছে। হোক। কঠিন মানুষের কাছে জীবনের কঠিন দাবী- এভাবেই প্রিয় জিনিস জীর্ণ বস্তুর মত ত্যাগ করতে হয়। এভাবেই শুরু করার নিয়ম- ক্রমশ এই গ্রহের সবচেয়ে বড়ো রহস্য সবচেয়ে প্রিয় জীবনকেও, ছোট্ট একটা হাসি ঝুলিয়ে ময়লা শার্টের মত ছুড়ে ফেলতে হয়...।
১. একটি স্বপ্ন এবং...: http://www.ali-mahmed.com/2013/10/blog-post.html
এটার মাধ্যমে ছোট-ছোট স্বপ্নকে ছোঁয়ার চেষ্টা। যেমন ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, স্কুলের হাজার-হাজার শিক্ষার্থিকে বিনামূল্যে সৌজন্য কপি দেওয়া এই কারণে যাতে করে এদের মধ্যে পাঠের অভ্যাস গড়ে উঠে।
সম্প্রতি এই পত্রিকার কিছু কর্মকান্ড আমার পছন্দ হচ্ছিল না বিশেষ করে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠা। এই পত্রিকার প্রধান হিসাবে এর দায় আমার উপরই বর্তায়।
কিন্তু এই দায় আমি কেন দিনের-পর-দিন, মাসের-পর-মাস, বছরের-পর-বছর ধরে বহন করব? আমার কী দায় পড়েছে?
এই পত্রিকার স্বপ্নদ্রষ্টা আমরা দুজনের মধ্যে একজন, যিনি পত্রিকার পুরো দায়িত্ব আমাকে দিয়েছিলেন বলেই আমার রাজি হওয়া। কাগজ-পত্রে যার বিপুল ক্ষমতা, আসল ক্ষমতা। এই ক্ষমতার গন্ধ পত্রিকার অন্য লোকজনের তো অজানা থাকার কথা না তাই তাদের উদ্ধত আচরণ এমন সীমা ছাড়ায় যে এরা আমাকে না-জানিয়ে পত্রিকার ওয়েব-সাইট, ইমেইল আইডি পরিবর্তন করে ফেলার দুঃসাহস দেখায়!
কী আশ্চর্য, এরপরও তিনি আশা করেন আমি এদের সঙ্গে বসে সমঝোতার কথা বলব? বাদাম খাব? আহা, এটা বিস্মৃত হলে চলবে না তো যে আমি নদীর পানি- নদীর পানিতে লোকজন আবর্জনা ফেলে, মলত্যাগ করে, তাতে কী! নদীর পানি তো নদীর পানিই- একে আটকায় এই সাধ্য কার! আমার তো পুকুরের ঝকঝকে পানি হওয়ার কোনো প্রকারের গোপন ইচ্ছা নাই।
স্বপ্নগুলো ভিড় করে, খিলখিল করে হাসে, পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসে- স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। গতকালই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া শেষ। আজ ফলাও করে জানিয়ে দিচ্ছি, এই পত্রিকার সঙ্গে আমি আর থাকছি না। এখন থেকে এই পত্রিকার কোনো দায়-দায়িত্ব আর আমার উপর বর্তাবে না।
আমি মহাপুরুষ নই বলেই প্রিয় জিনিস ছেড়ে দিতে কষ্ট হয়। আমারও হচ্ছে, স্বপ্ন ভেঙ্গে খানখান হচ্ছে। হোক। কঠিন মানুষের কাছে জীবনের কঠিন দাবী- এভাবেই প্রিয় জিনিস জীর্ণ বস্তুর মত ত্যাগ করতে হয়। এভাবেই শুরু করার নিয়ম- ক্রমশ এই গ্রহের সবচেয়ে বড়ো রহস্য সবচেয়ে প্রিয় জীবনকেও, ছোট্ট একটা হাসি ঝুলিয়ে ময়লা শার্টের মত ছুড়ে ফেলতে হয়...।
১. একটি স্বপ্ন এবং...: http://www.ali-mahmed.com/2013/10/blog-post.html
No comments:
Post a Comment