হাওয়া ভবনের কথা আমরা
শুনেছিলাম ওখানে নাকি হাওয়ায় কীসব উড়ে বেড়াত! সেই হাওয়া ভবনের হাওয়া এখন আর
উড়াউড়ি করে না- সেই পাখি চলে গেছে অন্য কোথাও।
তারেক রহমান সাহেব
খুবই আলোচিত ব্যক্তিত্ব এখন, কী এক নতুন বাণী বাজারে ছেড়েছেন যে। এই নিয়ে
বাজার সরগরম- জল কম ঘোলা হয়নি। সেটা বলে শব্দের অপচয় করি না আর। আমি
রাজনীতিবিদদের আচরণ, বক্তব্য নিয়ে খুব একটা বিস্মিত হই না কারণ এরা এমনই।
কেউ গোলাপি বলেন তো কেউ গোপালি, এ তো আর নতুন কিছু না। যেমন কালো বিড়াল
বলেছেন, ‘মা ছেলে মূর্খ’। তিনিও বাদ কারণ তিনি ঝানু রাজনীতিবিদ।
আমার আগ্রহের বিষয় অন্যরা যারা জ্ঞানের ভান্ডার নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। যেমন
খালেদা জিয়া যখন তার সন্তানের বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন তখন এর সঙ্গে
অনেকেই পাশে থেকে প্রাকারান্তরে সায় দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ-কেউ রাজনীতি
করলেও আমরা এদেরকে অনেকখানি সমীহের দৃষ্টিতে দেখি যেমন কর্নেল অলি আহমদ,
মেজর জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহিম। এরা লম্বা গোঁফ লাগিয়ে যখন
লম্বা-লম্বা বানচিত করেন তখন আমরা গরমের চকলেটের মত গলে যাই। আবার শাহজালাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুজিবুর রহমানের মত মানুষেরা যখন লম্বা গলায়
গলা মেলান তখন আমাদের বোঝার অর বাকী থাকে না এই সমস্ত মানুষদের মস্তিষ্কে
হাওয়া হুটোপুটি খায়!
তারেক রহমানের হালের বাণীতে অনেকে বিস্মিত,
ক্ষুব্ধ হলেও আমি অবাক হইনি কারণ তিনি ব্রিটেনে আছেন সম্ভবত পাঁচ-ছয় বছর
ধরে। চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বানিজ্য কিসসু করেন না তাহলে চলে কেমন করে?
সপরিবারে থাকেন বিধায় মেট্রো স্টেশনেও থাকার উপায় নেই কিন্তু উপায় কী।
খাওয়া-দাওয়ার বিষযটা নিয়ে আমি চিন্তিত না কারণ ওসব দেশের খাওয়া-দাওয়া,
ছ্যা-ছ্যা, ওসব কী আর মুখে রোচে? তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম কলাটা-মুলোটা
বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ করে তাদের বেশ চলে যায়। ধুর, কীসব বলছি বাড়ি ভাড়ার
টাকার ব্যবস্থা কোথায়, বাওয়া! বাড়িই নেই তো আঙ্গিনা আসবে কোত্থেকে যে
কলা-মুলা চাষ হবে?
আসলে ওসব কিছু না, তারেক সাহেব কেবল হাওয়া খেয়েই
দিন পার করে দিচ্ছেন। বেশ চলে যাচ্ছে বটে কিন্তু যথার্থ উপাদানের অভাবে
দিনে-দিনে মস্তিষ্ক হচ্ছে দুর্বল। দুর্বল মস্তিষ্কের কারণে খানিকটা
এটা-সেটা বললে এই নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই...।
No comments:
Post a Comment