আমাদের মৌলভি সাহেবরা ওয়াজ
মাহফিলের মাধ্যমে অনবরত আমাদেরকে নসিহত করেন, ‘শুনিবেক আলেমের পন্দ নসিহত’। আট-দশটা চোঙ্গা (যার প্রচলিত নাম মাইক) লাগিয়ে মৌলভি সাহেবরা মধ্যরাত
পর্যন্ত তোতাপাখির মত বকে যান, বাবারা লাইনে থাকিস।
বে-লাইনের আমরা লাইনে থাকার
জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি, ভাল তো। মধ্যরাতের বিষয়ে অনেকে বলবেন, জোশ চলে আসে বিধায়
রাত গড়ায়। বটে! ওয়াজের পূর্বেই মাইকিং করে যে ঘোষণা দেওয়া হয়, ওয়াজ হবে মধ্যরাত
পর্যন্ত এর সহিহ ব্যাখ্যা কী! এরা কি ধরে নেন মধ্যরাত
(আমি রাতভর ধরে এই কর্মকান্ড করতেও
দেখেছি) পর্যন্ত সমস্ত মানুষ জেগে বসে আছে, এমনকি খেটেখাওয়া মানুষও যাকে ভোরে
অমানুষিক কাজে যেতে হবে? বা কোনো মানুষের অসুস্থ থাকার উপায় নেই! অথবা অন্য কোনো
ধর্মের লোকজনের ওই এলাকায় থাকার যো নেই?
ইসলামের ঝান্ডাধারী সৌদির মত দেশগুলোর মৌলভি সাহেবরা আট-দশটা চোঙ্গা লাগিয়ে ওদের দেশে এমন
নসিহত করার চেষ্টা করেছেন এমনটা আমার জানা নাই। নাকি ওইসব দেশের লোকজনকে লাইনে রাখার কোনো প্রয়োজন নাই?
ছবিতে আমরা যে দৃশ্য দেখছি
এটাও একটা ওয়াজ-মাহফিলের। ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যাবে এখানে একটি চালু রাস্তা বন্ধ করে ওয়াজ মাহফিলের নামে নসিহত করা হচ্ছে। অনেকে
বলবেন, এটা তো আয়োজকদের কান্ড- মৌলভি সাহেবদের উপর তো এ দোষ বর্তায় না। হুম, তা বটে! তা মৌলভি সাহেবরা কী চোখ বন্ধ করে
রাখেন যে এটা তাদের চোখে পড়ার কোনো উপায় নেই? সবাইকে যেভাবে এঁরা লাইনে থাকার বিস্তর উপদেশ দেন সেখানে নিজেদের গাড়ির ব্রেক না-থাকলে তো সমস্যা।
আসলে টোলের পন্ডিত, মৌলভি
সাহেবদের শেখা তো সেই কবেই শেষ- এরা কেবল আমাদেরকে শেখান।
No comments:
Post a Comment