ভাষার জন্য, মায়ের ভাষার জন্য অসাধারণ মানুষেরা অকাতরে বিলিয়ে
দিয়েছেন প্রাণ। সে তো গেল অসাধারণ মানুষদের কথা- আমাদের মত সাধারণ মানুষেরাও সুযোগ
পেলেই ভাষার জন্য অতি তুচ্ছ কোনো অবদান রাখার সামান্যতম সুযোগ পেলেও সদর্পে তীব্র
বিশ্বাস নিয়ে বলি, এমন দিনে মরে
গেলেও কোনও নেই।
আমাদের দেশের মাদ্রাসাগুলোতে, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসাগুলো কী
অন্য গ্রহের? এদের কী এই দেশ নিয়ে, দেশের আবেগ নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই? উল্লেখিত এই
মাদ্রাসায় কোনও প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখতে হয় উর্দুতে। কোনো
প্রতিষ্ঠানে উর্দু পড়ানো হবে, কি হবে না সে ভিন্ন প্রসঙ্গ
কিন্তু শিক্ষার্থীদের দরখাস্ত-আবেদন করতে হবে উর্দুতে, কেন? এই সমস্ত
কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গিত গাওয়া, জাতীয় পতাকা উত্তেলন দূরের কথা হ্যান্ডশেক
করা, সাইকেল চালানো, কোনো প্রকারের খেলা, পত্রিকা পড়া গুরুতর অপরাধ।
এখানকার শিক্ষার্থী কী শিক্ষা নিয়ে বের
হচ্ছেন! পরবর্তীকালে এরা ধর্মীয় শিক্ষক হিসাবে আমাদেরকে কি শেখাবেন?
প্রয়োজন বোধ করায় চিঠির অনেকাংশ হাইড করে দিলাম। চিঠিটা এই
রকম, “...বা
খিদমাতে জানাবে ওস্তাজ মুহতারাম সাহাব দা মাদ...ইয়ে গুজারিশ হ্যায়...”।
ইসলাম ধর্মে দেশ-মা, মার মুখের ভাষার প্রতি অবজ্ঞা-উদাসীন
থাকার কথা কোথায় বলা হয়েছে এটা জানার খুব আগ্রহ।
1 comment:
এসব বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই মানুষজন এসে উলটা ধুয়ে দেয়। :-(
Post a Comment