কথায়-কথায়
বিশএকুশ। ধরুন, কাউকে বললাম, আমার এখানে একটা ‘ঘুরান্তিস’ দিয়ে
যান বা কিছু টাকা ধার দেন না প্লিজ। চটজলদি উত্তর, বিশএকুশ। প্রথম দিকে তো বুঝে
কুলিয়ে উঠতেই পারতাম না! বাওয়া, বিষয়টা কী!
‘আহিস্তা-আহিস্তা’ জানা গেল, বিশএকুশ মানে হচ্ছে দু-হাজার একুশ সাল। সোজা কথায়
দু-হাজার একুশ সালে তারা এই কর্মকান্ডগুলো করবেন। এই চাবুকের (!) গতি দেখে আমি
নিরন্তর মুগ্ধ হই।
এমন
গতির জন্য আমি দুজন
মানুষকে খুব ইজ্জত দেই। একজন হচ্ছেন নাসিরউদ্দিন হোজ্জা আর আরেকজন
হচ্ছেন, ‘ডন কুইক্সোট অভ লা মানচা’। হোজ্জা সাহেবের কথাটা আগে বলি। মানুষটা
প্রচলিত স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতেন না। ' জারা হাটকে'- একটু অন্য রকম! গাধার পিঠে
নাকি উল্টো করে বসতেন। শোনা কথা! এটা শুনেছি
এই কারণে বললাম কারণ হোজ্জা সাহেবের সঙ্গে দেখা হয়নি বিধায় বুকে হাত দিয়ে (অবশ্যই নিজের)
বলতে পারছি না। এও শুনেছি, গাধা এবং হোজ্জা সাহেবের গতি নিয়ে
প্রায়শ ঝামেলা হতো।
টাইমিংটা সামান্য এদিক-ওদিক হয়ে যেত।
হোজ্জার
একটা ঘটনা শেয়ার করি। যথারীতি ‘গাধা উইথ হোজ্জা’। হোজ্জা সাহেব
রওয়ানা দিলেন মরমর কোনও রোগি দেখতে। হোজ্জা সাহেব ওই রোগির
চল্লিশায় পৌঁছে গিয়ে
শোনেন, গাধা নাকি এখানে ৪০ দিন ধরে দিব্যি লেজ নাড়াচ্ছিল! দেখো দিকি কান্ড!
হোজ্জার মত ‘ডন কুইক্সোট অভ লা মানচা’ এই মানুষটাকেও আমি ভাল পাই। ইনিও নাকি তার ঘোড়া রোজিন্যান্টকে নিয়ে দাবড়ে বেড়াতেন- ফুল স্পিড আ্যহেড, কিন্তু গতি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতেন না। এও শোনা কথা কারণ ডনের সঙ্গে এই বিষয়ে বাতচিত হয়নি। ডনের ঘোড়ার দুর্ধর্ষ (!) গতির সামনে হিমশিম খেতে হতো শামুককেও।
হোজ্জার মত ‘ডন কুইক্সোট অভ লা মানচা’ এই মানুষটাকেও আমি ভাল পাই। ইনিও নাকি তার ঘোড়া রোজিন্যান্টকে নিয়ে দাবড়ে বেড়াতেন- ফুল স্পিড আ্যহেড, কিন্তু গতি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতেন না। এও শোনা কথা কারণ ডনের সঙ্গে এই বিষয়ে বাতচিত হয়নি। ডনের ঘোড়ার দুর্ধর্ষ (!) গতির সামনে হিমশিম খেতে হতো শামুককেও।
No comments:
Post a Comment