নড়বড়ে সাকোঁটা ধরে ধরে চলে
গেল একটা বছর! হাজার মানুষের মৃত্যু,
বিকলাঙ্গ হয়ে বেঁচে থাকাই কেবল না;
মৃত্যু...
অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে...। এক ফোঁটা
বাতাসের জন্য এক চুমুক পানির জন্য।
মা তাঁর সন্তানের জন্মও দিয়েছেন ওখানে। যতটুকু জানি ওই সব মা এবং তাঁর ভূমিষ্ঠ সন্তান কেউই বাঁচেননি।
মা তাঁর সন্তানের জন্মও দিয়েছেন ওখানে। যতটুকু জানি ওই সব মা এবং তাঁর ভূমিষ্ঠ সন্তান কেউই বাঁচেননি।
এই মা এবং তাঁদের
সন্তানের কষ্ট বোঝার ক্ষমতা দূরের কথা এঁদের নিয়ে লিখে বোঝানোটা আমার মত ‘লেখালেখির
চেষ্টা করা’
মানুষের পক্ষে অসম্ভব। তবুও তখন
মন কী মানে: https://www.facebook.com/723002334/posts/10151401293992335
ওখানকার কিছ দৃশ্য দেখে অনেকে মানসিক
ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন, আজও তাঁরা মানসিক সুস্থতা ফিরে পাননি। আদৌ তাঁরা কখনও
সুস্থ হবেন এমনটা দুরাশা।
সেখানে কেউ কেউ
নিজের ত্যাগ করা পেশাব পর্যন্ত খেয়েছেন।
নিজের গায়ের রক্তও। এখনও কোনও মা-পিতা-ভাই-বোন-স্বজন হাতে
ছবি নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ান। মিছে আশা, যদি কোনও প্রকারে একটু খোঁজ পাওয়া যায়।
তখনকার কিছু ঘটনা সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। যেমন আমাদের ধর্মীয় শিক্ষক হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী বলেছিলেন, “রানা প্লাজার ৫ম তলায় বুধবার হেফাজত বিরোধী ২৭ এপ্রিল নারী সম্মেলন এবং আমাদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী বানচাল করতে ভবনের মালিক, যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ‘বাছাইকৃত’ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মিটিং করছিল। এর কিছুক্ষণ পরে ‘আল্লাহর গজবে’ ভবনটি ধসে পড়ে’।"
তখনকার কিছু ঘটনা সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। যেমন আমাদের ধর্মীয় শিক্ষক হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী বলেছিলেন, “রানা প্লাজার ৫ম তলায় বুধবার হেফাজত বিরোধী ২৭ এপ্রিল নারী সম্মেলন এবং আমাদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী বানচাল করতে ভবনের মালিক, যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ‘বাছাইকৃত’ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মিটিং করছিল। এর কিছুক্ষণ পরে ‘আল্লাহর গজবে’ ভবনটি ধসে পড়ে’।"
করুণা করো পরম করুণাময়- এই
সমস্ত মানুষদের হাতে ইসলামকে রক্ষা করার দায়িত্ব!
দোষ করল সোহেল রানা যে ব্যাটা দিব্যি
এখনও বেঁচে আর মরে গেলেন অন্তত এই ক্ষেত্রে নির্দোষ হাজারও মানুষ। বলিহারি!
এদিকে আমাদের এক ডক্টর
মন্ত্রী মহোদয় তখন
আবিষ্কার করেছিলেন এক অভূতপূর্ব তত্ত্ব।
আমি যে লেখায় বারবার বলি হেন কোনও বিষয় নেই যা আমাদের মন্ত্রী
বাহাদুররা জানেন না- কেউ এটা বিশ্বাসই করতে চান না।
তো, বিবিসিকে
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মহিউদ্দিন খান আলমগীর জানিয়েছিলেন, “..কিছু
হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ভবনটি
ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।"
মন্ত্রী
মহোদয়ের এই বক্তব্যর পর আমি নিজে খুব সতর্কতা অবলম্বন করা শুরু করি। কারণ আমি
নিজেও বসবাস করি ব্রিটিশদের
করা প্রায় ১০০
বছর পুরনো এক ইমারতে। পূর্বে এই ইমারতে শখ করে খড়ম পরে হাঁটাহাঁটি করতাম সেটা তখনই
বাদ দিয়েছিলাম কারণ ইমারত ধসে পড়লে তো আর বাঁচব না। এবং এর পাশাপাশি আমি এটাও
বুঝতে পারলাম আমার পরিচিত লোকজনরা কেন এমুখো হন না কারণটা বুঝলুম বড়ো দেরিতে। কারণ
আর কী, আমার এই
ইমারতটা ধসে পড়ার ভয়।
এরপর
যথারীতি চলে আসে আমাদের জাতীয় বিবেক ‘পাহেলে রোশনি’-পত্থম আলো ওরফে প্রথম আলোর দয়ার কথা। ‘নাচাগানা’ করে এরা কী খেলাই না দেখাল মাইরি। এই খেলার চোটে
আমি খেলাই থুক্কু প্রথম আলো পড়াই বাদ দিয়ে দিলাম। এটা এখনও বহাল আছে।
অনেকে
আমার এই নির্বোধ আচরণ দেখে বেদম হাসাহাসি করেছেন, বোকা রে, তোর একটা ‘পরতিকা’ না-কিনলে...। আহা, জগতের সবাই
বুদ্ধিমান হয়ে গেলে তো মুশকিল- এরা কাকে দেখিয়ে বলবেন, ওই দেখ, এক বেকুব যায়।
আহা, এরা কেবল এই সবই দেখলেন আমার মানসিক আরামটা দেখলেন না!
আহা, এরা কেবল এই সবই দেখলেন আমার মানসিক আরামটা দেখলেন না!
১. ভবন ঝাঁকাঝাঁকি:
২. ব্যাড-বাই, প্রথম আলো:
https://www.facebook.com/723002334/posts/101513985598173
৩. মাওলানা রুহি: https://www.facebook.com/723002334/posts/10151394916027335
৩. মাওলানা রুহি: https://www.facebook.com/723002334/posts/10151394916027335
No comments:
Post a Comment