ঘটনাটা হাজার বছর পূর্বের
না, মাত্র সেদিনের! বিরোধী মতের একজনকে নগ্ন করে ৩ দিন অনাহারে রাখা হয়। এরপর সেই
মানুষটাকে খাঁচায় আটকে রাখা ৫টি ক্ষুধার্ত হিংস্র কুকুরের মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কুকুরগুলো সেই মানুষটাকে ছিঁড়ে-খুবলে খেয়ে ফেলে। পুরো প্রক্রিয়াটা শেষ হতে সময়
লাগে ১ ঘন্টা। এই কর্মকান্ডের সময় উপস্থিত ছিলেন সেই দেশের প্রায় ৩০০ জন
শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
কেবল তাই না এই অভাগা
মানুষটার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয় রাষ্ট্রের
নির্দেশে।
দেশটি হচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
আর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার এই পদ্ধতির নাম ‘কুয়ান জুই’। আর যে অভাগা
মানুষটির কথা বলা হলো তিনি ছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আপন ফুফা, জ্যাং
স্যাং থ্যাক।
উইকি বলছে, ‘...উত্তর কোরিয়ার
অর্থনীতি মূলত পর্যটনভিত্তিক।... উত্তর কোরিয়ার সাক্ষরতার হার উচ্চ, প্রায় ৯৩%...।’
বাহ, বেশ তো, তা উত্তর কোরিয়ায় অন্য
দেশের লোকজনেরা কী দেখতে যায়? ১২০,৫৪০ বর্গ কিঃমিঃ-এর
উত্তর কোরিয়ার ২ কোটি ৪০লক্ষ
মানুষকে নগ্ন দেখার জন্য? ওই দেশের লোকজনেরা চকচকে কাপড়ে শরীর মুড়িয়ে রাখলেই বুঝি
নগ্নতা ঢাকা যায়!
আর এই গ্রহে যারা বনবন করে ছড়ি ঘোরান
সেই সমস্ত মহোদয়গণ বা মানবাধিকার সংস্থার লোকজনেরা আমাদের দেশে এসে চোখের জলে যে
আন্ডারওয়্যার ভিজিয়ে ফেলেন তারা উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন এমনটা তো
নমুনা দেখিনি! কেন রে বাওয়া, ওখানে গেলে কী চোখের জলের
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুত্রও শুকিয়ে যায়?
*লেখাটার শিরোনাম নেওয়া
হয়েছে, জীবনানন্দ দাশের ‘এইখানে
সূর্যের’ কবিতা থেকে।
No comments:
Post a Comment